সাদিয়া সুলতানা
১.
মাইজলা পাগলা রোজ সাত সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়িটা ঠিক মাইজলা পাগলার না, বাড়িটা ওর বড় ভাই, কাজলের। কাজল তালুকদার সদরে চাকরি করে। কাজলের আয়-রুজি ভালো, তাই পাগল ভাইকে নিশ্চিন্তে টানে সে। ভাইকে অর্থ-কড়ি দিয়ে যে তার টানতে হয় তা না, মাইজলা নিজেই তার ভাত-কাপড়ের যোগানদার। তাছাড়া গত বছর মাইজলার মা মারা যাবার পর থেকে ও বাড়িতে থাকে না বললেই চলে। এখন ভাইয়ের বাড়িতে কেবল রাতটা কাটায় মাইজলা। তাও সন্ধেবেলা উঠান বা গোয়াল, যেখানে শোয়ার জায়গা পায় বা শোয়ার জন্য যা পায় তাই সই। কাজলের বউ হনুফা অবশ্য মাইজলার যত্নআত্তির কোনো ত্রুটি করে না। এই যে মাইজলা বাড়িতে ভাত খাবে না জেনেও সকাল সকাল তার জন্য ধোঁয়া ওঠা ভাত, আলু ভর্তা আর ডিম ভাজি করে খেতে ডাকছে। কিন্তু মাইজলা ভাতের দিকে ফিরেও তাকায় না। ওর চোখ খোঁজে হাত দা খানা।
মাইজলার হাত দা খানা হনুফা আগে থেকেই দাওয়ায় দাঁড় করিয়ে রেখেছে। ফজরের নামাজের পর দা খানা কলপাড়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে দাওয়ায় দাঁড় করিয়ে রাখে হনুফা। এ বাড়িতে সে বউ হয়ে এসেছে তা প্রায় সাত বছর হয়ে এল, শুধু প্রথম দিনই এর অন্যথা হয়েছিল। তাতে বিপত্তিও হয়েছিল ঢের। যার চিহ্ন এখনও হনুফার হাতে আছে। বিয়ে বাড়ির হট্টগোলে হনুফার শাশুড়ি মাইজলার দা খানা ঘষতে ভুলে গিয়েছিল। যার জের হিসেবে দেবর মাইজলা ভাবীর হাতে কামড়ে দিয়েছিল। দা খানা মাইজলার নিত্য সঙ্গী বলে মাইজলার মতো ওর দায়ের প্রতিও নজর আছে হনুফার।
দা খানা হাতে নিয়ে লুঙ্গিতে কষে কাছা মারে মাইজলা। তারপর উঠোনের পুব পাশের কদম গাছের গোড়ায় রাখা দড়ির গাছি কোমরের সাথে কায়দা করে বেঁধে নেয়। ধুপধাপ করে কয়েক পা এগিয়ে কী মনে হতে মাইজলা আবার পিছু ফেরে। হনুফাকে ইশারা করে ভাতের থালা রাখতে বলে। হনুফা ভাতের থালা তুলবে বলে তখনই হাত বাড়িয়েছিল। মাইজলার ইশারা পেয়ে হনুফা ভাতের থালাটা দস্তরখানাতে রেখে দাওয়া ছেড়ে উঠোনের উপর দাঁড়ায়। গতকাল মাইজলা বেশ রাত করে বাড়ি ফিরেছে। বাড়িতে ভাতও খায়নি। এমনিতে গাঁয়ে মাইজলার কদর আছে। ওর তাই ভাতের অভাব হয় না। খাক আর না খাক নিয়ম করে প্রতিবেলা হনুফা মাইজলার জন্য ভাত-তরকারি আলাদা করে তুলে রাখে।
তবে মাইজলার খাওয়ার সময় ওর সামনে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার সাহস হনুফার হয় না। হনুফার স্বামী কাজল এই বাড়ির বড় ছেলে হওয়ায়, সম্পর্কে মাইজলা তার দেবর হয়। অথচ দেবর-ভাবীর হাসিঠাট্টার সম্পর্কের পরিবর্তে মাইজলাকে দেখলে হনুফার মধ্যে একটা ভয় আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। বাড়ির মেজ ছেলে হওয়ায় মাইজা থেকেই মাইজলা নামটা এসেছে আর মাইজলা ছোটবেলা থেকেই যে এমন তা হনুফা ওর শাশুড়ির কাছ থেকেই শুনেছে। হনুফার শাশুড়ি মারা যাবার পর মাইজলার দেখভালের দায়িত্ব ওর উপরেই এসে পড়েছে।
এখন এই বাড়ির সদস্য কেবল তিনজন। হনুফা নিজে, কাজল আর মাইজলা। হনুফার স্বামী কাজল ব্যস্ত মানুষ। সদরে যেয়ে অফিস করে বলে রাত আর সকালে খাবার সময় ছাড়া তার দেখা পাওয়াই মুশকিল। বাড়িতে কথা বলার মানুষ বলতে কেবল মাইজলাই। এর মধ্যে আবার মাইজলার কাজকর্মের আতংকে মাঝেমাঝে ওকে কোণঠাসা হয়ে থাকতে হয়। যদিও মাইজলার জন্য সন্তানহীন হনুফার কেমন একটা মায়া পড়ে গেছে। হনুফার মন চায় শিশুর মতো অবুঝ এই পাগল মানুষটার সাথে মন খুলে দু’একটা কথাবার্তা বলে বা হুট করে কোনও একদিন মাইজলাকে ধরে বিভু নাপিতের কাছে গিয়ে ওর চুল-দাড়ি ছাঁটাই করে নিয়ে আসে। ওকে এটা-সেটা জিজ্ঞেস করে কিন্তু সর্বক্ষণ মাইজলার হাতের চকচকে দা’টা দেখে তার প্রশ্ন করার সাহস হয় না।
ধোঁয়া ওঠা ভাত তরকারি ঠাণ্ডা করার কোনও চেষ্টা না করেই মাইজলা গপাগপ ভাত গিলতে থাকে। থালার চারপাশে ভাত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। থালার ভাত খাওয়া শেষে মাইজলা দস্তরখানায় পড়ে থাকা ভাতগুলো খুঁটে খুঁটে খায়। তা দেখে হনুফার চোখ ভরে পানি আসে।
–আরেট্টু ভাত দিমু?
মাইজলা হনুফার কথার উত্তর না দিয়ে হাতে দা খানা তুলে নিয়ে হন হন করে হাঁটতে থাকে। মাইজলা আজ পুব পাড়ার সর্দার বাড়ি যাবে। তার হিসেব আছে, ওই বাড়ির গাছগুলো মেলা দিন হয় ঝাড়ে না সে। হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলে মাইজলা তারপর জমির আইল পেরিয়ে মাঠ ধরে হন্তদন্ত হয়ে আবার হাঁটা শুরু করে।
দূর থেকে রহিমুদ্দিন মাইজলাকে দেখে হাঁক মারে–
–ওই মাইজলা, আমার পুকুর পাড়ের নারকেল গাছ কয়টা ঝাইড়া দিয়া যা। বকশিস দিমুনে।
মাইজলা চোখ পাকায়–
–তোর গাছ শালা তুই ঝাড়! শালার শালা। মিজাজটা গরম করে। শালা, হারামি! তোর কামাই খাই শালা… পো!
মাইজলা ঝাঁঝালো গলায় শ্রবণঅযোগ্য গালি দিতে থাকে। রহিমুদ্দিন বোঝে পাগলা ক্ষেপেছে। গ্রামের আর সকলের মতো সেও জানে মাইজলাকে ডেকে গাছ ঝাড়তে বললে সে গাছে হাতও দিবে না। তবু পাগলকে ক্ষেপানোর বিমলানন্দ সে ছাড়ে না। বরং এবার রহিমুদ্দিন একটু নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে বলে–
–দে না ভাই, পেটচুক্তি ভাত খাওয়ামুনে।
মাইজলা এবার সত্যিই ক্ষেপে যায়। দা তুলে রহিমুদ্দিনকে মারতে উদ্যত হয়–
–ওই শালা, আমি তোর কামলা খাটিনি?
রহিমুদ্দিনকে তাড়িয়ে দিয়ে মাইজলা নিপুণ দক্ষতায় হারুণ মুন্সীর বাড়ির ভেতর ঢোকে। বাড়ির উঠোনে দাঁড়ানো গৃহিনী মাইজলাকে দেখে হাসিমুখে মাথায় ঘোমটা তোলে, ম্যালাদিন বাদে আইছ। মাইজলা কারও দিকে না তাকিয়ে পুকুরপাড়ের সবচেয়ে লম্বা-ঢ্যাঙা নারিকেল গাছটিতে উঠতে থাকে।
এই হল মাইজলা পাগলা। কেউ ডেকে গাছ ঝাড়াতে চাইলে ক্ষেপে ওঠে, ঠিক বুঝে নেয় মুফতে কামলাগিরি করাবে। তার হল মন বাদশা। যা মন চায় করবে। যার প্রতি, যার গাছের প্রতি দরদ লাগবে সেই গাছ ঝাড়বে, তারপর কাজ সেরে গেরস্ত ঘরের দাওয়ায় বসে একথালা ভাত আর একটা ডাব নিজ হাতে কেটে খেয়ে বাড়ির পথ ধরবে। গ্রামের লোকজন মাইজলাকে ঘাটায় না। বরং তার কাণ্ডকীর্তি তাদের নির্মল আনন্দ আর স্বস্তি দেয়। এই যে হাত দা খানা দিয়ে ডাব কাটা ছাড়া কখনও কারও তো কোনও অনিষ্ট সে করেনি বরং আর দশ গ্রামের লোক মাইজলা পাগলার গ্রাম নামে তাদের গ্রামকে এক নামে চেনে। গেরস্ত বাড়ির মা-বউরা মাইজলাকে নিজের ব্যাটার মতোই আদর করে ভাত খেতে দেয়, গেরস্তরা মাইজলার ছেলেমানুষি দেখে প্রশ্রয়ের হাসি হাসে আর ঈদের দিনে মাইজলার বাড়ি গিয়ে দাওয়াত দিয়ে আসে। এই যে কয়দিন পরেই ঈদ। এখনই মাইজলার জন্য বাড়িতে দাওয়াতের লাইন লেগে গেছে।
২.
বর্ষায় টানা বৃষ্টি হলে গাছ ঝাড়া মুশকিল হয়ে যায়। নারিকেল গাছে নিয়মমাফিক উঠতে না পারলেও এসব দিনের জন্যেও মাইজলার ব্যস্ততার বিকল্প অনুষঙ্গ থাকে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও মাইজলা সরদহ গ্রামের সড়কের দুধারের এমাথা থেকে ওমাথার জঙ্গল সাফ করতে থাকে। সরদহ গ্রামের বুকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্মিত পাকা, ইটের খোয়া ফেলা আধ-পাকা সড়কগুলো অজগর সাপের মতো একেবেঁকে একটি আরেকটির সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। সরকারের সবুজ বনায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে এসব সড়কের কোনও কোনওটার দুইধারে সারি সারি ফলজ-বনজ গাছও রয়েছে। নিজ গ্রামের এই গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অলিখিত ইজারা যেন মাইজলা পাগলারই নেয়া। কয়দিন ধরে ধুম বৃষ্টি হওয়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারিকেল গাছ ঝাড়তে না পারলেও মাইজলার ব্যস্ততার কমতি নেই। তবু বোঝা যায় নারিকেল গাছে উঠতে না পারার অতৃপ্তি ওকে অল্পবিস্তর কাবু করে রাখে। তাই মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এ বাড়ি-ও বাড়ির নারিকেল গাছের সামনে দাঁড়িয়ে ওকে বিড়বিড় করে কী যেন বলতে দেখা যায়।
আজ আকাশে ঝলমলে রোদ। সকালে রোদের ঝিলিক দেখে মাইজলা খুশি মনে সাজসজ্জা করে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। আজ রোজার ঈদ। ঈদের নামাজ সেরে লোকজন বাড়ি ফিরছে। পথে যার সাথেই মাইজলার দেখা হচ্ছে তার সাথেই মাইজলা কোলাকুলি করেছে। কেবল বড় রাস্তার মাথায় সফদর মুন্সীকে দেখে মাইজলা নিজের গতিপথ পাল্টে তফাজ্জল হাজির বাড়িতে ঢুকে গেছে। তফাজ্জল হাজির বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে চারদিকে দু-তিন গজ ফাঁকে ফাঁকে নারিকেল আর সুপারি গাছ।
মাইজলা খানিকক্ষণ আপনমনে গাছগুলোকে পরখ করে তারপর পছন্দমতো একটা নারকেল গাছের সামনে দাঁড়ায়। ওর পরনের সাদা পাঞ্জাবি কোমরের কাছে শার্টের মতো করে গোঁজা, কোমরে দড়ির গাছি প্যাঁচানো। মাইজলাকে এমনিতে খুব একটা জামা বা শার্ট পরতে দেখা যায় না। ঈদের দিন কেবল ট্রাংকের ভেতর থেকে নিজ হাতে মাইজলা পাঞ্জাবি বের করে নেয়। এবার অবশ্য মাইজলার ভাই কাজল ঈদের আগের দিন ওর জন্য নতুন পাঞ্জাবি এনে দিয়েছে। দড়ির গাছি কোমর থেকে খুলে মাইজলা পরনের পাঞ্জাবিটাও খুলে ফেলে উঠানের কাপড় শুকাবার দড়ির ওপর লটকে রাখে।
খানিক পরে মাইজলা এক কাঁদি ডাব টানতে টানতে তফাজ্জল হাজির ভেতর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে হাঁক দেয়।
–ময়নার মা ভাত দে।
ময়নার মা মাইজলা পাগলাকে দেখে খুশি হয়ে যায়। ঈদের দিনের প্রথম মেহমান তার। তাই বড় কোমল গলায় জানতে চায়–
–পুলাউ রানছি। এট্টু পুলাউ দেই? লগে গরুর গোশত।
–দে দুগা পুলাউ দে। কম কইরা দিবি। দুই বাড়ি খাইয়া আইছি। আরও ম্যালা বাড়ি যামু। শালারা সব খালি ঈদের দিন মাইজলারে দাবাত দেয়! আর দিন চোক্ষে দেহে না। আইজকাই শালারা সব তাল বাজাইছে।
বাটি থেকে খাবলা মেরে লবণ তুলে মাইজলা গরুর মাংস আর পোলাও দিয়ে ভাল করে মাখায়। বড় বড় লোকমা মুখে তুলে চিবানোর অপেক্ষা না করে গিলতে থাকে। খেতে খেতে অস্থির হয়ে ঘামতে থাকে মাইজলা। খাওয়া শেষে থালার চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খাবারগুলো খুঁটে খুঁটে খেয়ে এক গ্লাস পানি খায়। এতক্ষণে ওর মুখে হাসি দেখা যায়–
–রান্দা সাদ হইছে।
–আট্টু দিমু?
ময়নার মা খুশি মনে আহ্বান করে।
–না। আর খাইলে ডাবের লাহান প্যাট ফাইট্টা যাইবো। আরও তিন বাড়ি যামু, দাবাত আছে।
–খান, পারবেন। আরেট্টু দেই।
–তুইও মাতারি তাল বাজাইছ না। আর দিন কেউ মাইজলার খবর নেয় না! আর সব শালা আইজ তাল বাজাইছে!
মাইজলা রেগে গেলে মাইজলার চোখের দিকে তাকাতে যে কারও ভয় করবে। ময়নার মা থালাবাটি সামলে তাড়াতাড়ি বাড়ির ভেতরে চলে যায়। পাঞ্জাবিটা পরে লুঙ্গির ভেতরে গুঁজে নিয়ে মাইজলা উঠানের পুবপাশের পুঁই মাচার সামনে দাঁড়িয়ে ছড়ছড় করে প্রস্রাব করে। এরপর নিজের মনে হাসে আর গুনগুন করতে করতে একটা ডাবের মুখ কেটে এক চুমুকে পানিটুকু খেয়ে হাঁটা ধরে।
দক্ষিণপাড়ার সামনের পাকা রাস্তায় দাঁড়াতেই সফদর আলির মুখোমুখি হয় মাইজলা। সফদর গ্রামের মাতব্বর শ্রেণির লোক। এক মেয়াদে এই গ্রামের নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিল সফদর। গেল দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচনে ফেল করলেও নির্বাচিত নেতার মতো ভাব নিয়ে চলে সে। সফদরের অতীত ইতিহাস স্বস্তিদায়ক না হলেও টাকা আর প্রভাবের কারণে গ্রামের লোকজন তাকে বেশ সমীহ করে। মাইজলাকে দেখে খুশি মনে সফদর মুখের সফেদ দাঁড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে ডাক দেয়–
–কীরে মাইজলা কেমুন আছস?
মাইজলা সফদরের কথার উত্তর দেয় না। সফদর মাইজলার দিকে এগিয়ে এসে গলায় দরদ ঢেলে বলে–
–আয়, আয় মাইজলা, বাড়িত আয়।
মাইজলা পা বাড়ায় না দেখে সফদর আবার ডাকে–
–আয়রে পাগলা, বাড়িত আয়।
–অই আমি কি মুরগি? তু তু কইরা ডাকোস ক্যা? এক কোপে কল্লা নামায় দিমু।
–চেতস ক্যারে পাগলা, আদর কইরা ডাকি। তোর লগে তো দেহাই হয় না। এত বাড়ি যাস, কই আমার বাড়ি তো যাস না! আইজ তর চাচি বিরানি রানছে, খাবি?
–থুক, থুক, রাজাকারের বাড়ি খাই না, ঘিণ লাগে।
মাইজলা একদলা থকথকে থুতু ফেলে। নিখুঁত নিশানায় সেই থুতু সফদর আলির পায়ের সামনে পড়ে। সফদর পাথরের মতো নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকে। সেই পাথরকে পিছনে ফেলে মাইজলা হাঁটে আর বিড়বিড় করে, সব শালা আইজ তাল বাজাইছে!
ছবিঋণ – ইন্টারনেট