শতাব্দী দাশ
কলকাতার বসুশ্রী সিনেমা হলে প্রত্যয় জেন্ডার ট্রাস্টের আয়োজনে ঋতুপর্ণ ঘোষ স্মারক বক্তৃতা দিতে এসেছিলেন রবীশ কুমার৷ সাংবাদিকতার জন্য রমন ম্যাগসাইসাই পুরষ্কারে ভূষিত রবীশ এনডিটিভি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, একাধিক শো-এর সঞ্চালক, প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক। ‘প্রাইম টাইম’, ‘রবীস কে রিপোর্ট’ ইত্যাদি শো-তে তাঁর স্থিতধী বিশ্লেষণ আমরা দেখে ও শুনে থাকি। আন্তর্জাতিক ম্যাগসাইসাইতে ভূষিত হওয়ার আগে তিনি সাংবাদিক হিসাবে রামনাথ গোয়েঙ্কা এক্সেলেন্স ইন জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দুবার, পেয়েছেন গৌরী লঙ্কেশ স্মৃতি পুরস্কার। আবার ‘দ্য ফ্রি ভয়েস— ডেমোক্রেসি, কালচার্স অ্যান্ড দ্য নেশন’ বইয়ের লেখক রবীশ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের থেকে পেয়েছেন খুনের হুমকিও। এতদসত্ত্বেও, তাঁর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ থেকেছে যুক্তিনির্ভর, পরিশীলিত ও মার্জিত, যেমনটা একজন বুদ্ধিজীবীর থেকে প্রত্যাশিত। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা তাঁর চিঠিটি পড়লে, (PM Modi, Will I Lose My Job?) শেখা যায়, কত সুকৌশলীভাবে, বিনয় বা ছদ্ম-বিনয় বজায় রেখেও, বিরোধিতা করা যায়।
এই দুঃসময়ে রবীশ কুমারের আধঘণ্টার বক্তৃতা শোনা কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমার কাছে বক্তৃতাটির ফর্ম ও কন্টেন্ট, কী বলেছেন ও কীভাবে বলেছেন, উভয়ই প্রণিধানযোগ্য। সমাজমাধ্যমে অপভাষা প্রয়োগ ও বাচিক ভায়োলেন্সের মাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণ করার প্রবণতা এই অগ্নিগর্ভ সময়ে তীব্র৷ মূলত বিজেপি-পোষিত আইটি সেল ও বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এই ঘৃণা উদগীরণ করে থাকেন। কিন্তু বিরোধীরাও অনেক ক্ষেত্রে কম যান না৷ এই পরিবেশে রবীশের মাথা ঠান্ডা রেখে যুক্তিনিষ্ঠ কথা বলার ধরনটি সুস্থবুদ্ধির সূচক।
‘বিবেক কা আকাল’
গত ১৯শে অক্টোবর, ২০১৯, কলকাতার বসুশ্রী হলে যে বাক্যবন্ধটি বারবার ধ্বনিত হয়েছে রবীশের কথায় তা হল, ‘বাংলার বিবেকের আকাল দেখা যাচ্ছে’, যাকে প্রকট করেছে অসম এনআরসি ও বাংলায় এনআরসি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা৷ বাঙালির মধ্যে থেকে যে প্রতিরোধ আশা করা গেছিল, তার দেখা মিলছে না৷ বরং দেখা যাচ্ছে পারস্পরিক সন্দেহ। যে সাম্প্রদায়িক বার্তা আজ ডিটেনশন ক্যাম্পের দেওয়ালে, তা বাঙালির বচনেও বাসা বেঁধেছে। কাল পর্যন্ত যে ছিল বন্ধু, প্রতিবেশী, আজ সন্দেহের চোখে তার দিকে তাকাচ্ছি, ভাবছি সে কি বৈধ ভারতীয়?
ইতিহাসের নানা শতকে ও দশকে সাবলীল বিচরণ করলেন রবীশ বক্তৃতা জুড়ে৷ আনলেন মহাত্মা গান্ধীর দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলনের উদাহরণ, যেখানে ইংরাজ শাসক এশীয় শ্রমিক ও কর্মীদের নতুন পরিচয়পত্র তৈরি করতে বলেছিল, যে পরিচয়পত্র বৈধতার প্রমাণ হিসেবে তাদের সর্বক্ষণ বহন করতে হবে। এই অবমাননার বিরুদ্ধে গান্ধি সত্যাগ্রহ করেন৷ গান্ধির উদাহরণ দিয়ে রবীশ বলেন, ‘আপনারা আজ এমন আচরণ করছেন, যেন আপনারা ইতিহাস পড়েননি।’ বলেন, আজ বেঁচে থাকলে গান্ধিজিকে দেখা যেত পথে, সাধারণ মানুষের মধ্যে, আন্দোলনে।
বাঙালির আবেগের আকর রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেই কি আর রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো যায়? রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের যে বহুত্বের কথা বলেছিলেন, আজ তা বিপন্ন। বেঁচে থাকলে তিনিও মুখর হতেন, বলতেন একস্বরের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা এই দেশের আদর্শের পরিপন্থী৷ যে বাংলা রবীন্দ্রনাথের, সে বাংলায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ কীভাবে বলে যান এনআরসির কথা আর বাঙালি চুপ করে শোনে? কীভাবে তিনি বলেন যে মুসলিম বাদে পাঁচটি ধর্মের মানুষের নাকি এনআরসি নিয়ে ভীত হওয়ার কারণ নেই? বিভাজনের রাজনীতি দেখেও যে বাঙালি চুপ থাকে, সে বাঙালি তাঁকে ব্যথিত করে বলে রবীশ বলেন। ‘বাঙালমে বিবেক কা আকাল হ্যায়’ তাই তাঁর কথায় বারবার ফিরে আসে।
রবীশ বিবেকানন্দর প্রসঙ্গও তোলেন। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক, দেখা গেল, একটি আধঘণ্টার বক্তৃতার জন্যও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে হোমওয়ার্ক করেন। নিজের নোট থেকে তিনি বিবেকানন্দর উদ্ধৃতি পড়ে শোনান, যেখানে বিবেকানন্দ, বাম মহলে বেশ নিন্দিত এক মনীষী, বলছেন সব ভারতবাসীকে বুকে টেনে নেওয়ার কথা৷ বিবেকানন্দও সেই হিন্দু ধর্মের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা প্রসারিত বাহু দিয়ে সব ধর্মকে, এমনকী বর্বরকেও গ্রহণ করে। তিনিও বর্বরের রেজিস্ট্রেশন করানোর বদলে তাকে আলিঙ্গন করতে বলেছিলেন, রবীশ বলেন। এই বিবেকানন্দও বহুত্ববাদী।
বিশদ পাঠে বিবেকানন্দর মধ্যে স্ববিরোধ খুঁজে পাওয়া মুশকিল নয়। এই বিবেকানন্দই আবার কোথাও হয়ত মুসলিম বিরোধী মন্তব্যও করেছেন৷ আরএসএস তাকে ‘অ্যাপ্রোপ্রিয়েট’-ও করেছে সেইসব উদ্ধৃতি খুঁজে। কিন্তু ক’জন বামমনস্ক ব্যক্তি সেই বিবেকানন্দরই রেফারেন্স খুঁজে দেখিয়েছেন যে তিনি অন্যরকম কথাও বলেছেন? অবশ্য বলা যেতে পারে, স্ববিরোধী একজন মানুষের কথা উদ্ধৃত করতেই বা হবে কেন? তিনি তো বাম আইকনও নন৷ উত্তর হল, অন্তত কৌশলগত কারণে তা করা দরকার ছিল। কারণ সংখ্যাগুরু হিন্দু জনগোষ্ঠীর কাছে বিবেকানন্দর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। তাঁর নিন্দার থেকে তাঁকে ঘিরে সদর্থক আলোচনাই শুনতে ভালো লাগে মানুষের। রবীশ দেখালেন, কী করে তা করতে হয়। দেখালেন, বিবেকানন্দকে বামেরাও অ্যাপ্রোপ্রিয়েট করতে পারত। করাটাই উচিত হত। নিজে বিবেকানন্দর যে বাণীটি উদ্ধৃত করেন, তা হাজার পোস্টকার্ড-এ লিখে অমিত শাহকে পাঠাতে উস্কে দেন তিনি হাসতে হাসতে৷
‘বঙ্গাল হাথ সে যা রহা হ্যায়??’
একস্বরের বিপরীতে বৈচিত্র্যের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার আর্জি তিনি বারবার জানান। তাঁর বক্তব্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়— সর্বত্রই একস্বরের প্রবক্তাদের খড়্গ নেমে আসছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, জ্ঞান এবং স্বাধীন চিন্তার পীঠস্থান। জ্ঞানকে ওরা ভয় পায়। অথচ বিজেপির আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির পিতা আশুতোষ মুখার্জির সংগ্রহে যে ৭০-৮০ হাজার বই ছিল, যা রাখতে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আলাদা কক্ষ বানাতে হয়েছে, তা হয়ত ওরা জানে না, রবীশ বলেন।
রবীশ সাবধান করেন, বহুস্বরের মৃত্যু ঘটতে দিলে এক অন্য বাংলা জন্মাবে। সেখানে আর কোনও বৌদ্ধিক চর্চা হবে না, কারণ বহুস্বর ও সৃজনশীলতা পরস্পরের পরিপূরক৷ সেখানে সবাই এক রাজার শেখানো এক বুলি আওড়াবে। রবীশ সাবধান করেন, ‘বঙ্গাল আপ কে হাথ সে যা রহা হ্যায়।’ রবীশ আহ্বান জানান, রাস্তায় আশু নামা হোক৷ সাধারণ মানুষকে বোঝানো হোক৷ পরস্পরকে বিশ্বাস করা হোক, আশ্বাস দেওয়া হোক। রবীশ বলেন, এ ‘পাবলিক’ তাঁর অচেনা। কারণ ‘পাবলিক’ নিজেকে ও প্রতিবেশীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়৷ এই সাড়হীন, নিরুদ্বিগ্ন জনতাকে জড়বৎ বলতে চাইলেন কি তিনি?
আপাতভাবে তাঁর সমালোচনায় বাঙালির আঁতে লাগতে পারে৷ কিন্তু একথা সত্য যে বাঙালি, এমনকী ইন্টালেকচুয়াল ও শিক্ষিত বাঙালির একাংশও এনআরসি-র অবশ্যম্ভাবিতা মেনে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অনেকে তাকে মঙ্গলজনকও মনে করেন। শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশি মুসলিম’ বাদ পড়বে, এই তত্ত্বে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। আবার যাঁরা তা বিশ্বাস করছেন না, যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিটি ধরে ফেলছেন, তাঁরাও তার পরে সঙ্ঘবদ্ধ হতে পারছেন কই? কিছু অনলাইন ফোরাম, ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন মিছিলের আয়োজনও চলছে। কিন্তু জনমানসকে নাড়া দেওয়ার মতো কোনও উদ্যোগ এখনও চোখে পড়েনি৷ অথচ সারা ভারতে যদি এনআরসি হয়, তাহলেও বাঙালিদের অন্যান্য গোষ্ঠীর চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷ ১৯৪৭ আর ১৯৭১ সাল এবং তার আগে-পরে এক বিরাট গণ-এক্সোডাসের সাক্ষী ও ভুক্তভোগী বাঙালি৷
‘নলেজ ইনইকুয়ালিটি’ ও কিছু প্রশ্ন
এই জড়ত্ব ও প্রশ্নহীনতার কারণও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন রবীশ৷ তাঁর মতে জ্ঞানের বৈষম্যই এর কারণ। যাদবপুর (বা প্রেসিডেন্সির) রাজনৈতিক বোধ দিয়ে সারা দেশের যুবসম্প্রদায়কে বিচার করা যায় না৷ রবীশ বলেন, আমরা বাঁকুড়া, মুজফফরপুর বা মতিহারির যুবসম্প্রদায়কে নিয়ে ভাবিত নই। তারা এমন ‘উচ্চশিক্ষা’-ব্যবস্থার শিকার, যেখানে শুধু মানে-বই ও নোট গেলানো হয়। আর সেই মানে-বই-এর ভাষাতেই কথা বলে আইটি সেল, রবীশের ভাষায় ‘হোয়াটস্যাপ ইউনিভার্সিটি’। নিজেই মতিহারির মানুষ রবীশ মনে করেন, বই-এর বদলে নোট গেলার অভ্যেস যাদের করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা সহজেই আটকা পড়বে বিজেপির ভুল, মিথ্যা, অনৈতিহাসিক তথ্যের জালে। কারণ সত্য খোঁজার চেষ্টা তারা হারিয়েছে। আর এই কর্মকাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্য— অনুগত দেশবাসী তৈরি করা। ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়, নেতার ভাষণ, টিভি চ্যানেল— সর্বত্র একই স্বরের নির্মাণ হচ্ছে’ রবীশের আক্ষেপ।
এই জায়গায় এসে এক প্রশ্ন জাগে। ফেসবুকে নিজের থেকে কম জ্ঞানী মানুষকে আক্রমণ করতে পারলে তো খুশিই হন সাধারণ বামমনস্ক, এনআরসি-বিরোধী মানুষজন, যাঁরা ছিলেন রবীশের শ্রোতা৷ তাঁরা ‘চাড্ডি’-দের বুদ্ধির দৈন্য নিয়ে বিদ্রুপ করতে ব্যস্ত থাকেন রোজ। নলেজ ইনইকুয়ালিটি তাঁদের গর্বের সম্পদ৷ সেও আরেকরকম ব্রাহ্মণ্যবাদ। আমরা জ্ঞান ভাগ করি না৷ পরিভাষা ছাড়া কথা বলি না৷ এবিভিপি-র যে ছেলেটি অ-পোক্ত স্লোগান দিচ্ছিল ‘জয় জয় মাতা’ বলে, সেই জেলাবাসী ছেলেকে নিয়ে ঠাট্টাতেই আমাদের বিপ্লবিয়ানা৷ আমরা কি সত্যি চাই জ্ঞানের সমবণ্টন? তাহলে আমাদের মেধাগত উচ্চম্মন্যতা বাঁচে কী করে?
রবীশ এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি
বিদ্যাসাগরের নাম অবশ্য উল্লেখ করেনননি রবীশ। আমি করি। বিদ্যাসাগর ভারতের প্রথম বিধবাবিবাহটি দেননি। প্রথম বিধবাবিবাহ নিজেই করেছিলেন ‘ইয়ং বেঙ্গলের’ দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, বর্ধমানের রাজার বিধবা বসন্তকুমারীকে৷ বিলের প্রসিডিংস-এর সময় ‘ইয়ং বেঙ্গল’ বারবার বলছিল, বিধবাবিবাহ একমাত্র রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে করার নির্দেশ দেওয়া হোক। কিন্তু বিদ্যাসাগর হিন্দুরীতি মেনে বিয়ে চাইছিলেন। ‘পরাশরসংহিতা’ থেকে শ্লোক খুঁজে আনলেন, তার বিধবাবিবাহ-মুখী ব্যাখ্যা করলেন৷ আলোকিতদের কারও কারও কাছে তাও এক ‘রিগ্রেসিভ’ কাজ। কিন্তু কেন এমন করলেন? আমার মনে হয় তিনি তা করেন, কারণ ‘ইয়ং বেঙ্গল’ যে সামাজিক স্তরে ওঠাবসা করে, সেখানে তারা বিধবাবিবাহ করে ফেলতেই পারে, আইনপ্রণয়ন ছাড়াই। দক্ষিণারঞ্জনের বিবাহ দ্বারা তা প্রমাণিতও।
বিদ্যাসাগর সাধারণ, দুঃস্থ বিধবাদের বিবাহ চাইছিলেন। আইনের গ্রহণযোগ্যতা চাইছিলেন৷ তাই তাদের বোধগম্য রীতিরেওয়াজ অনুসারে বিয়ে চাইছিলেন। তাদের বোধগম্য ভাষায় ‘কমিউনিকেট’ করতে চাইছিলেন। অ্যাকটিভিজমের এই জনমুখী দিকটার কথাই মনে হয় বলতে চাইছিলেন রবীশ কুমার। সেই দিকটি আমরা হারিয়ে ফেলেছি কি? ফেলে থাকলে, তার ফল আমাদের ভুগতে হবে বৈকি। জনবিচ্ছিন্ন আমরা নিস্তেজভাবে এনআরসি বা অন্য কোনও অতল খাদের দিকে এগিয়ে যাব৷
এবং কী আশ্চর্য! ‘জয় হিন্দ’, ‘ভারতমাতা কি জয়’ এবং ‘জনগণ মন অধিনায়ক’ নামক জাতীয় সঙ্গীতটি… তথাকথিত ‘বিপ্লবী’-র এই তিন সফট টার্গেটকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেই রবীশের বক্তব্য শেষ হল। তাঁর প্রতিরোধের ধার তাতে এতটুকু কমল না৷ আমরা কি শিখলাম কিছু?
এ কারণেই, রবীশ যা বললেন, আর যেভাবে তা বললেন— ফর্ম ও কন্টেন্ট— দুটি দিয়েই তিনি সমৃদ্ধ করলেন কলকাতার বৌদ্ধিক অভিজ্ঞতাকে।