শিক্ষাব্যবস্থায় কর্পোরেট থাবা এবং তথাকথিত এলিটেরা

অভিজিৎ কুণ্ডু

 

খবর আসছে লাগাতার ৯৬ ঘণ্টা অনশন চালিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাদের দাবির– প্রবেশিকা পরীক্ষার অনেকটাই আদায় করতে পেরেছে। নতুন করে বিস্তারিত করার কিছু নেই, কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। মানববিদ্যা, অর্থাৎ হিউম্যানিটিজ-এর ছয়টা বিষয়ে স্নাতকস্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে মতান্তর। অনেক টাল-বাহানা, ছলচাতুরির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতিতে পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষা তুলে নেবার প্রস্তাব। আন্দোলনের ফলে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে তার পঞ্চাশ শতাংশ।

একদিন আগেই খবর এসেছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ খ্যাতির জন্য দেশের ছয়টি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে। তিনটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি। সেই তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একটি নীতা আম্বানির রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন-এর জিও ইন্সটিটিউট। ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই যার উচ্চমান আর সুখ্যাতি ধরা দিয়েছে মন্ত্রকের কাছে। গুগলম্যাপে কোনও হদিস নেই এই জিও ইন্সটিটিউটের লোকেশনের,  নেই কোনও ন্যূনতম ওয়েবসাইট। এবং এরা প্রত্যেকে সরকারি অনুদান পাবে– হাজার কোটি টাকার। আর সরকারি অনুদান মানেই আমার-আপনার ঘরের টাকা।

আরও একটু বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে আমরা জেনে গিয়েছি ইউ জি সি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ তামাদি করে দিতে তৈরি হয়েছে ভারতীয় উচ্চশিক্ষা কমিশন, ২০১৮। নতুন সময়ের দাবিতে উচ্চশিক্ষায় নাকি নয়া মোড় আনতে চলেছে এই নয়া প্রস্তাবনা। সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের যে নিয়ন্ত্রণকারী ভূমিকা ছিল, সেখানেই আসতে চলেছে ‘পরিবর্তন’। বস্তুত হাত গুটিয়ে নিয়ে স্বাধীনতার নামে উৎসাহ দেওয়া হয়ে চলেছে স্ব-নিয়ন্ত্রণকে। এই স্ব-নিয়ন্ত্রণ আর স্ব-অধিকারে ফারাক আছে। বেসরকারি হাতে স্ব-নিয়ন্ত্রণ মানেই হল বাজারি নিয়ন্ত্রণ। এইসব গালভরা কথার আড়ালে মৌলিক পরিবর্তন হল এই প্রস্তাবিত নতুন ‘কমিশন’-এ মঞ্জুরি অর্থাৎ গ্রান্ট শব্দটাই সরিয়ে ফেলা৷  শিক্ষাক্ষেত্র থেকে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে রাষ্ট্র। ছেড়ে দিতে চাইছে ব্যক্তিমালিকানাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। সরকারি অনুদান শুকিয়ে গেলেই বেড়ে উঠবে বেসরকারি ব্যবসাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাজার যা চাইবে সেই রকম শিক্ষা আর কলাকৌশলের কারখানা গড়ে উঠবে ঝকঝকে ক্যাম্পাসে। মজার ব্যাপার শুরুতেই এমন এক ভূমিষ্ঠ না হওয়া প্রতিষ্ঠানকে রাজকোষ থেকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে হাজার কোটি টাকা।

নতুন কমিশনের (HECI, 2018) মূল লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অর্থাৎ কোনও এক কল্পিত স্কেলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ আর পারফরমেন্স মেপে ফেলা। বাজার অর্থনীতির মূল চাহিদাই হল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (Standardization)। বস্তুগতভাবে যাতে চাহিদা-যোগানের অঙ্ক কষে ফেলা যায়। নয়া উদারনীতির সাথে তাল মিলিয়ে টেকনিকাল স্কিল আর ম্যানেজারিয়াল স্কিল-সম্পন্ন উচ্চশিক্ষাই জাঁকিয়ে বসছে দেশের নানা প্রান্তে। Objectification, Ranking আর Standardization বকলমে তৈরি করছে শিক্ষা বিষয়ের এক ক্রমোচ্চ শ্রেণিবিভাগ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে দক্ষিণ ভারতে (যেখানে বিজ্ঞান আর কারিগরী শিক্ষার বাড়-বাড়ন্ত) গত দু’দশক ধরেই আর্টস সাবজেক্ট প্রায় উঠে গিয়েছে। হিউম্যানিটিজ হল এই শ্রেণিবিভাগের একেবারে নীচের ধাপে। মোটামুটি সারা ভারত জুড়েই ঘটে চলেছে এই ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’। তারই মাঝে দু-চারটে প্রতিষ্ঠান কিছুটা বিচ্ছিন্নভাবেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মানবচর্চার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আর উঁচুমানের গবেষণাকে মান্যতা দিয়ে এখনও যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বকীয়, সক্রিয় আর স্বতন্ত্র, তাদের মধ্যে অন্যতম দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যস্তরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রসংখ্যা এখানে দেড় লাখের ওপর আর শিক্ষক সংখ্যা প্রায় নয় হাজার। দেশের সবচেয়ে আলোচিত শিক্ষক সংসদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষাবিরোধী নানা সরকারি পদক্ষেপ সাফল্যের সাথে প্রতিহত করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কর্মচারী-শিক্ষকেরা। সেই ঐক্য আর প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়ার জন্যে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। নামকরা বেশ কয়েকটা কলেজকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে স্ব-নিয়ন্ত্রণের দিকে, প্রায় গায়ের জোরেই। এই autonomy বা স্ব-নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা হল মূলত ইচ্ছেমতো কোর্স ও তার ফি কাঠামো তৈরি করা। গালভরা নাম সেল্ফ ফিনানসিং। কোর্সের ছড়িয়ে পড়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি করবে এই স্ব-নিয়ন্ত্রণ। পৌষমাস আর কি এইসব প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট বা ট্রাস্টের ব্যবসায়িক স্বার্থের। মুনাফার বাজারে হারিয়ে যেতে দেরি হবে না সাবেক সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন, সমাজতত্ত্ব ইত্যাদির মতো লিবারেল আর্টস বিষয়গুলোর।

জেএনইউ আগ্রাসনের কথা তো প্রায় কাহিনী হয়ে উঠেছে এই নয়া জমানায়। প্রায় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই জেএনইউ-এর সাথে শাসনক্ষমতার এই দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক।  মূলত ভাষাবিদ্যা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আর মানবচর্চার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা। রাষ্ট্র-সমাজের কার্যকারিতা নির্ভর করে তাবেদারি গোষ্ঠী সৃষ্টির মধ্যে নয়। চিন্তা-ভাবনা-আদর্শের বিপরীত মতকে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যায়, সেটারই সফল রূপায়ন জেএনইউ। বিদ্রোহ যেন বেপরোয়া আর নাশকতামূলক না হয়ে ওঠে। সাংবিধানিক রাষ্ট্রকাঠামোয় ক্রিটিকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ঠিক এখানেই। সেই বিশেষ চরিত্রকে মিটিয়ে দেওয়ার রাস্তাই বেছে নিয়েছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। ছলে বলে কৌশলে হিউম্যানিটিজ শিক্ষার প্রসার আটকে চালু করা হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট আর কারিগরী বিভাগ। অর্থাৎ স্বকীয় চরিত্রকে ছেঁটে ফেলে জেএনইউকে নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে সেই বাজার স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের আওতায়। আরও একটা আইআইটি বা আইআইএম-কে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে দেওয়া কিন্তু শিক্ষা পরিকল্পনার দৈন্য, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। এটা সুপরিকল্পিত দুর্বুদ্ধি। নতুন নতুন বাজার সম্পর্কিত কোর্স চালু করে নির্দিষ্টভাবে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতাকে, তার স্বধর্মকে ভেঙে ফেলার এই ছল। ভাবনাচিন্তার জগতকে যে যে বিষয় উসকে দেয়, সেসব বিষয়গুলো ঘিরে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে রয়েছে এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো, আস্তে আস্তে সেগুলো গিলে ফেলো আগ্রাসী মুনাফার লজিকে। প্রকল্পটি সব জায়গায় একই— সে হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি হোক বা বিশ্বভারতী। হিউম্যানিটিজের অনন্যতাকে সুপরিকল্পিতভাবে বুলডোজ করে দাও।

লিবারেল আর্টস প্রশ্ন করতে শেখায়। প্রশ্ন করতে শেখায় ক্ষমতাকে, লিখতে শেখায় ‘এডুকেশন নট ফর সেল’-এর ব্যানার। মানবচর্চার মূল বিষয় হল মানুষের ‘অভিজ্ঞতা’। ইতিহাস আর সমাজের সাথে নিজ নিজ অভিজ্ঞতার দলিল তৈরি করার সাথে চলে নতুন করে এইসব সম্পর্ককে ‘ভাবতে’ শেখা। সে ইতিহাসের সাথেই হোক বা সমাজ-সংস্কৃতির সাথে, নতুন করে ভাবতে শেখানো বিষয়গুলি চর্চার মধ্যেই ভূত দেখে ক্ষমতাগোষ্ঠী। বিশেষ করে যে কোনও একমুখী শাসকশ্রেণি বিপদসংকেত দেখে বহুমুখী লিবারেল আর্টস চর্চায়। চারিদিকে নানা ডামাডোল, আত্মসমর্পণ আর দখলদারির মধ্যেই কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আপ্রাণ লড়াই জারি রেখেছে নিজেদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট ধরে রাখতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক এমনই এক অসম লড়াইয়ে নাছোড়। ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চরিত্র, নতুন কিছু নয়। প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত একটা সিম্পটম। এই উপলক্ষেই বর্তমান অস্থিরতা আর আন্দোলন। প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু করার এই আপাত দাবির মূলে রয়েছে অনিশ্চয়তা আর আশঙ্কা। তাহলে কি যাদবপুর হারাতে চলেছে তার স্বকীয় বৈশিষ্ট আর স্বাতন্ত্র? যে টাইম-টেস্টেড পদ্ধতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও কিছু তথাকথিত এলিট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি দশকের পর দশক ধরে ক্রিটিক্যাল মনন তৈরি করেছে, সেটাই কিন্তু ক্ষমতাসীন শাসকের আক্রমণের লক্ষ্য।

আক্রমণের উৎস বৈধতার অনিশ্চয়তা থেকে। অসহিষ্ণুতা আর নিরাপত্তাহীনতা ক্ষমতাবানের নিত্যসঙ্গী। একটু মনে করে দেখুন ২০১২ সালের ঘটনা। সেটাই ছিল অসুখের গোড়ার সিম্পটম— উপসর্গ। নতুন টাটকা সরকার, অনেক আশা আকাঙ্খার পরিবর্তন। সঞ্চালক সাগরিকা ঘোষের সিএনএন-আইবিএনের টাউন হলে শো। ছাত্রছাত্রীদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাষায় আর অঙ্গভঙ্গিতে প্রেসিডেন্সি কলেজের এক ছাত্রীকে আক্রমণ করে স্টেজ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যত মাথাব্যথার কারণ এই ‘এলিট’ প্রতিষ্ঠানগুলোই। এই ‘এলিট’ প্রতিষ্ঠানগুলির ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক পরিচয় বা প্রতিষ্ঠানগুলির সামাজিক সংকলনের বিস্তারিত ব্যাখ্যায় এই ভুয়ো ‘নিম্নবর্গ’ উত্থান বা বকলমে ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর দামামা নস্যাৎ না করে আমরা একটু অন্যভাবে ভাবতেও পারি।

এলিট বলে গাল পাড়াটা একটা প্রায় ফ্যাশনে দাঁড়িয়ে গেছে। সব ফ্যাশনেরই একটা মেয়াদ আছে। এলিট তকমায় এত রক্ষণাত্মক হওয়ার কিছু নেই। শিক্ষাবিরোধী, জ্ঞানচর্চাবিরোধী একটা জনসমাজ নিশ্চিতভাবেই লালন করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। সুচিন্তিতভাবেই তৈরি করা হচ্ছে ‘মব’। আপাতবিরোধী কেন্দ্র আর রাজ্যের শাসকগোষ্ঠীর এখানে কিন্তু দারুণ মিল। এরা বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চশিক্ষা বা উচ্চমার্গদর্শী কেউ নয়। ‘এলিট’ মানে উচ্চমার্গদর্শী। অর্থনৈতিক বৈষম্যের জন্য যে আপামর শ্রেণিদরদ বা করুণা, তার বাইরে এসে বুঝতে হবে এই এলিট শ্রেণিকে ব্যাপ্তি আর সংকলন। সমাজের বিস্তৃত শ্রেণিবিন্যাস থেকেই উঠে আসে এলিট বর্গের সদস্যরা। আর পাঁচটা সমাজবিপ্লবের সাথে ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের মূল উপস্থাপক এই এলিট শ্রেণি।

মধ্যযুগে ইওরোপে বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশের প্রাথমিক প্রণোদনাটি এসেছিল ধর্মীয় জ্ঞানচর্চার বিপরীতে মানব সম্পর্কিত ভিন্ন ধরনের অধ্যয়নের প্রয়োজন থেকে। সেই ‘হিউম্যানিস্টিক’ অধ্যয়নের ধারক ও বাহক ছিল এমনই এক সামাজিক গোষ্ঠী— এলিট। এই গোষ্ঠী যাজক বা শাসকশ্রেণির থেকে একেবারেই আলাদা। এ এমন এক গোষ্ঠী যা সামাজিক ক্ষমতা কাঠামোর থেকে বিযুক্ত। এই গোষ্ঠীই মার্গদর্শী, এদের থেকেই জন্ম নিয়েছিল আলোকপ্রাপ্ত চিন্তাবিদরা। ঐতিহাসিকভাবে এরাই চিহ্নিত হয় সমাজ-সমালোচক গোষ্ঠী হিসেবে। কার্য-কারণ যৌক্তিকতা থেকে এরাই নিজস্বার্থ অতিক্রম করে সমাজের কথা ভাবতে পারে। যাদবপুরের প্রবেশিকা পরীক্ষা উঠে গেলে বর্তমান ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষক-কর্মচারীদের অস্তিত্বের সংকট ঘটবে না। কিন্তু নিজবৃত্ত ছাপিয়ে এক বৃহত্তর প্রশ্নে— স্ব-অধিকার, স্বতন্ত্র পঠনপাঠনের স্বার্থে এরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ক্ষমতার লোভ নয়, তাই টানা ৩-৪ দিনের মাথায় অনশনরত ছাত্রীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আসলে, ২৬ দিনের ‘অনশন’ এই এলিট শ্রেণির শরীরে সহ্য হবে না। স্বাধিকার রক্ষার যে লড়াই, তার ব্যাটনটা তাই এক হাত থেকে অন্য হাতে, এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের সদস্যের হাতে এগিয়ে চলেছে।

 

About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4643 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

2 Comments

  1. নিবিড় বিশ্লেষণ! লেখাটি মুক্তবুদ্ধির চর্চা বনাম ক্ষমতাতন্ত্রের দ্বান্দ্বিক সম্পর্কের জায়গাটা প্রকাশ করে দেয়। শুধু তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রগুলিকে বাজার ও মুনাফার অঙ্কে বেঁধে ফেলার বিরুদ্ধে, লিবারেল আর্টস-এর পক্ষে এক জোরালো সওয়াল এই লেখা! লেখককে ধন্যবাদ

  2. সারগর্ভ, যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ। জোরালো লেখা।

Leave a Reply to অসিত বিশ্বাস Cancel reply