হাইকু-সদৃশ কিছু লেখা
১
এত বদ্রিপাখি আমার খাঁচায়
জোড়ায় জোড়ায় তাদের খাঁচাভর্তি করে পাখির বাজারে যাই
শরণার্থী শিবিরের দিকে অন্ধকার নামে
২
আমি জানতাম তোমার কপালে কাটা দাগ
অথচ এ-প্রথম, কোটি কোটি বছরের পর দেখা হল
বিকেলের হাত ধরে কারা কারা পার্কে বেড়াতে এসেছে, দেখ
৩
নীল আলোর দূরতম তারা
ঘুমন্ত মানুষের মাথাও উপরে ঘন অন্ধকার
অনাদি স্বপ্ন, ঘড়ি-পরা কাটা একটি হাত
৪
ধান-খেতে শাদা বক
ফাঁদ পেতে বসে আছে ছেলেদের দল
হাঙরের দাঁতে হেঁটে চলেছেন জীবনানন্দ
৫
জিগস হাতে শিশু
তছনছ করে ফেলে সাজানো জ্যামিতি
একটি মাটির কলসি, জলে ডোববার আগে শেষ আর্তনাদ
৬
বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলের গল্প
সি-বিচে ক্ল্যান্ডিফ্লস, ক্ষত থেকে শুষে নেওয়া রক্ত
মাঝরাত্তিরে উঠে আসছে প্রত্ন শিলাকান্থ
৭
কমপিউটরে কুঁড়েঘর
এঁকে নির্ভার ঘুমাতে যাচ্ছে শিশু
মহাবিশ্বে হয়তো কোথাও ঘনিয়ে উঠছে বিশৃঙ্খলার আলতো ইশারা
৮
গুহার বাইরে লকলকে গম
অন্ন-অনিশ্চয়তা বেই বীজ, সেই ধানচারা
গৃহপালিত মানুষের মুখে ফুটে উঠছে গম-রঙ হাসি
৯
ঘুরে ঘুরে ঘাস খায় দড়ি-বাঁধা গরু
দড়ির বিস্তারে আঁকা তার ঘাসের অধিকার
সঙ্কেত-দেবতার হাসি ধীরে ফোটে শান্ত চরাচরে
১০
তাঁর মৃত্যুদৃশ্য তিনি লিখে রেখেছেন
এ ছাড়া এ-রহস্যগল্পে আর কোনও রহস্যও নেই
সারারাত তীব্র পাঠক গড়ে তোলে রহস্যকাহিনি