পুরনো আখরগুলি

প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য

 

প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য কর্তৃক শেফালী মৈত্রকে লিখিত চিঠির সংকলন এই বই।

প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য (২০ নভেম্বর, ১৯৩২-২ অক্টোবর, ২০১৬) বাংলাভাষার সাহিত্যসেবীদের মধ্যে বিরলতম একজন, গত শতকের শেষার্ধের বঙ্গীয় সারস্বত সমাজের এক অন্যতম মুখ্য চরিত্র। প্রথম যৌবনে 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’-এ গান্ধীবাদী নির্মলকুমার বসুর স্নেহচ্ছায়ায় স্বল্পভাষী এই কম্যুনিস্ট তরুণ ‘ভারতকোষ’-এর সহ-সম্পাদনার দায়িত্ব সামলেছেন। বিষ্ণু দে-র হাত থেকে ‘সাহিত্যপত্র’ পত্রিকাটিরও দায়িত্ব নেন অল্পদিনের জন্য। স্বল্পপ্রজ এই লেখকের বইয়ের সংখ্যা মাত্র চার, যার মধ্যে 'টীকাটিপ্পনী' গ্রন্থটি ভাবীকালের কবি-লেখক-সাহিত্যজিজ্ঞাসুদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বলা যেতে পারে। আক্ষেপ, বইটি এই মুহূর্তে এপার বাংলায় পাওয়া যায় না।

শেফালী মৈত্র : দার্শনিক, অধ্যাপক। পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষার প্রাঙ্গণে নারীবাদী তত্ত্ব-চর্চার অন্তর্ভুক্তিতে অধ্যাপক হিসেবে তাঁর অবদান অগ্রগণ্য।

বইয়ে সংকলিত চিঠিপত্রগুলি শেফালী-প্রদ্যুম্নের মননশীল বিনিময়ের আধারই শুধু নয়, তিন অভিন্নহৃদয় বন্ধু, প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য-শচীন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়-শঙ্খ ঘোষ, এঁদের চিন্তা ও চেতনার আলোকিত বলয়গুলিকে আমরা এই চিঠিগুলি থেকে চিনে নিতে পারি। এই চিঠিগুলিতে প্রদ্যুম্ন যতটা আছেন, ততটাই জড়িয়ে আছেন তাঁর বন্ধুরাও। বস্তুত প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন তাঁর বাসনার কথা: '...বন্ধুদের হাত ধ’রে এই অবিভাজ্য বলয় তৈরি করি। ক্রমে ক্রমে বিস্তার দিয়ে আবিশ্ব আয়তন দিতে পারি যদি এই বৃত্তকে, তবে কি কমিউনিস্ট চৈতন্যে পৌঁছাব?'

চিঠিপত্রগুলির সম্পাদক ও টীকাকার শেফালী মৈত্র নিজে। তাঁর লেখা দীর্ঘ ভূমিকাটি এই বইয়ের সম্পদ। ভূমিকাটি গত শতকের সমাজসচেতন সংস্কৃতিমনস্ক বিশ্বনাগরিক বাঙালির মননের স্থানাঙ্কটি চিনিয়ে দেয়।

অত্যন্ত সুমুদ্রিত বইখানি ছেপে বাংলাভাষার পাঠকের কৃতজ্ঞ করলেন 'এবং মুশায়েরা'। বইটির গ্রন্থস্বত্ব শেফালী মৈত্র-র। প্রকাশকাল -- জানুয়ারি ২০১৭। বিনিময় -- ২০০ টাকা।

প্রকাশকের সহৃদয় অনুমতিক্রমে সংকলন থেকে বিভিন্ন সময়ে লেখা ছ'খানি চিঠি বেছে নেওয়া হল।

 

দ্বিতীয় চিঠি

 

2F হাজরা বাগান লেন
কলকাতা 15
19  নভেম্বর  1977

শেফালী,

কলকাতায় ফিরে তোমার চিঠি পেলুম। তোমাদের যাদবপুরের বাড়িতে যেদিন যাই, ঠিক তার পরেই, আমিও শয্যাশায়ী হয়ে ছিলুম। ডাক্তার চলা-ফেরা তিন সপ্তাহের জন্যে নিষিদ্ধ ক’রে দেন। এখন চাঙ্গা বোধ করছি; তবে পিত্তস্থলীর এক্স-রে নেওয়া বাকি আছে, অর্থাৎ রোগ-নির্ণয় পর্ব এখনও শেষ হয়নি। যখনই ভাবছি; যাদবপুরের ঐ বাড়িতে তুমি অসুস্থ অবস্থায় ছিলে আর চিকিৎসিত হবার সেই একই প্রণালীর পুনরাবর্তন করতে হয়; তখনই শিরদাঁড়া শিরিশির ক’রে উঠছে।

কাশীতে গিয়েই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কুৎসিত আবর্তে পড়ি। দাঙ্গাবিরোধী শক্তি ওখানে নিরুদ্দিষ্ট। সি পি এম দপ্তরেও গিয়েছিলুম প্রতিরোধের কোনও কার্যক্রমে সামিল হবার জন্যে। কিন্তু শ্রমিক-চাষীর জীবনযাত্রা থেকে বিচ্ছিন্ন, জীর্ণ বারাণসীর মার্কসবাদ জরাগ্রস্ত, স্থবির। যৌবনের তেজ নেই, রোখ নেই, কাশীর মার্কসবাদীদের। অবশ্য কাশী ব্যতিক্রম নয়, ভারতীয় মার্কসবাদের নিরুদ্দেশ-যাত্রার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত মাত্র। তোমার ভাবনা, তোমার অনুভব, বোঝবার চেষ্টা করছি। গত আড়াই-মাস নিরন্তর মৃত্যুর মোকাবিলা করছি। এই প্রক্রিয়ায় মৃত্যু যেন আমার সত্তা অংশ হয়ে উঠল। এই অনুপ্রবিষ্ট মৃত্যু শচীনের শেষ দান।

শচীনের সঙ্গে শঙ্খর যা সম্বন্ধ, শচীনের সঙ্গে আমার তা নয়। আবার অন্য দিকে, শঙ্খ-শচীন-আমার বন্ধুতার একটা নৈর্ব্যক্তিক আয়তনও আছে। এই ব্যক্তিক আর নৈর্ব্যক্তিক নিয়ে সম্বন্ধের গতি, বিস্তার। যেখানে-যেখানে এই ভালোবাসার সম্বন্ধ, সেখানে সুখও অবিভাজ্য, দুঃখও অবিভাজ্য। তুমি ভালো থাকলে আমি সুখে থাকব, আমি সুখে থাকলে তুমি। আমার বাসনা: বন্ধুদের হাত ধ’রে এই অবিভাজ্য বলয় তৈরি করি। ক্রমে-ক্রমে বিস্তার দিয়ে আবিশ্ব আয়তন দিতে পারি যদি এই বৃত্তকে, তবে কি কমিউনিস্ট চৈতন্যে পৌঁছাব? আমি বাঁচতে চাই, এই নৈর্ব্যক্তিক-ব্যক্তিক ভালোবাসা নিয়ে; আর ইতিহাসের ছন্দে-গাঁথা praxis নিয়ে, কাজ নিয়ে।

শঙ্খ জানিয়েছে: রূপসার ভর্তি-সংক্রান্ত সংবাদ ও নিজেই যথাসময়ে রূপসাকে পৌঁছে দেবে। রূপসাকে আমি দু’খানি চিঠি দিয়েছি। ভালো থেকো।

প্রদ্যুম্নদা
————

পঞ্চম চিঠি

 

কলকাতা
10 মে 1978

শেফালী,

জবাব দিতে বড় দেরি হ’ল, ক্ষমা চাইছি। কেমন আছ তুমি? কী ভাবছ?– এ-সব জানতে ইচ্ছে করছে। তুমি হয়তো অবাক হয়ে ভাববে: যে মানুষ চিঠির উত্তর দিতে এত দেরি করে, চিঠি পাবার জন্য তার এই তাড়া কেন? হয়তো, ওটা আচরণগত অসংগতি; খুব সন্তোষজনক ব্যাখ্যা করতে পারব না, এই অসংগতির। আমি শুধু জানি: তুমি যে আমার সঙ্গে অনেক কথা বলো,– চিঠিতে বা মৌখিক আলাপে– এ আমার জীবনের সৌভাগ্য। আর, নীরব থেকেও যে একরকম কথা বলা যায়, তা-ও তুমি ভালো করেই জানো, বোঝো। তোমার দুঃখকে আমি সম্ভ্রম করি; তার সামনে নত হতে চাই; আমার সমস্ত মুখরতা তার সামনে স্তব্ধ হয়ে যায়।

একটা বড় অভিজ্ঞতার টিলার ওপর দাঁড়িয়ে তুমি মার্কিন সভ্যতা আর সমাজকে দেখছ; এমন এক সমাজকে দেখছ যেখানে বিচ্ছিন্নতার বেদনা তীব্রতম, গূঢ়তম। কী দেখছ তুমি, জানাও। যারা মুক্তির জন্য জীবন পণ করেছে, এমন দু-একজনের সঙ্গে নিশ্চয়ই তোমার পরিচয় নিবিড় হয়েছে। তারা কী ভাবছে, কী করছে, জানাও। ওরা কি কমিউনিস্ট?

Force of Circumstance-এর প্রথম খণ্ড পড়লুম। খুব নাড়া দিল; বিশেষত অ্যালগ্রেন-সিমোন উপাখ্যান। একটা কথা তোমায় জিজ্ঞাসা করব। অ্যালগ্রেন সিমোনকে বলেছে: “I never offer you less than love”. বন্ধুতার সঙ্গে ভালোবাসার তফাৎ কী? কোথায়? পশ্চিমে হয়তো শারীরিক মিলন দিয়ে একটা ভেদরেখা টানা হয়। তুমি কি এই ধরণের পার্থক্য মানো; এইভাবেই তফাৎ দেখাতে চাও ভালোবাসার সঙ্গে বন্ধুতার?

দীর্ঘ দিন পরে শঙ্খ আবার কবিতা লিখছে। সুতপা কলকাতায় এসেছে পয়লা মে তারিখে, ওর দু মাস ছুটি এখন। আমরা দিন কুড়ির জন্যে বাইরে যাব — বারোই মে ট্রেনে চাপছি। শঙ্খর মুখে রূপসার লেখাপড়ার যে-বিবরণ পাই, তা উদ্বেগজনক। ওর মনের গতি-প্রকৃতি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না আমি। রূপসার খবর নিয়মিত পাই, যদিও ওর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ নেই।

শঙ্খ-কুর্চি-সুতপা ভালো আছে। আমি আবার হেপাটাইটিস ভুগলুম। ভালো থেকো তুমি।

প্রদ্যুম্নদা

————–

প্রদ্যুম্ন ভট্টাচার্য

অষ্টম চিঠি

 

কলকাতা
17 সেপ্টেম্বর 1978

শেফালী,

বন্যার কারণে আশংকা করছিলুম: তুমি সত্যি-সত্যি ন’তারিখে রওনা হতে পারবে না, হয়তো। সেই আশংকাই সত্যি হল, শেষ অবধি। যখন-ই সুবিধে হবে, চলে এসো তুমি। কত দিন কথা হয়নি! দেখা-সাক্ষাৎ হবার আগে বড় ক’রে চিঠি দিও। চিঠি জিনিশটা আড্ডার বিকল্প নয়, ঠিকই: খানিকটা পরোক্ষ, খানিকটা নৈর্ব্যক্তিক, মৌখিক কথাবার্তার তুলনায়। কিন্তু মধু না জুটলে, গুড় তো অন্তত চাই, কী বলো?

ঠিকই বলেছ: কাজ ব্যাপারটা কর্তব্য হয়ে পড়লে, তা জোয়াল হয়ে ওঠে। মার্কস বলেছিলেন, ‘পশুপক্ষী… নির্মাণ করে প্রত্যক্ষ, শারীরিক প্রয়োজনের চাপে; মানুষ সৃষ্টি করে সেই তাগিদ না-থাকলেও। আসলে, ঐ প্রয়োজনের ফাঁশ থেকে মুক্তি পেলেই সে সত্যিকারের সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠে।’

সৃষ্টির উৎস তোমার নিজের মধ্যে, তোমার সারাৎসার মনে। সেই মনকে জাগিয়ে তুলেছে শচীন। এই তো সবে দেশে ফিরে এসেছ তুমি। একবার ধাতস্থ হয়ে বসলে, তুমি নিজের স্বাধীনতায়, আনন্দে, অবিরল সৃষ্টিশীলা হয়ে উঠবে। কত অভিজ্ঞতা, কত বলবার কথা, তোমার!

সুতপার থেকে-থেকেই জ্বর হচ্ছে। কাল ও কলকাতায় এসেছে। সর্বাঙ্গীন শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে, রোগ নির্ণয়ের জন্যে। কুর্চি ভালো আছে।

শচীনকে নিয়ে লেখা শঙ্খর কবিতাটি বেরুবে প্রেসিডেন্সি কলেজ পত্রিকায়। আমি হয়তো, তার আগেই, ওর একটা কপি তোমায় পাঠাতে পারব। ভালো থেকো তুমি।

প্রদ্যুম্নদা

—————-

নবম চিঠি

 

কলকাতা
3 অক্টোবর 1978

শেফালী,

শচীনকে নিয়ে লেখা শঙ্খর কবিতাটি ওপিঠে লিখে দিলুম। এখনও কোথাও ছাপা হয়নি। কবিতাটি 6 সেপ্টেম্বর সকালে শঙ্খ আমায় পড়ে শোনায়। পশ্চিমবঙ্গের বারোটি জেলায় সর্বাঙ্গীন ধ্বংস নেমেছে। কিছু করতে পারছি না আমি। দুঃখী মানুষের সঙ্গে এক হতে চাইছি প্রত্যেক মুহূর্তে।

সুতপা শান্তিনিকেতনে। গুসকরার রেল লাইন ধ্বস্ত; জানো, বোধহয়।

ভালো থেকো।

প্রদ্যুম্নদা

মৃত বন্ধুর জন্য

এবার আমাদের শান্ত উৎসবে
তোমার নামে কোনো আসন নেই
এবার অর্জুন কিংবা সেগুনের
পায়ের নিচে শুধু প্রাচীন ধ্বস
সেখানে অবনত মুখের টেরাকোটা
এভাবে ভেঙে যাবে তা ভাবেনি ও
তুমি যে নেই আজ সেটাই স্বাভাবিক
তুমি যে ছিলে সেটা অভাবনীয়।

খোলামকুচিগুলি দু’হাতে তুলে নিয়ে
আকাশও হয়ে ওঠে শিলালিপি
সময় থেমে যায় বুকের কাছে এসে
মাটিতে পড়ে থাকে আধা বিকেল
তখন আমাদের নিঃস্ব স্মৃতিভার
যেভাবে দিতে চাই সেভাবে নিও
তুমি যে নেই আজ সেটাই স্বাভাবিক
তুমি যা ছিলে সেটা অভাবনীয়।।

‘প্রেসিডেন্সি কলেজ পত্রিকা’, ১৯৭৭-১৯৭৮

—————

শেফালী মৈত্র

ঊনত্রিশতম চিঠি

 

শেফালী,

‘শব্দ আর সত্য’ বিষয়ে তোমার যা-প্রশ্ন, সেটা আরও একবার বোলো; সেদিন আচমকা ছেদ পড়েছিল আমাদের আলোচনায়। কথাটা কি এইরকম যে, এর লেখককে কি মার্ক্সপন্থী বলা যায়? তুমি কি বলতে চাইছিলে, এ বইয়ে শঙ্খর অবস্থান অনেকাংশে রাবীন্দ্রিক? এ-নিয়ে আমার ভাবনার ধরণ দু-চার কথায় পেশ করি।

যে-কোনও বোধ, বক্তব্য বা ব্যবহার মার্ক্সবাদসম্মত কিনা, তার চেয়েও জরুরি প্রশ্ন: সেইটে সত্যি কি-না। যা সত্য, তা মার্ক্সবাদসম্মত হবারও সম্ভাবনা। মার্ক্সবাদ সত্যে শামিল; কিন্তু সত্যের পরিসীমা মার্ক্সবাদের চেয়ে বিস্তীর্ণ।

তবে, এই সূত্রে ‘শব্দ আর সত্য’– এর একটি leitmotif আমাকে ভাবায়। তুমি নিশ্চয়ই লক্ষ করেছ: সংঘাতের গর্ভ থেকে এক তৃতীয় সত্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার কথা এই বইয়ে ঘুরে-ঘুরে বলে শঙ্খ। ‘শব্দ আর সত্য’-র 27, 30, 41-42, 55 পৃষ্ঠায় এর আবর্তন নিশ্চয়ই তোমাকে আকৃষ্ট করেছে। যেমন, ধরো, এই লাইনগুলি: ‘এইসব সত্যের উপর ভর করে আছে যে জীবন, তাকে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সংঘর্ষে দেখাই কবিতার সত্য। সেই সত্যের সামনে কবির আমি আর তাঁর বাইরের সমাজ কেবলই মুখোমুখি হয়, কেবলই তার সংঘর্ষ, আর সেই সংঘর্ষ থেকে কেবলই আরেকটি তৃতীয় সত্তার উন্মেষ।’ (পৃ.41)

জায়মান এই তৃতীয় ভুবনের ভাবনায় আমি দেখতে পাই ডায়ালেকটিক দৃষ্টি। ডায়ালেকটিক, কেননা এই দৃষ্টি সমস্ত অস্তিত্বকে, সমস্ত প্রাক্সিসকে পরিগ্রহণ করে রয়েছে। ডায়ালেকটিক, কেননা এই দৃষ্টি, মেটাফিজিকসের (নিন্দার্থে) পরিপন্থী।

আর, এই দৃষ্টিভঙ্গি ডায়ালেকটিক বলেই তা যুগপৎ রাবীন্দ্রিক ও রবীন্দ্রোত্তর।

প্রদ্যুম্নদা

—————

ঊনষাটতম চিঠি

 

কলকাতা
6-12-1989

শেফালী,

পন্ডিচেরি থেকে ফিরে এত চুপচাপ কেন?– যখন দেশ জুড়ে তুমুল শোরগোল?

কেমন আছ তুমি?

মহাবলীপুরম কেমন লাগল? মাদ্রাজ মিউজিয়ামের নটরাজ? অমরাবতীর পাথরফলক?

ঐ ভাস্কর্যে, ঐ স্থাপত্যে এমন কিছু আছে, যা শুধু সুষমা নয়; যা বাঁচার ভঙ্গি, রূপ।

প্রদ্যুম্নদা

——-

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4649 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

1 Comment

আপনার মতামত...