বাড়ি
দূরান্তরের যত কাঠের বাড়ি
ভুল রাস্তায় চলে যাওয়া কতবার
আমার অনুবাদের পাশে তোমার
সাইকেল এসে থামে
নদীপুরাণ
উপনদীশাখানদীপরিধিতে সমস্ত ম্যাজিক ম্লান
হয়ে যায়
গাঢ় মেঘে ডুবে যাওয়ার ইঙ্গিত
ভুলা মাষাণের থান
অবসর ও অবসাদের দিনে কুণ্ডলী
পাকানো সাপ
বাঘডাকের কবিতা
শীতঘুমের কথা লিখবো আর সাপ থাকবে
না!
ধান নিয়ে ঘরে ফিরছে হেমন্তের চাষি
আমি ঘাসবনের এক ডাকপিয়ন
ফড়িং শালিকের পাশে বসে একা একা কথা
বলি
বড় বড় কাঠের পিঁড়ি
মাছ ভাজছেন মা
ঠাকুমা খেঁজুর গুড়ের পায়েস
কত কত জন্ম থেকে নাচগান
গল্প ঘিরে বাঘের ডাক
অনন্ত খামার দিয়ে জীবন
সাজাই
কেমন ঘোরের ভিতর থাকি
পাখিদের ডানার নিচে থাকি
শীতের শিস, সার্কাস ও ঘোড়ার
গাড়ি
দেখাসাক্ষাত হয় না মাঠের ইঁদুরের সাথে
হাতে হাতে তালি
বাজে, জঙ্গলপথে
নাচঘর
মেঘলা আকাশের নিচে কেবল শুনতে চেয়েছি পাখির
ডাক
বহুদিন পর শহরে ফিরে এসে প্রেরণ করি
কমা ও থার্মোমিটার
চৌব্বাচায় ভরে যাচ্ছে বিশাল বিশাল হলঘর
আমাদের জীবন থেকে হারিয়েছে মাগুরমাছ
বিলাসবহুল হই।
সমস্ত দুপুর জুড়ে বন্দুকগুলি মুছি
বর্ষাদুপুর থেকে বহুদূরে নূপুর খুলছে
নাচঘর
শিরোনামহীন
সর্ষেবনে বিকেল ডুবছে আর আমি বিকেলের
দিকেই
হাঁটতে থাকি। যেন বা স্তব্ধতা, বাঁশির শব্দ!
কান্নাকে প্রতিরোধ করি, শরীরে হলুদ মাখি
আয়নার পাশে নখ, লিখি নখদর্পণ
হরিণশাবকের জন্য
সরলবর্গীয় বৃক্ষের পাশে যে প্যাঁচা রাতপাখিতে
বদলে যায়; আমরা কি তার বিড়ম্বনাটুকু বুঝতে
পারি! আকাশের মেঘ ছায়া ঢালে। মৃদু কাশির
শব্দেও ঘোর কাটে না। উঠোনের রোদে কখন
কীভাবে
হরিণশাবক!