নন্দিনী সঞ্চারী
১)
কী বা ঝড় অন্তহীন ফুরসতসম
যদি ঘরেদের ডালগুলো ভেঙে যায়!
পর্বমূল! সে তো জোনাকির মতো হায়
যে পাখি বেঁধেছিল বাসা এই কৌণিকে
প্রতিটি দায়িত্ববোধে সে বাসা ভেঙে
ডিম ছুড়ে দেবে খাদ্যবণ্টনে,
অন্ধকার দপদপে রেশনের মুখে।
২)
প্রথমদিনে মাংসের কারি ভালো লেগেছিল।
দ্বিতীয় দিনটাই আর আসেনি।
আজ চার নম্বর দিন।
হিসেবের খাতা খুলে রেখো।
দিন গেলে এই কড়ে মধ্যমা লালশাক হবে।
ভাতে মেখে সেই আঙুলের শাঁস খাব।
৩)
এই যে, কন্যা আমার খেলে
ওর মুখে এই হাসি দেখেছিলাম শেষ শীতে
গাজর বিন্স-এর ভাত রাঁধা হলে।
৪)
এই ঘরবাড়ি গার্হস্থ্যসেবার দোলনায় দোল খাচ্ছে।
দেখো, মাঘমাসের কড়াইশুঁটির প্রাণ যেন!
ভরা চৈত্রে শেষবার লকলকে ডগার কিশোরী হল।
ওকে যেতে দাও নিজের মতো।
তুলসীমঞ্চ নিকোবে,
তারপর কড়ার গরম তেলে
একফোঁটা জল ফেলে দিও।
৫)
চাঁদবাহারি রং লেগেছে ছাদে
ওই যে, বাঁশের ডগা তিরতির কাঁপছে
এখনও ওতে মায়া লেগে আছে।
গান শোনানোর মায়া।
যাবতীয় কাজ সেরে
উবু হয়ে বসলাম পাত পেড়ে।
রাতভর উচ্চিংড়ের দলে দোহারিরা জানে
এ অবধি দই পড়ে নাই শেষপাতে।
৬)
ডালগোনা কফি নাকি সুস্বাদু বেশ?
দুধ উথলাবে বাঁট বেয়ে
তারপর গ্লাস পেতে নিও।
কফিগাছের মজুরি,
শুনেছি তাতে ফেনার মতো বাড়বে।