সুব্রত ঘোষ
…যাকে বলি বিজ্ঞান, সায়েন্স তার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্ঞানের জন্য অপরাজিত যত্ন। কোথাও আন্দাজ খাটবে না, খেয়ালকে মানবে না, বলবে না ‘ধরে নেওয়া যাক’, বলবে না ‘সর্বজ্ঞ ঋষি এই কথা বলে গেছেন’।
–রবীন্দ্রনাথ (জাভা-যাত্রীর পত্র)
- গণেশের মাথায় হাতির মাথা বসানো হয়েছিল সার্জারি করে।
- স্টেম সেল গবেষণায় প্রাচীন ভারতের এক গৌরবময় ঐতিহ্য ছিল এবং কৌরবেরা টেস্ট টিউব বেবি।
- নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞান (science of guided missiles) হাজার হাজার বছর আগে ভারতের অধিগত ছিল তা নাহলে ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র লক্ষ্যকে আক্রমণ করত কীভাবে।
- রাবণের কাছে মজুত ছিল পুষ্পক বিমান ও ২৪ রকমের এরোপ্লেন, শ্রীলঙ্কায় ছিল বিমানপোত।
- আইনস্টাইন-নিউটনের তত্ত্ব ভুল।
- ভগবান ব্রহ্মা ডাইনোসরের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন এবং তিনি সেটা বেদে লিখে রেখেও গেছেন।
- বিষ্ণুর দশ অবতারের রূপ প্রমাণ করে ডারউইনের অভিব্যক্তিবাদ চিন্তার অনেক আগেই ভারতীয়রা এই তত্ত্ব প্রকাশ করেছেন।
- ডারউইন বলেছেন জলের মধ্য থেকেই প্রাণের শুরু— বিষ্ণুর প্রথম অবতারের রূপ ছিল ‘মৎস্য’, দ্বিতীয় অবতার ‘কূর্ম’ (কচ্ছপ), তৃতীয় শূকরের মাথা ও মানুষের দেহের সমন্বয়ে ‘বরাহ’, চতুর্থ সিংহের মাথা ও মানুষের দেহ নিয়ে ‘নরসিংহ’ এবং মানুষ হিসাবে পঞ্চম অবতার ‘বামন’। (১২৪)
মুখ্যত ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের দৌলতে এ সব কথা এখন আমাদের দেশের শিশু-কিশোররাও জেনে গেছে। তার একটা মস্ত বড় কারণ এর বেশ কিছু কথা উচ্চারিত হয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সেই অধিবেশনে যেটা নির্ধারিত কিশোর-কিশোরী-তরুণদের জন্য।
এই সব কথামৃত শুনতে শুনতে আমরা বড়রাও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম এবং বিশ্বাসও করতে শুরু করেছিলাম। কারণ ওই কিশোরদের মতো আমাদেরও অনেক যুক্তি তৈরি আছে— প্রথমত যে মঞ্চ থেকে এ সব অনৃতভাষণ সেটা ভারতের বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় মঞ্চ; দ্বিতীয়ত এই বাণী উচ্চারণ করছেন ভারতের তাবড় তাবড় দেশনেতারা যাঁরা ভারতের বেশিরভাগ বিজ্ঞান সংক্রান্ত নীতি নির্ধারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। এবং সবশেষে গবেষণাপত্র হিসেবে কংগ্রেসে যিনি বা যাঁরা উপস্থাপন করছেন তাঁরা ‘বিজ্ঞানী’ অর্থাৎ হাতে নাতে প্রমাণ না পেলে তাঁরা কিছু বিশ্বাস করেন না।
বিশ্বাসে একটু চিড় ধরিয়েছিলেন হায়দ্রাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির প্রাক্তন অধিকর্তা ডোরাইরাজন বালসুব্রামানিয়ান ‘দি হিন্দু’ দৈনিক পত্রিকায় এক প্রবন্ধ লিখে। অক্টোবর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদি হাতির মাথা কেটে গণেশের মাথায় বসানোর সার্জারি শেষ করে অপবিজ্ঞানের বাতাস বইয়ে দিয়েছেন। বালসুব্রামানিয়ান আহ্বান করেছিলেন সেই সব বিজ্ঞানীদের যাঁরা চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। চাকুরিরতদের নানা প্রতিবন্ধকতা আছে সে ব্যাপারে তিনি সজাগ থেকে ভারতীয় বিজ্ঞানের ওপর এত বড় আঘাত মুখ বুজে সহ্য না করে প্রতিবাদ করার জন্য অবসরপ্রাপ্তদের কাছে আবেদন রেখেছিলেন।
বালসুব্রামানিয়ানের ব্যক্তিগত প্রতিবাদ ও অন্যদের আহ্বান যে মোটেই এই সব বীরপুঙ্গবদের দমাতে পারেনি সেটা খুবই স্পষ্ট যখন দেখা যায় যে ভারতের বিজ্ঞানের এই সর্ববৃহৎ মঞ্চকেই তাঁরা বেছে নিচ্ছেন অবিজ্ঞানকে ছড়িয়ে তাদের উদ্দেশ্য সাধন করার। ২০১৮ সালের অধিবেশনে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের বাণী— ‘স্টিফেন হকিং কোনও এক সময়ে বলেছেন যে আইনস্টাইনের E = mc2-এর চেয়ে উন্নত তত্ত্ব বেদে লেখা আছে।’ আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং— তিনিই বা পিছিয়ে পড়ে থাকবেন কেন। তিনি অন্য এক অনুষ্ঠানে ডারউইনের তত্ত্ব ‘বিজ্ঞানসম্মতভাবে ভুল’ বলে এক কদম এগিয়ে গেলেন।
বিজ্ঞানী মহলের সরবতার অভাব আর এক অবতার ‘নাগেশ্বর’ রাওদের সাহস জুগিয়েছিল। যদিও ২০১৬ সালে কংগ্রসের অধিবেশনে যোগদানের পর নোবেল বিজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণণ তীব্র ভাষায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। কংগ্রেসের অধিবেশনকে ‘সার্কাস’ বলেই ক্ষান্ত না হয়ে তিনি বলেন এখানে বিজ্ঞান একেবারেই আলোচনা হয় না এবং তিনি আর কোনও দিন বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনে যোগদান করবেন না। কংগ্রেসের সংগঠকদের কাছে কিছু প্রস্তাব রেখে বললেন অধিবেশনে যে সব গবেষণাপত্র পেশ করা হবে সেগুলো যেন আগেই যাচাই করে নেওয়া হয়। এর পরেও যদি কেউ বক্তৃতামঞ্চে উঠে বিজ্ঞানবিরোধী কথাবার্তা শুরু করেন তবে— ‘they should be ejected by the chair of the session’।
টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ (TIFR)–এর রিডার অনিকেত সুলে প্রশ্ন তুলেছেন— স্টেম সেল, টেস্ট টিউব বেবি, নিয়ন্ত্রিত মিসাইল, বিমান তৈরি এ সবই অতি উন্নত বিজ্ঞান/প্রযুক্তি। কোনও দেশ যদি এত উন্নত প্রযুক্তি করায়ত্ত করে থাকে তবে অবশ্যই অন্য বহু সাধারণ প্রযুক্তিও (বিদ্যুৎ, ধাতুবিদ্যা, বলবিদ্যা, প্রপালসন্ ইত্যাদি) তো সেই দেশের হাতের মুঠোয় থাকার কথা। এমন কথা তো শোনা যায় না।
‘দি হিন্দু’ পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক শ্রীনিবাসন রামানি সরাসরি এই সব বিজ্ঞানবিরোধী উচ্চারণের সঙ্গে শাসক দলের যে রাজনৈতিক দর্শন অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ যার মূলে হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদের অদ্বৈতবাদিক রূপ সেটাকেই দায়ী করছেন। এজন্যই তারা এই আধুনিক যুগে প্রাচীন হিন্দু ঐতিহ্যকে উদ্ধার করে আনতে চায়। এবং স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় আসীন রাজনীতিবিদদের তারা আশীর্বাদধন্য এবং সেই কারণেই বছরের পর বছর সুর চড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। রামানি মনে করেন— “unless the political project of Hinduvta is tackled head-on ideologically, we will continue to receive more pearls of unscientific wisdom.”
যে প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়াকে বিজ্ঞানপ্রেমীরা কুর্নিশ ঠুকেছেন সেটা হল Indian Institutes of Technology (IITs), All India Institutes of Medical Sciences (AIIMS), Indian Institutes of Science Education and Research (IISERs), Indian Institute of Science (IISc) থেকে ৩৭ জন বিজ্ঞানীর পত্র— বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতির কাছে লেখা। ভারতীয় বিজ্ঞানকে পিছিয়ে দেওয়ার এই ধরনের প্রচেষ্টাকে রুখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধই তাঁদের চিঠির প্রধান বক্তব্য।
এই প্রতিবাদ/প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতে গেলে বালসুব্রামানিয়ানের কাছে ফিরে যেতে হবে। তিনি কর্মরত বিজ্ঞানীদের বাধ্যবাধকতার কারণে মুখ্যত অবসরপ্রাপ্তদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। বাধ্যবাধকতা বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটা সহজেই অনুমেয়। ৩৭ জন বিজ্ঞানী কিন্তু কর্মরত— কর্মক্ষেত্রে তাঁদের প্রাপ্তিযোগ কিছু কম নয়। সেই প্রলোভন ত্যাগ করে এবং এ ধরনের প্রতিবাদে তাঁদের ওপর বিপদের কী খাঁড়া নেমে আসতে পারে সেকথা না ভেবে এ আচরণ অবশ্যই প্রশংসার্হ।
এতক্ষণ যেসব প্রতিবাদ/প্রতিক্রিয়ার কথা বলা হল সেগুলোকে সবই ব্যক্তিগত পর্যায়ের মধ্যেই রাখতে হবে (৩৭ জন বিজ্ঞানীর পত্রকে মনে রেখেও)। কিন্তু যদি প্রতিবাদ এমন হয় যা প্রাতিষ্ঠানিক এবং সেই প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি অর্থপুষ্ট তবে সেটাকে তো ভিক্ট্রি স্ট্যান্ডে ওপরের দিকে স্থান দিতেই হয়। এ রকমই এক প্রতিষ্ঠান দিল্লির Indian National Science Academy (INSA)। জলন্ধরের অধিবেশনের পর INSA তার ফেলোদের কাছে এক বিবৃতি মেলে পাঠায়। সে মেলের ভাষ্য যেমন গভীর চিন্তার ফসল তেমনি প্রকাশ পেয়েছে ভারতীয় বিজ্ঞানের সঙ্কট নিয়ে INSA–র গভীর দুশ্চিন্তা। ভাষা প্রয়োজনীয়ভাবে এত যুক্তির ওপর দাঁড় করানো যে গোটা বিবৃতিটা উদ্ধৃত করা বোধহয় যথাযথ হত। স্থানাভাব— তবু কয়েকটা লাইন তুলে ধরতেই হবে।
…INSA categorically rejects and dismisses these and any such claims as, such statements are not based on scientific evidence and logical interpretations of verifiable data…. Statements, such as those made recently are far from any scientific rigor and therefore need to be discarded and ignored, sensu-stricto. …INSA did not, does not and will not support any of such un-substantiated ideas even if these are propounded from prestigious platforms like the Indian Science Congress and by persons of administrative eminence, at any level…
(নিম্নরেখা মূল বিবৃতিতেই আছে)
প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে একটা অস্বস্তি থেকেই গেল। জানা নেই এই মেল পাবার পর INSA-র ফেলোদের প্রতিক্রিয়া কী, কতজনই বা INSA-র প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবু প্রতিষ্ঠান হিসাবে INSA-কে স্যালুট ঠুকতেই হয়।
প্রতিবাদ করে যে ফল হয় তা আমরা জানতে পারি এই খবর থেকে যে মুখ্যত বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণণের প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়ে সায়েন্স কংগ্রেস এ্যাসোশিয়েসন সিদ্ধান্ত করেছে যে সামনের বছর থেকে অধিবেশনে যে সব বিজ্ঞানী গবেষণাপত্র পাঠ করতে ইচ্ছুক তাঁরা সারাংশ আগেই জমা দেবেন এবং গবেষণাপত্রের নির্বাচন এক কমিটির মধ্য দিয়ে যাবে। এর মধ্যে তরুণদের অধিবেশনের গবেষণাপত্রও থাকবে। প্রতি সেশনে একজন করে বিজ্ঞান কংগ্রেসের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন এবং যদি কোনও বক্তা জমা দেওয়া সারাংশের বাইরে গিয়ে বিজ্ঞানবিরোধী কিছু বলেন তবে সে বক্তাকে তিনিই ‘মঞ্চ থেকে অপসারিত করবেন’। এ পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়, কিন্তু যে কথাটা বোঝা গেল না সেটা হল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মহোদয়দের বক্তৃতা কি আগে যাচাই করার ব্যবস্থা হবে এবং তাঁরা যখন এ ধরনের কথা বলবেন মঞ্চ থেকে তাঁদের অপসারিত কে করবে?
এতদূর পর্যন্ত যে আলোচনা করা গেছে তাতে বোধহয় একটা জিনিস পরিস্কার যে সমস্ত ঘটনা পরম্পরায় প্রতিবাদের ব্যাপারটার মধ্যে কিঞ্চিৎ আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবং সে কারণে প্রতিবাদকে বরণ করা এ রচনার অভিমুখ। কেবল বিজ্ঞান কংগ্রেসের ‘সার্কাস’ নিয়ে নয় ভারতের বিজ্ঞান/প্রযুক্তির সামগ্রিক দুরবস্থা থেকে একে মুক্ত করতে পারে একমাত্র তরুণ কর্মরত বিজ্ঞানীরা। শুরুটা হোক না বিজ্ঞান কংগ্রেসকে সামনে রেখে। কারণ মূল প্রশ্নটা একটাই— সরকারের কর্মসূচিতে বিজ্ঞান কি আদৌ গুরুত্বপূর্ণ? সাধারণ নির্বাচন দোরগোড়ায়— কোনও রাজনৈতিক দলের ইস্তাহারে বিজ্ঞান/প্রযুক্তি কি আদৌ উচ্চারিত হবে?
সব শেষে বিজ্ঞান কংগ্রেস থেকে সরে এসে বেশ অনেক বছর আগের আর এক ‘সার্কাস’ দেখা যাক। ঘটনাটা ২০০৬ সালের। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত The Associated Chambers of Commerce and Industry of India (ASSOCHAM)–র চারদিন ব্যাপী (২৬-২৯ মার্চ) এক আলোচনাচক্রের যার শিরোনাম— ASSOCHAM Global Knowledge Millennium Summit-IV। এই আলোচনাচক্রে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রণব মুখার্জি, পার্লামেন্টের সদস্য রাহুল গান্ধি, ১৯৯৬ সালের রসায়নে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী স্যার হ্যারি ক্রেটো, ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পর্ষদের ডাইরেক্টর জেনারেল আর, এ মাশেলকর এবং এবং স্বামী রামদেব মহারাজজী ও আর এক স্বামী নিখিলানন্দ।
উল্লেখ্য যে স্যার হ্যারি ক্রেটোর খ্যাতি কার্বন অণুর তৃতীয় রূপ C60 আবিষ্কার করার জন্য। C60 গুণের দিক থেকে একেবারে ন্যানো পদার্থের মতোই এবং একে টিউবের রূপ দিলে সেটা ইস্পাতের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী ও তামার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহী হয়ে ওঠে।
আমাদের বিস্ময় দুটো জিনিস নিয়ে: এক— সিএসআইআর-এর অধ্যক্ষ FRS ড. মাশেলকর একই আলোচনাসভায় যেখানে সব আলো পড়ছে স্বামী রামদেব মহারাজের ওপর এবং উজ্জ্বল উপস্থিতি আর এক স্বামীজীর; দুই— এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে The Economic Times পত্রিকায় যে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয় সেখানে জ্বল জ্বল অক্ষরে লেখা রয়েছে –“ His (Croto’s) understanding of Hemoglobin is quite close to what Swami Ramdev keeps telling us about how the oxygen flow increases to the blood through practice of Yoga.” ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত এক ছবি নিচে দেওয়া গেল— আশা করি পাঠক উপভোগ করবেন।
একেবারে ডানদিকে স্বামী নিখিলানন্দ, রামদেবের ডান পাশে স্যার হ্যারি ক্রেটো
লেখক অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী, সেন্ট্রাল গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কলকাতা