Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

পরীক্ষা পাশের উপাখ্যান

প্রবুদ্ধ বাগচী

 




লেখক গদ্যকার ও সমাজভাবুক।

 

 

 

রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার ১৯৮৬ সালে যখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে বন্যাপীড়িতদের ত্রাণে ‘হোপ-৮৬’ শিরোনামে এক মেগা জলসার আয়োজন করেছিলেন তখন বাম শাসকদের বিপুল একাধিপত্যের মধ্যেও নানান প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ ও আপত্তির ঝড় উঠেছিল। তার মধ্যে বামফ্রন্টের নিজেদের অন্দরের নেতানেত্রীরাও ছিলেন। আপত্তিটা গানবাজনা নিয়ে নয়, এমনকি তার শ্লীলতা অশ্লীলতা নিয়েও নয়— আপত্তিটা ছিল তার আয়োজনের স্থান কাল পাত্র ঘিরে। রাজ্যের একদল মানুষ বন্যার প্রকোপে গৃহহীন, তাদের দিনযাপনের অনিশ্চয়তা প্রতি মুহূর্তে প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে, আর্ত মানুষদের কাছে বেশি বেশি দরকার হচ্ছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার— সেই বিপন্ন সময়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানো অবশ্য দরকার কিন্তু তার মধ্যে একটা অনুভূতির ব্যাপার বড় জরুরি। বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার জন্য  আমরা যদি একটা জলসার টিকিট কেটে সেই উতরোল বিনোদনে ডুবে যাই তখন আমাদের মাথার ভিতর আর অবশেষ থাকে না কোনও বিপন্ন মানুষের ছবি, তাঁদের জন্য কোনও মমত্ববোধ, সবটাই হয়ে ওঠে একটা ফেলো কড়ি মাখো তেলের গল্প— যার মধ্যে আর্ত মানুষের মুখ আর ততটা উজ্জ্বল নয়। বাম আদর্শের সঠিক আয়তন কী বা কতটুকু সেই বিষয়ের বিবাদে না গিয়েও এটা বলা যায়, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এটা কোনও নৈতিক প্রকরণ হতে পারে না, হওয়া উচিত নয়। তাই সেদিন আমরা কেউ কেউ সোচ্চার হয়েছিলাম।

গত কয়েকটা দশকে দেশের ও রাজ্যের নদী নালা দিয়ে বহু জল ও জলের সঙ্গে প্রভূত আবর্জনা বয়ে চলে গেছে, এখনও বয়ে চলেছে। আমাদের রাজনীতির পরিসরে নৈতিকতার অংশ কমতে কমতে প্রায় উধাও। বিশেষ করে বিশ্বায়ন পরবর্তী পৃথিবীতে প্রতিদিনের আহ্নিক গতিতে খাও পিও জিও নীতির দর্শন লম্বা ছায়া ফেলে হয়তো আমাদের সিংহভাগ মন ও মনন গ্রাস করে নিয়েছে কবেই বা। আমরা আর আমাদের পাশের মানুষটির দিকে তাকাই না, তার বেঁচে থাকার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। তাই বহুদিন থেকেই এই সোশ্যাল ডিস্টান্সিং আমাদের রক্তের মধ্যে ঢুকে হয়তো বা লোহিত কণিকায় আত্তীকৃত হয়ে গেছে এতদিনে। আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে যে রকমের জীবনধারার ইশারা থাকে তা আমাদের নাচায়, সেই উদ্দীপনা আসলে নিজের স্বার্থবহ ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ভিতরে  নাচনকোঁদনের অন্তর্নিহিত শক্তি। এইরকম একটা সময় রাষ্ট্রীয় নিদানে সোশ্যাল ডিস্টান্সিং যে আমাদের নতুন আমোদের উৎস মুখ খুলে দেবে এটা না বললেও চলে। মারণ ভাইরাসের আসমুদ্রহিমাচল আক্রমণের মুখে সেই সোশ্যাল ডিস্টান্সিং এখন আমাদের রক্তে নতুন দোলা দিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু কথাটা হল সমস্ত অর্থনীতিরই যেমন একটা রাজনীতি ও দর্শন থাকে, একই সঙ্গে প্রতিটি রাজনৈতিক দর্শনেরও একটা অর্থনৈতিক যোগ থাকে। আমাদের ব্যক্তিগত অভ্যাস ও সামাজিক প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলি স্বয়ম্ভূ নয়। কোথাও তার একটা নাড়া বাঁধা থাকে। গতকাল (৫ এপ্রিল) রাতে দেশজোড়া আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাজি ফাটিয়ে যে কদর্য ভাঁড়ামির প্রকাশ নিয়ে আজ আমরা স্তম্ভিত এবং মাত্রই কয়েকদিন আগে থালা বাজিয়ে মিছিল করে আমরা যে প্রভুভক্ত সারমেয়র মতো আচরণ করে পুলকিত হয়েছি এইসবের একটা ব্যাখ্যা পেতে গেলে এই অর্থনীতি ও রাজনীতির ধারণাটা খুব জরুরি।

নব্বই দশকের গোড়ায় যে উদার অর্থনীতির আগ্রাসনের মধ্যে দিয়ে আমরা আমাদের সামাজিক দায়ের জায়গাটা রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও ক্রমশ অস্পষ্ট করে দিচ্ছিলাম, গত পঁচিশ বছরেরও বেশি সময়ে তা পত্রে পল্লবে আরও বিকশিত হয়েছে। গত কয়েক দশকে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা এসেছে তাদের মূল ভরকেন্দ্র ছিল এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে পোক্ত করার দিকে। তবু একশো তিরিশ কোটির দেশ, তার মধ্যে একটা বাজারকে বিকশিত হতে না দিলে স্থূলে ভুল হয়ে যায় আর তাছাড়া গরিব ও প্রান্তীয় মানুষের জীবনে যদি ক্রমশ সঙ্কট ঘনীভূত হতে থাকে সময় বিশেষে তা আর্তনাদ থেকে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বা আরও তীব্রতর প্লাবনের আকার নিলে এই গোটা পরিকল্পনাটাই মাটি হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তাই বাজারের স্বার্থের সঙ্গে কিছুটা আপস করে দেশের গরিব মানুষের জন্য কিছু কিছু প্রকল্প চালু করা হয়েছিল যাতে তাঁদের কিছুটা আর্থিক সুরাহা হয় এবং ঠারে ঠোরে তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া যায় মসনদে বসে তারা একেবারে তাঁদের কথা ভুলে যাননি। এইসব সরকারি পরিকল্পনার সবটাই যে একশোভাগ রূপায়িত হয় তা নয়, কিন্তু কিছুটা হয়। একশো দিনের কাজ, কিছু কিছু আবাস যোজনা ইত্যাদি কিছু মানুষকে সাময়িক স্বস্তি দিয়েছে। যদিও তার জন্য দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে বেপরোয়া বেসরকারিকরণের রথ চালনা বন্ধ হয়নি। সামাজিক ক্ষেত্রে কিছু সুবিধে দেওয়ার পাশাপাশি ভর্তুকি ইত্যাদি থেকে সরকারের হাত গোটানোর কাজ শুরু হয়েছিল আগেই।

সেই অসমাপ্ত কাজের ব্যাটন গত ছয় বছরে হাতে তুলে নিয়েছে এমন একটি রাজনৈতিক দল, যারা এইসব কুকীর্তিতে আরও এক কাঠি সরেস, এবং আরও আরও বেপরোয়া। উপরন্তু তাদের মস্ত সুবিধে হল, তাদের রাজনৈতিক ভাবনায় ধর্মীয় পরিচয় ছাড়া গরিব মধ্যবিত্তের কোনও সামান্যতম জায়গা নেই। আপাদমস্তক একটি সাম্প্রদায়িক দল যারা রাজনীতি বলতে বোঝে ধর্মের আড়াআড়িকে আরও চওড়া করে রাজনীতির ফায়দা লোটা ও ক্ষমতার দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থাকে শক্ত করা— তাদের হাতে আপাতত আমাদের ওপর প্রভুত্ব করবার রাজদণ্ড। কিন্তু খেয়াল রাখা দরকার, এই ধর্মের বাড়াবাড়ি বা একবগগা ঝোঁকের একটা উল্টো পিঠ হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে আরও বেশি বেশি করে ব্যক্তি মালিকানা ও ক্রোনি ক্যাপিটালের হাতে অর্পণ, এই বিষয়ে তাদের দক্ষতা আন্তর্জাতিক মানের। দেশের সম্পদ লুঠ করে দেদার শিল্পপতি বিদেশের উড়ান ধরে পিটটান দেন, তাদের জাতীয়তাবাদের সরোবরে কোনও ঢেউ ওঠে না; চোখের চামড়া উপেক্ষা করে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা স্রেফ বেচে দেওয়া হয় জলের দরে, কিন্তু দেশপ্রেমের প্রাচীরে কোনও ফাটল ধরে না। অথচ অনুপ্রবেশ না শরণার্থীর বিতর্ক তুলে বা সীমান্তের সংঘর্ষের আধাসত্য কাহিনি পল্লবিত করে দেশের মানুষের থেকে দেশপ্রেমের হিসেব কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নেওয়ার চেষ্টা হয়। প্রবল পরাক্রমে দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে কলা দেখিয়ে চলে নানা বেআইনি কাজ।

কিন্তু এইসব প্রসঙ্গ তুলছি কেন? দেশজোড়া বাতি নেভানো, বাজি ফাটানো, ফানুস ওড়ানোর সঙ্গে এইসবের কি কোনও যোগ আছে? যোগ আছে থালা বাজানোর মশাল মিছিল করার? আছে, কারণ সোশ্যাল ডিস্টান্সিং নামক রোগে আমরা অনেক অনেক দিন ধরে আক্রান্ত। আমাদের বাজার অর্থনীতি আমাদের প্রত্যেকের জন্য কেটে দিয়েছে একটা লক্ষ্মণরেখা—প আমরা সেই খড়ির গণ্ডির ভিতরে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত তৈরি করে তুলেছি নিজেদের লাল নীল সংসার। সেই বৃত্তে কেবল আমি বা আমার মুষ্টিমেয় কিছু স্বজন, আমার স্বার্থে কাজ করে এমন মানুষ। যদি আমরা সেই সুখী মধ্যবিত্তের চৌকোনার মধ্যে পড়ে যাই, আমাদের তাতে পরম তৃপ্তি। বাকি মানুষ মরে মরুক গে, আমার রোববার দুপুরের ভাতঘুমের কিছু বিঘ্ন না হলেই শান্তি, আমার উইকেন্ডের ইটিং আউটের পরিপাটি সিলেবাসে যেন কোনও অসোয়াস্তির পোকামাকড় না এসে পড়ে।

মারণ ভাইরাসের আচম্বিত আক্রমণ ও তার পরিণামে লকডাউন আমাদের সেই চেনা পাঠ্যক্রমে একটা আচমকা ধাক্কা। প্রথমে আমরা প্রত্যেকে ভেবেছি, আমার কিছু হবে না— ক্রমশ আমরা বুঝেছি কেউই আমরা নিরাপদ নই— অথচ আমাদের অনাক্রান্ত থাকা একটা সামাজিক বিবেচনার জায়গা দাবি করে। এই চেতনা আমাদের জীবন থেকে অনেকদিন অস্ত গেছে। তাই প্রথমেই আমরা যেটা করলাম নিজেদের প্রয়োজন ছাপিয়ে মজুত করতে আরম্ভ করলাম যে যতটুকু পারি, আমার পাড়ারই অন্য কেউ কিছু পেল কি না তা দেখতে আমার বয়েই গেছে। ঘরবন্দি না হয়ে উপায় নেই কিন্তু তা বলে তো আমার জীবনযাপনের উপাদানে কানাকড়ি কম পড়লে হবে না। তাই সব নিষেধের বেড়া টপকে হামলে পড়লাম বাজারের ওপর, চুলোয় যাক স্বাস্থ্যবিধি— আগে আমায় বাঁচতে হবে তারপর অন্য কথা। কিন্তু এ এমন এক অলাতচক্র যা কেবল নিজের ঘরে বন্দি গৃহী মধ্যবিত্তকে এড়িয়ে চলে যাবে এমন নয়, এর থাবা সকলের ওপর সমান এবং তথ্যের বিচারে তুলনায় মধ্যবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্তদের ওপর এখনও এর আঘাত বেশি।

কিন্তু এমন নয় যে, এই রোগ ও তার প্রকোপ থেকে রক্ষা করার কোনও পোক্ত বন্দোবস্ত আমাদের দেশের সরকার করে ফেলেছেন। একটা সময় অবধি তারা নিতান্ত হাল্কাভাবে নিয়েছেন, আদৌ এটার জন্য কোনও ব্যবস্থা দরকার আছে সেটা স্বীকার করেননি। তাছাড়া, তাঁদের রাজনীতি রাফায়েল বিমান কেনাকে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতিকরণের থেকে ঢের বেশি জরুরি মনে করে এসেছেন এতদিন। ফলে ঘাড়ের ওপর বিপদ এসে পড়ায় তাঁদের এখন সসেমিরা অবস্থা, কিন্তু তা বলে  ল্যাজেগোবরে অবস্থা কি দেশবাসীর সামনে দেখানো চলে? তাই উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, যন্ত্রপাতি উধাও, চিকিৎসা সরঞ্জাম অপ্রতুল তবু মানুষের চোখে ঠুলি পড়িয়ে রাখা দরকার অন্তত নিজেদের (ইচ্ছে করলে নিজের-ও পড়তে পারেন) ইমেজ বাঁচানোর দায় তো আছে। স্পষ্টভাবে বলা দরকার, থালা বাজানো ও বাতি নিভানো বা মোমবাতি জ্বালার মতো তৃতীয় শ্রেণির কুৎসিত আহ্বানের মধ্যে সেই অপদার্থতার ওপর মোহের কাজল পরানোর ষোলোআনা প্রয়াস ছাড়া কিছুই নেই।

কিন্তু আমরা সেই কাজলের টিপ সানন্দে পরেছি। কারণ আমাদের কোনও স্বতন্ত্র চোখ নেই আর, বরং বলা ভালো, চোখ আছে তবে তাতে কোনও দৃষ্টি নেই। আমাদের কোনও অনুভূতি নেই আর। যে অনুভূতি অন্তত একবার মনে করায় হাসপাতালের অসম লড়াই লড়তে চাওয়া চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ইত্যাদিকে সম্মান জানানোর জন্য থালা বাজানো কোনও পথ নয়, সকলের স্বার্থেই আমাদের পরিহার করা দরকার মশাল নিয়ে অর্থহীন মিছিল। কিন্তু আসলে সকলের স্বার্থ কথাটাই তো এখন আমাদের কাছে একটা গ্রিক শব্দ, আমাদের অভিধান থেকে আমরা তো কবেই তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাই খানিকটা নির্বোধের মতো ন মিনিটের অন্ধকার রচনা এবং প্রদীপ মোমবাতি দিয়ে তাকে উদযাপন করার প্রহসনে আমরা কখন যেন একেকটা কুশীলব হয়ে গেছি নিজেরাই খেয়াল করতে ভুলে গেছি। আমরা আসলে একটা নৃশংস উন্মাদনা চেয়েছিলাম— আমেদাবাদের রাজপথে পেট চিরে ভ্রূণ বার করার মতো উদ্দাম ইভেন্ট, উত্তরপ্রদেশে বস্তিতে আগুন লাগানোর মতো লেলিহান উত্তেজনা, নয়াদিল্লির ঘেটোতে বিধর্মী উচ্ছেদের মতো আগুন পোহানো তাপ— গত রবিবার রাতে আমরা সব একসঙ্গে পেয়ে গেলাম। বাজিতে, পটকায়, হাউই ওড়ানোয়,  মোমবাতিতে, প্রদীপে রাস্তার উন্মাদ মশাল মিছিলে। ঠিক যখন দেশে একরকম জরুরি অবস্থা, মানুষ মারা যাচ্ছেন অথবা যুঝে চলেছেন মৃত্যুর সঙ্গে। প্রান্তীয় মানুষরা দিন কাটাচ্ছেন ক্যাম্পে, বিত্তহীন নাগরিককে ভাতের থালা হাতে দাঁড়াতে হচ্ছে সরকারি লঙ্গরখানায়, দেশের কোটি কোটি মানুষ দিন গুজরান করছেন ঘোর অনিশ্চয়তায়।

এই কার্নিভাল আসলে আমাদের দরকার ছিল। নয়তো দেখব না দেখব না করেও আমাদের চোখে পড়তে পারত পরিযায়ী শ্রমিকের মুখ, বিপন্ন কৃষকের করুণ আকুতি, আসন্ন অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে অনিবার্য মৃতের মিছিল। আমরা সব দরজা জানলা বন্ধ রাখলেও পচা লাশের গন্ধ ঢুকে পড়তে পারত আমাদের আহ্লাদী রান্নাঘরে। হয়তো সেই দিন সামনে সমাগত। তবু উন্মাদনার আড়ালে যতদিন তা ঠেকিয়ে রাখা যায়। তিনি আমাদের অ্যাসিড টেস্ট নিলেন। আপাতত আমরা সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ। কেয়া বাত!