কৃষকদের দুর্বিষহ অবস্থা এবং সরকারের ভূমিকা

অমিত দাশগুপ্ত

 

প্রধানমন্ত্রী বলছেন, “কৃষকরা দেশের অন্নদাতা, তাঁরা ভারতের আত্মা”। এদিকে কৃষকরা দলে দলে আত্মহত্যা করছে। কেন? একটু ঘেঁটে দেখা যাক।

ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ধোঁয়াশা

২০১৮-১৯-এর বাজেট পেশ করার সময়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঘোষণা করেছিলেন যে সমস্ত খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন খরচের দেড় গুণ হিসেবে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করেছে।

এই ঘোষণার পরে উৎপাদন ব্যয় বলতে কী বোঝানো হবে, A2 অর্থাৎ উৎপাদনের জন্য ব্যয়ীকৃত খরচ, (A2+FL) অর্থাৎ উৎপাদনের জন্য ব্যয়ীকৃত খরচ ও পারিবারিক শ্রমের জন্য ধার্য ব্যয়ের যোগফল না C2 অর্থাৎ (A2+FL)-এর সাথে কৃষিতে নিয়োজিত নিজস্ব জমি বা লিজে নেওয়া জমির জন্য খাজনা এবং মূলধনী দ্রব্যের জন্য ধার্য সুদের যোগফল– এর মধ্যে কোনটি নেওয়া হবে তা নিয়ে একটা জটিলতা সৃষ্টি করা হতে থাকে। ফলে সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও উৎপাদন ব্যয়ের দেড়গুণ বিষয়টি সম্পর্কে টালবাহানা করছে।

স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ

মনে রাখা দরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন খরচের দেড়গুণ এটি সরকারকে বারম্বার বলতে হচ্ছে এই জন্য যে, স্বামীনাথন কমিশন বা ন্যাশনাল কমিশন অন ফার্মার্স ২০০৬ সালে সুপারিশ করেছিল যে, কৃষিকে লাভজনক করতে গেলে ও কৃষকদের দুর্দশা লাঘব করতে গেলে কৃষিপণ্যের দাম বাড়াতে হবে ও সরকারকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য উৎপাদন খরচের দেড়গুণ ধার্য করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশন উৎপাদন ব্যয় হিসেব করার সময়ে উপরোক্ত A2, (A2+FL) ও C2-র ধারণা অবশ্যই ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় বলতে কী বোঝানো হবে তাতে তেমন কোনও ধোঁয়াশা রাখেনি। কমিশন তাদের পঞ্চম রিপোর্টের ৫৭ পৃষ্ঠায় সুপারিশ করেছে, “ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বিষয়টিকে বিস্তৃত করা হোক, বিনিয়োগের উপরে উপযুক্ত প্রতিদান সমেত উৎপাদন ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে।” ওই পঞ্চম রিপোর্ট পেশ করার সময়ে ২০০৬-এর ৪ অক্টোবর, স্বামীনাথন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে একটি পাওযার পয়েন্ট প্রদর্শন করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাপ— (C2+৫০%)।” এছাড়া স্বামীনাথন ২০১৭-র ২৮ সেপ্টেম্বর টুইট করেন, “ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হবে (C2+ অন্তত ৫০%)। সাথে সংগ্রহ, মজুত ও বণ্টন।

সরকারের প্রবঞ্চনা

রিপোর্ট, টুইট, পাওয়ার পয়েন্ট সমস্ত সূত্র বিষয়টাকে খোলসা করলেও সরকারের ধন্দ কাটছে না। তাই তারা ও তাদের কমিশন ফর এগ্রিকালচারল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেসও সুপারিশ করার সময়ে (A2+FL)-কেই উৎপাদন ব্যয় হিসেবে ধার্য করছে। ফলে স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশের সূত্রের উপরে নির্ভর করে কৃষকেরা যে দাম পেতে পারত সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্য তার ধারেকাছে আসছে না। নীচের তালিকা থেকেই তা প্রকট হচ্ছে।

মোদি সরকার নির্ধারিত কৃষিপণ্যের দাম, স্বামীনাথন কমিটি সুপারিশ অনুযায়ী উচিৎ সহায়ক মূল্য ও কৃষকের ক্ষতি

শস্যের নাম (ক) সামগ্রিক ব্যয় (C2) : কুইন্টাল প্রতি টাকা (খ) উচিৎ মূল্য (C2+৫০%) : কুইন্টাল প্রতি টাকা (স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ) (গ) সরকারি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য : কুইন্টাল প্রতি টাকা (ঘ) কৃষকের ক্ষতি (গ-ঘ) : কুইন্টাল প্রতি টাকা (ঙ)
গম* ১২৫৬ ১৮৮৪ ১৭৩৫* ১৩৯
বার্লি* ১১৯০ ১৭৮৫ ১৪১০* ৩৭৫
ছোলা* ৩৫২৬ ৫২৮৯ ৪২৫০* ১০৩৯
মটর* ৩৭২৭ ৫৫৯১ ৪১৫০* ১৪৪১
রেপসিড ও সর্ষে* ৩০৮৬ ৪৬২৯ ৩৯০০* ৭২৯
সানফ্লাওয়ার* ৩৯৭৯ ৫৯৬৯ ৪০০০* ১৯৬৯
ধান– সাধারণ** ১৫৫০ ২৩২৫ ১৭৫০** ৫৭৫
ধান– এ গ্রেড** ১৫৯০ ২৩৮৫ ১৭৭০** ৬১৫
জোয়ার– হাইব্রিড** ২১৬০ ৩২৪০ ২৪৩০** ৮১০
জোয়ার– মালদান্দি** ২২১০ ৩৩১৫ ২৪৫০** ৮৬৫
বাজরা** ১৩২৪ ১৯৮৬ ১৯৫০** ৩৬
ভুট্টা** ১৪৮০ ২২২০ ১৭০০** ৫২০
রাগি** ২৩৭০ ৩৫৫৫ ২৮৯৭** ৬৫৮
অড়হর** ৪৯৮১ ৭৪৭২ ৫৬৭৫** ১৭৯৭
মুগ** ৬১৬১ ৯৭৪২ ৬৯৭৫** ২৭৬৭
কলাই** ৪৯৮৯ ৭৪৮৪ ৫৬০০** ১৮৮৪
বাদাম** ৪১৮৬ ৬২৭৯ ৪৮৯০** ১৩৮৯
সয়াবিন** ২৯৭২ ৪৪৫৮ ৩৩৯৯** ১০৫৯
সূর্যমুখী** ৪৫০১ ৬৭৫২ ৫৩৮৮** ১৩৬৪
তিল** ৬০৫৩ ৯০৮০ ৬২৪৯** ২৮৩১
নাইজার বীজ** ৫১৫৩ ৭৬৮০ ৫৮৭৭** ১৮০৩
তুলো– মাঝারি** ৪৫০০ ৬৭৫০ ৫১৫০** ১৬০০
তুলো– উন্নত** ৪৫২০ ৬৭৮০ ৫৪৫০** ১৩৩০
  • *২০১৮-১৯-এর রবি শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য
  • ** ২০১৮-১৯ এর খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য
  • তথ্যসূত্র– কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস

শস্য সংগ্রহে অনীহা

কেবল যে কৃষিপণ্যের সহায়ক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেই সরকার কৃষক বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করছে তাই নয়, ওই সহায়ক মূল্যকে কার্যকরী করার ক্ষেত্রেও গড়িমসি করছে। কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস তাদের রিপোর্টে লিখছে, “ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নীতি কেবল তখনই কাঙ্খিত প্রভাব ফেলতে পারে যখন তা একটি কার্যকরী ও সহায়ক শস্য সংগ্রহ ব্যবস্থা দ্বারা সমর্থিত হবে। এই মরশুমে দেখা গেছে যে বিভিন্ন রাজ্যে গম এবং রেপসিড ও সর্ষের বাজার দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নীচে চলে গিয়েছে। সরকারি শস্য সংগ্রহ ব্যবস্থা হয় অনুপস্থিত বা অত্যন্ত ধীরগতির ছিল। উদাহরণস্বরূপ, রেপসিড ও সর্ষের বাজার দাম ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের অনেক নীচে থাকলেও নাফেড মাত্র ৩৭.৬ হাজার টন সর্ষে বীজ সংগ্রহ করেছে যা বাজার দরের উপরে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। ২০১৬-১৭-র খরিফ শস্যের ক্ষেত্রে ডাল উৎপাদকরা অনুরূপ পরিস্থতির সম্মুখীন হয়েছে, যখন বৃহৎ ডাল উৎপাদক রাজ্যগুলিতে বাজারদর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের যথেষ্ট নীচে ছিল।” (রবিশস্যের মূল্য নীতি– বিপণন মরশুম-২০১৮-১৯ : কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস)।

এমনকি কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেসের কৃষিপণ্য সংক্রান্ত সুপারিশকে কার্যকরী করার ব্যাপারে গড়িমসি করে দালালদের সুবিধেও করে দেওয়া হচ্ছে। কমিশন তাদের রিপোর্টে লিখছে, “ডালের উৎপাদন বেশি হওয়ায় ও বাজারদাম পড়ে যাওয়ায় ২০১৭-র ১৭ মে থেকে ডালের মজুতের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ৩০ জুন ২০১৭-র মধ্যে ১০টি রাজ্য ওই মজুতের সীমা উঠিয়ে দেয়। কমিশন ২০১৭-১৮-র খরিফ শস্য বিপণন মরশুমের রিপোর্ট পেশ করার সময়ে ওই মজুত সীমা রদ করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু যতদিনে মজুতের উপরে নিষেধাজ্ঞা তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ততদিনে অধিকাংশ চাষিই তাদের শস্য বিক্রি করে দিয়েছে ফলে সিদ্ধান্ত থেকে উপকৃত হয়নি।” (খরিফ শস্যের মূল্য নীতি– বিপণন মরশুম-২০১৮-১৯ : কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস)।

ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অবহেলা

কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস এও বলেছে, “সরকারি নীতি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের কাছে কোনও সুদিনই কখনও আনে না। ওই ছোট চাষিদের জমির পরিমাণ কম থাকায় উদ্বৃত্ত শস্য থাকে না বললেই চলে। উপরন্তু, মজুতের সুবিধে না তাকায় ও তাৎক্ষণিক অর্থের প্রয়োজনে তারা শস্য উৎপাদনের পরেই অতি দ্রুত বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এর ফলে বাধ্যতামূলক বিক্রয়ে বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কোনও স্থানীয় গুদামের বন্দোবস্ত নেই। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের সুযোগও কম থাকায় ঋণ শোধের তাগিদে তারা ফসল ওটার পরেই দ্রুত ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয়।” (খরিফ শস্যের মূল্য নীতি– বিপণন মরশুম-২০১৮-১৯ : কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস)।

“প্রান্তবর্তী অঞ্চলের কৃষকদের পক্ষে ন্যায্য গড় গুণমান (ফেয়ার অ্যাভারেজ কোয়ালিটি) সম্পর্কে ওযাকিবহাল থাকা কঠিন। ফলে তাদের শস্য অনেক সময়েই শস্য মান্ডিগুলিতে গুণমানের দরুণ বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে ন্যায্য গড় গুণমান বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সম্পর্কে ওযাকিবহাল করানোর জন্য কোনও প্রচেষ্টা চোখে পড়ে না। প্রান্তবর্তী অঞ্চলের কৃষকরা কৃষিশস্য বিপণন কমিটির কাছে অনেক সময়েই পৌঁছতে পারে না, ফলে স্থানীয় হাটগুলিই তাদের লব্ধ বাজার হয়ে ওঠে এবং শস্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে কম দামে বিক্রি হয়।” (খরিফ শস্যের মূল্য নীতি– বিপণন মরশুম-২০১৮-১৯ : কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস)।

“কমিশন রাজ্যগুলি থেকে কৃষকদের বর্গ অনুযায়ী বিভাজিত ধান সংগ্রহের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। ওড়িশা সরকার সেই তথ্য দেয়। ওই তথ্য অনুসারে ২০১৬-১৭-র খরিফ মরশুমে ৮০%-এর বেশি ধান সংগৃহীত হয়েছে বৃহৎ, মাঝারি ও আধা-মাঝারি চাষিদের কাছ থেকে। ফলে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের কাছে যে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সুবিধে পৌঁছচ্ছে না তা প্রকট হচ্ছে।” (খরিফ শস্যের মূল্য নীতি– বিপণন মরশুম-২০১৮-১৯ : কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস)।

সরকারি কমিশনের, কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেসের তথ্য ও পর্যবেক্ষণই বলে দিচ্ছে যে, সরকারের কৃষি নীতি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নীতি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের পক্ষে তেমন কোনও ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ করছে না। ফলে ৮৫% (২০১০-১১ কৃষিসুমারি অনুযায়ী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জোতের সংখ্যার সঙ্গে সামগ্রিক জোতের সংখ্যার অনুপাত ৮৫%) কৃষক সরকারি নীতিতে উপেক্ষিত হচ্ছে। ৮৫% কৃষকের কাছে রয়েছে ৪৫% কৃষি জমি। সুতরাং, ৪৫% জমির উৎপাদিত ফসলের উৎপাদন, বণ্টন ও বিপণনের ক্ষেত্রে সরকারি ঔদাসীন্য ধরা পড়ছে।

‘দেশের আত্মা অন্নদাতা’ কৃষকরা আত্মহত্যা করছে

সামগ্রিকে কৃষি ও কৃষক বিষয়ে মোদি সরকার কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জনে আগ্রহী। ফলত, ২০১৪ সালে ১২,৩৬০ জন, ২০১৫ সালে ১২,৬০২ জন (ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো রিপোর্ট অনুযায়ী) কৃষক ও কৃষি শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে এই মোদি সাম্রাজ্যে। ২০১৬-র পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কেবল ৫টি রাজ্যের (মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা ও কর্নাটক) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই ৫ রাজ্যেই ২০১৬ সালে অনুরূপ আত্মহত্যার সংখ্যা ৬৮৬৭। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে গত ৩ মাসে মহারাষ্ট্রে ৬৩৯ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছে। কৃষি ও কৃষক সম্পর্কে এই অবহেলার প্রেক্ষিতে মোদির কৃষকদের ‘অন্নদাতা’ বলে অভিহিত করাকে রসিকতা বলেই মনে হয়।

ঋণ স্বীকার:

  1. দ্য ওয়্যার, এপ্রিল ১৪, ২০১৭।
  2. রামাকুমার আর– অধ্যাপক, টাটা ইন্সটিট্যুট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস– ‘দেয়ার ইজ নো রিজনস টু বি কনফিউজড অন হাউ টু ক্যালকুলেট দ্য রাইট এমএসপি’– দ্য ওয়্যার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮।
About চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম 4593 Articles
ইন্টারনেটের নতুন কাগজ

Be the first to comment

আপনার মতামত...