এই পৃথিবীর জাহান্নম

বিজয় প্রসাদ

 

 

বিজয় প্রসাদ ভারতীয় ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক এবং মার্ক্সীয় চিন্তাবিদ। লেফটওয়ার্ড বুকসের প্রধান সম্পাদক।

 

 

 

 

সিরিয়ার বর্তমান সংঘর্ষের উৎস খুঁজতে সাত বছর পিছিয়ে যেতে হবে। হাজার হাজার সিরীয় নিহত হচ্ছেন, লক্ষ লক্ষ সিরীয় বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন এবং সিরিয়ার শহর এবং নগরগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে — এগুলি নিয়ে কেউই সন্দেহ করেন না। যেমন কে অস্বীকার করতে পারেন যে পশ্চিম এশিয়ার একটি অন্যতম প্রধান শহর আলেপ্পো আজ তার আট বছর আগের চেহারার একটা ফ্যাকাশে ছায়ামাত্রে পরিণত হয়েছে? এও অস্বীকারের লোক খুব কম যে এমনকি দামাস্কাস, যে কিনা এই ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ থেকে সবচাইতে সুরক্ষিত, সেও আর আগের দামাস্কাস নেই। অতএব, পরিস্থিতি অনস্বীকার্য। কিন্তু কে বা কী সিরিয়াকে এই নারকীয় অবস্থায় নিয়ে আসল? কখন থেকে শুরু হল এইসব? কীভাবে সিরিয়া আবার ঘুরে দাঁড়াবে?

সাত বছর আগে, ২০১১-র ১৫ই মার্চ, দামাস্কাসে রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে একটি প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছিল। ঘটনা বলতে এইটুকু। এর পরই শুরু হয় তথ্য এবং সত্য নিয়ে চাপানউতোর। সিরীয় পুলিশ কি সেই প্রতিবাদ মিছিলের ওপর গুলি চালিয়েছিল এবং ছজন প্রতিবাদীকে আটক করেছিল? প্রতিবাদীদের মধ্যে কি চরমপন্থীরা ছিল, যারা নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর আক্রমণ চালানোর মতলবে এসেছিল? এক পক্ষ বলছে এটি ‘আসাদ জমানা’র বিরুদ্ধে সিরীয় জনগণের যুদ্ধ। আরেক পক্ষ বলছে এটি চরমপন্থী ও উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে সিরীয় রাষ্ট্রের যুদ্ধ। উভয় পক্ষই সিরিয়ার বর্তমান ঘটনাবলি সম্পর্কে নিজের নিজের দাবি পোক্ত করার জন্য তথ্যপ্রমাণ নিয়ে মজুত। দেশের এই মর্মান্তিক দুর্দশা নিয়ে যাবতীয় আলোচনায় উভয় পক্ষের ফারাক প্রায় নজরেই আসছে না। এটা প্রায়শই ভুলে যাওয়া হচ্ছে যে দ্বন্দ্বের দুদিকেই রয়েছেন সাধারণ সিরিয়াবাসীরা। এবং তাদের এই ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ই এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় স্থায়ী ক্ষয়ক্ষতি।

যদি সেই ১৫ই মার্চকেই এই ভয়াবহতার সূত্রপাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ তার অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করল। এটা মোটামুটি সর্বজনস্বীকৃত যে, প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদের সরকার পশ্চিমী দুনিয়া এবং তার অধিকাংশ প্রতিবেশীদের চাপ সহ্য করেও পদত্যাগে রাজি নয়, এবং তারা এই ক্ষমাহীন যুদ্ধটা প্রায় জিতেই ফেলেছে। সিরিয়ার প্রধান শহরগুলি — দামাস্কাস, আলেপ্পো, হোমস, লাতাকিয়া, হামা এবং রাক্কা — সবই সিরীয় আর্মির নিয়ন্ত্রণে। হতে পারে সিরীয় সমাজ দারিদ্র্যে জর্জরিত, অর্থনীতি ছত্রভঙ্গ, এবং সরকারি পুঁজি ছিন্নবিচ্ছিন্ন। কিন্তু ক্ষমতা সরকারেরই হাতে এবং, রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় সে সামরিকভাবেও সুরক্ষিত।

যুদ্ধের অবস্থা

সিরিয়া জুড়ে এখন চরম বিশৃঙ্খলা। দেশটার সার্বভৌমত্বের যেটুকু অবশিষ্ট আছে, আশপাশের শক্তিগুলি সেগুলি ভাগবাটোয়ারা শুরু করেছে। ইজরায়েল সেই ১৯৬৭ সালেই গোলান হাইটস নিয়ে নিয়েছে। এবং এটি সম্প্রতি আল কায়দার সহযোগী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে সিরিয়ার ভেতরেই একটা বাফার জোন তৈরি করেছে। সাংবাদিক নুর সামাহা দেখিয়েছেন একটি ইজরায়েল-পন্থী সিরীয় আধাসামরিক বাহিনী (গোলান নাইটস) ইজরায়েলের ৪০ কিলোমিটার ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এর মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যেই লেবানন সীমান্তে লেবাননের রাজনৈতিক সংগঠন হেজবোল্লা নিজেদের বাফার জোন বানিয়েছে যাতে আল কায়দার বাহিনী লেবাননে ঢুকতে না পারে। শেষমেশ, উত্তরে, তুরস্ক তার নিজস্ব সরকারি বাহিনী ঢুকিয়ে আফরিন শহরের দখল নিয়েছে, এবং আরও বড় শহর মানবিজের দখলও নেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তুরস্কের উদ্দেশ্য সিরীয়-তুর্ক সীমান্তে একটি সিরীয় কুর্দ ছিটমহল তৈরি হতে না দেওয়া। সিরীয় ফৌজের একটি ছোট বাহিনী আফরিনে গেছে শহরের দখল নিতে তুর্কিদের বাধা দেওয়ার জন্য। কিন্তু এটা কোনও দৃঢ়, নির্ণায়ক পদক্ষেপ নয়। উত্তর সীমান্ত জ্বলছেই।

সিরীয় সরকার এবং ফৌজ বিদ্রোহীদের — যাদের বেশিরভাগই আল কায়দার বিভিন্ন অংশ — উত্তরাঞ্চলের ইদলিব জেলা এবং দামাস্কাসের নিকটবর্তী পূর্ব ঘুতা শহরে অবরুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে সিরীয় ফৌজ তার ইরানী এবং রুশ সহযোগীদের নিয়ে পূর্ব ঘুতায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সেখানকার বিদ্রোহীদের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়ার জন্য। এরা বিদ্রোহীদের ইদলিবে যাওয়ার রাস্তা ফাঁকা ছেড়ে দিয়েছে। এই একই কাজ আলেপ্পো এবং অন্য অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সঙ্গেও করা হয়েছিল। এতে যা প্রতিভাত হয়, সিরীয় সরকার চাইছে সমস্ত বিদ্রোহীদের ইদলিবে নিয়ে ফেলতে এবং সেখানেই এই যুদ্ধের অন্তিম সংঘর্ষটা ঘটবে।

পূর্ব ঘুতায় বোমাবর্ষণ আলেপ্পো, রাক্কা এবং ইরাকের মসুলের মতোই ভয়াবহ আকারে ঘটছে। সিরীয় ফৌজ এবং তার সহযোগীরা আকাশের দখল নিয়েছে এবং এই মফঃস্বল শহরে লাগাতার বোমাবর্ষণ করে চলেছে। এ একেবারেই পাঠ্যবই থেকে তুলে নেওয়া ছক, যা আমেরিকাও মসুল এবং রাক্কায় করেছিল। এই ধরনের বিমান হামলায় সাধারণ মানুষ এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে খুব সামান্যই ফারাক করা যায়। এবং এই দুই দলই সিরিয়ার এই এলাকায় রাস্তায় গাদাগাদি করে বসবাস করছেন বর্তমানে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল এনতনিও গুতেহ্রেশ সঠিকভাবেই বলেছেন যে, পূর্ব ঘুতার অধিবাসীরা এখন “এই পৃথিবীর জাহান্নম”-এ বাস করছেন। ঠিক এরকমই অনুভূত হয় আকাশপথে বোমা হামলার মধ্যে বাস করতে। আফগান এবং লিবীয় শহরের অধিবাসীরা ঠিক এরকম অভিজ্ঞতার কথাই শুনিয়েছিলেন। এখানে কোনও তফাত করা হয় না। বিমান হামলা মায়াদয়াহীন এবং বাছবিচারহীন, সে যতই এয়ার ফোর্স তাত্ত্বিকরা প্রিসিশন বম্বিং-এর গল্প শোনাক না কেন!

ঘটনার গতিপ্রকৃতি যেরকম, সিরীয় সরকার হয়তো আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্ব ঘুতার দখল নেবে, এবং আর কয়েক মাসের মধ্যে সিরীয় ফৌজ ইদলিব অভিযানে নামবে। এই গালফ, পশ্চিম দুনিয়া এবং তুরস্কের ছদ্মবাহিনী এবং কতিপয় সিরীয় সংস্কারক যারা বন্দুক হাতে তুলে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সিরীয় ফৌজের এই অভিযান থামাতে রাষ্ট্রপুঞ্জ কোনও ব্যবস্থা নিলে রাশিয়ার তা মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এই দেশগুলির কারওই এমনকি নিজেদের ছদ্মবাহিনীকেও নতুনভাবে অস্ত্রসজ্জিত করার কোনও ইচ্ছে দেখা যাচ্ছে না। সৌদি আরব এবং কাতার সিরিয়ায় তাদের উপস্থিতি কমিয়ে এনেছে। তুরস্ক সিরীয় কুর্দদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মনোনিবেশ করেছে।

যে বিদ্রোহী ফৌজ ইতিমধ্যেই ইদলিবে রয়েছে তাদের পক্ষে সিরিয়ার বাইরে থেকে সহযোগীদের নিয়ে আশা অসম্ভব। কারণ সিরীয় সরকার এটা জানে, এবং অন্তিম যুদ্ধে তারা কোনও উজ্জীবিত প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবিলা করতে চাইবে না।

রাসায়নিক অস্ত্র

এর মধ্যেই অভিযোগ উঠছে যে সিরীয় ফৌজ পূর্ব ঘুতায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। পশ্চিমী নেতারা, যারা জানে যে সিরিয়ার এই যুদ্ধে প্রকৃতপক্ষে তাদের কোনও ভূমিকা নেই, তারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে এই জাতীয় অস্ত্রের ব্যবহারের বিরুদ্ধে আবেগপূর্ণ বক্তৃতা দিচ্ছে। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং তার সদস্য রাষ্ট্রগুলি রাসায়নিক অস্ত্রকে এক কদর্যতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু বে-আইনি হওয়া সত্ত্বেও তাদের উৎপাদন কিন্তু হয়ে চলেছে। (এবং কিছু রাসায়নিক অস্ত্র, যেমন শ্বেত ফসফরাস বা ডিপ্লেটেড ইউরেনিয়াম পশ্চিমী দেশগুলি এবং ইজরায়েল নিজেরাই ব্যবহার করে রাষ্ট্রপুঞ্জের কোনও স্ক্রুটিনি ছাড়াই)। রেজোলিউশন তো ঝটিতি নেওয়া হয়েছে, কিন্তু চীন এবং রাশিয়ার সমর্থন ছাড়া ওর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। এবং রুশরা বলেই চলেছে যে সিরীয় ফৌজ যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে তার যথেষ্ট প্রমাণ নেই।

ফেব্রুয়ারির শুরুতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে আমেরিকার কাছেও সিরীয় ফৌজের রাসায়নিক অস্ত্র (সারিন গ্যাস সহ) ব্যবহারের যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে অন্য রিপোর্ট আছে যাতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মানুষ সরাসরি দাবি করছে যে এগুলি ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে এর প্রমাণ নেই।’ ম্যাটিস কিন্তু এগুলি আসাদকে রক্ষা করতে বলেননি, বা এমনও নয় যে সিরিয়ার এই যুদ্ধে আমেরিকার কোনও আগ্রহ নেই। তার কথায় : ‘আমরা প্রমাণ খুঁজছি, কারণ এটা পরিষ্কার যে অস্বীকার এবং শঠতার মতো কৌশলের সাহায্যে আসাদ সরকার তাদের বে-আইনি কাজগুলিকে চাপা দিচ্ছে।’ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত, তাদের কাছে কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। যদিও এটা ঘটনা যে, ২০১৭-র এপ্রিলে তার প্রশাসনই সিরীয় সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে এই অভিযোগ তুলে সিরিয়ার মাটিতে কয়েক ডজন টোমাহক ক্ষেপনাস্ত্র ফেলেছিল। এখন বোঝা যাচ্ছে কোনও প্রমাণ ছাড়াই সেই আক্রমণ চালানো হয়েছিল।

আরও চাঞ্চল্যকর গল্পটা হল, উত্তর কোরিয়া সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্রের রসদ যুগিয়েছে। সম্ভবত এটি রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে রিপোর্ট এখনও জনসমক্ষে প্রকাশিত হয়নি। এই দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছে ‘নাম-অনুল্লিখিত’ রাষ্ট্রপুঞ্জের কিছু সদস্য দেশ। কল্পনা করুন, তীব্র নজরদারি এবং অবরোধের মধ্যে থাকা উত্তর কোরিয়া সিরিয়াকে এই ধরনের জিনিসপত্র পাঠাচ্ছে, যে সিরিয়া আবার নিজের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এবং ফলত রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরদারিতে রয়েছে। এবং এই গোটা ঘটনাটা ঘটছে একটা যুদ্ধ চলাকালীন। খবরটি কোনওরকম প্রমাণের তোয়াক্কা না করেই পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে, আর হচ্ছে ঠিক এমন একটা সময়ে যখন উত্তর কোরিয়া এবং সিরিয়া উভয়ের ওপরেই আমেরিকা চাপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দুই দেশকে জড়িয়ে দেওয়াটা সুবিধাজনক, এবং আরও সুবিধাজনক এদের ওপরে রাসায়নিক অস্ত্র বিক্রি এবং ব্যবহারের অভিযোগ চাপানো। সত্য সামনে আসার জন্য শুধু প্রমাণ পাওয়াটাই প্রয়োজন তা নয়, বরং ওই ‘নাম-অনুল্লিখিত সদস্য রাষ্ট্রগুলি’র নাম জানাটাও জরুরি।

পশ্চিমী শক্তিগুলি আশা করছে যে এই রাসায়নিক অস্ত্রের অভিযোগ তাদের সিরীয় যুদ্ধের ফলাফলের ওপর কিছু ফায়দা দেবে। রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে চাপ সৃষ্টি করলে সিরীয় সরকার হয়তো তাদের কিছু ছাড় দেবে এবং নিজের ওপর থেকে রাশিয়া এবং ইরানের প্রভাব হ্রাস করবে। কিন্তু এসব খুবই কষ্টকল্পনা।

জেনেভার শান্তি-আলোচনারও আর কোনও গুরুত্ব নেই। মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং মানুষকে নিরাপদে বের করে নেওয়ার জন্য করিডোর খুব প্রয়োজনীয়। দুর্দশা দুর্ভোগ এখন গোটা সিরিয়ার সাধারণ চিত্র। যুদ্ধ থামলে, থামবেই একদিন, পরিকাঠামো এবং সমাজকে পুনর্গঠিত করা এক দুষ্কর কাজ হতে চলেছে। যদি পুনর্গঠন আদৌ করা সম্ভব হয়।

 

ইংরিজিতে লিখিত মূল রচনাটি ফ্রন্টলাইন পত্রিকার ওয়েব সংখ্যায় ৩০ মার্চ তারিখে প্রকাশিত, এবং পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত। মূল রচনার লিঙ্ক - http://www.frontline.in/world-affairs/hell-on-earth/article10092265.ece 
About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4593 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...