প্রশান্ত ভট্টাচার্য
লেখক কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক
If we were sleepwalking towards a surveillance state,
now we are panic running into it.’–Arundhati Roy.
রেললাইন বলছে, সুপ্রিম কোর্ট ঘুমিয়ে পড়লে আমি কী করব?
ফেসবুকে এই পোস্টটা দেখে আমার প্রথমেই মনে হল, কী আমোদী শীর্ষ আদালত!
মহামান্য ধর্মাবতার, আপনারা ঠিকই বলেছেন। কেউ রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়লে রাষ্ট্রের কোনও দায় নেই। যেমন আপনারা বলেছেন, কে হাঁটছেন আর কে হাঁটছেন না, নজরদারি করা আপনাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
আচমকা লকডাউন ঘোষণায় সবচেয়ে নাকাল বিভিন্ন রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা। বিপন্ন এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরের উদ্দেশে হেঁটেই চলেছেন সড়ক পথে বা রেললাইন ধরে। এই বিষয়ে আইনজীবী শ্রীবাস্তব সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, এই শ্রমিকদের চিহ্নিত করে তাঁদের খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে সুপ্রিম কোর্ট যেন কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়। ওই মামলায় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, ‘রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা হাঁটছেন, তাঁরা থামছেন না— কী করে তাঁদের থামাব? কে হাঁটছেন আর কে হাঁটছেন না, নজরদারি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’ আবেদনে উল্লেখিত মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ট্রেন-দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বেঞ্চ বলেছে, ‘কেউ যদি রেললাইনের উপরে ঘুমিয়ে পড়েন, সেটা কীভাবে সুপ্রিম কোর্ট নজর রাখবে!’ অথচ আমার বলতে দ্বিধা নেই, সমাজের এলিটদের জন্য এই আদালতগুলোর ভূমিকা অন্যরকম। এই শ্রমিকরা যদি দিল্লির কোনও মার্গে বসে পড়ে খাদ্যের জন্য, আশ্রয়ের জন্য বিক্ষোভ দেখাতেন, তবে এলিট দিল্লিবাসীর কল্যাণার্থে এই ধর্মাবতাররাই দিল্লির উপরাজ্যপালকে হুকুম করতেন, ‘ওই শ্রমিকদের যেন-তেন প্রকারেন তুলে দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে দেওয়া হোক।’
দেরিতে হলেও ২৩ মে সুপ্রিম কোর্টের ওই মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি দুষ্মন্ত দাভে। তিনি ধর্মাবতারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেন, ‘বিচারপতিদের পবিত্র সাংবিধানিক দায়িত্ব হল সব নাগরিককে রক্ষা করা। তাঁরা দেশের নাগরিকদের দুর্দশা দেখে চুপ করে থাকতে পারেন না।’ এর পরেই বিচারপতিদের সরাসরি নিশানা করে দাভের জিজ্ঞাসা, ‘যদি বিচারপতিরা দেখতেন যে, তাঁদের নাতি-নাতনি রাস্তায় হাঁটছে আর উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে গাড়ি, তবু কি তাঁরা শিশুদের বাঁচাতে চেষ্টা করতেন না। সুপ্রিম কোর্টের কাছে দেশের নাগরিকরা সেই নাতি-নাতনির মতো।’ দাভের এই মন্তব্যের পর আমার শুধু জামলো মকদমের কথা মনে পড়ছিল।
১২ বছরের ছোট্ট মেয়েটি শিশু পদাতিক শ্রমিক হেঁটেছিল। কখনও সরু রাস্তা ধরে। আবার কখনও জঙ্গল কেটে পথ করে নিয়ে। লকডাউনের মধ্যে খাবার মেলেনি। কড়া রোদে চলতে-চলতে মেলেনি জলও। সব বাধা উপেক্ষা করেও ছোট্ট ছোট্ট পায়ে অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে এসেছিল সে। তবু শেষরক্ষা হল না। তেলঙ্গানা থেকে ছত্তিসগড়ের বিজাপুরে নিজের গ্রামে ফিরতে গিয়ে পথেই প্রাণ হারাল সেই বালিকা। বাড়ির কাছাকাছি এসেও তার পথ শেষ হল মৃত্যুতেই। জামলো মকদম মাত্র দুমাস আগে অভাবের সংসার ছেড়ে, তেলঙ্গানার কান্নাইগুডা গ্রামে লঙ্কার বাগানে কাজ করতে গিয়েছিল।
এই যে মৃত্যু, একে কি হত্যা বলব, না নিছক দুর্ঘটনা! আমাদের এই বাংলায় এক কবি ছিলেন ধর্মাবতার। নাম তাঁর রবি ঠাকুর। তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রভু, দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমানে আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।’ জানি, আপনারা পড়েননি। পড়লে তো আর এমন কথা বলা যায় না!
আবার এই ধর্মাবতারদের কোনও কোনও মাসতুতো ভাই আর এক মামলার রায়ে বললেন, লকডাউনের সময় শ্রমিকের মজুরি দিতে বাধ্য করা যাবে না মালিককে। কারণ উৎপাদন আংশিক, বা এক্কেবারেই নেই। অথচ মোদিমশাই কিন্তু ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করার সময় নাটকীয় ভঙ্গিতে আবেদন করেছিরেন, সবাইকে যেন মাইনে দেওয়া হয়। কারও যেন চাকরি না-খাওয়া হয়। জানি না, মহামান্য বিচারপতিরা প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাষণ শুনেছিলেন কিনা, না কি সবাই নিজে নিজের গৃহমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউনের সময়কালের স্টক তুলতে দোকানে লাইন দিয়েছিলেন!
এরপর সরকার যদি বলে লকডাউনের দরুণ কর আদায় হয়নি, রোজগার কমেছে, রাজকোষাগারের হাঁড়ির হাল, তাই বিচারপতিদের বেতন দিতে বাধ্য নই। যদি বলে, একই কারণে গাড়িও দেওয়া যাবে না। হেঁটে আদালতে যান। মেনে নেবেন তো ধর্মাবতার!
আসলে এই যক্ষপুরীতে অনেক রঞ্জন তৈরি হচ্ছে! কী মূল্যহীন এই শ্রমিকদের জীবন! প্রতিদিন ঝরে যাচ্ছে প্রাণ, সরকারের অবিবেচনায়। রাস্তায় পড়ে থাকছে লাশ। অপরাধ কী? ওঁরা বাড়ি ফিরতে মরিয়া ছিলেন! এবার হয়তো মহামান্য আদালতের গলায় শুনব, কী দরকার ছিল ট্রাকে চেপে বাড়ি ফেরার? সড়ক ধরে হাঁটবার? মৃত্যুর আলোচনা গৌণ হয়ে যাচ্ছে চাপান-উতোরে। কেউ বলছেন, কেন্দ্র সবাইকে ফেরাতে চায়। রাজ্যের কোনও আগ্রহ নেই। রাজ্য আবার পাল্টা দাবি করছে, স্বাগত জানাতে কত এলাহি আয়োজন রেডি।
পদাতিক শ্রমিকদের (Migrant Labourers) সমস্যাগুলি নিয়ে আরও অনেক ভালভাবে কাজ করতে পারত কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত। কান্তবাবু বলেন, যেখানে করোনাভাইরাস, লকডাউন এবং করোনার ছড়িয়ে পড়া ভালভাবে রোখা গিয়েছে, সেখানে শ্রমিকদের ব্যাপারটি খারাপভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘এটা বোঝা দরকার যে, পরিযায়ীদের বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ, কয়েক বছর ধরে আমরা এমন তৈরি করেছি, যাতে প্রচুর সংগঠিত শ্রমিক রয়েছেন।’
তবে নর্থব্লকের পয়সায় মাইনে হওয়া কান্তমশাই মূল দোষ চাপিয়েছেন রাজ্যগুলোর ঘাড়ে। কান্ত উবাচ, ‘রাজ্য সরকারগুলির দায়িত্ব ছিল, যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারটি ভালভাবে সামলানো যায়। ভারতের মতো একটি বিশাল দেশে, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সীমিত ভূমিকা। এটা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ, যেখানে, আমি মনে করি, রাজ্য, স্থানীয় ও জেলাস্তরে প্রতিটি শ্রমিককে নিয়ে আমরা আরও অনেক ভালভাবে কাজ করতে পারতাম।’ বললেন না, প্রায় সব মন্ত্রককে বসিয়ে রেখে সব খবরদারি হাতে তুলে নিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর নির্মম পদক্ষেপ কেমন করে হেনস্তা করছে পদাতিক শ্রমিকদের! একেই বলে তামাক-সাজা কান্ত।
যার কাজ আছে তার কাজ কাড়ছে, যার মাথা গোঁজবার স্থান আছে তাকে বাস্তুচ্যুত করছে, যার ভাত আছে তার ভাত কাড়ছে। ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই আমাদের রাষ্ট্র আমাদের মতো পরজীবীদের বাঁচিয়ে রাখতে এক আহাম্মক চেতনায় লকডাউন জারি করেছে। আর বিপন্ন হচ্ছেন খেটেখাওয়া মানুষজন। একটি এনজিও ‘সেভ লাইফ ফাউন্ডেশন’ ক্ষেত্র অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, লকডাউন পর্বে ২৪ মার্চ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত শুধু ‘নিজের দেশে’ ফেরার তাগিদে পথদুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ১৫৮ জন শ্রমিক। আর জখম হয়েছেন ৬৩০ জন। যদিও ওই এনজিও দাবি করছে, এই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ কেননা, অনেক রাজ্য সরকারই এই সংক্রান্ত তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে। ফলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
আর কী সমাপতন! এই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে রামের জন্মভূমির প্রদেশ যোগীর উত্তরপ্রদেশে। এই অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ দেশের ইতিহাসে, উন্নয়নের ধারায় সব সময় বঞ্চিত, প্রতারিত। তাতে কী। মহামারির কালে তাঁরা অভুক্ত বা অর্ধভুক্ত পড়ে থাকবেন দূরান্তরে। করোনায় না-মরলে রাস্তায় হাঁটিয়ে মারব, খিদেয় মারব, তাতেও যদি বেঁচে যাস রেলের চাকার তলায় পিষে মারব। তোদের বাঁচার বড় আশা! এই হল কল্যাণকামী রাষ্ট্রের ভাষা। অথচ সেই বাঁচার আশায় কেউ কেউ কয়েকশো কিলোমিটার হাঁটবেন ফেরার জন্য। কোথাও কোথাও পণবন্দির মতো তাঁদের ফেরার পথ বন্ধ করা হবে এই অসহায় সস্তা শ্রম মহামারি-অন্তে কাজে লাগাবার লোভে। কর্নাটকে তো নির্মাণশিল্পের মালিকদের চাপে পদাতিক শ্রমিকদের নিজের দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা বাতিল করল বিজেপি সরকার। এরমধ্যে তো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, এই খেতে না-পাওয়া, ঘরে থাকতে না-পাওয়া শ্রমিকদের প্রায় কাকুতিমিনতি করলেন, দিল্লি ছেড়ে না-যাওয়ার জন্য। আসলে পুঁজির সাধারণ সূত্র অনুযায়ী শ্রমিকের দরকার, নইলে তার উদ্বৃত্ত মূল্য তৈরি হবে কোন জাদুতে। এই গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষ যদি লকডাউনের জেরে নগরে কাজ করার বাসনা ত্যাগ করেন তবে উৎপাদন হবে কার হাত ধরে? তাই পুঁজির সেবক অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা প্রমাদ গুণতে শুরু করেছেন।
কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়া লকডাউনের ফলে চলমান শ্রমিকের যে ওষ্ঠাগত প্রাণ, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই! পদাতিক শ্রমিকরা বাধ্য হচ্ছেন সড়কপথে রেলপথে কেননা, ‘নিজের দেশে’ পদাতিক শ্রমিকদের ট্রেনে করে ফিরতে বিশদ নিয়ম করা হয়েছে। যেমন, পুলিশের কাছ থেকে টাকা দিয়ে ফর্ম কিনতে হবে, সেই ফর্ম ইংরাজিতে টাইপ করে পূরণ করতে হবে৷ এরপরে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের কাছ থেকে ফিট সার্টিফিকেট নিতে হবে। নিজের ই-মেল আইডি, মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এরপর সেই ফর্ম পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে। পুলিশ সেই সব তথ্য সবিস্তার যাচাইয়ের জন্য তাঁর ‘নিজের দেশ’ প্রদেশের সরকারের কাছে পাঠাবে আর সংশ্লিষ্ট সরকার তদন্ত করে দেখবে, সেই শ্রমিক আসল কিনা৷ এরপর সরকার সেই প্রদেশের, যে প্রদেশে শ্রমিক আটকে আছেন, সেখানকার পুলিশকে জানাবে। এতসবের পর এবার পুলিশ, শ্রমিকের পরিচয় ঠিকঠাক থাকলে, তাঁকে পিডিএফ ফাইলে ই-মেল করে জানাবে, তিনি ট্রেনে চড়ার যোগ্য কিনা। ভেবে দেখুন, লকডাউনের বাজারে একজন পদাতিক শ্রমিক এত কিছু ফ্যাচাং সামলাবেন কী করে? অগত্যা এই অবস্থায় মহানিষ্ক্রমণকেই উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন পদাতিক শ্রমিকরা।
এরপরে এইসব শ্রমিক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ যেন, ‘অবাক বিচার পান’, পক্ষান্তরে কেন্দ্রীয় দায় ভাগ করে দিয়ে, সরকারের পাশে থাকার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। বিচারের বাণী এখন আর নীরবে নিভৃতে কাঁদে না, সরবে নির্লজ্জভাবে আত্মপ্রকাশ করে। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর বিপদের বীজ এভাবেই ধীরে ধীরে বপন হচ্ছে ভারত নামক রাষ্ট্রটির প্রতিটি স্তম্ভে। ধর্মাবতার, আপনারা ঠিকই বলেছেন— কেউ রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়লে রাষ্ট্রের কোনও দায় নেই।
যেমন দায় নেই আমাদের পুরসভার গেটে বসা ‘রামু মুচি’কে নিয়ে। লকডাউনের সৌজন্যে কেউ পথে নামেন না, কারও জুতোও ছেঁড়ে না। রামুভাইয়ের কোনও কাজ নেই। মাথা গুঁজে খেটে খাওয়া মানুষটা পরান্নে নির্ভর হয়ে পড়েছে। ঘর তাঁর বিহারের সাসারামে। ভালবাসার মানুষটা, দু দুটো বাচ্চা কী করে আছে, জানতে পারেন না। মন ভাল নেই। বেরোজগার-বেকাম দিনগুলোতে মনে নানারকম কু ডাকে। একান্তই না-পেরে ওঁর এখানকার ইয়ারদোস্তদের বলে-কয়ে একটা লজঝড়ে সাইকেল জোগাড় করে লোটাকম্বল নিয়ে সাসারামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানি না, রামুভাই কোনওদিন সাসারাম পৌঁছতে পারবেন কিনা! সরকারের কোনও দায় নেই, শীর্ষ আদালতের কোনও দায় নেই রামুর এই পথ চলাতে।
রামু নামটা নিশ্চয়ই রামের প্রসঙ্গ এনে দেয়। সেই রামমন্দির গড়া নিয়ে মোদি-শাহদের যথা উদ্দেশ্য আছে, আর সেই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য, ধর্মাবতার, আপনাদের দায় আছে। কিন্তু কী পরিহাস! রামুর বাড়ি যাওয়ার জন্য আপনাদের কোনও দায় নেই। আপনাদের নাতনির বয়সি জামলো মকদমের বাড়ি পৌঁছনোর জন্য, ধর্মাবতার, আপনাদের কোনও দায় নেই! অথচ রঞ্জন, আপনাদের জন্য রাজ্যসভা আছে!
তবে মনে রাখবেন, যে শ্রমিকরা রাজপথে, রেললাইনে রক্তের আলপনা এঁকে দিচ্ছেন সারা দেশজুড়ে, তাঁরা কিন্তু এক লং মার্চের সূচনা করেছেন। মনোবল ধাত্রী করে তাঁরা একদিন বলবেই, ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা।’