Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

মৃত পাখিদের গান — ৮ম পর্ব

অবিন সেন

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

তেরো

তার পরনে লালের উপর হলুদ ফুল ফুল ছাপ একটা নাইটি। মাথার রুক্ষ চুল একটা কাঁটা ক্লিপ দিয়ে চুড়ো করে বাঁধা। চোখে মুখে একটা ক্লান্তির হালকা প্রলেপ লেগে আছে। দু চোখের নীচে হালকা কালো ছোপ। ভালো করে লক্ষ করলে বোঝা যায়, সারা মুখে এমন কুচি কুচি কালো ছোপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে ফ্যাকাসে মুখটাকে যেন কলঙ্কিত করে তুলেছে।

ঘরে একটা জোরালো এলইডি বাল্ব জ্বলছে। দিনের বেলা তবু ঘরে ভালো করে আলো ঢোকে না। চারপাশে একটা স্যাঁতস্যাঁতে ড্যাম্প গন্ধ, ধূপের গন্ধ ছাপিয়ে নাকে এসে লাগে।

রুবি চা বানাবে কি না জিজ্ঞাসা করেছিল। কিন্তু প্রবাল তাকে বারণ করে।

গদি লাগানো একটা প্লাস্টিকের চেয়ারে প্রবাল বসেছিল। আর একটা চেয়ারে বসেছিল তন্ময় সামন্ত। রুবি বসেছিল সরু তক্তপোশের একটা কোনায়। তক্তপোশের চাদরটা ময়লা, দেখে মনে হয় বহুকাল সেটা কাচা হয়নি।

রুবির একবার হাই উঠল। বাম হাতের পিঠ দিয়ে সে হাইটা আড়াল করে।

প্রবাল বলল,

–রেখা দাশ আপনার কেমন বন্ধু ছিল?

রুবি কিছু যেন ভাবল। বলল,

–বন্ধু বলতে যা বোঝায় ওর সঙ্গে ঠিক তেমন সম্পর্ক ছিল না।
–তবে কেমন সম্পর্ক?
–আমরা দু-জেনেই একটা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কাজের সূত্রে যেমন কথা বলার দরকার হত তেমন কথাবার্তা হত। এর বেশি কিছু না!
–আপনার বাড়ি কোথায়?
–হুগলির আরামবাগের কাছে একটা গ্রামে।
–বাড়িতে কে কে আছে?
–বাবা নেই। মা-এক ভাই-তিন বোন। ভাই সবার ছোট।
–তা লেখাপড়া কতদূর?
–উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছি।
–আর পড়লেন না?
–না। বাবা জমিতে চাষের কাজ করত। সামর্থ্য ছিল না।
–এখানে কীভাবে পৌঁছালেন?
–একজনকে ভালবাসতাম। জানেন, তখন অনেক স্বপ্ন ছিল চোখে। ঘর হবে, সংসার হবে। একদিন তার সঙ্গে ঘর ছাড়লাম।
–তারপর?
–তারপরে আর কী? স্বপ্ন ভেঙে গেল। নোংরা বাস্তবটা দেখলাম।
–কীভাবে?
–সব জানতে চান? কী হবে জেনে?

তার গলার ভিতরে রাগ দুঃখ ইত্যাদির একটা অদ্ভুত মিশ্রণ শোনা যায়। গলাটা তার যেন ভারি হয়ে আসে। কী যেন সে ভাবে। প্রবাল অপেক্ষা করে। সময় দেয়।

রুবি কথা শুরু করে।

–প্রথমে সে আমাকে তার এক মাসির বড়ি বলে রাজারহাটের একটা ফ্ল্যাট বাড়িতে তোলে।

প্রবাল তাকে থামায়।

–সেই ফ্ল্যাট বাড়িটার ঠিকানা মনে আছে?
–না। ঠিকানা জানতামও না। একটা আন্ডার কনস্ট্রাকশন ফ্ল্যাট বাড়ি।
–তার পরে?
–সেখানে সে আর তার চার বন্ধু মিলে আমাকে ধর্ষণ করে। দিনের পর দিন। বোধহয় ছয়-সাত দিন হবে। শেষের দিকে আমার বোধহয় ভালো করে জ্ঞান ছিল না। সারাদিন আমি একটা ঘোরের মধ্যে থাকতাম। তারা কী যেন একটা ওষুধ খাওয়াত। আমি নেশার মতো পড়ে থাকতাম। কে কখন আমার শরীরে চেপে বসছে তা ঠিক বুঝতেই পারতাম না। তারপরে একদিন চোখ খুলে দেখলাম একটা প্রায় অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে একটা ময়লা বিছানায় আমি শুয়ে আছি। শরীরে কোনও পোশাক নেই। সারা শরীরে ব্যথা। কোমরে নীচে থেকে পা দুটো নাড়াতে পারছি না। ঘাড় ফিরিয়ে দেখলাম আমার ঘরে একটি লোক বসে মদ খাচ্ছে। তার কাছেই জানতে পারলাম সেই বেশ্যা-পল্লীতে আমি বিক্রি হয়ে গেছি।

রুবির গলাটা বুজে আসে, তার বুকের ভিতর থেকে একটা তীব্র বেদনার ভার যেন হেঁচকির মতো উঠে এসে তার গলার কাছে আটকে থাকে। দু-চোখ তার জলে ভরে আসে। বাম চোখ থেকে একফোঁটা তার গাল বেয়ে গড়িয়ে নামে। সেই এক বিন্দু অশ্রু মুছে নেবার কোনও অভিলাষ বোধ করে না সে।

প্রবাল তাকে সময় দেয়। অপেক্ষা করে।

অনেকদিন পরে, যেন বহু বছর পরে এমন একটু কান্না এল রুবির বুকের ভিতর। তার সমস্ত অশ্রুর প্রয়োজন যেন ফুরিয়ে গিয়েছিল। চোখের জলের সমস্ত প্রস্রবণকে সে তার বুকের ভিতর থেকে ছিঁড়ে উপড়ে ফেলে দিয়েছিল। আজ সেই সেই শুকিয়ে যাওয়া জলের উৎসমুখ যে কীভাবে খুলে গেল বুঝতে পারছে না রুবি। তবু অচিরেই সে নিজেকে সামলে নেয়। তার মুখের রেখায় আবার যেন এক পেশাদারিত্ব ফিরে আসে। একটু কেশে সে গলা পরিষ্কার করে নেয়।

প্রবাল বলে,

–আপনি সেই ‘তার’ নামটা বললেন না কিন্তু।
–কী হবে আর তার নাম জেনে?
–জানাটা দরকার।
–আমি তাকে অরুণ নামে চিনতাম। হয়ত সেটা তার আসল নাম নয়। দেখতে তাকে দারুণ সুন্দর। হ্যান্ড-সাম, ফর্সা। তার কাজ ছিল আমার মতো মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে, বিয়ের লোভ দেখিয়ে আমার মতো অবস্থায় নামিয়ে আনা।

রুবি একটু থামল। প্রবাল কিছু বলল না অপেক্ষা করল। একটু জল গলায় ঢেলে রুবি আবার শুরু করে।

–একবার কী হল জানেন? আমি তখন ওই অবস্থায় আছি। কতবার পালিয়ে যাবার কথা ভেবেছি। কিন্তু পালিয়ে যাবার সামর্থ্য ছিল না। সারাদিন ওরা আমাকে নেশা করিয়ে রাখত। কাপড়জামা পরতে দিত না। ঘরে তালাচাবি দিয়ে রাখত। কতবার মরে যাবার কথা ভেবেছি। কিন্তু কীভাবে মরব? মরতে ভয়ও পেতাম বোধহয়। একদিন আমার মতোই একজন মরে গেল। অরুণ আর অঞ্জলিমাসি আমার ঘরে আসত, তারাই বলাবলি করছিল। মেয়েটা নাকি অবস্থাপন্ন ভদ্র ঘরের ছিল। অরুণ তাকে সিনেমায় নামাবার লোভ দেখিয়ে একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, তারপরে দু-জনে মিলে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে এসে আমাকে যে ঘরে বন্ধ করে রেখেছিল তারই পাশের কোনও এক ঘরে এনে তুলেছিল। কিন্তু মেয়েটা নাকি মরে যায়। এদের অত্যাচারে না আত্মহত্যা করেছিল তা ঠিক জানি না। তাকে তারা বাইরে কোথাও অনেক টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেবার মতলব করেছিল। মেয়েটা মরে যেতে অনেক টাকা নাকি লস হয়ে গিয়েছিল তাদের। অরুণ বলছিল। শুনেছিলাম মেয়েটা নায়িকার মতো সুন্দর ছিল। সেই শোকেই হয়ত ক-দিন আমার উপর খুব ঝড় গিয়েছিল। আমার ঘরে লোক ঢোকাবার সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছিল।

প্রবাল বলল,

–সামন্তবাবু, এর কোনও পুলিশ কেসে হয়নি?

সামন্ত কিছু বলার আগেই রুবি বলল,

–কিছু মনে করবেন না সাহেব, পুলিশের সঙ্গে এদের যোগসাজশ ছিল। মাসে মাসে মোটা টাকা পায় পুলিশ। এরা মেয়েটার লাশটাকে কোথাও পাচার করে দিয়েছিল।

প্রবাল সামন্তবাবুর দিকে কট মট করে তাকায়। রুবির সামনে বলে মুখে কিছু বলে না। সামন্তবাবু একটু যেন মুষড়ে পড়ে।

প্রবাল বলে,

–এটা কতদিন আগের কথা?
–আমি তখন মাসখানেক বোধহয় ওইভাবে আছি। তা আজ থেকে প্রায় বছর দুই আগের কথা হবে।
–তুমি উদ্ধার পেলে কতদিন আগে?
–মেয়েটা মারা যাবার আরও মাসখানেক পরে হবে বোধহয়, কালীঘাটের বেশ্যা-পাড়ায় একটা খুন নিয়ে খুব হইচই হয়। জানেন নিশ্চয়ই!

কথাটা যেন ভাসিয়ে দিয়ে সে অপেক্ষা করে। প্রবালের মনে পড়ে, হ্যাঁ, বছর দেড়েক আগে একটা খুন হয় কালীঘাটের রেড-লাইটেড এরিয়ায়। কে খুন হয়েছিল সেই নিয়ে তেমন আলোচনা ছিল না। আলোচ্য বিষয় ছিল খুনের ধরন।

প্রবাল সামন্তবাবুর দিকে ফিরে বলে,

–সামন্তবাবু মনে পড়ে?

সামন্তবাবু ঘাড় নাড়ে। বলে,

–হ্যাঁ। কি বীভৎস ব্যাপারস্যাপার ছিল। আগেকার দিনে যেমন শূলে চড়িয়ে শাস্তি দেওয়া হত তেমন করে চেয়ারে গাঁথা একটা লম্বা শলাকার উপর একটা লোককে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাতদুটো ছিল চেয়ারের পিছনে বাঁধা। হাতের চেটো দুটো কেটে নেওয়া হয়েছিল। জিভটা টেনে ছিঁড়ে নিয়ে চোখ দুটো যেন নখ দিয়ে খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছিল। সে এক বীভৎস দৃশ্য স্যার। আমি সে ছবি দেখেছিলাম থানায়। কী যেন নামটা ছিল, মনে পড়ছে না এখন।

রুবি বলল,

–ওটা অরুণ ছিল।

সামন্ত বলল,

–আমি যেন অন্য নাম শুনেছিলাম।

–তার তো একটা নাম ছিল না! অনেক নাম ছিল। এই ঘটনার পরে পুলিশ আসে। অঞ্জলিমাসি বোধহয় পালিয়ে গিয়েছিল। ধরা পড়েনি। পুলিশ বাড়িটা সিল করে দেয়। সেখানে আমি ছাড়াও আর দুটো মেয়ে ছিল। একটা তো ছিল বেশ ছোট। আমাদের তিনজনকে পুলিশ একটা হোমে পাঠিয়ে দেয়।

–রেখা দাশ কি সেই হোমে থাকত?

–না। রুচিরাদিদিরা আমাদের হোমে এসে মেয়েদের বিভিন্ন হাতের কাজ শেখাত। তার পরে মেয়েরা কাজ টাজ শিখলে তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াবার ব্যবস্থা করে ‘আবাদ’। রুচিরাদিদির সঙ্গে রেখাদিদি আমাদের হোমে এসেছিল দু-একবার। সেখানে পরিচয়। তারপরে ‘আবাদ’-এর কাজেকারবারে কথাবর্তা হত আমাদের। রেখাদি এমনিতে ভালো ছিল। বিপদে আপদে পাশে থকত সবার।

প্রবাল বলল,

–রেখার কোনও প্রেমিক ছিল?
–আমি তো সেরকম কিছু শুনিনি। তবে ইদানীং ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ একটু কম ছিল।
–আপনার সঙ্গে কি ‘আবাদ’-এর যোগাযোগ কমেছে?
–না না, তা কেন কমবে! আমি কালীঘাটের দিকের বিষয় দেখতাম আর রেখাদি দেখত টালিগঞ্জের দিককার, ফলে আমাদের যোগাযোগ একটু কম হত।
–তার বন্ধুবান্ধব কারা কারা ছিল জানেন?
–সহদেব আর পল্লব, এদের দু জনের সঙ্গে রেখাদিদির ভালো বন্ধুত্ব ছিল।
–তারা কোথায় থাকে?
–তারা দু-জনেই স্টুডিওপাড়ায় টেকনিশিয়ানের কাজ করে।
–আপনিও তো স্টুডিওপাড়ায় ক্যাটারিং সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন। আপনাদের সঙ্গেও নিশ্চয়ই ওই পাড়ায় অনেকের যোগাযোগ আছে?
–আমারা যাই খাবারদাবার দিয়ে চলে আসি। আমরা আদার ব্যাপারী, জাহাজের খবর রাখি না সাহেব।

প্রবালের মনে হল সে কিছু এড়িয়ে যাচ্ছে। সে বলল,

–রাহুল বৈদ্যকে জানতেন?
–দেখেছি। আসতেন। উনি ভিআইপি মানুষ। আমরা কি ওঁদের কাছে ঘেঁষতে পারি!
–তবু ওর সম্পর্কে কথাবার্তা তো শুনেছেন?
–খুব দাপট ছিল। উনি ‘হ্যাঁ’ বললে তবে কেউ কাজ পেত।
–আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও ওঁকে বলতে হয়েছিল?
–আমার কাজের ব্যবস্থা তো রুচিরাদিদি করে দিয়েছিলেন। রুচিরাদিদির অনেক ওপরমহলে জানাশোনা।
–তার মানে বলতে চাইছেন আপনার কাজের ব্যাপারে ওনাকে বলতে হয়নি?
–আমি ঠিক জানি না!
–নাকি বলতে চাইছেন না?
–বলতে চাইব না কেন সাহেব?

রুবির ফোনটা বেজে উঠল তখনি। ফোনটা হাতে নিয়ে সে দেখল। তার ভ্রূ কুঁচকে গেল। সে ফোনটা ধরল না। সাইলেন্ট করে হাতের মধ্যে ধরে থাকল।

–ক্যাটারিং-এর কাজ আর ‘আবাদ’-এর কাজ ছাড়াও অন্য কাজ করেন?

রুবি ঘাড় নাড়ল। মুখ বলল,

–এই করেই সময় পাই না সাহেব!
–তাই!

প্রবাল তাকে চমকে দেবার জন্য যেন আচমকা প্রশ্ন করল,

–রুবি আপনার আসল নাম নয় তাই না?

রুবি অবাক হয়ে যায়, এমন ভাবে তাকিয়ে থাকে এক মুহূর্ত। মৃদু গলায় বলে,

–না।
–আসল নাম কী?
–নমিতা বারুই।

প্রবাল উঠে পড়ে।

রুবির চোখে চোখ রেখে বলে, আপনি কিন্তু সব কথা ঠিক ঠিক বললেন না! বললে হয়ত ভালো করতেন। আপনারই হয়তো ভালো হত।

রুবি তার দিকে তাকিয়ে থাকে।

প্রবাল নিজের একটা কার্ড রুবিকে দেয়। বলে,

–রুবি, একটু ভাবুন। কার্ডে আমার নাম্বার আছে। যদি মনে করেন, মন খুলে সব কথা আমাকে বলতে পারেন। আমি কিন্তু পুলিশের লোক নই।

রুবি নীরবে বসে থাকে।

প্রবাল বাইরে বেরিয়ে এসে সামন্তকে বলে,

রুবির ফোনে আড়ি পাতার ব্যবস্থা করুন আর ওর পিছনে চর লাগিয়ে দিন। কোথায় যায়, কার সঙ্গে দেখা করে, কার সঙ্গে কথা বলে, সব আমার জানা চাই।

–আপনি কি স্যার রুবিকে সন্দেহ করছেন?

প্রবাল এই কথার সরাসরি উত্তর দিল না। বলল,

–রুবি আরও কিছু জানে। ওর ভিতর থেকে কথা বার করতে হবে। অবশ্য ও হয়ত নিজেই জানে না ও ঠিক কী জানে।

সামন্তর কাছে কথাটা হেঁয়ালির মতো মনে হল।

গলি পথে হাঁটতে হাটতে তাদের কথা হচ্ছিল।

প্রবাল বলল,

–রেখা দাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখেছেন?
–না, স্যার দেখা হয়নি।
–রেখা দাশের সারা শরীরে অজস্র মশা, কীটপতঙ্গের ক্ষত। এমনকি মুখের ভিতরে পেটের ভিতরেও মৃত কীটপতঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। শেষে তার মৃত্যু হয়েছে একাধিক কাঁকড়া বিছে আর সাপের কামড়ে। তাকে হাত পা বেঁধে এই সব বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। অসহ্য কষ্টের ভিতর দিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

সামন্ত টাগরায় একটা অদ্ভুত শব্দ করে। যেন তার গলার ভিতরে কিছু আটকে গিয়েছে। বলে,

–এমন করে হত্যা করার কারণ কী স্যার?
–সেটাই আমাদের খুঁজে বার করতে হবে সামন্তবাবু। আমি যেন এবার একটা প্যাটার্ন দেখতে পাচ্ছি। খুব দ্রুত আমাদের এর কারণ বার করতে হবে। কারণ খুনি এখনি থামবে না। দ্য কিলার উইল স্ট্রাইক এগেন।
–এর পরে কে স্যার? কিছু ভাবছেন?

প্রবাল এই কথার কোনও উত্তর দিল না। সে যেন সামন্তবাবুর প্রশ্নটা শুনতে পায়নি।

 

এরপর আগামী সংখ্যায়