Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

সে এক স্বর্গছেঁড়া গ্রাম : রহনপুর – দ্বিতীয় পর্ব

আহমেদ-খান হীরক 

প্রথম পর্ব এখানে

 

সামু পাগলা ও অন্যান্য

নাকের নিচে পেন্সিলে আঁকা দুর্বাঘাসের মতো গোঁফ নিয়ে তখন বেহদ টেনশনে আছি। এই গোঁফ লইয়া আমি কী করিব? গোঁফ ক্রমশই ঘন হচ্ছে এবং আমার রক্তহীন ফ্যাকাশে ফরসা মুখে তা অত্যন্ত বাজেভাবে কটকটে হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই লুকিয়ে লুকিয়ে আয়না দেখি। আমি চাই না আমার নাকের নিচের এই জায়গাটা এরকম অসম্ভব বাজে দেখাক।

তাই সমাধান কেচি।

ফলে সেজো ভাইয়ের পাতা কাটা কেচি দিয়ে একটা চেষ্টা করি আমি। জিরিজিরি করে কাটার চেষ্টা করতে গিয়ে অপক্ক হাতে দুর্বাঘাস কাটলাম খাবলা খাবলা করে। কোথাও আছে কোথাও নাই। নিজের দিকে তাকিয়ে শোকে আমার পাথর তো পাথর একেবারে বরফ হওয়ার দশা!

আরও কিছুক্ষণ কেচি চালিয়ে সেগুলো সাইজ করার চেষ্টা করলেও ফল হল উল্টো– গোঁফগুলো আরও বেসাইজ হয়ে পড়ল। কেচি ছেড়ে হাত অটোমেটিকালি চলে গেল নাকের নিচে। দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম। উদ্দেশ্য কোনও একটা স্যালুন।

রহনপুরের স্যালুনগুলো দৈন্যদশাই ছিল এতদিন পর্যন্ত। কিন্তু হঠাৎ করেই বাদশা ভাইয়ের কিছু একটা হয় আর তিনি তার ভাঙাচোরা স্যালুন প্রায় লহমায় পাল্টে দেন। ঝা চকচকে কাঁচ, ঘূর্ণি চেয়ার, ফোম, বৈদ্যুতিক বিজবিজ রেজর ইত্যাদি দিয়ে এমন একটা চেহারা দিলেন স্যালুনকে যে ভেতরে ঢুকতে আমাদের তখন ভয়ই লাগতে শুরু করে। মনে হয় এ স্যালন নহে নহে আমাদের তরে গো!

বাজারে পৌঁছালে দেখি সেই আমাদের তরে না হওয়া বাদশা স্যালনই খোলা আছে মাত্র। অন্যগুলো বন্ধ। অগত্যা গোঁফে হাত দিয়ে আমাকে সেদিকেই পা চালাতে হয়। কেননা যত দ্রুত সম্ভব আমার গোঁফ সাইজে নিয়ে আসতে হবে। না হলে এ মুখ আমি সোমাকে দেখাব কী করে!

এর মধ্যে বলে নিই সোমার সাথে স্কুলগোয়িং চোখাচোখি তখন কেবলই শুরু হয়েছে। ফলে এই ছ্যাড়াব্যাড়া গোঁফ, সকালবেলা ব্রিজের পাশে দাঁড়ানো, সোমার বৃত্তি পরীক্ষার কোচিং সবই আসলে একটা সুরেই বাঁধা। তাই যে করেই হোক নিজেকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতেই হবে! না হলে আক্ষরিক অর্থেই মুখ দেখানো যাবে না!

স্যালনে ঢুকতেই বিপত্তি কিন্তু। ঘূর্ণি চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে দেখি বসে আছে সামু… সামু পাগলা। তার মাথাভর্তি ময়লা-ধূলা-ঝাঁকড়া চুল। আর গালভর্তি এলোমেলো গোঁফদাড়ি। সামু রহনপুরের বিখ্যাত পাগল। কথা বলে না। মাঝে মাঝে ‘ইটাকিটা কি…ইটা’-এ ধরনের শব্দ করে। তাতে কী বোঝাতে চায় তার চেষ্টা রহনপুরবাসী কবেই জলাঞ্জলি দিয়েছে। কিন্তু এ এলাকায় পাগল হিসেবে সামু বেশ সম্ভ্রান্ত। তার চল আছে সবখানেই।

রহনপুরে নানান কিসিমেরই পাগলের আনোগোনা আছে। এত পাগল থাকার জায়গা হিসেবে রহনপুরকেই কেন বেছে নিয়েছে তার গবেষণা কেউ কোনও দিন করেনি। কিন্তু পরে আমার মনে হয়েছিল এটার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল আসলে রহনপুর রেলস্টেশন।

রহনপুর রেলস্টেশন ছিল শেষ স্টেশন। অর্থাৎ এখানে এসে ট্রেন একেবারেই থামত। কারণ এরপর কিছুটা গেলেই তো ইন্ডিয়া। আর ইন্ডিয়ার ওদিকে শেষ স্টেশন সিন্দাবাদ। কিন্তু সেদিকে যাত্রীবাহী ট্রেন আসে-যায় না; শুধু মাল আনা-নেয়া। ফলে আর কোথাও যাবার জায়গা থাকে না। পাগলদের তাই রহনপুরে নামতেই হয়। না নেমে উপায়ই বা কি! কারণ রহনপুর থেকে ট্রেন আবার আমনুরা, রাজশাহী, ঈশ্বরদি ইত্যাদির উদ্দেশে বের হত ঠিকই কিন্তু তার জন্য লাগত লম্বা সময়। হয়ত পাঁচ ঘণ্টা, চার ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা! পাগলেরা সেই ফিরতে ট্রেনে খুব কমই উঠত বোধহয়। রহনপুরের পাগলেরা তাই বেশিরভাগই ছিল রেলস্টেশনবাহিত!

এ ছিল পাগলদের পদার্পণের কারণ। কিন্তু পাগলেরা রহনপুরে থেকে যেত কেন? ফিরত না কেন?

কারণ বোধহয় এই যে রহনপুর লাল মাটির বরেন্দ্র এলাকার হলেও এখানকার মানুষেরা আমুদে, বোকাসোকা, ভোজনপ্রিয়, হাস্যমুখী ও রহমদিল ছিলেন; ধারণা করি এখনও বোধহয় তাই আছেন।

বাজারের মধ্যেই তো ছিল আমাদের বেড়ে ওঠা! সকালে হেলতে-দুলতে এসে দোকানিরা বাজারের দোকান খুলতেন। তারপর চা-য়ের দোকানে গিয়ে চা খেয়ে, ধূমপায়ীরা সিগারেট খেয়ে, আবার দোকানে ফিরতেন। দোকানে বেশি ভিড় হয়ে গেলে এমনকি বিরক্তও হতেন। দোকানি দোকানি কম্পিটিশন থাকলেও কখনও তা বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে যেত না। বরং আকাশে একটু মেঘ উঠলে দোকান বন্ধ করে দোকানিরা অসময়ে হয় বাড়িতে ছুটতেন না হয় চার-পাঁচটা দোকানি মিলে পিকনিকের আয়োজন করতেন। তাতে গরুর মাংস, তাতে খাসির মাংস, তাতে মুরগি, তাতে পোলাও, তাতে খিচুড়ি। এসব আলটপকা বিনোদন ছাড়াও তাদের নিয়মিত বিনোদন ছিল বৈকালিক খেলাধূলা। দুপুরে একটা ভাতঘুম দেয়ার পর, রোদটা পশ্চিমে মিলিয়ে যেতে ধরলে রহনপুরের দোকানিরা আবারও হেলতে-দুলতে এসে দোকান খুলতেন। কিন্তু এবেলা কর্মস্পৃহা তাদের আরও কম। তাদের মন তখন হয় দাবায় না হয় ক্যারামে। একেকটা দাবার আসরে দুই জন খেলোয়াড় কিন্তু তাদের ঘিরে কমপক্ষে দশজন মানুষ। তাদের প্রত্যেকে কোনও না কোনও প্লেয়ারকে সাপোর্ট করছেন। আমরা বলতাম দালালি করছেন। এবং খেলার চাল নিয়ে তাদের উৎসাহ, উদ্দীপনা আর চিল-চিৎকার খেলোয়াড়দের থেকে সবসময়ই বেশি। আমার মনে হত খেলোয়াড়েরা বরং বেশ একটা বিপদে পড়ে যেত খেলতে বসে। কেননা কোনও একটা ভুল চাল দিয়ে বসলে সমর্থক প্রায় ধমকে উঠতেন। বলতেন, এমন একটা চাল ক্যান দিলেন ভাই, অ্যা? একবারও ভাবেন নাই নাকি! কী করলেন! কবে থেইকা খেলা শিখছেন মিয়া ইত্যাদি!

অন্যদিকে ক্যারামে চার জন প্লেয়ার। কিন্তু ওই দালাল ও দর্শক প্রায় বিশ-তিরিশ। তারা এমনভাবে ক্যারাম ঘিরে থাকতেন যে কে প্লেয়ার কে দর্শক বাইরে থেকে বোঝাই যেত না। ক্যারাম চলছে চা চলছে চপ চলছে… আর ধুমসে গালাগালি চলছে…

তো এরকম খাইদাইমুখর আমুদে জায়গায় পাগলেরাও যে ঠাঁই পাবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেই স্বাভাবিকত্বেই সামু পাগলা বাদশা সেলুনের দামি চেয়ারে পা তুলে আঙুলের ফাঁকে সস্তা সিগারেট ঘুরাতে ঘুরাতে আমার দিকে গম্ভীরভাবে তাকিয়ে আছে।

বাদশা ভাই তখনই ঢোকেন।

–কী কইরবা?

আমি নাকের নিচ থেকে হাত সরাই। বাদশা ভাই যা বোঝার বুঝে ফেলেন। হেসেও দেন। বলেন, ধ্যার পাগলা, হামার কাছে চলা আসতা! হামি ঠিক করে সাইজ করে দিতুন! আচ্ছা তুমি ওইখানে বসো… আগে সামুর চুল কাইটা দিই!

তা আমিই কিন্তু কাস্টমার। সামুর চুল-দাড়ি মাসান্তে একবার মাগনা কেটে দেন বাদশা ভাই। কিন্তু রহনপুর স্বর্গছেঁড়ার মানুষ বলেই তিনি কাস্টমারকে বসিয়ে কেচি ধরেন সামু পাগলার চুলে। কচকচ করে কেটে চলেন তার চুল।

সামু পাগলার এই এক মজা। কোথায় কখন কী করবে সব ফিক্সড।

বাদশা সেলুনের একপাশে কলাপট্টি। এখানে সোমবারের হাটে কলার দোকান বসে। এছাড়া এখানে কাপড়ের বেশ কিছু দোকান— ফলে এটা কাপড়পট্টিও। আর এসবের পাশেই ডিনা আপাদের বাসা। এই যা, বাসা না… বাড়ি। আর এই বাড়িতে সামুর দুপুরের খাবার হয় নিয়মিত। আবার রাতের খাবারটাও আরেকটা বাড়িতে নির্ধারিত। এছাড়া যখন যে বাড়িতে যায় খাওয়া পাওয়া নিয়ে তার কোনও ঝামেলা হয় না। সকালবেলা পোস্ট অফিসের কাছে চলে আসে। রুটির দোকান থেকে কলাইয়ের রুটি নেয় ঝালমরিচের সাথে, বা কখনও বেগুন ভর্তা। তারপর বেঞ্চের ওপর বসে পা নাড়াতে নাড়াতে বেশ জমিদারি ভঙ্গিতে রুটি খাওয়া শেষ করে। শেষ করেই কোনও একটা সিগারেটের দোকানে দাঁড়ালে কেউ না কেউ তাকে একটা সস্তার সিগারেট ধরিয়ে দেবেই। সে তখন সিগারেটটা নিয়ে একটা চায়ের দোকানে বেঞ্চের ওপর বসে চা খেতে খেতে সিগারেট খাবে। এটা নৈমত্তিক ঘটনা। এর ব্যত্যয় হয় না।

সামুর এমন খাওয়া-দাওয়া আর সিগারেট ঘুরানো দেখা ছিল দারুণ অভিজ্ঞতা। তার ভাব-ভঙ্গির মধ্যে জমিদারি ভাব ছিল বলে তাকে নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনাও চালু হয়ে গিয়েছিল বাজারে। কেউ কেউ বলত সে আসলে অনেক বড়লোক বাড়ির কেউকেটা টাইপের কেউ ছিল। কিন্তু জায়গা-জমি ইত্যাদি নিয়ে কোনও ঝামেলার কারণে তাকে আকুন্দ খাইয়ে পাগলা করে দিয়েছে পরিজনেরা। এসব গল্প শোনার পর আমরা আকুন্দ গাছের সামনে সভয়ে দাঁড়াই। আকুন্দর বেগুনি সুন্দর ফুলকেও রহস্যময় মনে হয়। আকুন্দের ফলকে দেখি পাগল হয়ে যাওয়ার দাওয়াই হিসেবে। আর আমরা দেখি সামুর মুখ। যে মুখে রাজ্যের সরলতা, কিন্তু চোখে এক বিভ্রান্তি।

কেউ কেউ বলে সামু আসলে এ দেশেরই না।

হয়ত ভারত থেকে এসেছে সে। বর্ডার ক্রশ করে। এ কারণেই তার ভাষা বোঝা যায় না। কিন্তু কী ভাষায় কথা বলে সামু? হিন্দি তো না। ডিডি ন্যাশনালের বদৌলতে আমরা হিন্দিটা বেশ বুঝতে পারি। কেউ কেউ তো বলতেও পারি। তাহলে অন্য কোন ভাষাতে কথা বলে সামু?

নিশ্চয় অন্য ভাষাতেই বলে। ভারতে তো কত রকমের ভাষা। সামু তাহলে ভারতেরই?

কেউ কেউ বলে সামু আসলে পাগলই না। হয়ত সে গোয়েন্দা।

গোয়েন্দা?

হ্যাঁ। গোয়েন্দারা থাকে তো এভাবে!

আমাদের জীবনে গোয়েন্দা বলতে তখন তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা‍ আর শার্লক! ফলে গোয়েন্দা হিসেবে সামুকে খুব আনস্মার্ট লাগে। না, সামু গোয়েন্দা হতে পারে না।

এরমধ্যেই কারা আবার বলে সামু ইন্ডিয়া থেকেই এসেছে আর সে গোয়েন্দা না। মানে ওই শখের গোয়েন্দা না। ও আসলে এজেন্ট। ‘র’এর এজেন্ট।

মানে কী?

মানে মাসুদ রানা। মানে ধ্বংসপাহাড় ভারতনাট্যম। মাসুদ রানা যেমন বিভিন্ন কেস নিয়ে ছুটে বেড়ায় বিভিন্ন দেশে, পদে পদে যেমন তার বিপদের হাতছানি সামুরও ঠিক তেমনই অবস্থা। সেও নিশ্চয় কোনও গোপন মিশন নিয়ে এসেছে। থাকছে এখানে। কথা বলা হয়ত ওপর থেকে নিষেধ। কোনও দিন হয়ত দেখব সামুর শরীরে কেতাদুরস্ত পোশাক। আর কোনও এক বিশেষ অপরাধীকে ধরে সে নিয়ে চলেছে বর্ডারের দিকে।

এও কি সম্ভব?

আমরা বিশ্বাস করি, আমরা অবিশ্বাস করি।

তবে সামু পাগল হওয়ার সাথে সাথে এত কিছু হয়ে ওঠার জন্য আমাদের কাছে বিশেষ রহস্যময় চরিত্র হয়ে ওঠে।

কচকচ করে সামুর চুল কাটা চলে। চুল কমাতে কমাতে তাকে প্রায় ন্যাড়া করে ফেলা হয়। সামু নির্লিপ্ত। এরপর সামুর দাড়িগোঁফ কাটা হয়। একেবারে মাকুন্দ ফেস। ফরসা মুখ। সামু আয়না দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে অনেকক্ষণ। আমার চোখে চোখ পড়তেই সে ভ্রূ নাচায়। হঠাৎই তার চোখ দুটোকে আর অসংলগ্ন লাগে না। উন্মাদনায় ভরা মনে হয় না। মনে হয় সুস্থ ও সুস্থির কেউ একজন আমাকে ভ্রূ নাচিয়ে ‘কী?’ এরকম বলছে। আমি অবাক হওয়ার তেমন সময় পাই না। বাদশা ভাই আমার গোঁফ সাইজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাইজ আর কী? গোঁফ কেটেই ফেলেন। চেহারা থেকে হঠাৎ লোমনাশে নিজেকে দেখতে তখন নির্লোম কুত্তার মতো লাগে। এই চেহারা নিয়ে আমি সোমার কাছে যাব?

এরমধ্যেই দেখি সামু পাগলা চলে যাচ্ছে। তার চোখে আবার পুরনো অসংলগ্নতা ফিরে এসেছে। হাতে ঘুরছে সস্তা সিগারেট। নখে ময়লা। ঠোঁটের কোণে জিরিজিরি চুল লেগে আছে। তার কোনও খেয়াল নেই।

আমার মনের ভেতর ওই সময় একটা মুহূর্তের জন্য সামু পাগলার ভ্রূ নাচানিটা একটা দৃশ্য হয়ে ভেসে ওঠে।

পরের পরের শীতে সামু পাগলাকে এক ভোরে পাওয়া যায় মাছ বাজারের কাছে। মৃত। চাদর জড়ানো শরীর।

পুরো শীতটাই সেবার সে ভীষণ কষ্ট পেয়েছিল। রহনপুরবাসীর এত উষ্ণতাও তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি। যথাযোগ্য সম্মান দিয়েই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। শেষবারের মতো তার মুখটা দেখতে গিয়ে বাদশার স্যালুনে বসা তার ভ্রূ নাচানোটা আরেকবার মনে পড়ে আমার। এখনও, কখনও কখনও, আয়নার দিকে তাকালে মনে হয়, সামু পাগলা আমার দিকে তাকিয়ে ভ্রূ নাচিয়ে বলছে, কী? কী করছিস জীবনটাকে নিয়ে? কতদিন আর সুস্থ থাকবি? কই তোর পাগলামি? কই?

আমি আমার পাগলামিগুলো খুঁজে দেখার চেষ্টা করি। সামু পাগলার মতো সেগুলোও কোথায় কখন কোন শীতে মরে গেছে। তাদের শেষকৃত্য আমি নিজের হাতেই করেছি।

(ক্রমশ)