আশীষ লাহিড়ী
ওয়েন্ডি ডনিগার (জন্ম ১৯৪০) সেই বিরল গোত্রের ভারততাত্ত্বিক, পাণ্ডিত্য যাঁর সাহস এবং কাণ্ডজ্ঞান কেড়ে নিতে পারেনি। কিছুকাল আগে তাঁর দ্য হিন্দুজ: অ্যান অল্টার্নেটিভ হিস্টরি বইটি হিন্দুত্ববাদীদের প্রভূত গাত্রদাহের কারণ হয়েছিল। তাদের দাপাদাপিতে ভয় পেয়ে পেঙ্গুইনের মতো বহুজাতিক প্রকাশন সংস্থা ভারতের বাজার থেকে তুলে নিয়েছিল সে বই। এখন অবশ্য অন্য প্রকাশকের পুস্তকতালিকায় সেটি স্থান পেয়েছে এবং দিব্য বিক্রি হচ্ছে। ডনিগারের ওপর হিন্দুত্ববাদীদের এত রাগ কেন? কারণ এই ‘বিদেশিনি’ সংস্কৃতজ্ঞা বিদুষী হিন্দুদের একদল জ্যান্ত মানুষের সম্প্রদায় হিসেবে সম্মান করেন, যারা মানুষেরই মতো আচরণ করে, হাসেকাঁদে, ভালোবাসে, দুষ্টুমি করে, ব্যাভিচার করে, বিদ্রোহ করে, অত্যাচার করে, অত্যাচারিত হয়, ঠকায়, ঠকে, সর্বদা শাস্ত্র মেনে চলে না, বরং শাস্ত্রর মাধ্যে চোরাগোপ্তা অ-শাস্ত্রীয় কথা ঢুকিয়ে দেয়; সর্বোপরি যারা অত্যন্ত সৃষ্টিশীল এবং বৈচিত্র্যময় এক জনগোষ্ঠী। তাঁর সাম্প্রতিক বই বিয়ন্ড ধর্ম, ডিসেন্ট ইন দ্য এনশেন্ট ইন্ডিয়ান সায়েন্সেস অব সেক্স অ্যান্ড পলিটিক্স (স্পার্কলিং টাইগার, নয়া দিল্লি, ২০১৮) হিন্দুদের সেই ‘সৃষ্টিশীল বিশৃঙ্খলা’কে (ক্রিয়েটিভ কেঅস) একটি বিশেষ কাঠামোর মধ্যে ধরতে চেয়েছে।
ধর্ম, অর্থ, কাম এই ত্রিবর্গর মধ্যে হিন্দুদের ঐহিক জীবন আবর্তিত। এর সঙ্গে আছে মোক্ষ, যা ঐহিকতা থেকে অবশেষে তাদের মুক্তি দেয়। অন্তত তত্ত্ব সেই কথাই বলে। ডনিগার দেখাচ্ছেন, যেসব শাস্ত্রগ্রন্থে হিন্দুদের এই ঐহিক জীবনাচরণের তত্ত্বনির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যান্য শাস্ত্রগ্রন্থে, এমনকী একই শাস্ত্রগ্রন্থের মধ্যেও, ওইসব নির্দেশ অম্লানবদনে অগ্রাহ্য করবার বহু নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি এইসব নিদর্শনকে এক ধরনের চলমান নাশকতা বলে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে ওপর থেকে চাপানো নির্দেশ নীচের লোকেরা মানছে না, কিন্তু খোলাখুলি বিদ্রোহ করছে না। মনুর ধর্মশাস্ত্র (১০০ খ্রিস্টাব্দ), কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র (২০০ খ্রিস্টাব্দ) আর বাৎস্যায়নের কামশাস্ত্র (৩০০ খ্রিস্টাব্দ), এই তিনটি প্রধান গ্রন্থ মন্থন করে তিনি তাঁর মামলা সাজিয়েছেন। তিনি প্রথমেই পরিষ্কার করে দেন, হিন্দুদের ‘ধর্ম’ নিছক রিলিজিয়ন নয়, যদিও রিলিজিয়নও ধর্মের এক অঙ্গ। ‘কর্তব্য, রিলিজিয়ন, রিলিজিয়ন-ঘটিত মহত্ত্ব, নৈতিকতা, সামাজিক দায়দায়িত্ব, ন্যায়বিচার, ঔচিত্যবোধ আর আইন— এ সবই ধর্মর অঙ্গ। এক কথায় ধর্ম হল সুস্থ জীবন।’ আর অর্থ মানে শুধু টাকাপয়সা নয়, উপরন্তু ‘রাজনৈতিক ক্ষমতা, লাভ আর সাফল্য; এক কথায় উচ্চকোটির জীবন।’ তেমনি, কাম বলতেও ‘নিছক যৌন সুখ বোঝায় না, বোঝায় প্রেম, কামনা, সুখ, বড় অর্থে ইন্দ্রিয়-উপভোগ— সঙ্গীত, সুখাদ্য, সুগন্ধী সবই তার অন্তর্ভূত। এককথায় সূক্ষ্ম মার্গের পরিশীলিত ভোগের জীবন অতিবাহন’। এই তিনটি শাস্ত্রের মধ্যে মনুর ধর্মশাস্ত্র-ই হল সেই ‘সোনালি নিরিখ’ যার মানদণ্ডে অন্য দুটি শাস্ত্রর ধর্মানুসরণের মাত্রা ‘পরিমাপ’ করা যায়।
ডনিগার খুব সরলভাবে মনুর ধর্মশাস্ত্র-র আলোচ্য বিষয়গুলিকে সাজিয়ে দিয়েছেন: চারটি মূল বর্ণর এবং শতশত জাতপাতের সামাজিক দায়দায়িত্ব আর কর্তব্যকর্ম; ন্যায়পরায়ণ রাজার রাজ্যশাসনের এবং অবাধ্যদের সাজা দেওয়ার যথার্থ পদ্ধতি; বিভিন্ন বর্ণর স্ত্রী ও পুরুষের সঠিক সামাজিক সম্পর্ক; ঘরের মধ্যকার নিভৃতিতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক; জন্ম, মৃত্যু আর কর; বিশ্বতত্ত্ব, কর্ম, পুনর্জন্ম; বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান; দৈনন্দিন নানা পরিস্থিতি, যেমন ছাত্র শিক্ষকের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন অসভ্যতা করলে তার প্রায়শ্চিত্ত কী ইত্যাদি। তাঁর মতে অর্থশাস্ত্র আর কামশাস্ত্র-য় ব্যক্ত অনেক ধারণাই ‘ধর্ম-ঐতিহ্য’কে লঙ্ঘন করে, এমনকী প্রকারান্তরে অধর্মাচরণকে প্রশ্রয় দেয়। নিজের বক্তব্যর সমর্থনে তিনি উদ্ধৃত করেছেন সুশীলকুমার দে-কে: ‘…সাধারণভাবে ধর্মশাস্ত্র সর্বদাই… সদাচারকে ব্যবহারের নিরিখ হিসেবে তুলে ধরেছে ঠিকই; কিন্তু অর্থ আর কামশাস্ত্র অনুসারে ইন্দ্রিয় উপভোগের ধারণা আর ধনলিপ্সার ওপর মোটের ওপর তার বিশেষ প্রভাব পড়েনি।’ আরও খানিক দূর এগিয়ে জেম্স সি স্কট-বর্ণিত একটি প্রক্রিয়ার উল্লেখ করেছেন ডনিগার, যাকে বলা হয়েছে ‘গোপন লিখন’ (হিড্ন ট্রান্সক্রিপ্ট)। মঞ্চর ওপর প্রকাশ্যে যে-নাটক চলছে, আড়ালে, নেপথ্যে, নিপীড়িতদের মধ্যে, চলছে তার বিরোধী পালটা সমালোচনা। ‘নিম্নবর্গর প্রতিদিনের এই প্রতিরোধ বুঝিয়ে দেয় যে তারা আধিপত্য মেনে নিতে রাজি ছিল না।’
ডনিগার অবশ্য স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন, এই বিরোধিতা শ্রেণি-সংগ্রাম নয়; কেননা যাঁরা এ-বিরোধিতা করছেন তাঁরা অনেকে নিজেরাই ব্রাহ্মণ। বস্তুত, ‘প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মণ ঐতিহ্য আদৌ একটা শিলাপাথরের মতো নিরেট ছিল না, ব্রাহ্মণদের মধ্যে নানান রকমফের ছিল।’ যেমন, কৌটিল্য আর বাৎস্যায়ন দুজনেই ব্রাহ্মণ, কিন্তু অনেক সময়েই ব্রাহ্মণ আচার্যদের তাঁরা এড়িয়ে গেছেন, এমনকী অগ্রাহ্য করেছেন, যদিও সরাসরি বিদ্রোহ করেননি। নাশকতামূলক এই লুকোনো বা গোপন লিখনের অনেক উদাহরণ দিয়েছেন ডনিগার কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র থেকে। যেমন, কৌটিল্যর “অভিযোগ”, বিশ্বজগৎ কীভাবে কাজ করে সেটা যারা জানে তাদের আড়াল করবার জন্য বেদকে ব্যবহার করেছে বস্তুবাদীরা। অর্থাৎ বেদের নাম করেই তারা বস্তুবাদ প্রচার করত। ধর্মশাস্ত্রে উদ্গীত মান্য ধর্ম যে অর্থশাস্ত্র আর কামশাস্ত্রে কীভাবে অস্বীকৃত হয়েছে, কীভাবে তার প্রতি অসন্তোষ জেগে উঠেছিল, কীভাবে ‘গোপন লিখন’ মারফত ধর্মর বিরুদ্ধে নাশকতা চালানো হয়েছে, তা নিয়েই ডনিগারের এই বই।
এক শ্রেণির ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে অন্য শ্রেণির ব্রাহ্মণদের এই নাশকতামূলক ভাবনাচিন্তার প্রবাহ একটানা বজায় ছিল। ‘প্রভুত্বকারী সামাজিক ও ধর্মীয় (রিলিজিয়াস) ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লোকায়ত বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রসমূহের এই লড়াইটা চালানো হত খুব চাতুর্যপূর্ণ এবং কৌশলী উপায়ে। বদমাইশ সংশয়বাদী আর বস্তুবাদীদের (চার্বাক আর লোকায়তিকদের) নিয়ে একটা কল্পকাহিনি বানিয়ে নিয়ে তাদের কথাগুলো কেবলই উদ্ধৃত করা হত সেগুলো কত সাংঘাতিক আর কত খারাপ তার উদাহরণ হিসেবে। হিন্দু ঐতিহ্যে এই ধারাটা এইভাবেই সজীব ছিল।’ ডনিগারের মতে, আজকে হিন্দুত্ববাদীরা যেভাবে বিজ্ঞানের সর্বনাশ করছে, সেই প্রক্রিয়াটাকে আরও ভালো করে বোঝা যাবে যদি আমরা বুঝতে পারি, অতীতে কীভাবে বিজ্ঞান ঠিক উলটো কাজটা করেছিল, অর্থাৎ নাশকতা করে রিলিজিয়নের ভিত আলগা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
প্রাচীন লেখাপত্রে ছয় ধরনের ‘নাস্তিক’-এর কথা বলা হয়েছে: চার্বাক, জৈন, বৌদ্ধদের চারটি সম্প্রদায়। মূলস্রোতের ব্রাহ্মণ্যবাদী ভাবনার বিরুদ্ধে নাশকতা চরম রূপ ধারণ করেছিল চার্বাক আর লোকায়তিকদের মধ্যে। এই রূপটির তিনটি বর্গ বা মাত্রা দেখিয়েছেন তিনি। প্রথম বর্গ হল ঘোর তর্কশাস্ত্রীয় সংশয়বাদী। দ্বিতীয় বর্গর চার্বাকপন্থীরা বস্তুবাদী ও ইহসুখবাদী। তৃতীয় বর্গর চার্বাকদের তিনি ‘পৌরাণিক বিসংবাদী’ (মিথিক্যাল ডিসিডেন্ট) বলে চিহ্নিত করেছেন। এঁদের যুক্তি, ঠাকুরদেবতা যদি না থাকে, তাহলে পরলোক বলেও কিছু নেই, আর তা যদি হয় তাহলে এইসব যজ্ঞ-টজ্ঞ অর্থহীন, আর তা যদি হয় তাহলে বেদ আর ব্রাহ্মণের কী প্রয়োজন?
তিনি উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, চার্বাক-লোকায়তিকদের উদ্দেশে যুগ যুগ ধরে রামায়ণ-মহাভারতে, গীতায়, বিভিন্ন পুরাণে ও কাব্য-সাহিত্যে যে-বিষোদ্গার করা হয়েছে তা থাকে বোঝা যায়, মূলস্রোতের ব্রাহ্মণ্যবাদ কোনোদিনই চার্বাকদের প্রভাবকে মুছে ফেলতে পারেনি। তাঁর মনে হয়েছে, দু ধরনের ব্রাহ্মণরা চার্বাক-মতকে জিইয়ে রাখতে সাহায্য করেছে। একদল চার্বাক-মতের কট্টর বিরোধী। এঁরা মনে করতেন, নিজেদের রচনায় চার্বাকের কথা উল্লেখ বা উদ্ধৃত করলে লোকে বুঝতে পারবে, এগুলো কত খারাপ। কিন্তু আর একদল ব্রাহ্মণ ছিলেন, যাঁরা মনে মনে চার্বাকদের সঙ্গে একমত হলেও সরাসরি সেটা বলে ব্রাহ্মণ্যবাদী মূলস্রোতের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার মতো সাহস অর্জন করতে পারেননি। এঁরা নিজ নিজ শাস্ত্রের মধ্যে চার্বাক-মতের উল্লেখ করে বা উদ্ধৃতি দিয়ে গোপন ধর্মদ্রোহিতার নিষিদ্ধ আনন্দ উপভোগ করতেন। ডনিগার মজা করে এঁদের ‘পঞ্চম বাহিনি’ বলে উল্লেখ করেছেন। অনেক পরে, আকবরের উপদেশক ও ইতিহাসকার আবুল ফজলের লেখা থেকে জানা যায়, আকবর তাঁর সর্বধর্ম-আলোচনাসভায় যাঁদের আহ্বান করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন চার্বাকরাও। আবুল ফজল চার্বাকদের একটা বর্ণনাও দিয়েছেন: ‘এরা চারটি মৌল ছাড়া আর আর কোনও কিছুর অস্তিত্ব স্বীকার করে না। পঞ্চেন্দ্রিয় মারফত যে-ধারণা তৈরি হয় তার বাইরে অন্য কোনো উৎসও এরা মানে না। ঈশ্বর কিংবা অন্য কোনও নির্বস্তুক পদার্থ এরা স্বীকার করে না।’ আবুল ফজল চার্বাকদের যুক্তিবাদী বিচারবুদ্ধির প্রশংসা করে বলেছিলেন, ব্রাহ্মণরা এদের দেখতে পরে না। চার্বাক-লোকায়তিকদের কোনও প্রামাণিক রচনা পাওয়া যায় না; অথচ যুগ যুগ ধরে এঁদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চলেছে মূলস্রোতের হিন্দুরা। এই আশ্চর্য ব্যাপারটাই প্রমাণ করে যে সংশয়বাদ আর বস্তুবাদের প্রভাব কোনওদিনই মুছে ফেলতে পারেনি তারা। লড়াইটা আগাগোড়াই জারি ছিল।
লোকায়তিক-চার্বাক প্রসঙ্গে ডনিগার তাঁর বক্তব্যর সারসংক্ষেপ করে বলেছেন, ‘অর্থশাস্ত্র-র যুগে লোকায়তিকরা ছিল সম্মানিত যুক্তিশাস্ত্রবাদী। মাত্র শ-খানেক বছর পরে কামশাস্ত্র-র যুগে তারা ঘৃণিত কালাপাহাড় রূপে গণিত। ক্রমে ক্রমে সত্যিকারের যুক্তিশাস্ত্রবাদীরা প্রায় সকলেই মিলিয়ে গেলেন,… যুক্তিশাস্ত্র ব্যাপারটাই রিলিজিয়াস মহলে একটা সন্দেহজনক ব্যাপার হয়ে উঠল। লোকায়তিক নামটা তখন ঢের বেশি আপত্তিকর এক চিন্তকগোষ্ঠীর সমার্থক হয়ে উঠল— সচরাচর যাদের বলা হত চার্বাক।… অষ্টম শতকে এসে চার্বাকরা চরম বৈপরীত্যসূচক এক পুরাণকাহিনি-সদৃশ সম্প্রদায় হিসেবে টিকে রইল।’ প্রভুত্বকারী চিন্তা-কাঠামোর বিরুদ্ধে উদ্ধত প্রতিবাদ ঘোষণার এক অনির্বাণ ঐতিহ্য হিসেবে চার্বাক মতের ভূমিকা অবিস্মরণীয় ও সজীব। ‘অধর্মই যেসব লোকের স্ব-ধর্ম, চার্বাকরা তাদেরই প্রবক্তা।’
এলি ফ্রাঙ্কো, রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য প্রমুখ প্রতিষ্ঠিত চার্বাক-বিশেষজ্ঞদের মত উদ্ধৃত করে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন ডনিগার। কিন্তু জানি না, এইসব বিশেষজ্ঞরা তাঁর বিশ্লেষণের সঙ্গে সবসময় একমত হবেন কিনা। সে-বিচার বর্তমান সমালোচকের আওতার বাইরে।
ডনিগার তাঁর বই শেষ করেছেন একেবারে হালের ভারতের হিন্দুত্ববাদী মূর্খতা-তথা-শয়তানির কিছু অতি-পরিচিত উদাহরণ দিয়ে। তাঁর বার্তা: অতীতে যুক্তিশীলিত বিজ্ঞান মান্য ধর্মর ভিত আলগা করার জন্য সদা-তৎপর ছিল; আজ ঠিক তার উলটোটা ঘটছে: রিলিজিয়নই বিজ্ঞানের ভিত ধসিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞানচর্চার বড় বড় প্রতিষ্ঠান আর মঞ্চে যেসব ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেগুলোই তার প্রমাণ। এ থেকে বেরোনোর পথ কী? ওয়েন্ডির এই বই হয়তো আজকের দিনে পালটা নাশকতার ব্যাপারে (নিগেশন অব দ্য নিগেশন!) কিছু সাহায্য করবে।