রিনি গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ ঘাসের ডগায় বৃষ্টিবিন্দুগুলো এখনও অল্প দুলছে। ওরই ফাঁকে ফাঁকে আলগোছে পড়ে গমের দানা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে দু-চারটে হলদে হওয়া নিমফল। ওরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খাচ্ছে। নিমফল তেতো লাগলে ফেলে দিচ্ছে। ঘাসের সবুজে ওদের হলুদ ঠোঁট ডুবিয়ে খুঁজে আনছে ধানী রঙের দানা। ওদের খয়েরি ডানায় একটু একটু করে আলো ফুটছে। ফর্সা হচ্ছে আকাশ আর জামরুল গাছের গুঁড়িতে মিশে যাচ্ছে ওরা কেউ কেউ! আবার ছোট্ট পরিসরে ঘন তুলির ঘাস আর ফাইভস্টারের তরল অদ্ভুত কম্বিনেশন তৈরি করছে। ওরা অল্প উড়ছে, ডানা ঝাপটাচ্ছে, আবার বসছে, চঞ্চুতে ওদের চঞ্চলতা! খেয়ে-দেয়ে আরাম হলে কিচিরমিচির শব্দ করছে। ফাঁকতালে জুড়িদারের পিঠ চুলকোনোর অছিলায় ডানায় মুখ ডুবিয়ে দিচ্ছে। নর্দমাটার ধার ঘেঁষে নিমগাছের ডালে ডালে চলছে লুকোচুরি।
খবর পেয়ে হাজির একদল বকমদারও! গলা ফুলিয়ে কি তাদের গড়গড়ানি। ভাবটা এমন, খবরটা আগেই দেওয়া উচিত ছিল। দেরি করে ভালো করা হয়নি। আচ্ছা, পরের দিন দেখা যাবে। বকমবকম…
ও কি ও! অমন পা দাপালে হয় বুঝি! কেমন কাদা উঠছে দেখছ না!! উউউহহ, কাদার মতো গায়ের রং, আবার কাদায় ভয়ডর!
পেটমোটা বকমদার গুটগুট করে তেড়ে যায়… খয়েরি ডানা সাদা কালোর ওড়না ওড়ায়… চিচিচিচি… কিচকিচ… তুড়ুৎ তুড়ুৎ… দৌড় দৌড়… আরে আরে…
ওও… কাঠবেড়ালি… পেয়ারা গাছ থেকে নেমেই একপাক ঘুরে আবার জামরুলের পাতায়… ডাল ধরে ঝুলে ঝাঁপিয়ে বেঁটে পলাশের খাঁজে… মাটি ছুঁয়ে দু একটা গমের দানা মুখে নিয়েই হুইইই…
শালিকগুলো এলোমেলো, পায়রার দল ডানার ধুলো উড়িয়ে পাইপের এখানে ওখানে… আহ্ কাঠবেড়ালি দুটো যে কি করে না!
আবার হুইই হুইই… চিচিচিচি… এই যে বাপু, শান্ত হও তো দেখি! অত পুলক কিসের!
কিচকিচ… দেখছ না কেমন সূয্যি উঠেছে… দেখো মেঘের মেয়ে সাজ করছে আকাশের জন্য…
কাঠবেড়ালি দুহাতে গমের দানা তুলে খায়। আবার লেজ ফুলিয়ে ঘাড় ঝাঁকিয়ে দৌড়তে গিয়ে ধাক্কা খায়। ওহো রে! একটা রোগা শালিক, পা-টা খোঁড়া। কাঠবেড়ালির ধাক্কায় পড়তে গিয়েও ডানার ভরে সামলেছে। কাঠবেড়ালি ওর দিকে এগিয়ে দেয় দুটো গমের দানা। শালিক খুঁড়িয়ে এসে খায়। হঠাৎ আকাশের নীলে মেঘেরা হেসে ওঠে একঝলক। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। শালিকগুলো জোড়ায় জোড়ায় ওড়ে। কাঠবেড়ালি হুসসস করে ঠাঁই নেয় পেয়ারা ছাতার তলায়। রোগা শালিক নড়ে না। জামরুল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে ভিজতে ভিজতে মুখ তুলে দেখে কাঠবেড়ালিকে! কাঠবেড়ালি এডাল ওডাল নেচে নেচে বৃষ্টি বাঁচিয়ে হঠাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে খোঁড়া শালিক ঠায় ভিজছে… ভিজছে আর ভিজছে… ঘাড়ের লোমে তার জল জমেছে। কাঠবেড়ালি চট করে নেমে আসে। জামরুল গুঁড়ির শেষপ্রান্তে ঝুলে তাকিয়ে থাকে শালিকের দিকে। মাথায় তার অবিরাম জলতরঙ্গ; চোখে গাঢ় হলুদ কাজল; ঠোঁটের ডগায় আবছা হয়েছে তীক্ষ্মতা… কিচকিচ… লেজে ছোট্ট কামড়… জুড়িদার ডাক দিয়েছে; বৃষ্টি মাথায় আবার দৌড়… খোঁড়া শালিক বেঁটে পলাশের ভাঁজে।
সেদিন দুপুরে চুপিচুপি পাইপ বেয়ে কাঠবেড়ালি চারতলার জানলায়… চাল শুকোতে দিয়েছে আনাড়ি বউটা!! কাঠবেড়ালির তো মজা! বন্ধুর সঙ্গে চালের থালায় ছোট ছোট পায়ের ছাপ ফেলে লেজের ভরে দু হাতে দিব্যি কুটকুট করে চাল খাওয়া হচ্ছে। বকবকমগুলোর দেখেও কিছু করার নেই। গোদা শরীরটা জানলার গরাদ গলে ঢুকবে না। হঠাৎ কিচিরমিচির… এসি মেশিনের ফ্যানের ওপর বসে খোঁড়া শালিক… ডাকছে… আরে!! কী যেন ইশারা করল!! পালা পালা, ঐ বুঝি দজ্জাল শাশুড়িটা লাঠি নিয়ে এসেছে!! তিড়িং বিড়িং দুদ্দাড় সুড়ুৎসাড়াৎ…. হে হে হে নেমে পড়া গেছে!! ভাগ্যিস খোঁড়া জানান দিল!! নইলে আজ পড়ত দু-এক ঘা! খোঁড়া ও ডানা উড়িয়ে পেয়ারা গাছের নীচু ডালটায়। কাঠবেড়ালি পেয়ারা গুঁড়ির কাছে এসে কিচকিচ করে ডাকে…
খোঁড়া শালিক নেমে একটু দূরে, কিন্তু কাছেই বসে। কাঠবেড়ালি হাতদুটোতে কি জানি কী ভঙ্গি করে! তারপর রোদ মাখা সোনালি ঘাসে গড়াগড়ি খায়, ওলটিপালটি খায়; লেজ তার পাপড়ি হয়ে দোলে; শালিক দেখে রামধনুর ঝিলিক!! ঘাস শরীরে কাঠবেড়ালি এবার লেজের ভরে দাঁড়ায়!! তুরতুর করে এগোয় শালিকের দিকে। শালিখ সরে যায় না। একটা পায়ে অল্প অল্প নাচে; কাঠবেড়ালি নিমেষে ছুঁয়ে দেয় শালিকের ডানা! সামাল! সামাল!! শালিক লজ্জায় বলে চিচি… কাঠবেড়ালি আনন্দেতে ডিগবাজি খায়!!
শালিক আকাশে উড়াল দেয়! বাতাস ভেঙে আজ সে অনেক উঁচুতে ওড়ে! তার ইচ্ছে করে ডানায় ভোরে একটা তারা যদি নিয়ে যাওয়া যেত! কাঠবেড়ালিকে দিত সে! আর কাঠবেড়ালি! সে চড়ে বসেছে দূরে অশ্বত্থের মগডালে! মুখ উঁচিয়ে কিচকিচ করে সে ডাকছে আকাশ পানে!!
সেদিন দুপুর জুড়ে বৃষ্টি! আকাশের মুখ ফ্যাকাশে। সূয্যিমামা মেঘের মেয়েকে বকেঝকে গোঁসা ঘরে খিল দিয়েছে। মেঘের মেয়ে ডেকেছে আকাশকে! সাড়া পায়নি। তাই হাপুস নয়নে তার সে কি কান্না! কান্নার চোটে গাছের পাতা নুয়ে পড়ছে; ফুলগুলো সব ঝরে যাচ্ছে; অবিরাম একটানা কান্নার রোল বজ্রকে দিচ্ছে রাগিয়ে! চোখ পাকিয়ে সে মাঝে মাঝেই কড়াং কড়াং হুঙ্কার ছাড়ছে! কাঠবেড়ালি অশ্বত্থের বড় পাতাটার তলায় বন্ধুর সঙ্গে ঝিমোচ্ছে। ওদিকে শালিকের স্বস্তি নেই। এমনিতেই সে আশ্রয়হীন, বন্ধুহীন। তার তো কোনও দোসর নেই যে সংসার হবে; ডিম পাড়ার সময় আসবে; দুজনে মিলে কাঠকুটো দিয়ে বাঁধবে ছোট্ট বাসাটি! তারপর একে একে ডিম আসবে; গরম ওম হয়ে তা দেবে সে; আর তার দোসর ঠোঁটে করে খাবার নিয়ে এসে তাকে খাওয়াবে! আর খাওয়ার অছিলায় ওমনিই একটু ছুঁয়ে দেবে ঠোঁটখানি! লজ্জায় সে ঘাড়ের লোম ফোলাবে!! দোসর মুখ ডুবিয়ে দেবে গলায়। নাঃ, এসব কিছুই তার নেই। সে খোঁড়া; অসুন্দর; তাই তার কিছুই জোটেনি! দিনের শেষে সে তাই কোনওরকমে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে নেয়! পরদিন আবার অন্য কোনও ঠাঁই। ভালোবেসে বুকের মধ্যে ঠাঁই তো তাকে কেউ দেয়নি!
কিন্তু কাঠবেড়ালি গেল কোথায় এই বৃষ্টিতে! শালিক বসেছিল জানলার কার্নিশে। এই বৃষ্টিতে কাঠবেড়ালিকে সে কোথায় খুঁজবে! খোঁড়া পায়ে গাছের ডালে বসতে গিয়ে তার পা পিছলে যায় যে! ডালগুলো সব ভিজে হড়হড়ে হয়ে আছে!! বৃষ্টি মাথায় সে কতদূর উড়বে!! তবু সে খুঁজল পেয়ারা ডাল, নিমের ঝিরঝিরে পাতার ফাঁক ফোকর, জামরুল গাছের কোটোর! নাঃ কোত্থাও নেই কাঠবেড়ালি! চিচিচিচি… পলাশের পাতার তলায় বসে সে বার কয়েক ডাকল!! কিন্তু এই বৃষ্টিতে তার কিনকিনে গলা শোনাই যাচ্ছে না! ভিজে গোবর হয়ে গেছে সে! ডানা ভারি। আর উড়তে পারছে না। এখানেই বসে থাকা ছাড়া তার উপায় নেই! কেমন ভয় করছে তার! কাঠবেড়ালি কি তবে চলে গেল! অন্য কোথাও খাবারের সন্ধান পেয়েছে! এই বৃষ্টিতে কিছু হল না তো! যা দুরন্ত! সারাদিন তুড়ুৎ তুড়ুৎ দুটিতে মিলে! শালিকের চোখ ভরে এল জল! বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে তার এতদিনের সঞ্চয়! আবার তবে সে একা! আবার সেই সহানুভূতির ছলে মুখ টিপে হাসি… হৃষ্টপুষ্ট সুন্দর শালিকদের উপেক্ষা আর অবহেলা!
কখন বৃষ্টি থেমেছে। আকাশ বোধহয় ধরা দিয়েছে মেঘের বাহুডোরে! মেঘের মেয়ে কান্না থামিয়ে ঝিলমিলিয়ে হেসে উঠেছে। সোনার ছোঁয়া লেগেছে সে হাসিতে। হঠাৎ শালিক শুনতে পায় তুরতুর তুরতুর… আড় চোখে দেখে কাঠবেড়ালি। শালিকের ভিজে জবজবে ডানা দুটো দেখেই কাঠবেড়ালি সব বোঝে! তাই তো! বড় ভুল হয়ে গেছে!! এই দুর্যোগে শালিক যে খুঁজবে ভাবা উচিত ছিল।
এখন কী করা যায়! শালিক যে আর চাইছে না!! কাঠবেড়ালি কিচকিচ করে… শালিক মুখ ঘুরিয়ে নেয়। কাঠবেড়ালি তুরতুর করে এগিয়ে এলে শালিক ডানা ঝাপটে সরে যায়। কাঠবেড়ালি তখন ডিগবাজি দেয়। বার দুই তিন ডিগবাজি দিয়ে উঠলে তাকে দেখে তার বন্ধু হেসে ওঠে। সারা গায়ে কাদা লেপ্টে সে তার কিম্ভূত দশা। শালিক তবু নির্বিকার। সরে সরে হেঁটে বেড়ায়। ডানা ঝাপটায়; ডানা শুকোয়; ঘাড়ের জল ঝাড়ে। এদিকে ফিরেও চায় না। কাঠবেড়ালি খানিক হতাশ হয়। এদিক ওদিক করে। হঠাৎ চট করে ঘুরে তাকায় মাঠের পাঁচিলের দিকে। তিন লাফে দৌড়ে গিয়ে আবার ফিরে আসে! তার ধূসর শরীর কাদায় আরও লেপ্টালেপ্টি হয়ে যায়। এবার সে সোজা শালিকের সামনে দুহাত তুলে ধরে; হাতে ধরা ছোট্ট এক কলি লাল কৃষ্ণচূড়া! শালিখ তাকায়। ঠোঁটে করে নেয় তার ভালোবাসার অর্ঘ্য। তার চোখের হলুদ কাজলে লাগে লালের আভা!! কাঠবেড়ালি কিচকিচ করে ডিগবাজি দিতে থাকে। তার লেজের ফুল থেকে ঝরে পড়ে কাদার ফোঁটা। আর শালিখ হলুদ পা লম্বা ছড়িয়ে ময়ূরের মতো নাচে!
আনন্দে, মজায়, দুষ্টুমিতে, অভিমানে দিব্যি কাটছিল ওদের দিন! সুন্দর শালিকরাও আজকাল হিংসে করে খোঁড়াকে! কাঠবেড়ালিটার সঙ্গে ওর অত কীসের হাসি লো!
কাঠবেড়ালিটা কানা নাকি! দেখতে পায় না!! ঘাড়ে বলে ওর লোমই নেই!
তাও যদি পা দুটো থাকত!
তাতেই কি দোল খাওয়া বাপু পলাশের ডালে ডালে!
মরণ! ঢং দেখে আর বাঁচি নে!
বকবকমরাও অবাক হয়ে ভাবে, আলোচনা করে… অমন বেজাত-কুজাতে মেশে কেমন করে গা!! ধম্মে সইবে!!
মোড়লকে একটা খবর দিতে হয় দেখছি! সমাজের একটা নিয়ম-টিয়ম আছে তো নাকি!
হ্যাঁ গা, বড় বেড়েছে!!
সেদিন মুখে চোখে কাপড় বেঁধে বিরাট সেই কলটা নিয়ে যাতে কিনা প্রবল আওয়াজ হয় লোকটা নেমে পড়েছে ঘাস নিড়োতে। পাখিদের আজ বড় ভয়ের দিন। ওরা সব ঝাঁক বেঁধে উড়ে আজ হয় অশ্বত্থ গাছটায়, নয় উঁচু উঁচু পাইপ আঁকড়ে চুপটি করে বসে। সকাল থেকে আজ ওদের খুদকুড়ো জোটেনি। অশ্বত্থের ফল যা দু-চারটে! খোঁড়া বসে আছে জানলার কার্নিশে। কাঠবেড়ালি ওর কাছে কাছেই পাইপ চড়ছে, নামছে! চুপটি করে বসে থাকবে সে! মাঝে মাঝেই জানলায় হানা দিয়ে খোলার চেষ্টা করছে আচারের শিশি!! শালিক তাড়াতাড়ি মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে ডেকে নিচ্ছে। আচারের শিশি দুহাতে ধরেই শালিককে ইশারা করছে কাঠবেড়ালি।
হঠাৎ পেটের কাছে কাঠির খোঁচা। ও বাড়ির ছোট ছেলেটা একটা কাঠি দিয়ে খোঁচাচ্ছে। কাঠবেড়ালি তাড়াতাড়ি সরে আসতে যায়। শালিক ডেকে ওঠে চিচিচিচি… পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে কেমন করে যেন ওর পা হড়কে যায়। ও নিচে পড়ে। পড়েই সামলে নেয়। ধুৎ, এইটুকুতে তার কিছু হয় না কি! তার নরম শরীরে এসব আঘাত লাগেই না! শালিখও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উড়েছিল। জামরুল ডালে বসতে বসতে ও দেখে নেয় কাঠবেড়ালি ওপরে তাকিয়ে ওর দিকে হাত তুলেছে; আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বড় যন্তরটা কাঠবেড়ালির ঘাড়ের ওপর এসে পড়ে। একবার মাত্র কিচ করেই কাঠবেড়ালি স্থির হয়ে যায়।
মানুষটাও যন্তর থামিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। কাঠবেড়ালির লেজটা তুলে ওকে হাওয়ায় একটু দোলায়; তারপর ফেলে দেয়। ততক্ষণে কাঠবেড়ালির ফোলা ফোলা লেজ রাঙা হয়ে উঠেছে। খোঁড়া আর অপেক্ষা না করে নেমে আসে। মানুষটাকে পরোয়া না করেই এগিয়ে যায় কাঠবেড়ালির রক্তাক্ত শরীরটার দিকে। কাঠবেড়ালি এবার তাকায়। ক্ষীণভাবে কিচকিচ করে… শালিক এগিয়ে এসে ওর ঠোঁট আলতো ছুঁয়ে দেয় কাঠবেড়ালির ঠোঁটে। কাঠবেড়ালি নিথর হয়ে যায়। কতগুলো কাক আসে হৈ হৈ করে। ঠোকরাতে থাকে কাঠবেড়ালিকে। শালিক বাঁধা দেয় না। এক পা এক পা করে পিছিয়ে আসে। ভারি ডানা দুটো অতি কষ্টে বাতাস ভাঙে। শালিক উড়তে থাকে… উড়তে থাকে।