সত্যব্রত ঘোষ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, মানুষের দারিদ্র ঘোচানো এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি— নাম তিনটি হলেও এগুলি আসলে একটাই লক্ষ্য। সভ্যতার গোড়া থেকেই মানুষ যা অর্জন করতে চেয়েছে। এদের মধ্যে একটিও যদি সম্ভব হত, বাকি দুটিরও সমাধানে সময় লাগত না। কিন্তু ধাঁধা যে ক্রমে জটিল থেকে জটিলতর দিকে গেছে, তার অন্যতম কারণ এদের মধ্যে যোগসূত্রটিকে বারবার অমান্য করেছে ক্ষমতাবানরা। সার্বিক উন্নতির জন্য নয়, লড়াইটা এখন মানুষদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের, যেখানে রাষ্ট্রশক্তিও ‘উন্নয়ন’-এর স্বার্থে প্রবল পরাক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাঁদেরই উপর যাঁরা স্বাভাবিক জীবনছন্দকে আরামসর্বস্ব যান্ত্রিক আধুনিকতার চেয়ে ঢের বেশি গুরুত্ব দেন।
মুম্বাই শহরের গোরেগাঁও ইস্ট অঞ্চলের অ্যারে মিল্ক কলোনিতে সম্প্রতি বৃক্ষনিধন পর্বটি চলেছিল পুলিশের কড়া পাহারাতে। এবং মুম্বাই হাইকোর্টের নির্দেশে। গত শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাজোগ এবং বিচারপতি ভারতী ডাংরে ‘বনশক্তি’ সংস্থার স্টালিন দয়ানন্দের ২০১৫ সালের আবেদন এবং ২০১৭ সালে করা অমৃতা ভট্টাচার্যের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দেন অ্যারে মিল্ক কলোনিকে আইনগতভাবে ‘অরণ্য’ বলে নির্ধারিত করা যাবে না। অথচ জিশান এ মির্জা এবং রাজেশ সনপ নামে দুই গবেষকের জীববৈচিত্র নিয়ে করা একটি রিপোর্ট (“Biodiversity of Aarey Milk Colony and Film City”) থেকে আমরা জানতে পারছি ঐ অঞ্চলে ৮৬টি প্রজাতির প্রজাপতি, ৪৬টি প্রজাতির মাকড়সা, ৪৬টি প্রজাতির সরীসৃপ, ৩৪টি প্রজাতির বন্যফুল এবং নয়টি লেপার্ড বসবাস করে। অ্যারে অঞ্চলটিকে ফ্লাডপ্লেন হিসেবে গণ্য করবার জন্য পরিবেশকর্মী জোরু বাঠেনার আবেদনটিকেও হাইকোর্ট একই সঙ্গে নামঞ্জুর করে দেয়।
১৯৪৯ সালে পরিকল্পিত যে মিল্ক কলোনিটি ১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু উদ্বোধন করেন, মুম্বাইয়ের সেই অ্যারে অঞ্চলটিতে আগ্রাসনের ফলে ক্রমশ তার জীববৈচিত্রের ভাণ্ডারে টান পড়ে। ১৯৭৭ সালে ফিল্ম সিটি, তারপরে চিড়িয়াখানা এবং এখন নির্মীয়মাণ মুম্বাই মেট্রোর ধ্বংসলীলার পর শহর দখল করবে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক প্রকৃতি। যে কোনও মূল্যে গাছ কাটতেই হবে। সঞ্জয় গান্ধি জাতীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হওয়ার সুবাদে অরণ্য হিসেবে যতটুকু স্বীকৃতি অ্যারে কলোনির ভাগ্যে জুটেছিল, আইন আর প্রশাসনের সাহায্যে তাও কেড়ে নিতে হবে। মুম্বাই মেট্রোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী ভিড়ের বক্তব্য: “মাঝে মাঝে এমন সময়ও আসে যখন নতুন কিছু বানাবার জন্য পুরানো যা কিছু আছে তা ধ্বংস করাটা অবশ্যম্ভাবী। নতুন জীবন আর নতুন সৃষ্টির জন্য রাস্তা ছেড়ে দিতে হয়।” এই নতুন জীবন ও সৃষ্টি হল মুম্বাই মেট্রোর তিন নম্বর লাইন এবং ৩৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে মেট্রো কারশেড। তাই যারা গাছ কাটতে বাধা দেবে, পুলিশ তাঁদের ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করবার অপরাধে গ্রেপ্তার করে আটকে রাখবে হাজতে।
মুম্বাইয়ে সবুজ বলতে যতটুকু অবশিষ্ট আছে, অ্যারে কলোনি তাদের অন্যতম। ১,২৮৭ হেক্টর এলাকা জুড়ে প্রায় তিন লাখ গাছ আর আদিবাসীদের ২৭টি গ্রাম দিয়ে ঘেরা অঞ্চলটির জন্যে যে #AareyChipko, #SaveAarey নামে অনলাইন আন্দোলনগুলি ভারত তথা সারা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে, তাকে অশ্বিনী ভিড়েরা ‘উন্নয়নবিরোধী’ আখ্যা দিয়েছে বটে, কিন্তু স্থানীয় মানুষদের একটি সুস্থ প্রকৃতিসংলগ্ন জীবনের অধিকারের জন্য পাশে প্রশাসন এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র দাঁড়াবে, না নাগরিক উন্নয়নের নামে স্বেচ্ছাচার চালিয়ে যাবে— তা এই লড়াই পরবর্তী দিনগুলিতে স্থির করবে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি জমিটির মালিকানা যেহেতু রাজ্য সরকারের ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড-এর হাতে আছে, তাই মুম্বাইবাসীকে এই মেট্রো লাইন বানাবার জন্য কোনও অতিরিক্ত মূল্য বহন করতে হবে না। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কোলাবা-SEEPZ লাইনের অন্তিম স্টেশন হিসেবে অ্যারে থেকে মেট্রো পরিষেবা সুষ্ঠভাবে চালানো সম্ভব। এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মেট্রো কর্মীরা বিকল্প পথ ব্যবহার করে ডিপোতে দ্রুত পৌঁছাতে পারবেন। অন্যদিকে, পরিবেশকর্মীদের দাবি মেট্রোর ডিপো SEEPZ-এর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে কাঞ্জুমার্গে হোক। এর জবাবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানান জায়গাটির মালিকানা নিয়ে সমস্যা আছে। পরে মুম্বাই হাইকোর্টে কেস চলাকালীন সরকার পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, কাঞ্জুমার্গে অন্য একটি মেট্রো লাইনের ডিপো বানানো হবে।
রেল কারশেডকে ‘রেড ক্যাটাগরি ইন্ডাস্ট্রি’ বলে চিহ্নিত করা হয় কারণ এখানে ব্যাপক পরিমাণ তেল, গ্রিশ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের আবর্জনা, অ্যাসিড এবং রং-এর মতো বিপজ্জনক উপাদান যথেচ্ছভাবে ব্যবহৃত হয়। মুম্বাই মেট্রো কারশেড চালু হলে সেখান থেকে যে দুষিত জল নির্গত হয়ে মিঠি নদীতে মিশবে, তা অ্যারে কলোনি এলাকার ভূগর্ভস্থ জলের স্তরকে মাত্রাতিরিক্তভাবে বিষাক্ত করে দেবে। মেট্রোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দূষণ আটকাতে তাঁরা আধুনিকতম ব্যবস্থা নেবেন। কার্যক্ষেত্রে তার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। এই সূত্রে বলা প্রয়োজন ভারতের কোনও নদীর ধারে রেড ক্যাটাগরির কোনও কারখানা স্থাপনে যে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল, তা ২০১৫ সালে তুলে নেওয়া হয়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ এও প্রতিশ্রুতি দেন যে কারশেড তৈরির পর এলাকাটিতে নতুন করে বৃক্ষরোপণ কার্যসূচি নেওয়া হবে। কিন্তু মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বোটানি বিভাগের প্রধান ডঃ রাজেন্দ্র শিন্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী এই অঞ্চলের ৮৭ প্রজাতির গাছের মধ্যে ৩৬টি প্রজাতি দেশীয় (যার মধ্যে আছে ৫০২টি ধামন, ৪৪৫টি সেহমত, ৮২টি আম, ২১টি মহুয়া, ৮টি পলাশ, ৮টি তেন্ডু, ১টি টিক এবং ১টি বেহডা)। এছাড়াও ভিনদেশি বলতে ৫৫২টি সুবাবুল, ১৬৯টি রেন ট্রি এবং ২৬টি গুলমোহর গাছও সামিল।
মুম্বাই মেট্রোর বক্তব্য মাত্র সাতদিন মেট্রো চললে যে পরিমাণ কার্বন বাতাসে ছড়িয়ে যাওয়াকে আটকায়, তা ২৭০০ গাছ মিলে গোটা একটি বছর ধরে শোষণ করে। এই যুক্তিতে মেট্রো রেল চালানোর যে বিজ্ঞাপনচিন্তা প্রকাশ পায়, তা পরিবেশগত দিক থেকে দেখলে অমানবিকও বটে।
বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা জারি করে গত শুক্রবার থেকে যখন নির্বিচারে বৃক্ষনিধন পর্ব চলছিল, তখন ঋষভ রঞ্জন নামে গ্রেটার নয়ডাবাসী এক আইনের ছাত্র সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করে একটি চিঠি লেখেন। একুশ বছর বয়সী এই আবেদনকারী সেই চিঠিতে লেখেন মুম্বাই মেট্রো যদি অ্যারে কলোনিতেই কারশেড বানায় তাহলে সেখান থেকে নির্গত বর্জ্য পদার্থে অচিরেই মিঠি নদী ও তার শাখা প্রশাখার প্রবাহ রুদ্ধ হবে। তাতে মুম্বাই শহরটাই বন্যাপ্রবণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। চিঠিটিকে সুপ্রিম কোর্ট একটি জনস্বার্থ মামলার আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে তৎকালীন ভিত্তিতে একটি বিশেষ ভ্যাকেশন বেঞ্চ গঠন করেছে। বেঞ্চটির বিচারপতিদ্বয় অরুণ মিশ্র এবং অশোক ভূষণ গত সোমবার, ৬ই অক্টোবর নির্দেশ দেন আগামী ২১শে অক্টোবর মামলাটির শুনানি হবে। এবং ততদিন অবধি বৃক্ষনিধন পর্ব স্থগিত থাকবে। ঐ দিনই মহারাষ্ট্রে বিধানসভার নির্বাচন। শুধুমাত্র অ্যারে অঞ্চলই নয়, মুম্বাই এবং সংলগ্ন এলাকায় শিবসেনা সহ অন্যান্য দলের ভোটপ্রার্থীরা যাতে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই হয়তো বা এই বিশেষ তারিখটি নির্ধারিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সদিচ্ছাকে অভিবাদন জানিয়েও বলতে হয় এই বিবাদের সুষ্ঠ নিষ্পত্তি ঘটানোর জন্য উন্নয়ন সংক্রান্ত নীতিগুলির কার্যায়নে স্থানীয় পরিবেশকে গুরুত্ব দেওয়ার মানসিকতার কিছুই আর বর্তমান ভারত সরকারের মধ্যে অবশিষ্ট নেই।
পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা এই প্রসঙ্গে যা বলছেন তা প্রণিধানযোগ্য: “উন্নয়ন এবং পরিবেশকে বরাবর পরস্পরের সঙ্গে লড়তেই দেখে এসেছি আমরা। কিন্তু এদের মধ্যে যে দ্বন্দ্বটি আছে বলে আমরা মনে করি, তা আসলে আমাদের উন্নয়নের বিশেষ মডেলটির মধ্যেই নিহিত। এমনও তো হতে পারত, যে গাছগুলি না কেটে আমরা গাছগুলির পাশেই মেট্রোর কারশেড আর লাইন বানাতাম। তাহলে হয়তো এই বিতর্কটি উঠত না। স্বাচ্ছন্দ বৃদ্ধি আর চলমানতার অধিকার গুরুত্বপূর্ণ সন্দেহ নেই, কিন্তু তা কোনওভাবেই জীবনের অধিকারে চেয়ে বড় নয়। মুম্বাইতে মেট্রো রেল হোক আমরা সবাই চাই। কিন্তু জঙ্গল কেটে তার নির্মাণ হোক, এমনটা চাই না। ভাবুন তো, মুম্বাইতে দ্রুতগামী মেট্রো যাতায়াত করছে, অথচ প্রতিটি শিশু শ্বাসকষ্টে ভুগছে— পরিস্থিতি যদি এমন চরম দিকে যায়, তাহলে মেট্রো হয়ে মুম্বাইয়ের কী সুবিধা হল? মানুষের প্রাণের মূল্যে মেট্রো রেল কে চায়?”
কুশলকান্ত মিশ্র নামে এক পরিবেশ কর্মী এই বিষয়ে সচেতন যে প্রতিটি মাস্টারপ্ল্যান ২৫ বছরের হিসেব ধরে বানানো হয়। সেক্ষেত্রে এতগুলি গাছগুলি কাটবার অনেক আগেই নতুন বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ উচিৎ ছিল। তাতে অন্তত পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকত। “এমনটা তো নয় যে আমরা উন্নয়ন চাইছি না। কিন্তু স্থানীয় পরিবেশটিও সেই উন্নয়নে সামিল হোক। যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে আমাদের সবাইকেই হয়তো আপস করতে হবে। ইতিমধ্যেই এ বছরে তিনবার মুম্বাইতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর উপর শুরু হয়েছে পানীয় জল আর নিশ্বাসের জন্য নির্মল বায়ুর অভাব। পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।”
মহারাষ্ট্র সরকারের ধূর্ততার সমালোচনা করেছেন বিমলেন্দু ঝা: “শুক্রবারে হাইকোর্টের নির্দেশটির সুবিধা নিয়ে গাছ কাটা শুরু হল। সপ্তাহান্তে দুটি ছুটির দিনে যে গাছগুলি কাটা হল, তা কিন্তু কেউ রোপণ করেননি। গত সাত-আট দশক ধরে সেই গাছগুলি প্রকৃতির স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই ওরা বড় হয়ে উঠছিল। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সাধারণ মানুষকেই সইতে হবে।”
অ্যারে কলোনির বিবাদ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর আশ্বাস দিচ্ছেন, “একটি কাটা গাছের পরিবর্তে পাঁচটি নতুন গাছ বসানো হবে।” যদি সেই প্রতিশ্রুতিকে সত্যি বলেও ধরে নেওয়া যায়, সেক্ষেত্রে গাছগুলি বড় হওয়ার সময়টিতে যে স্থানীয় পরিবেশে বর্তমানে যে অপূরণীয় ক্ষতি হবে, সেই দায় কে নেবে?
এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার ইথিয়োপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবিই আহমেদ পেলেন। তবে এই পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার ষোলো বছরের গ্রেটা থুনবার্গের তীক্ষ্ণ কথাগুলি ভারতের পরিবেশ মন্ত্রীর হৃদয়কেও বিদ্ধ করলে শুধু অ্যারে কলোনির অধিবাসী এবং পরিবেশকর্মীরাই নয়, ভারত তথা বিশ্ব নাগরিকের কিছুটা সুরাহা ঘটত: “শূন্যগর্ভ কথা দিয়ে আপনারা আমাদের স্বপ্নই নয়, শৈশবকেও চুরি করেছেন। মানুষরা মরছে। সমস্ত পরিবেশও মৃতপ্রায়। আমরা সবাই সমূলে ধ্বংস হওয়ার পথে। তবুও আপনারা টাকা আর আর্থিক উন্নতির রূপকথা আউড়ে চলেছেন। আপনাদের এমন স্পর্ধা হয় কোথা থেকে!”
আমরা জানি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো জাভরেকর এবং ওনার সমধর্মীরা নিশ্চয়ই নির্বিকার হয়ে আছেন এই ভেবে যে অবস্থাপন্ন ঘরের এক কিশোরী ‘উন্নয়ন’-এর যাবতীয় সুবিধা নিয়ে অসংলগ্ন বকছে। তবে কষ্টসহিষ্ণু সাধারণ মানুষরাও কিন্তু এখন আপনাদের এই প্রশ্ন করবার সাহসটি অর্জন করছে।