অনিরুদ্ধ দাস
বয়স কত হল?
জানি না তো।
কিছু মনে পড়ে আগেকার কথা?
নাহ।
কবে থেকে এখানে?
অনেএএক দিন।
তাও?
অনেএএএএক দিন।
পরিবার?
অনাবিল হাসি।
ভাই বোন দাদা দিদি?
অনাবিল হাসি।
দেশ? ভারত না তিব্বত না চীন?
দেশ কী?
ফিরতে ইচ্ছা করে কোথাও?
ঘরে।
ঘর কোথায়?
এই তো বাঁদিকের সিড়ি দিয়ে উঠেই।
বন্ধু নেই?
বন্ধু কী?
কতক্ষণ কাজ করতে হয়?
সকাল থেকে বিকেল।
টাকা?
খাই তো!
ছোটবেলা?
হ্যাঁ ছোটবেলা।
সেটা কেমন ছিল?
জানি না তো।
বাইরেটায় কী আছে জানো?
কিছু আছে।
এই জায়গাটা ভারতে জানো?
শুনেছি।
কোনও কিছু ইচ্ছে করে?
না তো।
সিনেমা দেখো?
শুনেছি।
প্রতিদিন একই কাজ ভাল লাগে?
হ্যাঁ।
নিজেরা গল্প করো?
করি তো।
কী নিয়ে গল্প করো?
তা তো মনে পড়ছে না…
কথাবার্তাগুলো কাল্পনিক। ভাষা সমস্যায় কথা বলা হয়ে ওঠেনি। সঙ্গের ছবিগুলো ওনাদের। দার্জিলিং থেকে ২০-২৫ মিনিট দূরে লেবং কার্ট রোডের টিবেটান রিফিউজি সেল্ফ হেল্প সেন্টারে এনাদের দেখা পাবেন। পঞ্চাশের দশকে তিব্বত ছেড়ে চলে আসা মানুষজন। অতীত মনে নেই, ভবিষ্যতের আশা নেই। আছে শুধু কাজ শেষের ঘণ্টা বাজলে সিড়ির ওপরের ঘরে ফেরা।