মাছ-মাংস, কাঠকুটো আর নতুন জীবনের গল্প

প্রত্যয়দীপ্ত রুদ্র

 

উত্তর প্রদেশে তথাকথিত অবৈধ মাংসের দোকানে হামলা হবার পর বাঙালিগণ বড়ই শঙ্কিত। এই বুঝি তার পাতের মাছটা বা কবজি ডোবানো ঝোলের থেকে পাঁঠার ঠ্যাংটা টপ করে তুলে নিল গেরুয়াবাহিনী! তবে কিনা এতটাও চিন্তার কারণ নেই। উত্তর পূর্বে যেভাবে গোমাতার মাতা স্ট্যাটাস গেছে, তার থেকে এটা পরিষ্কার যে লোকাল জনগণকে চটানোর কোনও বাসনা তাঁদের নেই। আর কে না জানে, বাঙালির পাত থেকে মাছ তুলে নিতে গেলে এমন লঙ্কাকাণ্ড বাধবে, হনুমানজির শরণাপন্ন হয়েও তার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না।

মধ্যবিত্ত বাঙালি, যাঁরা আঁতকে টাতকে উঠছেন, তাঁদের অবশ্য মাছ ধরার বা মাংসের জন্য শিকার করার প্রয়োজন পড়ে না। বাজারেই পাওয়া যায় সে সব। সবার কি আর সেই প্রিভিলেজটা আছে? আমি সর্বহারাদের কথা বলছি না, সত্যি কথা বলতে কোনও রাজনীতির কথা লেখার জন্য বসিনি, আমি বলছি সেইসব প্রাণীদের কথা যাদের কিনা সকাল বিকেল নিজের খাবারটা নিজেকেই শিকার করে নিতে হয়।

অনেকের এমন একটা ধারণা আছে যে খাদ্যশৃংখলের ওপরের দিকে থাকা প্রাণীদের জীবন সহজ, অন্যের শিকার হবার ভয়ে তাদের দিন কাটাতে হয় না। হরিণের চেয়ে বাঘেরাই বেশি স্বচ্ছন্দে, সুখে আছে, এমন একটা মনে হয়। আদতে কিন্তু শিকারি পশুপাখিদের কাজটা মোটেই সহজ নয়। চাইলেই তারা ঘাসপাতা খেয়ে থাকতে পারবে না, এদিকে শিকারে অপটু হলেই না খেয়ে দিন কাটাতে হবে। যাদের শিকার করে খাবে, তাদের আছে নিজস্ব ডিফেন্স মেকানিজম। সেই ডিফেন্স ভাঙা শেখাই যে একমাত্র কঠিন কাজ, তাও নয়, তার পর আছে শিকারের জন্য স্বজাতির সঙ্গেই প্রতিযোগিতা, যাকে বলে নিজের টেরিটরি প্রতিষ্ঠা করা। সেই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারলে না খেয়ে মরা ছাড়া গতি নেই। অসুখবিসুখ, চোট আঘাত ইত্যাদি থেকে শিকার করার ক্ষমতা কমে গেলে কি হয় সে কথা ছেড়েই দিলাম।

এই শিকার করার স্কিল পশুপাখিরা জন্ম থেকেই শিখে যায় না। অনেক ক্ষেত্রে মা বাবা তাদের ট্রেইনিং দেয়, আবার অনেক সময় স্রেফ নিজেই শিখে নিতে হয়, অনেক ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে। তবু কিন্তু প্রজাতিগুলো দিব্যি বেঁচেবর্তে আছে। অর্থাৎ বেশিরভাগই শিখে নিচ্ছে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় স্কিলগুলো। পাখিদের ছবি তুলতে গিয়ে এমন শিকারি পাখিদের জীবন দেখেছি বেশ কাছ থেকেই। তাদেরই দুজনের গল্প বলব আজ। একজন মাছভক্ত, অন্যজনের আবার মাংস ছাড়া মুখে রোচে না, সাপ ব্যাং ইঁদুর সবই চলে তার। তবে কিনা শুধু শিকার করা আর খাওয়াই তো জীবন নয়, এর পর থাকে জীবনসঙ্গী বা সিজনসঙ্গী খোঁজা, কোর্টশিপ রিচুয়াল, বাসা বানানো, ডিমের এবং তারপর ছানার যত্ন আত্তি করা যদ্দিন না সে নিজে নিজে শিকার করার মতো বড় হচ্ছে। যে পাখিদের কথা বলছি, বাসা বানানোর ব্যাপারে দুজনেই অনেকটা একই গোত্রের, কাঠকুটো দিয়ে বাসা বানায় গাছের ডালে। আর বাসা বানানোর সময় বা নেস্টিং সিজন হল এই মার্চ মাস নাগাদ। আমরা ভাগ্যবান, আমাদের শহরের, মানে এই মার্কিন মুলুকের কলোরাডো প্রদেশের ডেনভার শহর, তার মধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় নিরাপদ দূরত্ব থেকে বেশ ভাল দেখা যায় এদের নেস্টিং এবং তৎপরবর্তী কাজকর্ম। সেই গল্প করা যাক খানিক।

(গ্রেট ব্লু হেরন)

আমাদের প্রথম চরিত্রের নাম গ্রেট ব্লু হেরন (Great Blue Heron)। বিরাট আকারের এক রকম বক, প্রাগৈতিহাসিক চেহারা, সারা বছরই এদের দেখা যায় এখানে। তবে মার্চের মাঝামাঝি যখন আবহাওয়া, কচি পাতা আর চারপাশের পাখপাখালিরা জানান দিতে থাকে বসন্ত এসে গেছে, তখন বিশেষ সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায় এই বকদের। আমাদের দেশেও এমন বড় আকারের বক আছে, গ্রে হেরন, পার্পল হেরন ইত্যাদি। তবে নাম শুনে ভাববেন না গ্রেট ব্লু হেরন মানে নীলবর্ণ বক। আসলে মোটের ওপর ধূসর, কপালে আর ডানায় গাঢ় নীল রঙ, আর চোখের কোণে নীলচে রঙের কাজল।

এ বছর গরমটা পড়েছে একটু আগে আগেই। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে আমাদের এই শহুরে পার্কে গিয়ে দেখি ইতিমধ্যেই হাজির একজোড়া হেরন। আর সিজনসঙ্গীকে ইম্প্রেস করতে দুজনেই তৎপর। বোঝা যাচ্ছে শিগগিরই শুরু হবে ঘর বাঁধা। গ্রেট ব্লু হেরনের অভ্যাস হল গাছের শুকনো ডালে কাঠকুটোর বাসা বানানো। কিন্তু এরা থাকে দল বেঁধে। গাছের এপাশের ডালে যদি থাকে এক হেরন দম্পতি, পাশের ডালগুলোয় প্রতিবেশী ঠিকই জুটে যাবে। আবার সেই একই কলোনিতে হয়তো যোগ দেবে কিছু পানকৌড়ির দল।

(কাঠি নিয়ে বাসার ফেরত)

বাসা বোনা শুরু হল, দেখি বাসা দখল করে বসে আছেন বেটার হাফ, আর পুরুষ বকটি এদিক ওদিক থেকে মুখে করে নিয়ে আসছে নানা সাইজের কাঠি। সেই কাঠি এনে সে দিচ্ছে তার বৌকে। এই কাঠি হস্তান্তর, থুড়ি ঠোঁটান্তর হল তাদের মেটিং রিচুয়ালেরই অংশ। কাঠি এনে নিজে নিজে বাসা বানানোর কাজে লাগালে হবে না। একে অপরকে কাঠি দেওয়া নেওয়া করতে হবে। ইচ্ছে হলে একটু আদরসোহাগ… আর তারপর সেই কাঠিটা কোথায় বসানো যায় সেদিকে নজর দেবে তারা।

(কাঠির ঠোঁটান্তর)

তারপর মাঝে মাঝেই খোঁজ নিতে যাওয়া বক দম্পতির। সারা সকাল কেটে যায় তাদের মজার খেলা দেখতে দেখতে। জায়গাটা একটা লেকের মাঝে ছোট্ট একটা দ্বীপ, জ্বালাতুনে দু’পেয়ে জীবদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে, অথচ দিব্যি পরিষ্কার দেখা যায় পুরোটাই। দেখতে দেখতে বাসা বানানো প্রায় শেষ হয়ে এল। তবে এপ্রিল মাস পড়ে গেলেও শেষ হয়েও শেষ হয় না বাসার কাজ। ঝড়বৃষ্টি তো লেগেই আছে। প্রায়ই এলোমেলো হয়ে যায় বাড়ি, কাঠিকুটো পড়ে যায় জলে। গৃহকর্তা আবার গিয়ে তুলে আনেন সেগুলো, তারপর হয় বাসা মেরামতি। এ সবই চলবে ছানারা বড় হওয়া অবধি।

(মেটিং রিচুয়াল)

(গৃহসজ্জা)

এরই ফাঁকে মেটিং, ডিম পাড়া এবং সেই ডিমে তা দেওয়া। পেরেন্টিং এর প্রথম ধাপ। সোজা কথা? কিন্তু খাওয়াদাওয়ার গল্পটা কিরকম? স্বামী স্ত্রী দুজনেই পালা করে খেয়ে আসে সকাল বিকেল। বারবার যাওয়ার অসুবিধা বলে একেবারেই তিন চারটে মাছ উদরস্থ করে ঘরে ফেরে। এই মাছ ধরাও বেশ মজার। ওই লেকেরই এক প্রান্তে, যেখানে জল অগভীর, সেখানে গিয়ে কোমর জলে চুপচাপ বসে থাকে বকগুলো। সব বকেদেরই শিকার ধরার এই কায়দা একই ধরনের, তাই আশা করি কখনও না কখনও আপনিও দেখেছেন। তারপর শুরু হয় অনন্ত অপেক্ষা। কখন একটা মাছ কাছে আসবে আর তাকে খপ করে ধরা যাবে। ছোট আকারের বকরা কুচো মাছটাছও ধরে, কিন্তু গ্রেট ব্লু হেরনদের তত্ত্ব হল মারি গণ্ডার লুটি ভাণ্ডার। একেবারে বড়োসড়ো একটা মাছ ধরতে পারলে অনেকখানি খিদে মেটানোর ব্যবস্থা করা যাবে! তাই তাদের ধৈর্যের পরীক্ষাটাও বেশি। ভারী ক্যামেরা ধরে থাকতে থাকতে হাত ব্যথা হয়ে যায় বেচারা ফোটোগ্রাফারের। বকমশাই এর কিন্তু ধৈর্যের অভাব নেই। শেষপর্যন্ত তীরবেগে জলের মধ্যে বকের মাথার প্রবেশ, এবং পরমুহূর্তে এক বিঘৎ লম্বা একটি মাছ সহ জলের ওপর উঠে আসা। ঠিক এখানেই তাদের স্কিলের পরীক্ষা। এখানে যার ছবি দিয়েছি সে হল এ কাজে এক্সপার্ট, খুব একটা মিস করতে দেখিনি। আবার অন্য একজন কমবয়সী হেরনকে দেখেছি বারে বারে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে।

(ছানা বক ও মা)

আবার মাছ ধরার পরই সেটাকে গপ করে গিলে নেওয়া চলে না। মাছটা কখনও ধরা হয় ধারালো ঠোঁটে বিঁধিয়ে, কখনো বা স্রেফ দুই ঠোঁটের মাঝে চিমটের মতো ধরে। কিন্তু সেটাকে গলায় চালান করা যাবে কি করে? তাও গেলার সময় মাছের মাথাটা যেতে হবে আগে। এখানেই কাজে আসে গ্রেট ব্লু হেরনের জিভ। মাথা নাড়ানোর মাধ্যমে আর জিভ দিয়ে ঠেলে সে মাছটাকে আড়াআড়ি থেকে লম্বালম্বি করে নেয়, মাথার দিকটাকে নিজের মুখগহ্বরের দিকে ফিরিয়ে। তারপর মুণ্ডুটা তুলে মাছটাকে, অনেকসময় জ্যান্ত অবস্থাতেই, চালান করে দেয় পেটে। বেশি বড় মাছ হলে হরিণ গেলা অজগরের মত মাছটাকে যেতে দেখা যায় ওর সরু গলাটার মধ্যে দিয়ে। খাওয়া হলে একটু জল খেয়ে আবার সে বসে পড়ে পরের মাছ ধরার অপেক্ষায়।

(জল থেকে তুলে আনা মাছ)

(সোজা গলায় চালান)

ডিম ফুটে ছানা বেরোনোর পর সে তো আর মাছ ধরতে পারে না। এদিকে বকের পায়ের গঠন এমন নয় যে শিকার করা মাছ ধরে বাসায় নিয়ে আসবে। ঠোঁটে করে নিয়ে উড়ে আসাও বড় সোজা না, যেকোনো মুহূর্তে ফস্কে যাবার সম্ভাবনা। তাই বাপ হেরন সেই সময় মাছটাকে গিলে বাসায় এসে উগরে দেয় বাচ্চাদের খাবার জন্য। এহেন উগরানো খাবার খাওয়ানো অবশ্য প্রাণীজগতে কোনও বিরল ঘটনা নয়।

এ বছর এখনও ডিম ফুটে ছানা বেরোনোর সময় হয়নি, গত বছরের ছানাপোনাদের ছবি দেওয়া গেল। ডিম ফোটার পরও আমাদের পাহাড়ি শহরে বেশ কয়েকবার নেমে এসেছে তুষারঝড়। বাপ-মা দিব্যি আগলে রেখেছিল ছানাকে। এই বিশেষ বাসাটির তিনটি ছানাই নিরাপদে বড় হয়ে উঠেছিল।

(রেড টেইল্ড হক)

গ্রেট ব্লু হেরনের বেলায় যেমন সহজে তাদের বাসা বানানো থেকে শুরু করে ছানার বড় হওয়া দেখা যায়, সেটা সম্ভব হয়না বেশিরভাগ পাখির ক্ষেত্রেই। তাদের নিরাপত্তার জন্যই নির্দিষ্ট নিয়ম আছে বাসার আশেপাশে না যাওয়ার। আমাদের দ্বিতীয় চরিত্র হল রেড-টেইল্ড হক (Red-tailed Hawk)। এক ধরনের বাজপাখি। এরা নিজেদের বাসার ব্যাপারে সাধারণত খুব স্পর্শকাতর হয়, এবং দুপেয়েরা বেশি জ্বালাতন করলে বাচ্চাকে ফেলে কেটে পড়তেও দ্বিধা করে না। তাই এদের বাসা দেখতে হলে বহুদূর থেকে দেখতে হয়। তারই মধ্যে কেউ কেউ হয় তুলনায় ডেয়ারডেভিল, যারা ব্যস্ত রাস্তার ধারেও বাসা করে। সেরকমই এক রেড টেইল্ড হকের বাসাতেই তোলা তার বাচ্চার ছবিটি।

(গাছের বাকল ছিঁড়ে নিচ্ছে বাসা বানানোর জন্য)

হক জাতীয় শিকারি পাখিদের শিকার করার ধরন একেবারে অন্যরকম। এদের প্রধান খাদ্য ইঁদুর, সাপ, ছোট খরগোশ বা প্রেইরি ডগ ইত্যাদি। ডেনভার থেকে একটু বেরোলেই বড় বড় দিগন্তবিস্তৃত মাঠ। তার পাশের টেলিফোন পোলে বসে শিকারের অপেক্ষা করে এরা। মাঠে ইঁদুর টিঁদুর দেখতে পেলে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে যায়। অনেক সময় মাঠের ওপর দিয়ে উড়ে উড়েও শিকারের খোঁজ করে।

বসন্তের শুরুতে কাঠকুটো দিয়ে বাসা বানানো শুরু হয়ে যায়। রেড টেইল্ড হকরা কিন্তু সাধারণত মোনোগ্যামাস হয়, অর্থাৎ একই পার্টনারের সঙ্গে মেটিং করে বছর বছর। তবে মেটিং সিজনের বাইরে যে খুব বেশি একসঙ্গে থাকে, তা নয়। বসন্ত এলেই হক দম্পতিকে একসঙ্গে দেখা যেতে শুরু করে। ঠিক হেরনের মতই তারাও কাঠি সংগ্রহ করে এনে বাসা বানানো শুরু করে। তবে ঠোঁটে করে নয়, পায়ের ধারালো নখে করেই তারা ধরে নিয়ে আসে, সে কাঠিই হোক বা খাবার।

গত বছর এরকম সময় একটা ট্রেইলে হাঁটছি, হঠাৎ দেখি উড়ে এসে পাশের একটা গাছে বসল একটা শিকারি পাখি, ভাল করে দেখে বোঝা গেল রেড টেইল্ড হক। একনজরে মনে হয়েছিল গাছ থেকে সরু শুকনো ডাল ভেঙে কাঠি সংগ্রহ করছে। কিন্তু তা নয়, সে সংগ্রহ করছিল গাছের ছাল। তারপর সেই ছাল নিয়ে গিয়ে অনেকটা দড়ির মত করে ব্যবহার করতে দেখলাম তার নিকটবর্তী বাসায়। তারা যে এইসব কারিকুরিও করে জানতাম না। বেশ অবাক হয়েছিলাম তার এই ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতায়।

(ছানা রেড টেইল্ড হক)

ক’দিন পর আবার গিয়ে দেখি মিসেস হক বাসায় চুপচাপ বসে, সম্ভবত ডিমের ওপর। তারপর আর ও মুলুকে যাইনি, ওদের ডিস্টারবেন্স এড়াতে। তবে অন্য আরেক যে ডেয়ারডেভিল বান্দার কথা বলেছিলাম, তার বাসার আশপাশ দিয়ে যাবার সময় বার দু’য়েক থেমে বাচ্চাদের দেখেছিলাম। দুটো বাচ্চা হয়েছিল সেবার, আর নিরাপদেই বড় হয়ে উঠেছিল তারাও।

এ বছর এখনও পর্যন্ত কোনও রেড টেইল্ড হকের বাসার সন্ধান পাইনি। ক’দিন আগে আমার বাড়ির কাছের একটা পার্কে গেছি সূর্যাস্তের সময়, সূর্যাস্তের কমলা আলোয় দেখি দুই কালো মূর্তি পাশাপাশি বসে আছে। নিঃসন্দেহে রেড টেইল্ড হক। বুঝলাম বসন্ত এসে গেছে… হয়তো ওই গাছেরই কোনো ডালে কাঠকুটোর মধ্যে শিগগিরই সৃষ্টি হবে কিছু নতুন জীবনের…

(দম্পতি)

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4596 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...