পাঁচটি কবিতা
সাঁকো
আমাদের ভুলে ভরা আত্মজীবনী থেকে
বেরিয়ে আসে
বাস্তুসাপ।
নির্জন ঘোড়ার সাথে হাসিমুখের সেলফি তুলি
শীত ও সাঁকোর ভেতর সং সেজে ঢুকে
পড়ি
ভুল বানানের সাইনবোর্ড ভরা এই শহর
প্রতিদিন আড়াল লিখি
পাখিদের সরে যেতে দেখি
কেউ কারও বিকল্প হতে পারে না
আমার বান্ধবীর ডাকনাম মাঘমাসের
শীত
আজকাল টেবিলে নামিয়ে রাখছি
গ্লাস
জার্নাল
দুরন্ত প্রেমিক হয়ে এই শহরে ফিরে আসি
আমাকে জড়িয়ে ধরে দিনশেষের রোদ
সাপের লেজে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আমার
প্রেমিকারা
আমাদের জীবন থেকে দু’চারজন হারিয়ে যায়
আমাদের জীবন আসলে ঘুঘুপাখির জীবন
শস্যের মাঠ ও মহাসড়কের মাঝখানের এক
নদীর জীবন
খুঁজে পাচ্ছি না আলপথ।
ঘনদাঁতের এক নারী বারবার ছায়া ফেলে গেলে
আমি খুব ভয়ভীতির কবিতা লিখতে শুরু
করি
সম্পর্ক
নৌকোর মাঝিকে একটু আগুন এগিয়ে দিতে
গিয়ে দেখি শীত
ঢুকছে।
তারপর আনারস ভরতি নৌকোগুলি দূরে সরে
গেল
সম্পর্ক তো আসলে ছাইয়ের মতো।
পালটে যাওয়া মানুষের জন্য পরমায়ু প্রার্থনা
করি
পুরনো চশমা পরে দাঁড়িয়ে থাকি গির্জার
সামনে
কবি ও ধানক্ষেত
ধানক্ষেতে চেয়ার পেতে বসেছেন তরুণ কবি
অদূরে হেমন্তের নদী, দুধসাদা রুমাল
আর এক মাইল ছায়ার পাশে তিন মাইল
রোদ
কবিকে ঘিরে ধরছে কতগুলো চতুর বেড়াল
পর্যাপ্ত ফড়িং ওড়ে এই দেশে
কবিকে গল্প শোনাতে আসে হাতিজোতদার
সেই গল্পে চুপ করে বসে থাকে খেজুরকাঁটা
রোদ সরে যাওয়া গাছের মাথায় অপরাহ্নের
ম্যাজিক
আমরা দেখতে পারছি দুলতে দুলতে
এগিয়ে আসা ভাদ্রমাস
আর হিল স্টেশনে দৌড়ে বেড়ানো জখম
বাঘ
ডায়েরি
পুঁটিমাছের চোখের দিকে আজকাল তাকাতেই
পারি না
মশারির ভেতর রোদ ঢুকলে
ব্যাকুলতা থেকে আমার সরে
আসা