চারটি কবিতা
ফ্রেম
তারপর নদী
তারপর পাহাড় ও পাহাড়ের ওপর গ্রাম
একখণ্ড সবুজ কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো
ঝুলে আছে
থাক থাক হতাশার মতো কাগজ
আর কাটাকুটির মধ্যে
ওই ফ্রেম আমাদের একমাত্র জানলা
যার ফাঁক গলে আমরা সবাই
লুটোপুটি শৈশবের বালি
তছনছ করি আমাদের সমুদ্র
কাগজ নয় কেরোসিন নয়
ধুলো বা পড়ন্ত বিকেল নয়
ওই ফ্রেমে আমরা বাঁচি
ফ্রেম জীবনের মতো
উদরসাৎ করে আমাদের
মুগ্ধতা দাদা মুগ্ধতা!
চন্দ্রচর
চলো গোছাও
আমি খাবার নিয়ে বসব
সন্দেহ প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব
হতাশার ঝিকিমিকি দিয়ে
উদরপূর্তির সময় এখন আমার
যারা জল এনেছ বিষ মেশাও
যারা নুনের দলা করজোড়ে অঞ্জলি সাজাও
যারা ক্যামেরা এনেছ দূরে দাঁড়াও
খুব কাছে কেবল দুর্গন্ধ ছাড়া কিছু নেই
এর বেশি খুলতে পারব না
এর বেশি নামতে পারব না
মাটি থেকে ছাদের দূরত্ব অগাধ
তাতে চাঁদ কতটা কাছে আসে!
ঘোড়সওয়ার
কাদা ছেড়ে বেরুতে হবে
চোখে তুলে নিতে হবে
না ভাঙতে পারা বকুল
বহুদূর গড়িয়ে যাওয়া মীড়ের মতো পথ
নেমে আসবে তোমার গলা
আমি ছাড়া কেউ শুনতে না পায়
একটু একটু ছোঁব
একটু একটু গলে পড়ব
নিচে পেতে রাখা অন্ধকারে
কাদা না আদর
তুমি স্পর্শ করে বুঝতে পারবে না
বুঝতে পারবে না
কেমন ছোট হয়ে যাই
না ভাঙতে পারলে
বুঝতে পারবে না
কার রক্ত বেশি ঘন
কাল না আকাল!
ঘুম
যা দেখা যাচ্ছে
তার বেশি কিছু নেই
যা নেই তা-ই যন্ত্রণা
যার কিয়দংশ লেখা যায়
বাকিটা চুপ চিরকাল
হাসি থেকে হাসি
চটি থেকে মেঝেয়
এত মরা পালক
ঘরে আলো ফিরবে কত কল্প পরে
যা দেখা যাচ্ছে না
তোমায় স্বস্তি দেবে কীভাবে!