Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

‘পরিযায়ী’দের আমরা ওরা

সুমন নাথ

 



লেখক এপিজে আব্দুল কালাম গভর্নমেন্ট কলেজের নৃতত্ত্বের শিক্ষক

 

 

 

প্রশ্ন উঠছে এত বেশি সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাইরে কাজ করতে যাচ্ছেন কেন? করোনা আজ শুধু একটা ভাইরাস নয়। করোনা সাম্প্রদায়িকতা— দেশের নতুন বিপদ। তবলিগ জামাতের জমায়েত থেকে শুরু করে, পুরনো বাজারের ছবি পার্ক সার্কাসের, কিংবা মেটিয়াবুরুজের ‘আজকের’ ছবি বলে চালিয়ে দেওয়া অবধি। সর্বস্ব খোয়াতে বসা পরিযায়ী শ্রমিক, তাঁদের জীবন মৃত্যু, তাঁদের আচমকা দাদর স্টেশনে হাজির হওয়া সর্বত্রই খুঁজে নেওয়া হচ্ছে ধর্ম। ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। মুসলমান সম্প্রদায় যেন করোনার বাহক এরকম একটা গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ তৈরি করার প্রয়াস চোখে পড়ার মত। তার মধ্যে অতি সম্প্রতি যুক্ত হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরা নিয়ে মেরুকরণ। তবে এমন দোষারোপের পালা নতুন নয়, ঐতিহাসিক অন্বেষা সেনগুপ্ত (২০২০) তাঁর সাম্প্রতিকতম লেখায় দেখিয়েছেন কিভাবে চৌদ্দ শতকে ইউরোপ জুড়ে প্লেগের ঘটনাকে ইহুদিনিধনে ব্যবহার করা হয়েছে।

পরিযায়ী শব্দটির মধ্যেই রয়েছে এক তীব্র “অপর”/”ওরা” করে দেওয়ার প্রবণতা। এবং একই সঙ্গে এলাকার বা রাজ্যের মানুষের আত্মশ্লাঘা। এ কারণেই কিনা জানি না কেরল অতিথি শ্রমিক শব্দবন্ধে বেশি স্বচ্ছন্দ। একই দেশে মানুষ কর্মসূত্রে স্থানান্তরিত হলে তিনি কি আলাদা হয়ে গেলেন? অবশ্য যে দেশ নিজের নাগরিকের মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করতে স্বচ্ছন্দ তার কাছ থেকে আর বেশি কী-ই বা আশা করতে পারি। পরিযায়ী শব্দটি আমরা করোনা পরিস্থিতিতে দিব্যি ব্যবহার করতে শুরু করেছি, খুব একটা ক্রিটিক্যাল আলচনা না করেই।

অতি সম্প্রতি কৃষ্ণনগরে পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রেন পৌঁছবে এই খবরের সঙ্গে সঙ্গেই “ওই ওরা আসবে” ওই করিমপুরের “ওরা”, ইত্যাদি প্রভৃতিতে উপচে পড়ছে সামাজিক মাধ্যম। কিন্তু ওরাই কেন? এর উত্তর জানার আগে একটা দুটো সংখ্যাতত্ত্ব দেখে নেওয়া যাক। নদিয়াতে ২০১১র পরিসংখ্যান অনুসারে মুসলিম মানুষের উপস্থিতি শতাংশের হিসেবে ২৬.৭৬। মজার ব্যাপার হল করিমপুর-এ এই হিসেবটা ৪৩.২৪। তেহট্টে এই হিসেব ৩৬.১৩ শতাংশ মত। মুর্শিদাবাদের মত এলাকায় মুসলিম মেজরিটি (৬৬ শতাংশ)। সুতরাং এখান থেকে যারা বাইরে কাজের সন্ধানে গেছেন তাঁদের মধ্যে যে বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান হবেন তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দেয়, এঁদের রাজ্য ছেড়ে বাইরে যেতে হচ্ছে কেন?

যদি আমরা সমসাময়িক বেশ কিছু গবেষণাপত্র দেখি তাহলে দেখব ১৯৯০ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ ক্ষেত্রে কৃষিভিত্তিক রোজগার ক্রমান্বয়ে কমেছে। এই সময়েই দেখা গেছে কৃষিক্ষেত্র থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে (Gupta 2005; Binswanger-Mkhinze 2003, Timmer 2009, World Bank 2010, Shetty 2006,2011)। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার। ফলত কৃষিক্ষেত্রে শ্রমিকের উপার্জনের পথ ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়েছে। বর্ধমানের অপেক্ষাকৃত সম্পন্ন কৃষিজীবী এলাকা গুসকরাতে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে একটি সমীক্ষা করতে গিয়ে কিছুটা চমকে যাই শুনে যে ওনারা এখন ফসল তোলার জন্য হরিয়ানা থেকে হারভেস্টার আনেন ড্রাইভার সমেত। এক সময় সেখানে মুর্শিদাবাদ থেকে মুসলমান সমর্থ পুরুষ মুনিশ খাটতে আসতেন, থাকতেন এবং ক্ষেত থেকে ধান তুলে গুদামজাত করা পর্যন্ত তাঁদের কাজ থাকত। অপেক্ষাকৃত সম্পন্ন চাষি পরিবারে তাঁদের আলাদা করে থাকার ব্যবস্থা করা আছে এখনও। কিন্তু সেসব আন্তঃরাজ্য পরিযায়ী প্রথা এখন প্রায় অতীত। একই সঙ্গে বেড়েছে কৃষিক্ষেত্রে কাজ পাওয়ার মধ্যে প্রবল প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ (Nath and Chakrabarti 2011, Nath, 2020)। ঠিক এই সময়েই সারা দেশ জুড়ে রিয়েল এস্টেট-এর রমরমা শুরু হয় এবং চলতে থাকে প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে। রিয়েল এস্টেট নিয়ে আসে নগরায়ন এবং নগরের পরিকাঠামো প্রকল্পে ব্যাপক লগ্নি এবং কাজের বিশাল সম্ভাবনা। উড়ালপুল, মেট্রো, বিমানবন্দর, ঝাঁ চকচকে অফিস, গগনচুম্বী বাজার, গরম বিটুমেনে সাদা রং কিংবা রাস্তার মাঝের সুসজ্জিত বাগিচা ইত্যাদির পেছনে যে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর থাকে, তাতে মিশে থাকে ড্রিলিং মেশিন, কাঠ পেটানো আর সন্ধের ভোজপুরি গানের শব্দ। হ্যাঁ, এই সমস্ত কাজের জন্য চাই শ্রমিক: শক্তিশালী, পরিশ্রমী, এবং দক্ষ শ্রমিক। সুতরাং লেবার কন্ট্রাক্টর গ্রাম থেকে তুলে আনতে শুরু করলেন ভূমিহীন, কিংবা নামমাত্র ভূমিযুক্ত মানুষকে। কারা বাইরে যাওয়ার এই ধকল নেবেন? যাঁদের সত্যি আর কিছু করার নেই, বাড়িতে থাকলে যাঁদের ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ বলে আর কিছু থাকবে না‌ একমাত্র তাঁরাই এইভাবে পরিবার ছেড়ে, নিরুদ্দেশ যাত্রা করবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ২০০৬ সালে নেওয়া NREGS প্রকল্পের ১০০ দিনের কাজ এই সব মানুষকে বাড়িতে রেখে দেওয়ার পক্ষে যে যথেষ্ট ছিল না সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না, আর সেই প্রকল্পে অর্থবরাদ্দও যদি না বাড়ে তাহলে যে পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা বাড়তেই থাকবে সেকথা সহজেই অনুমেয়।

সুতরাং সহায়সম্বলহীন মানুষ যাঁদের তার রাজ্যে বেঁচে থাকার রসদ জোগাড় করতে হয়রান হতে হয়েছে তাঁরা বেরিয়ে পড়লেন একদিন। প্রথমে গেলেন একজন, পরিবার দেখল সামান্য কিছু অর্থ, ছেলেমেয়ে স্কুলে যাবার সুযোগ অন্তত পেল, দুবেলা খাবার জুটল, তারপর তার বন্ধুবান্ধব, গ্রামের ছোটবেলার খেলার সাথী, পাশের গ্রামের অমুক তমুক। শোধ গঙ্গা সাইটে জনৈক গবেষকের থিসিসে উঠে এসেছে এই বাইরের কাজ থেকে সংসার খরচের বেশিরভাগ অংশই উঠে আসে। এই উপার্জন কোনও অতিরিক্ত উপার্জন নয়।

শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রেই যে উপার্জন কমেছে সেরকম নয়। আপামর ভারতেই কৃষি-র বাইরে Non-Farm Employment-এ কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেনি (Binswanger-Mkhize 2013)। এর সঙ্গে রয়েছে ফি-বছরের প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং তার দরুন ঘটে যাওয়া একটি বিরাট সংখ্যক মানুষের চ্যুতি বা displacement। মন্থন-এর হয়ে বন্ধু ফারুক আয়লা বিধ্বস্ত মানুষের রোজনামচা নিয়ে একটি তথ্যানুসন্ধান চালায়। আয়লার পরে যেভাবে মানুষের জীবন এবং জীবিকা বিপন্ন হায়েছিল তার ফলে দলে দলে গ্রামের মানুষ শুধুমাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে বাইরে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যান। একই কথা খাটবে নদীয়া কিংবা মুর্শিদাবাদের নদীভাঙন এলাকাতেও। Huffington post-এ ২০১৭ সালে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে নদীভাঙনের দরুন কীভাবে করিমপুরে গ্রামের পর গ্রামের মানুষ বাধ্য হন বাইরে যেতে। অর্থাৎ রাষ্ট্র যাঁদের আটকে রেখেছে, যাঁরা ক্লান্ত হয়ে রেল লাইনে ঘুমিয়ে পড়লেন তাঁরা আসলেই কেউ না, কিচ্ছু না। এর মধ্যে যদি একটু ধর্মের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে যে তার ঠিক তার কতটা সুদূরপ্রসারী ফল পাওয়া যায় তা ২০১৪ সালের পর থেকে সংগঠিত আকারে মব লিঞ্চিং-এর ঘটনার দিকে তাকালেই বুঝতে পারা সম্ভব। আমরা নিশ্চয়ই আফরাজুলের শম্ভুলালের হাতে খুন হওয়ার কথা ভুলে যাইনি। আফরাজুল পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন, আর শম্ভুলালকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রায় ভগবানের স্তরে উন্নীত করতে বাকি রেখেছিলেন (Salam 2019)।

আপনার আমার বাড়ির পাশে যে ফ্ল্যাট উঠছে সেখানে গিয়ে একবার দেখুন তো কারা আসছেন কাজ করতে এবং কেন আসছেন? যে কলেজে ২০১৬ সালে ট্রান্সফার হবার পর থেকে আছি তার দুটি তলা নিজের চোখের সামনে তৈরি হতে দেখেছি। যে বয়েসি ছেলেমেয়েদের পড়াতাম তাদের প্রায় একই বয়সের মুর্শিদাবাদ থেকে আসা ছেলেরা মাথায় ইট চাপিয়ে চারতলায় উঠত। অনেক সময়েই কান্না পেত, অনেক ছাত্রছাত্রীরাও বলেছে এদের দেখলে নিজেদের ভাগ্যবান মনে হয়। এদের ন্যূনতম কোনও সুরক্ষাব্যবস্থা দেওয়া হয়নি। তিনতলা থেকে মে মাসের দুপুরে এক শ্রমিক পড়ে গেলেন, ল্যাব থেকে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে সবাই মিলে হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। সেদিন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে নেট লাগানো হয়। সেই ভদ্রলোকের পরিবারকে হয়ত কিচ্ছু দেওয়া হত না যদি না এই কলেজের ছাত্রনেতারা এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করত। নিউটাউনের মত নিত্যনতুন গজিয়ে ওঠা শহরের অগণিত বাড়ি, দেশ জুড়ে ‘উন্নয়নের’ জোয়ারে কারা শহীদ হচ্ছেন রোজ? শুধু কি দুর্ঘটনা? নামমাত্র খাওয়াদাওয়া, যেখানেসেখানে থাকা, ঘুমানো— তবুও কারা যেন ধর্ম খোঁজেন যাঁদের সব হারিয়েছে তাঁদের মধ্যে?

যাই হোক, আমরা এখনও হিন্দু মুসলিম খুঁজছি ভাইরাসে, ভাইরাস বহনকারীদের মধ্যে, রুটিতে, রক্তে। আমাদের খুঁজতে একরকম বাধ্য করা হচ্ছে। কখন সামাজিক মাধ্যমে প্রাপ্ত রঙিন মিথ্যে দিয়ে তো কখনও রাজ্যের পত্রযুদ্ধে ‘মুসলমান তোষণ’ শব্দবন্ধে। তাহলে একটু দেখি যেখানে দাঙ্গা হয়েছে সেখানে কারা দারুণ আছেন। ‘আমরা এক সচেতন প্রয়াস’ থেকে ভাটপাড়া, কাকিনাড়া, আসানসোল, নৈহাটি, বসিরহাট, ধূলাগড় ইত্যাদি সাম্প্রতিক দাঙ্গাক্লান্ত সকল জায়গাতেই বারবার গবেষণা চালানো হয়। পরিযায়ী শ্রমিক, দাঙ্গা, আর ক্ষুধার ককটেল কেমন হয় জানতে চাইলে আসতে হবে ভাটপাড়াতে, একটু ঘুরে দেখতে হবে দাঙ্গাক্লান্ত শ্রমিক বস্তিগুলো। যাঁদের টাকা নেই তাঁদের জন্য সরকার থাকবেন এমন আশা করা হয়। কিন্তু যদি আপনার রেশন কার্ড আগুনে পুড়ে গিয়ে থাকে, যদি আপনার বাড়ি ভাঙা আধপোড়া অবস্থায় থাকে? ধরুন আপনি খাদ্যদ্রব্য পেলেন, কিন্তু হাত না ধুলে তো আপনার করোনা হবে, আর আপনার হলে সবার হবে কারণ আপনি দশ ফুটের ঘরে ৬ জন। পাশের দেওয়াল থেকে ভেসে আসে আরেকটি পরিবারের হাড়ির খবর। আপনার সাবান কেনার সামর্থ্য নেই। থাকার কথাও না। কারন আপনি হিন্দু মুসলিম খেলার মধ্যে পড়ে গেছিলেন। এই প্রসঙ্গে আমরার তরফ থেকে শুভপ্রতিম রায়চৌধুরীর (২০২০) সাম্প্রতিক লেখাটি উল্লেখ্য।

আচ্ছা খুঁজুন না হয় একটু অন্যভাবে “মুসলিমদের কেন বাকিদের থেকে কাজের সন্ধানে বেশি যেতে হয়?” এইরকম একটা জিজ্ঞাসা আছে আপনার? তাহলে একবার খুলে দেখবেন নাকি সাচার কমিটি রিপোর্ট?

বলুন তো কেন ২৫ শতাংশ মুসলমান ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় না? উত্তর খুব সোজা। কাছাকাছি স্কুল নেই, কোনও কোনও স্কুলে কীরকম ব্যবহার পান সেকথা ছেড়ে দিন। বড় বড় কলেজে ২৫ জনে একজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ জনে একজন পড়ুয়া হলেন মুসলমান।

রেলে চাকরির মাত্র ৪.৫ শতাংশ মুসলিম, তার মধ্যে ৯৮.৫ শতাংশই একদম নিম্নস্তরের কর্মী। কোনও ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসা করবেন বেশি পরিশ্রমের কাজটা তিনি মুসলমান কর্মীর জন্য রেখে দেন। যে কোনও দিন দেখবেন যেসব মানুষ ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করেন তার মধ্যে অধিকাংশ মুসলমান, কিন্তু গাঁথনির কাজ করছেন হিন্দুরা! ২০০৬ সালে প্রকাশিত একটি উত্তর প্রদেশের একটি গবেষণাপত্রে দেখা যাচ্ছে বাড়ি এবং মেট্রো নির্মাণে যত শ্রমিক আছেন তাঁদের মধ্যে যথাক্রমে ৬৩ এবং ৭৯ শতাংশই মুসলিম (Kumar, et al. 2006)। এই অবস্থা কি কাকতালীয়? নাকি এই সংখ্যা আসলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় রাষ্ট্র নিজের করা রিপোর্টের ন্যূনতম সদ্ব্যবহার করেনি? আসলে আপনার বৈষম্যের বোধ শুধু আপনার নয়। এই “ওরা” করে রাখার বৈষম্য অনেক দিন লালন করেছেন সমাজের চূড়ায় বসে থাকা মানুষ থেকে শুরু করে সেই পরিযায়ীও, যিনি পথে শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে রয়েছেন। ঠিক যে কারণে শ্রেণির চেয়ে বড় হয়ে ওঠে সাম্প্রদায়িক পরিচয়। এমনকি চরম দারিদ্রের মধ্যেও সে পুষ্ট হয়, চরম অসহায়তাতেও তার বিকাশ ঘটে। সে কারণেই ভাটপাড়ায় ঘিঞ্জি বস্তিতেও হিন্দু মুসলিম সাংস্কৃতিক মানচিত্র প্রকট, এবং খালি পেটেও দিব্যি দাঙ্গা হয়।

 

ব্যবহৃত প্রবন্ধ, পুস্তক এবং অন্যান্য সূত্রাবলি:

  1. https://www.huffingtonpost.in/village-square/hungry-river-padma-is-forcing-people-to-migrate-in-search-of-a-livelihood_a_23317997/
  2. https://shodhganga.inflibnet.ac.in/jspui/bitstream/10603/164965/7/07_chapter%204.pdf
  3. Sukla, Kumar, K., Tripathi, Sushama, Mishra and Sanjay, “Out Migration from Rural Villages In Eastern Uttar Pradesh; A Micro- Level Study” Demography, India, Vol 35, No- 2(2006), pp. 337- 351.
  4. Gupta, Dipankar (2005): “Whither Indian Village: Culture and Agriculture in ‘Rural’ India,” Economic and Political Weekly, Vol 40, No 8, pp. 751-758.
  5. Binswanger-Mkhinze, Hans P (2013): “The Stunted Structural Transformation of the Indian Non-Farm Sector,” Economic and Political Weekly,Vol 48, No 26-27, pp 5-13.
  6. Roy Chowdhury, S. (2020). Communalism in the time of Covid-19. The Frontier Weekly. https://www.frontierweekly.com/views/may-20/1-5-20-Communalism%20in%20the%20time%20of%20Covid-19.html
  7. সেনগুপ্ত, অ (২০২০) মহামারী ও দোষারোপ। বাংলা লাইভ। https://banglalive.com/pandemic-and-the-tradition-of-accusation-against-communities/?fbclid=IwAR24MRCvpmEysX2ZXVEWDvh6_tCTUg9wOxDwGlt03VzDyRIaxe_FIdMXL6s
  8. Timmer, Peter, C (2009): A World Without Agriculture: The Structural Transformation in Historical Perspective. Washington DC: American Enterprise Institute.
  9. World Bank (2010): Perspective on Poverty in India: Stylized Facts from Survey Data. Washington DC: World Bank.
  10. Shetty, S. L. (2006): “Policy Responses to the Failure of Formal Banking Institutions to Expand Credit Delivery for Agriculture and Non-Farm Informal Sectors: The Ground Reality and Tasks Ahead,” Paper presented at ICRIER’s monthly seminar on India’s Financial Sector, New Delhi: ICRIER, 14th November.
  11. Shetty, S. L. (2011): Agricultural Credit and Indebtedness: Ground Realities and Policy Perspectives, In D. Narasimha Reddy and Srijit Mishra, eds, Agrarian Crisis in India, pp 61-86. New Delhi: Oxford
  12. Nath, S. (2020). People-Party-Policy Interplay in India: The Micro-dynamics of Everyday Politics in West Bengal, c. 2008 – 2016. New York: Routledge
  13. Nath, S and Chakrabarti, B. (2011): “Political Economy of Cold Storages in West Bengal,” Commodity Vision, Vol 4, No 4, 36-42.
  14. Salam, Z. U. (2019). Lynch Files: The Forgotten Saga of Victims of Hate Crime. New Delhi: Sage