Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

শিল্পীর শিব, শিল্পের শিব

শতাব্দী দাশ

 




লেখক গদ্যকার, প্রবন্ধকার, শিক্ষক এবং সমাজকর্মী।

 

 

শিল্পী তৌসিফ হক শিবরাত্রির দিন শিবের একটি ছবি এঁকেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি ফেসবুকে উত্তর-ভারতীয় শিব এবং বঙ্গভূমির শিবের অবয়বগত পার্থক্য নিয়ে দু-চার বাক্য লিখেছিলেনও বটে। ফলে হিন্দুত্ববাদীদের কোপে তাঁর প্রোফাইলটি সাময়িকভাবে উড়ে গেছে। এ কথা কে না জানে যে ফেসবুকে বিজেপির আইটি সেল খুবই সক্রিয়! গণরিপোর্ট করে প্রোফাইল ওড়ানো তাঁদের বাঁ হাতের কাজ। আগেও এমনটা হয়েছে। কবছর আগে দুর্গাপূজার ঠিক আগে আগে এক শিল্পী স্যানিটারি ন্যাপকিনে দেবীর পূজার উপকরণ রক্তরঙা পদ্মফুল আঁকলেন৷ সেক্ষেত্রে শিল্পী হিন্দুই ছিলেন। শিল্প তো শুধু ‘স্কিল’ নয়, অনেক শিল্পই রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। ওই ক্ষেত্রে আমরা ধরে নিতে পারি, শিল্পী পুজোমণ্ডপে ঋতুস্রাবকালে নারীর প্রবেশে অনধিকার নিয়ে কিছু বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর প্রোফাইলেরও একই দশা হয়েছিল।

তৌসিফ হকেরও কিছু বার্তা দেওয়ার ছিল৷ তিনি পুজোসংখ্যার প্রচ্ছদও আঁকেন। হিন্দু দেবদেবী প্রায়শই আঁকেন মনের খেয়ালে বা বরাত মতো। এই ছবিটির মাধ্যমে, তার নিজের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি আমাদের মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে উত্তর-ভারতীয় শিব সিক্স-প্যাকযুক্ত একজন মাচো পুরুষ। কিন্তু বঙ্গভূমির শিবঠাকুর গোলগাল, বয়স্ক, সম্ভ্রান্ত কৃষিজীবী এবং এক পত্নীপ্রেমী এক বঙ্গজামাই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মাচো শিবের রমরমা তাঁর মতে ‘ভয়ঙ্কর’। তিনি হয়ত এর মধ্যে গোবলয়ের সংস্কৃতির আগ্রাসন লক্ষ করছেন, হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসনের সঙ্গে যা অঙ্গাঙ্গী জড়িত৷ হিন্দু বাঙালির গেরস্তালি ঠাকুরের সাথে ঘরকন্নার নিজস্ব সংস্কৃতি নষ্ট হওয়ার ভয় পেয়েছেন তিনি।

কিন্তু তৌসিফ হক জানতেন না, বাঙালির যে রূপ তিনি চিনতেন, তার রদবদল হয়ে গেছে বিগত কয়েকবছরে। গোবলয়ের মানুষের তো পোস্টটির অর্থ বোঝার কথা নয়, কারণ সেটি বাংলায় লেখা। ছবি দেখে ও তাঁর লেখা পড়ে যারা খেপে উঠল, সেই উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বাঙালিই। তাদের প্রধান অভিযোগ— একজন মুসলিম হিন্দু দেবতাকে ‘মাস্তান’ বলে অপমান করেছেন।

‘মাস্তান’ বলতে এক্ষেত্রে যে তৌসিফ হক সিক্স-প্যাক শোভিত পেশিবহুল পুরুষ বোঝাচ্ছিলেন, কোনও দুষ্কর্মকারী নয়, তা পোস্টটি একবার পড়লেই বোঝা যায়। তৌসিফ হক মনে হয় নতুন কিছু বলেননি। উত্তর-ভারতীয় শিল্পীর কল্পনায় শুধু শিব ঠাকুর নন, রামচন্দ্রও যথেষ্ট মাচো। সেই রামচন্দ্র কৃত্তিবাসের কাব্যে ‘কোমল কলেবর’ হয়ে উঠেছিলেন। তাতে তাঁর মহিমা কমেনি। কিন্তু বিজেপির হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পে সেই কোমল-কাতর রামের ঠাঁই নেই। শিব ঠাকুরের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাই বাঙালি শিল্পী হিসেবে তৌসিফ শিবকে নিজের মতো করে রিক্লেইম করতে চেয়েছিলেন। আঙ্গিকের দিক থেকে বলতে গেলে, তিনি হয়ত কালিঘাটের পটচিত্রী বা যামিনী রায়ের পৃথুল শিবকে তাঁর শিবের পূর্বসূরী ধরেছেন। অর্থাৎ, শিব আঁকার ক্ষেত্রে, কোনওদিক থেকেই তৌসিফ এমন কিছু করেননি, যার সঙ্গে বঙ্গসমাজ পরিচিত ছিল না৷

ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, সিক্সপ্যাকওয়ালা কোনও শিব-রূপ আদতে উত্তর ভারতেও থাকা সম্ভব নয়৷ কেশরহিত বক্ষ ও তার তলে ছয়-প্যাক— এসব সম্ভবত অমীশ ত্রিপাঠীর বই-এর ‘শিভা ট্রিলজি’-র প্রচ্ছদে শোভা পায়, যা হিন্দুত্বকে ইংরাজি ভাষা ও আধুনিকতার মোড়কে হু হু করে বেচতে সক্ষম৷ এছাড়া অধুনা সময়ে টিভিতে শুনেছি এত বেশি পৌরাণিক ধারাবাহিক যে, গেরস্ত টিভির (থুড়ি দেবদেবীর) দিকে পা করে শুতে চান না। সেসব সিরিয়ালেও এরকম সিক্স-প্যাকওয়ালা শিবের দেখা মিলতে পারে। কিন্তু স্থাপত্য বা চিত্রশিল্পে অল্পবিস্তর জ্ঞান থাকলে এটা বোঝা কঠিন নয় যে সিক্স প্যাকের ধারণা ভারতীয় ধ্রুপদী শিল্পে ছিল না। তা ক্লাসিকাল গ্রিক শিল্প থেকে ইউরোপের রেনেসাঁর পথ ঘুরে ব্রিটিশদের সঙ্গে এদেশে এসে থাকবে। তার আগে কণিষ্কের আমলের ‘গান্ধার শিল্প’-এও গ্রিক প্রভাব ছিল, ভারতে গ্রিক অভিযানের ফলে যা সম্ভব হয়েছিল। সেসময়ে মূর্তিতে কিছু তফাত এসেছিল বটে, তবে তা মুখের আদলে মূলত। এছাড়া গান্ধার শিল্প প্রধানত বুদ্ধমূর্তিতে মনোনিবেশ করেছিল, তাই সে নিয়ে এখানে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন নেই।

আমরা ধরে নিচ্ছি সিক্স প্যাক শিব বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তিনি ঔপনিবেশিক সময়ের পরে ইওরোপীয় ধ্রুপদী শিল্পের অনুপ্রেরণায় গড়ে উঠেছেন। আর বর্তমান সময়ে যেহেতু হিন্দুত্ববাদীরা নিজেদের হিন্দুধর্মের রক্ষক হিসেবে কল্পনা করে, তাই তাদের শিব ওরকমই পেশিবহুল ও বলশালী৷ হিন্দুধর্মে এই যুদ্ধং দেহি মনোভাব কি ছিল না? নিশ্চয় ছিল৷ শিব-উপাসক নাগা সাধুদের তো অস্ত্রধারী সৈনিক সাধু হিসেবেই নামডাক৷ সিক্স-প্যাক না থাকুক, ধর্মকে রক্ষা করার জন্য অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা তাঁরাও বলেন টলেন।

কিন্তু শিব-সংক্রান্ত যাবতীয় দর্শন মনে হয় এর চেয়ে বহুস্তরী ও জটিল। স্বর্গের গঙ্গাকে মর্ত্য তার আদি উচ্ছ্বাসে ধারণ করতে পারবে না বলে তিনি বাফার হয়ে যান। তাঁর জটায় প্রাথমিক আঘাত করে যে নদী আসে, তার বেগ মানুষের সহনশীলতার মধ্যে। এই নদী জ্ঞানের প্রতীক কি? সত্যকে একেবারে বিশুদ্ধ অবস্থায় ধারণ করার উপযুক্ত নই আমরা অনেকেই৷ যথাযোগ্য ‘অনুবাদক’ আমাদের ভাষা ও বোধ অনুসারে সত্যের কিয়দংশ হয়ত আমাদের উপযোগী করে হাজির করেন।

আবার কণ্ঠে গরল ধারণ করার ঘটনাটিই ধরুন। জ্ঞানমার্গের পথ অতি কঠিন৷ প্রতিটি প্রশ্নের প্রাপ্ত উত্তরকে আবার প্রশ্ন করতে করতে সেই এগোনো৷ সে পথে কোনও আবেগ নেই, ভাবালুতা নেই, আপন বিশ্বাসের প্রতি পক্ষপাত নেই। বিশুদ্ধ জ্ঞানমার্গের পথিকের বিশুষ্ক জ্ঞানচর্চায় ওরকম মরণাপন্ন দশা হওয়া স্বাভাবিক৷ তখন খানিক মনুষ্যস্নেহের সিঞ্চন দরকার হতে পারে তাঁর পুনজ্জীবনের জন্য। হয়ত পার্বতীর দুগ্ধ তারই প্রতীক৷ কেন শিব জ্ঞানমার্গের পথিক। কারণ তিনি আদি যোগী। যোগসাধনারত৷

ফলে ‘সিক্স প্যাক’ বিষয়টি শিবের মতো প্রকৃষ্ট বুদ্ধিজীবী সাধকের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়ও বটে৷

আবার গার্হস্থ্য যে শিব যামিনী রায়ের চিত্রে, তারও কিছু নিজস্ব গুরুত্ব আছে। দর্শন চর্চা তো সকলের জন্য নয়। তাই দেবতাকে ঘরের মানুষ হিন্দুরা চিরকালই বানিয়ে এসেছে এবং এর পিছনের মাধুর্য অনস্বীকার্য৷ বাঙালি তো উপরি-উক্ত গূঢ় উদাহরণগুলি থেকেও মনের মতো গল্প ফেঁদেছে। যেমন, গঙ্গাকে শিব জটায় ‘লুকিয়ে’ রাখেন, তিনি পার্বতীর সপত্নী কিনা!

হিন্দুধর্ম একটি প্যাগান ধর্ম, এবং ভারতবর্ষে হিন্দুধর্মে দেবতা নিয়ে কুকথা, মজাকি খুবই চলে, চিরকাল চলে৷ এখানে শিবকে ‘ভাঙর ভিখারি জামাই’ ‘চিরকালের ল্যাংটা’ ইত্যাদি বলা হত। তাতে এতদিন কারও আপত্তি দেখিনি৷

ক্লাস নাইন-টেনেই আমরা ভারতচন্দ্রের হাত ধরে ‘ব্যাজস্তুতি’ শিখেছিলাম, সেকথাও মনে পড়ে। সেসময়ে মাধ্যমিকের সিলেবাসে ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বরী পাটনী’ ছিল। ব্যাজস্তুতি মানে নিন্দার ছলে স্তুতি বা স্তুতির ছলে নিন্দা, প্রতিটি কথাই যেখানে দ্ব্যর্থবোধক।

‘অতি বড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ/ কোনও গুণ নেই তার কপালে আগুন’ ইত্যাদি।

এখানে আপাতভাবে মহিলা তাঁর বরের নিন্দা করছেন, নিজের মন্দ কপালের গল্প শোনাচ্ছেন। বাংলার এই শিব ভুঁড়িওয়ালা, গাঁজাখোর, মদ্যপ অথচ চূড়ান্ত প্রেমিক। কিন্তু অন্য অর্থে সুনির্বাচিত শব্দের মাধ্যমে অন্নপূর্ণা বোঝাচ্ছেন শিবের শ্রেষ্ঠত্ব (অতি বড়), আশ্চর্য প্রজ্ঞা (বৃদ্ধ), সিদ্ধিলাভ (সিদ্ধি মানে শুধু নেশাদ্রব্য নয়), তৃতীয় নেত্র (কপালে আগুন) ইত্যাদি। বহিরঙ্গের যে অর্থটি, তা গেরস্তালি শিবকে বর্ণনা করে। আর অন্তনির্হিত অর্থটি বর্ণনা করে আদিযোগীকে।

দীনেশচন্দ্র সেন লিখছেন, “যখন বৌদ্ধ-যুগের সংসার-বিরাগের ভূত আমাদের ঘাড় হইতে নামিল, তখন দীর্ঘ যুগের কঠোর বৈরাগ্যের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ঘর-গৃহস্থালীর খুঁটিনাটি লইয়া ধর্ম্মপুস্তক রচনা হইতে লাগিল। প্রথম উপাস্যস্থল শিব ঠাকুর, তিনি চাষাদের হাতে পড়িয়া চাষা হইলেন। ভীম নামক এক ভৃত্যের সাহায্যে তাঁহার ভূমিকর্ষণ, ত্রিশূল বাঁধা দিয়া লাঙ্গল ক্রয়, ইন্দ্রের নিকট হইতে পত্তনী জমি-লাভ, শস্যক্ষেত্র পাহারা দেওয়া, চুন লাগাইয়া জোঁক মারা, ক্ষেতে কাদামাটি ছানিয়া আইল তৈরি করা, হাঁটু পাতিয়া বসিয়া ক্ষেত্র-নিড়ানের কার্য্য— দল দূর্ব্বা, সোণা দূর্ব্বা ত্রিশিরা দূর করিয়া বাবর্চে, চেচুড়া প্রভৃতি আগাছা উৎপাটন করা ইত্যাদি বহুবিধরূপ কৃষিকার্য্য মহাদেব করিতেছেন, তাহা আমরা প্রাচীন শিবায়নগুলিতে পাইয়াছি। এই শিবায়নগুলির প্রাচীনতমগুলি প্রায় লক্ষণ সেনের সমকালবর্ত্তী …………কৃষক বেশে শিব ঠাকুর একেবারে পাড়াগাঁয়ের চাষাদের কুটিরের ভিতর প্রবেশ করিয়া তাঁহাদের অন্তরঙ্গ হইলেন।”

এই কৃষিজীবী শিব কৃষক সমাজের এতই আপনজন যে শিবরাত্রির দিন, যেদিন নাকি শিব-দুর্গার বিবাহ হয়েছিল বলে কথিত, সেদিন গাজনসন্ন্যাসীরা হয়ে যান ‘বরযাত্রী’।

তাহলে প্রশ্নটা তৌসিফের শিব বর্ণনার অসম্পূর্ণতা নিয়ে নয়। প্রশ্নটা গোঁড়ামির আর অসহিষ্ণুতার৷

তৌসিফ হক উত্তর পশ্চিম থেকে আমদানি করা ‘মাস্তান’ শিবের কথা বলতে চেয়েছিলেন মনে হল, যে শিব ‘শিবসেনা’-র সেনাধ্যক্ষ। এ শিবের সঙ্গে গেরস্তালি শিব আর হিন্দু দর্শনের, বিশেষত যোগদর্শনের শিব— কারওই কোনও মিল নেই৷ শিবের কোনও রূপ যদি সত্যি মাস্তানের হয়ে থাকে, তবে শিবসেনা বা বিজেপির শিব ছাড়া আর কারও চেহারা তো মাথায় আসছে না৷ এদের প্রকট বা প্রচ্ছন্নভাবে সমর্থন করার আগে যেন মনে রাখি, এই উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের পূর্বসূরিরা নিমাইকেও হত্যা করেছিল বলে কথিত।

তৌসিফ তাঁর প্রোফাইল ফিরে পাবেন। এ সুযোগে বিদগ্ধ বাঙালি যে তার গৎ-এর বাইরে বেরিয়ে খানিক শিবচর্চা করল, তাও মন্দ নয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, শিল্পী তৌসিফ হক কি আর আগের তৌসিফ হক থাকবেন? নাকি এই ঘটনার পর তাঁর শৈল্পিক স্বাধীনতা সন্ত্রস্ত থাকবে দিবারাত্র? আমরা এমন দেশে বড় হয়েছিলাম, যেখানে আমজাদ আলি খাঁর সরোদে সরস্বতী রাগ, যেখানে পারভীন সুলতানা ‘ভবানি দয়ানি মহা বাক বাণী’ গান আর আলাউদ্দিন খাঁ সাহেব মেয়ের নাম রাখেন অন্নপূর্ণা। যেখানে বিসমিল্লার সানাই-এর সুরে হিন্দু বিয়ের মন্ত্রপাঠ হয়। যে দেশ থেকে উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁ সাহেব পার্টিশনের পর পাকিস্তানে চলে গিয়েও আবার ফিরে আসেন, সঙ্গীতের উপর ধর্মের মাতব্বরি মানবেন না বলে। যেখানে কোরানের প্রথম বাংলা অনুবাদ করেছিলেন একজন হিন্দু বাঙালি— শ্রী গিরিশচন্দ্র সেন। যেখানে কাজি নজরুল ইসলাম শ্যামাসঙ্গীত লিখেছেন, শিবকেও তিনি আবদার করে বলেছেন, হ্যাঁ এক মুসলমান কবি-গীতিকার নজরুল বলেছেন— ‘হে শিব শঙ্কর/বাঘ ছাল পরিহর/ধরো নটবর বেশ/পরো নীপমালা।’

সে দেশে একজন মুসলমান শিল্পী হিন্দু দেবতা আঁকতে ভয় পাবেন? শিল্পীর দেবতা যে শিল্পের মধ্যে বাস করেন! শিব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ যদি হয় শুভ, মঙ্গলময়, মহৎ প্রভৃতি, তবে শিল্পীর কাছে শিল্প ছাড়া আর কে-ই বা শিব?