একটি চিঠি

দেবাশিস তরফদার

 

[জেমস জয়েসের ‘ইউলিসিস’ সারাবিশ্বে বহুল চর্চিত কিন্তু তুলনামূলকভাবে অপঠিত একটি বই। বইটির দুর্ভাগ্য এই যে তার কপালে খ্যাতি যতটা জুটেছে, প্রীতি ততটা জোটেনি। এই মহাগ্রন্থটি পাঠ করলেন দেবাশিস তরফদার, পাশাপাশি সহপাঠকের জন্য লিখে ফেললেন একটি ‘রীডার’, ‘সহপাঠী’ গ্রন্থ। বাংলাভাষায় এমন উদ্যোগ সম্ভবত প্রথম। দেবাশিস তরফদারের এই বইয়ের পরিচিতি হিসেবে তুলে ধরা হল বইয়ের উৎসর্গপত্রটি।]

 

“If Ulysses is not fit to read, then life isn’t fit to live.” — James Joyce

 

শ্রী মনোতোষ চক্রবর্তী

বন্ধুবরেষু

ইউলিসিস-খাতা শেষ হল তবে! কত দীর্ঘদিনের প্রেম; কত দীর্ঘ দিন কেটে গেল ইউলিসিসের মোহে, জয়েসের ভূতের সঙ্গে।

মনে পড়ে? হিলসাইড কলোনীর সেই বারান্দার বিকেলবেলাগুলি? আমি নিরবধি বকে যেতাম আর আপনারা শুনতেন — আপনি, বীরেনদা আর হাসিবৌদি।

আমার ইউলিসিস পাঠ শুরু হয়েছিল তারও আগে, যখন আসানসোলে ছিলাম, ৩৩ বছর আগে। বিকেলে, আমার রুমমেট ফুটবল হাতে নিয়ে নেমে যেত আর আমি ইউলিসিস হাতে নিয়ে উঠে আসতাম গেস্টহাউসের ছাদে। পড়তে পড়তে মাঝে-মাঝে দূরে তাকিয়ে দেখতাম বার্নপুরে চিমনি জ্বলছে।

সেই প্রথম পাঠ, কোনও সাহায্য, কোনও নোটবই ছাড়াই, ঘটেছিল। কত কিছু বুঝিনি, কত কিছু বুঝেছি বলে ভুল ভেবেছি, কিন্তু বিশ্বাস করুন, রসাবিষ্ট হয়ে পড়েছি। আজও আমার মনে হয়, গাইড ছাড়াই, আছাড় খেয়ে খেয়েই পথ-চলা উচিত। এভাবেই, পড়তে পড়তে প্রেমে পড়লাম। খ্যাতির টানে নয়, রসের টানে।

দ্বিতীয় পাঠের সময়, পেকে গেছিলাম। তখন, শ্বেতাঙ্গ পণ্ডিতদের বই দু-চারটা (দুটোই — Ulysses on the Liffey আর Joyce’s Voices) পড়ে দেখলাম। এতে কি কিছু লাভ হয়েছিল? আজ মনে হয়, না, বিশেষ কিছুই নয়। বরং অযথা প্রচুর গৌণ বিষয় নিয়ে মাথা-ঘামানো হল। নিজের অশিক্ষিত স্বচ্ছদৃষ্টি কিছুটা ঘোলা-ই হয়ে গেল।

তবে, একটি বই সত্যিই কাজে লেগেছিল, আজও লাগে। তা হচ্ছে, রিচার্ড এলমান কৃত জয়েস-জীবনী, গত উনত্রিশ বছর ধরে যেটি বারবার পড়েছি। বস্তুত, আজ আমার মনে হয়, ইউলিসিস আস্বাদন ও অনুধাবনের জন্য মূল বইটিই একমাত্র সূত্র (তা-ই তো হওয়া উচিত!), যদিও তার আগে Portrait of the artist as a young man বইটি পড়লে খুবই ভাল হয়। এর বাইরে যদি কিছু পড়তেই হয় তবে জীবনীটি পড়া যেতে পারে, তবে সেটা পরে পড়লেও চলে। তার কারণ, জয়েস মূলত নিজের জীবনকেই তাঁর শিল্পের বিষয় করেছেন, যার সাক্ষ্য ওই বই দুইটিতেই এবং সমর্থন তাঁর জীবনীতে।

তৃতীয় এবং চতুর্থ পাঠ ঘটল অনেক পরে, পরিণত বয়সে। এবং পরিণত বয়সেই বইটির আত্মা আমার কাছে অনাবৃত হল। তার রস আরও বেশি করে আস্বাদন করলাম, তার অজস্র ইশারা ও অন্তসংযোগ আলোকিত হয়ে উঠতে থাকল। একটি মহৎ শিল্পের কাছে প্রেমিকের মতো বারবার না গেলে সে ধরা দেয় না। শ্রদ্ধা নিয়ে, ভালবাসা নিয়ে যেতে হয়; বিশ্বাস নিয়ে যেতে হয় যে যা বুঝিনি তারও মানে আছে, যেদিন নিজে পরিণত হব সে-দিন তাকে জানব।

সেই চতুর্থ পাঠের পর বড় ইচ্ছে হল আপনাকেও পড়াই। বস্তুত, সারা জীবন ধরে সঙ্গী খুঁজে চলেছি ইউলিসিস নিয়ে আড্ডা দেবার বাসনায়, কিন্তু কোথায় সে? কত বাড়িতে বইটি শোভা পাচ্ছে কিন্তু ঠিকমতো বইটি পড়েছেন এমন কাউকে সত্যিই পাইনি। এ আমার অহংকার নয়, দুর্ভাগ্য।

এবং আপনি পড়তে শুরু করলেন। শুরু হল আমাদের সাপ্তাহিক আলোচনা। এবং তখনই আমার কাছে স্পষ্ট হল পাঠকের অসুবিধাগুলি। কী কী কারণে পাঠক দিশেহারা বোধ করতে পারেন। এ-কথা বোঝা মাত্রই সিদ্ধান্ত নিলাম, একটি ‘সহপাঠী’ লিখব। পাঠক আমার সঙ্গে পাঠ করুন। কোনও তত্ত্ব নয়, বাজে তথ্য নয় শুধু প্রয়োজনীয় ইশারা আঙ্গুল দিয়ে দেখানো। এবং সেই খাতার সাহচর্যে আপনি পড়তে শুরু করলেন, রস পেতে শুরু করলেন, এবং আশ্চর্যের আশ্চর্য, মাসখানেকের মধ্যে বইটি পড়ে ফেললেন। তখন মনে হল, এই খাতাটিকে একদিন ছাপা যেতে পারে।

***

বইটি পাঠের বাধা কী কী? এটা একটু বলার দরকার। নইলে, এই ‘সহপাঠী’র পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করতে পারব না।

প্রথমত, তত্ত্ব। বাজার ভরে গেছে ‘সমারূঢ়’ সমালোচকদের কোলাহলে। পাঠক, প্রথমেই পুরোহিতের কাছে যান। এতে তাঁর ধন্দ বাড়ে। অন্যের চশমা পড়ে সত্যিই কি কিছু দেখা যায়? আমার স্পষ্ট কথা: একটি বইয়ের মর্ম বইটিতে অবগাহন করেই বুঝতে হবে, গুজব শুনে নয়।

দ্বিতীয়ত, তথ্য। যা, অনেক ক্ষেত্রেই খুচরো তথ্য। ইউলিসিসের খুচরো তথ্য এবং গৌণ বিষয় নিয়ে বাজারে কেঁদো বই লেখা হচ্ছে। আর ইন্টারনেটের তথ্যসাগরে তো সব উত্তরই আছে। কিন্তু পঞ্জিকা টিপলে তো জল পড়ে না! আর, গৌণ বিষয়ের পশ্চাদ্ধাবন করলে সারসত্যটিকে হারিয়ে ফেলার ভয় থাকে।

সবচেয়ে বড় বাধাটি কী জানেন? শুনলে, চমকে যাবেন। মনোযোগ ও স্মৃতির অভাব। বইটি, একটি দিনের ঘটনা। তাই, এটা খুবই স্বাভাবিক, এবং প্রায়ই ঘটে যে ৫০০ পাতা পরের একটি বাক্যের সঙ্গে ৫০০ পাতা আগের একটি বাক্যের সম্পর্ক আছে। কিন্তু পাঠক ততক্ষণে আগের কথাটি ভুলে গেছেন কিংবা আগেরবার প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে পড়েননি।

জেমস জয়েস

হ্যাঁ, প্রতিটি বাক্যই মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করা উচিত। কারণ, কোন্ কথাটা গৌণ, কোনটা নয়, তা পাঠক জানেন না। পুরো বইটা শেষ না করা অবধি তা জানা সম্ভবও নয়। গভীর মনোযোগ দিয়ে পাঠ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর কিছুই তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাঠকের কখনও-বা একটা ভুল অভ্যেস গড়ে ওঠে — তিনি কেবলই গূঢ় অর্থ খুঁজতে থাকেন, ‘বড় কথা’ খুঁজতে থাকেন। কিন্তু এ গল্পে প্রতিটি ছোট কথাকে ভালোবাসতে হবে, নইলে বড় কথাটি ধরা দেবে না।

এরপর যে-বাধাটি আসতে পারে, সেটি শৈলীগত। এখানে শৈলী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, দুটি কারণে। প্রথমত, প্রায় প্রতিটি অধ্যায়েই শৈলী অভিনব, এবং একটি শৈলীতে অভ্যস্ত হতে না হতেই শৈলী পালটে যায়। দ্বিতীয়ত, বইটির একটি বৈশিষ্ট এই যে শৈলী নিজেই একটি প্রতিমা, বিষয়বস্তুর অন্তঃসত্য প্রকাশে সে একটি ভূমিকা পালন করে।

এর পরও প্রশ্ন থাকতে পারে। বইটি পড়তে কতটুকু পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন? হোমারের ওডিসী কতটুকু জানা দরকার?

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর প্রথমে দিই। বিশ্বাস করুন, হোমার নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও দরকারই নেই। এমনও বলব, যে, ওডিসী না জেনেও মূল গল্পটির রস আস্বাদন এবং সারাৎসার গ্রহণ সম্ভব। ওডিসীর সঙ্গে এর তুলনাটি একটি গৌণ উপাদান। ওই ফাঁদে পড়ার বিরুদ্ধেই আমি বলব। এটা সিফেন-ব্লুম-মলির কাহিনী। এবং সে-কাহিনীর গৌরব ওডিসীর প্যারডি হওয়ায় নয়। বইটির খসড়াতে প্রতিটি অধ্যায়ের একটি নাম ছিল, ওডিসীর অনুকরণে। প্রকাশের সময় তা বাদ দেওয়া হয়। আমার কাছে এই বর্জনটি অর্থপূর্ণ। ওডিসীর ওপর এতটা জোর দিলে পাঠকের ক্ষতিই হত।

পাণ্ডিত্যের সমস্যা তবু, স্থানে স্থানে রয়েছে। আঠেরোটি অধ্যায়ের তেরোটিতে আমরা লিওপোল্ড ব্লুমকে অর্থাৎ এ-গল্পের ইউলিসিসকে দেখি, তার মনের ভেতর ঢুকে। লোকটি আমাদের মতোই একজন ‘সাধারণ’ মানুষ, পণ্ডিত নয়। তার চিন্তাপ্রবাহ সহজেই বোঝা যায়। একটি অধ্যায়ে দেখি তার স্ত্রী মলির মনোজগতকে। সে বেচারি আরও ’অশিক্ষিত’। কিন্তু চারটি অধ্যায়ে আমাদের পরিচয় হয় স্টিফেন ডেডেলাস্ অর্থাৎ তরুণ জয়েসের মনোলোকের সঙ্গে। তাঁর সমকক্ষ পণ্ডিত ক’টাই বা জন্মেছে? ফলত, পাঠক অসংখ্য অনুষঙ্গে হোঁচট খাবেন। তবে কি না, সব অনুষঙ্গ সত্যিই ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, চারবার পাঠের অভিজ্ঞতায় এটা আমি বুঝেছি। Portrait…. পড়া থাকলে অনেক কথাই বোঝা যায়, বাকিটা অনেকটাই বোঝা যায় সেকসপীয়ার, বিশেষত ‘হ্যামলেট’ পড়া থাকলে। আর, বাইবেল সম্বন্ধে কিছুটা জ্ঞান থাকলে ভাল হয়।

এবারে আসি, এই ‘সহপাঠী’টির কথায়। এর প্রধান বৈশিষ্ট এই যে এখানে মূল বইটির পথেই একমাত্র জোর দেওয়া হয়েছে। অন্য কিছু যদি পড়া না-ও থাকে, যেমন Portarit…, ওডিসী, হ্যামলেট, বাইবেল, মা ভৈঃ। যেটুকু নিতান্ত দরকার, আমরা সেটুকুই আলোচনা করব। আমি সবচেয়ে বেশি যে-কাজটা করেছি, তা হচ্ছে এই বইটির অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সম্পর্কগুলি, ছড়িয়ে-থাকা অজস্র টুকরো কথার, টুকরো ঘটনার যোগাযোগগুলি ধরিয়ে দেওয়ার। স্মৃতিধরের কাজটি করব, সহপাঠী হিসেবে।

শৈলী নিয়ে আলোচনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে, ভূমিকার পরেই শৈলীর গুরুত্ব। এবং প্রতিটি অধ্যায়ের লক্ষণীয় কয়েকটি বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত টীকা আমি লিখেছি। পাঠক যখন একটি অধ্যায় পড়ছেন তিনি জানেন না কোন্ অনুষঙ্গ বা প্রসঙ্গ সমগ্র বইটির বিচারে গুরুত্বপূর্ণ। একজন অভিজ্ঞ সহপাঠী হিসেবে সে সূত্রটি আমি ধরিয়ে দিচ্ছি।

‘ইউলিসিস-রহস্য’

লেখক – দেবাশিস্ তরফদার

প্রকাশক – ভাষালিপি

প্রথম প্রকাশ – নভেম্বর ২০১৫

প্রচ্ছদ – সঞ্জীব চৌধুরী

মূল্য – ২০০ টাকা

হোমার-তুলনাকে একটি গৌণ বিষয় হিসেবে রেখেছি। বাদ দিইনি, কারণ এই সংযোজন রসাস্বাদন যে বাড়াবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে, এর গুরুত্ব মূল গল্পের চেয়ে বেশি হতে পারে না। প্রতিটি অধ্যায়ের শিরোনামে সেই বর্জিত নামগুলি রেখেছি, কারণ, জয়েস নিজে যা-ই করুন, ইউলিসিস নিয়ে কিছু বলতে গেলে ওই নামগুলি সবাই ব্যবহার করেন। তাছাড়া, প্রতিটি অধ্যায়ের একটি প্রতিমা থাকলে আমাদেরও স্মরণ করতে সুবিধা হয়। ‘একাদশ অধ্যায়’ না বলে ‘সাইরেনস্’ বললে পাঠকেরও সুবিধা।

খুচরো মজা বাদ দিলে বইটির রস পুরোটা পাওয়া যাবে না। তাই কিছু কিছু Trivia-র টীকা যোগ না-করে পারিনি। খুব বেশি নয়, কারণ খুচরো-র ভিড়ে গল্পটিকে হারিয়ে যেতে আমি দেব না। যে যাই বলুন, ইউলিসিসের আত্মা Trivia নয়, Epiphany। এ বিষয়ে যথাস্থানে বলব।

***

কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মহাগ্রন্থের প্রাণের কথাটি কী? সে-কথা আমি বলার চেষ্টা করেছি সর্বশেষে। তার আগে, পাঠককে আমার সঙ্গে পুরো বইটি অধ্যায়-ক্রমে পড়তে হবে। এবং ওই ক্রমে, শেষ অবধি না-পড়া পর্যন্ত শেষ কথাটি বোঝানো যাবে না। আপনি, ধৈর্য ধরে ধারাবাহিকভাবে পড়েছিলেন। তাই, এর মর্ম-কথাটি বুঝতে পেরেছিলেন। এ-খাতায়, আমি আগ-বাড়িয়ে কোনও কথাই বলতে চাইনি। যে-কথা যখন উন্মোচিত হবার, তখনই হবে।

***

একটি দিন। সকাল থেকে মধ্যরাত্রি। তারিখ বা বার-ও, মন দিয়ে পড়লে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হবে। তিনটি মুখ্য চরিত্র — স্টিফেন ডেডেলাস, লিওপোল্ড ব্লুম আর মলি ব্লুম। এদের সম্পর্ক কী? সেটাই তো রহস্য। শেষ অবধি না পড়লে, এ নিয়ে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয়।

অনেকেই, যাঁরা একবার রস পাবেন, বইটি দু’বার পড়বেন। আমি তেমনই পরামর্শ দেব। কিন্তু, আমি তো প্রায় পুরো জীবনটাই কাটালাম বইটা নিয়ে, সুতরাং আমাকে সহপাঠী হিসেবে রূপে পেলে পাঠকের হয়ত সুবিধাই হবে।

অবশেষে, বইটি আপনাকে উৎসর্গ করছি।

দেবাশিস তরফদার

 

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4647 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

  1. চার নম্বর প্ল্যাটফর্মকে অজস্র ধন্যবাদ এমন একটা লেখার প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। জেমস জয়েসের অবিস্মরণীয় সৃষ্টি ‘ইউলিসিস’ কে সুখপাঠ্য এবং সহজপাচ্য করার তাগিদে দেবাশীষ তরফদারের এই আন্তরিক প্রচেষ্টা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে। তবে সাধারণ পাঠকবর্গ একটা ‘ইউলিসিস’ পড়তে গিয়ে শেক্সপীয়ারের হ্যামলেট, হোমারের ওডিসি, বাইবেল, স্বয়ং জেমস জয়েসের আ পোর্ট্রেট অব দ্য আর্টিস্ট অ্যাজ আ ইয়াং ম্যান কিংবা জেমস জয়েসের জীবনীকার রিচার্ড এলামান সৃষ্ট ‘জেমস জয়েস’ পড়ার ভার কতটা বইতে পারবেন সে বিষয়ে চিন্তা থেকেই যায়। রসাস্বাদনের বিষয়টিও কেমন যেন গুরুগম্ভীর এবং বিপ্রতীপ হয়ে যায় এখানে। আর শেষমেশ লেখার মধ্যে একটা চোরা বিজ্ঞাপনী ভাষ্য এসে যাওয়ায় নিরপেক্ষতার আবেদন সীমা অতিক্রম করে যায় বোধহয়!

আপনার মতামত...