আরব বসন্তের ঝরাপাতা

অর্ণব নীল সেনগুপ্ত

 

লেখক আল জাজিরা সংবাদপত্রের অনলাইন সম্পাদক। কর্মস্থল কাতারের দোহা শহর। 

 

 

 

চলতে থাকা স্বৈরাচার ও স্বাধীনতা, বা একনায়কতন্ত্র আর গণতন্ত্রের মধ্যে বেছে নেওয়াটা আরব বসন্তের দেশগুলোর আশু লক্ষ্যের মধ্যে আর নেই। অভিজ্ঞ বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক অধিকার, মর্যাদা আর অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধার দাবী — ২০১০ আর ২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকালে যেগুলো ছিল বিদ্রোহের প্রধান উপাদান — আজ তাদের জোর অনেকটাই ক্ষীণ। কারণ হিসাবে তাঁরা দেখাচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে অবিরাম রক্তক্ষয় আর যুদ্ধকে।

এই দেশগুলোতে আরব উত্থানের বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন, এ-কথাটা পরিষ্কার, যে এখানকার মানুষ — যারা একদা সোচ্চারে কোনও কোনও শাসনব্যবস্থার পতন চেয়েছিলেন, এ-সবের ঊর্ধ্বে উঠে তাঁরা এখন চান শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা।

হাসান হাসান, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ, থাকেন আবু ধাবিতে। তাঁর বই ISIS: Inside the Army of Terror-এ তিনি লিখেছেন, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, ইয়েমেন এবং মিশরে চলতি ধ্বংসলীলা ছাড়া এই আরব বসন্তে মানুষের আর কোনও উপকার হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি বলছেন — এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষ চায় হিংসার অবসান আর সামাজিক স্থিতি। হাসান আরও বলছেন — এইসব মানুষেরা তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা — যা নিয়ে গোড়ায় তারা সোচ্চার হয়েছিল — ত্যাগ করে এমন কিছুকে আঁকড়ে ধরতে চায় যা তাদের মুক্তি দেবে দৈনন্দিন যন্ত্রণার থেকে।

২০০৫-এর নির্বাচনের পর ইরাকে জোট সরকার গঠন, যা কিনা এখন শত আলোকবর্ষ দূরের ঘটনা বলে প্রতীত হয়, ঈঙ্গিত দিয়েছিল — আরব দুনিয়া আর ইরানে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র আর আইনের শাসনের একটা বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ২০০৩-এর ইরাক আক্রমণের পর অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের গণতন্ত্র স্থাপনের চেষ্টা যথেষ্ট নিন্দিত হলেও, আরব চিন্তাবিদদের অনেকেই মনে করছিলেন — পশ্চিমে মরক্কো থেকে পূর্বে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল ভূখণ্ড, যা মানবোন্নয়নের দিক থেকে বাকি দুনিয়ার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, প্রত্যাশায় আছে কিছু জরুরি রাজনৈতিক সংস্কারের।

বারুদের পিপেয় বিস্ফোরণ ঘটে গেল ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে, যখন কাতারে কাতারে মানুষ নিজেদের প্রাণ তুচ্ছ করে, জীবিকাকে তুচ্ছ করে প্রতিবাদে সামিল হল — প্রথমে তিউনিশিয়ার জাইন এল আবিদিন বেন আলির বিরুদ্ধে, তারপর ক্রমান্বয়ে মিশরের হোসনি মুবারকের, লিবিয়ার মুয়াম্মর গদ্দাফির, সিরিয়ার বাশর আল-আসাদের, ইয়েমেনের আলি আব্দুল্লাহ সালেহ্‌-র, সুদানের ওমর আল-বাশিরের, ইরাকের নূরি আল-মালিকির আর জর্ডন, বাহ্‌রাইন এবং ওমানের শাসকদের বিরুদ্ধে। যদিও, এই সর্বব্যাপী প্রতিবাদের স্পষ্টতম ফল হল একটাই। ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট, বা আইসিল/আইসিসের কালো পতাকার উত্তরোত্তর শক্তিবৃদ্ধি।

প্রতিবাদীদের অনেকে পরবর্তীকালে তাঁদের ব্লগের মাধ্যমে বা বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও ডকুমেন্টরিতে জানিয়েছেন — যে আশা ও আদর্শ চলতি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে তাঁদের রুখে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দিয়েছিল, তা ছিল সাবেকি দ্বেষ আর আধুনিক ভূরাজনীতির তুলনায় অনেকটাই কম শক্তিধর।

ইরাক বাদ দিলে সিরিয়াই মধ্যপ্রাচ্যের সবথেকে বেশি রক্তস্নাত ও সংঘর্ষরত দেশ। বিলেতের সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর হিসাবে ২০১১ সাল থেকে এই পর্যন্ত সিরিয়াতে মারা গেছে সাড়ে তিন থেকে পাঁচ লাখের মতন মানুষ, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সাধারণ মানুষ।

ইন্টারন্যাশনাল মনেটরি ফান্ড বা আই.এম.এফ-এর কথায় সিরিয়ার অর্থনীতি ফিরে গেছে আশির দশকে। জাতীয় আয় কমেছে চল্লিশ শতাংশ, আমদানি-রফতানি কমেছে নব্বই শতাংশেরও বেশি। বেকারি পঞ্চাশ শতাংশের বেশি।

একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের লড়াই আর ধ্বংসে পর্যবসিত হওয়া, এই ছিল মোহাম্মদ আলি আতাসির ডক্যুমেন্টরি Our Terrible Country-র বিষয়। বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সাড়া জাগিয়েছে এই ছবি। এই ডক্যুমেন্টরি অনুসরণ করছে ইয়াসিন হজ সালেহ্‌কে — যিনি সিরিয়ার একজন নামজাদা বামপন্থী প্রতিবাদী চরিত্র, আর জিয়াদ হোমসিকেও — যিনি একজন তরুণ চিত্রগ্রাহক এবং প্রাক্তন বিদ্রোহী। এঁদের যাত্রাপথ দামাস্কাসের উপনগরী দুমা থেকে তুরস্কে সাময়িক অজ্ঞাতবাসের স্থান। এই ডক্যুমেন্টরি দেখে অ্যান বার্নার্ড নিউ ইয়র্ক টাইমসে লিখলেন — সিরিয়ার বিপ্লব যেন ইয়াসিন আর জিয়াদের সঙ্গে সমান্তরাল পথে চলছে। একে পথভ্রষ্ট করেছে চরমপন্থীরা। তবু এ ফিরে আসতে নারাজ। বার্নার্ড আরও বলছেন — এই ছবির ‘ইমোশনাল ক্লাইম্যাক্স’ আসে ইস্তানবুলে, সিরিয়ায় নয়, যেখানে আইসিলের বন্দিত্ব ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়া জিয়াদ, আর ইয়াসিন নিজেদের প্রশ্ন করছেন — ওঁদের হাতে পুষ্ট বিদ্রোহই ইসলামবাদীদের উত্থান আর সিরিয়ার ধ্বংসের কারণ কিনা।

লিবিয়ার বিপ্লবীরা, যারা ২০১১ সালে গদ্দাফিকে গদীচ্যুত করেছিলেন, তাঁদেরও নিজেদের এই প্রশ্নের সামনে পেলে আশ্চর্য হব না।

মোহাম্মদ এলজার। লিবিয়ার ব্লগার এবং অ্যাটলান্টিক কাউন্সিলের অধীন রফিক হারিরি সেন্টার ফর দ্য মিড্‌ল ইস্টের অনাবাসী ফেলো। লিখছেন — আর্মি অফিসার, নিরাপত্তারক্ষী, বিচারক, সাংবাদিক এবং অধিকারকর্মীদের হত্যা করা শুরু হয়েছে ২০১১ সাল থেকে। যে হত্যার কথা এলজার বলছেন, তা স্বল্প সময়ের জন্য হলেও পৃথিবীর নজরে এসেছিল ২০১৪ সালের ২৫-এ জুন, যখন পঞ্চাশ বছর বয়সী আইনজীবি, নারীর অধিকাররক্ষাকর্মী এবং “সতেরো ফেব্রুয়ারি বিপ্লব”-এর একজন প্রথম সারির নেত্রী সালওয়া বুগাইগিস সংসদীয় নির্বাচনে ভোটদানের অল্প দিন পরেই তাঁর বেনগাজির বাড়িতে খুন হয়ে গেলেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের অধিকর্তা হাসিবা হদ্‌জ সাহ্‌রাউই হতাশা ব্যক্ত করলেন তাঁর ফেসবুক পোস্টে। লিখলেন — সালওয়া এবার আরও একটা পোস্টার বনে গেলেন যা নিয়ে আমরা মিছিলে হাঁটব? সালওয়া কি আরও একটা হারিয়ে ফেলা নাম? আরও একটা মৃত্যু যার কাছে আমরা চিরঋণী থেকে যাব? দুঃখের বিষয়, সারাহ্‌উইয়ের শঙ্কা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছে।

সেই জুন মাস থেকে লিবিয়ার মৃত অধিকাররক্ষাকর্মীদের নামের তালিকা দীর্ঘতর হয়েছে। নাম এসেছে মোহামেদ আল-মেসমারি, সিরাজ গাতিশ আর মোহামেদ বাত্তুর। এঁরা তিনজনেই ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ। এঁরা অপহৃত হন, এবং কিছুদিন পর এঁদের মুণ্ডহীন ধড় পাওয়া যায় দেরনা-র অদূরে। এই তালিকায় এসেছে ইন্তিসার আল-হাসারির নামও, যিনি প্রতিবাদ গড়ে তুলছিলেন সশস্ত্র দলগুলোর বিরুদ্ধে। ত্রিপোলিতে, নিজের গাড়িতেই খুন হয়ে যান ইন্তিসার।

২০১২ সালে চ্যানেল ফোর-এর লিন্ডসে হিলসামকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুগাইগিস বলেছিলেন — স্বাধীনতা পাওয়া মানেই গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করা নয়।

লিবিয়ার খুনিদের চিহ্নিতকরণ কোনওদিন হয়ে উঠবে কিনা জানা নেই। তবে একত্রিশ বছর বয়সী মিশরের শাইমা আল-সাব্বাগকে কে বা কারা গুলি করে মেরেছিল, ছড়িয়ে পড়া ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ জানলে সন্দেহের অবকাশ প্রায় থাকে না। কাজটা করেছিল মুখোশের আড়ালে লুকোনো কিছু পুলিস অফিসার। পাঁচ বছরের শিশুপুত্রের জননী সাব্বাগ খুন হয়েছিলেন প্রকাশ্য দিবালোকে, কাইরোর তাহ্‌রির স্কোয়ারের স্মরণবেদিতে মাল্যদানের সময়। মৃত্যুর পর সাব্বাগ হয়ে উঠলেন ২০১১ থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানুষের মুখ, যে নির্যাতন কয়েক গুণ বেড়েছে ২০১৩ সালে ইসলামবাদী প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মোরসির অপসারণের পর থেকে, প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতে।

সাব্বাগের মৃত্যুর একদিন আগে আলেক্সান্দ্রিয়ার একটি মিছিলে পুলিশের হাতে খুন হলেন সতেরো বছরের মেয়ে সোন্দোস রেদা আবু-বক্‌র। সাব্বাগ ছিলেন মিশরের নামী কবি ও একটি বামপন্থী সংগঠনের অংশ যারা মোরসি-র পদত্যাগ দাবী করেছিল। আবু-বক্‌র ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক। এঁরা দুজনেই — যদিও আদর্শগতভাবে ভিন্ন অবস্থান ছিল তাঁদের — একসঙ্গে ঠাঁই পেলেন খুন বা গ্রেফতার হওয়া প্রতিবাদীদের সেই দীর্ঘ তালিকায়, যা তৈরি হয়েছে ২০১১ সালে বিপ্লবের পর থেকে।

যারা মনে করেছিলেন মৃত্যু সাব্বাগকে বানিয়ে তুলবে সরকারবিরোধী প্রতিবাদের মুখ, যেমন ঘটেছিল ইরানে, ২০০৯ সালে, নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে নেদা আগা-সোলতানের মৃত্যুর পর, তাঁরা বিপ্লবোত্তর সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার ফলে জনমনে ঘনিয়ে ওঠা ভয়ের অবমূল্যায়ন করেছিলেন। বিভিন্ন জরিপ থেকে উঠে আসা মিশরের জনমতকে যদি সূচক হিসাবে ধরা হয়, তাহলে দেখা যাবে, সেইসব উদারবাদী নাগরিক, যারা মুবারকের পতনে উচ্ছ্বসিত হয়ে ২০১১ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতিতে পদার্পণকে স্বাগত জানিয়েছিলেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ্‌ এল-সিসির সেনা-সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রশ্নে মুখে কুলুপ আঁটেন, এবং মনে করেন — এ-সবই হল কঠিন সময়ের মোকাবিলা করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপ।

ওপেন ডেমোক্রেসি নামের একটি ওয়েব পত্রিকায় প্রকাশিত লীলা জাকি চক্রবর্তীর একটি প্রবন্ধে মিশরীয় সমাজের মধ্যে জমতে থাকা ভয়ের বিষয়টি প্রাঞ্জলভাবে আলোচিত হয়েছে। লীলা লিখছেন কাইরোর একটি সাধারণ পরিবারের কথা। হাসান এবং তার ছোট ভাই হুসেন এক পরিবারের দুই সন্তান। দুজনেই পেশায় আইনজীবী। দুজনেই, হাসানের ফ্ল্যাটের চার দেওয়ালের মধ্যে, মিশরের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে  এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার। তবে হাসানের স্ত্রী এবং মা সিসি-র সমর্থক। তাঁরা মনে করেন, ২০১১ সালের অভ্যুত্থান নিতান্তই ফালতু ব্যাপার।

আরব বসন্ত সম্বন্ধে একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের ভিন্নমত পোষণ করা অবশ্য মিশরের একচেটিয়া নয়।

ইয়েমেনে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঘাম, রক্ত ও চোখের জলে বিনিময়ে পাওয়া শাসনক্ষমতায় বদল কালক্রমে পর্যবসিত হয়েছে দেশের রাজনীতিতে সংখ্যালঘু হাউথি যোদ্ধাদের পরাক্রমশালী হয়ে ওঠায়।

একইভাবে ইরাকেও, আনবার প্রদেশে নূরি এল-মালিকি সরকারের সাম্প্রদায়িক পক্ষপাতের বিরুদ্ধে নরমপন্থী সুন্নিদের প্রতিবাদ, এবং তৎপরবর্তী দমননীতি জন্ম দিয়েছে অঞ্চলের সবথেকে ভয়ঙ্কর অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠী আইসিলের।

এক্সেটর বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিষ্ঠ অধ্যাপক এবং লন্ডনের চ্যাথাম হাউসের ফেলো ওমর আশুর-এর কথায় — লিবিয়া ও সিরিয়াতে গণ-অভ্যুত্থানের এ-হেন পরিণতি এবং ইরাক ও মিশরের অবস্থা দেখে এই সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে, যে গণপ্রতিরোধ ও আবেদন-নিবেদন নীতির কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তিনি আরও বলছেন — স্থায়ী পরিবর্তন আনতে প্রয়োজন বলপ্রয়োগের। মধ্যপ্রাচ্যের তরুণ অধিকারকর্মীদের আইসিল বা আল-নুসরার মতন গোষ্ঠীর দিকে ঝুঁকে পড়া এরই সপক্ষে সাক্ষ্য দেয়।

সমস্যা হল, তিউনিসিয়া থেকে বাহ্‌রাইন, আর আলজিরিয়া থেকে জর্ডনের সরকারও সম্ভবত একই ধারণার বশবর্তী হয়ে যে কোনও প্রকার বিরোধিতা দেখলেই খড়্গহস্ত হয়ে উঠে তাকে বিনাশ করতে সচেষ্ট হচ্ছেন। এর ফলে এই ভৌগোলিক অঞ্চল, যা এমনিতেই উত্তপ্ত, হয়ে উঠছে আরও অশান্ত। আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হল, রাজনৈতিক সংস্কার, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ইত্যাদির দাবিগুলো হয় একেবারে পিছনের সারিতে চলে এসেছে, নয়তো সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়েছে।

এমতাবস্থায়, এ-কথা ভাবা ছাড়া গতি নেই, যে সব থেকে অনুকূল অবস্থাতেও — যাকে আমরা বেস্ট কেস সিনারিও বলে থাকি — এই ভৌগোলিক অঞ্চলের মানুষের জন্য অপরিমেয় দুর্ভোগ আর ক্লেশ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।

আর সবথেকে প্রতিকূল অবস্থায়? সে এক অন্য কাহিনি।

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4593 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...