Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

সন্তোষ পাল — শেষ পর্ব

মৃণাল চক্রবর্তী

 

পূর্ব প্রকাশিতের পর

১৪

আজকের সকালটা ভারী ভালো। বৃষ্টি পড়ছে সেই কখন থেকে। ঝিরিঝিরে বৃষ্টি। জানলার পাশেই একটা নারকোল গাছ। সেই জন্যে একটা ঝরঝর শব্দও হচ্ছে কখন থেকে। হাওয়া বইছে। এর মধ্যে আমি কোলবালিশ জড়িয়ে তন্দ্রায় ডুবে আছি।

আজ আমার ছুটির দিন, জানের নয়। ও মস্তবড় কর্পোরেট। কখন উঠেছে, চা খেয়েছে, স্নান করে, খাবার খেয়ে অফিস চলে গেছে। এর মধ্যে ঘরে বারবার ঢুকেছে, বেরিয়েছে। কখনও আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছে, কখনও পার্স তুলে নিয়েছে, বা মোবাইল, আমার দিকে খুব নরম চোখে তাকিয়েছে। বেরোনোর আগে আমার গালে চুমো খেয়েছে। সেই আবেশ নিয়ে আমি এখনও চোখ বন্ধ করে আছি, ঘুম জানি না, জাগা জানি না। এই গানটাই কোথায় যেন বাজছে দেবব্রত বিশ্বাসের গলায়, পুব হাওয়াতে দেয় দোলা।

জানের গন্ধ ভরে আছে ঘরে। আমি সেই গন্ধে এখনও চোখ বন্ধ করে আছি। পাশে রাখা মোবাইল তুললে দেখতে পাব জান টেক্সট করেছে, যাতে আমি পরে জেনে নিতে পারি কী কী করার আর না করার আছে। আমার গোটা জীবন আলতো আলিঙ্গনে জড়িয়ে আছে জান। অনেক দিন পর আমার কান্না-কান্না পাচ্ছে। ইন্দ্রজিৎ, ফুঁপিয়ে কেঁদো না। এমন এক আশ্চর্য ভ্রমণের পর কেউ কাঁদে না।

এক মহিলা সারা দিনরাত এ-ফ্ল্যাটে থাকে। তার নাম নীরজা। এই অপূর্ব আনন্দময় মুহূর্তেও আমার এক ঝলক মনে পড়ল, নীরজা আমাকে পছন্দ করে না। জানের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে আমার থাকা ওর পছন্দ নয়। কিন্তু একটু পরে ও আমাকে খাবার বানিয়ে দেবে। জান বলে গেছে, আমায় কী কী খেতে হবে সারা দিন।

এগারোতলার ওপরের এই ফ্ল্যাটে আমাদের শোবার ঘর থেকে অনেক সবুজ দেখা যায়। মনে হয়, এক ঘন্টা গাড়িতে গেলেই ওই সব গাছপালার মধ্যে ঢুকে যাওয়া যাবে। এই ফ্ল্যাট জানকে ওর অফিস দিয়েছে। আরও কত কী দিয়েছে। আমার পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ম্লান হেসে, এখানে-ওখানে খটখট শব্দ করে, ফ্ল্যাট আমার দিকে তাকাল। একতলায় দু ঘরের ফ্ল্যাট। গত দশ বছর আমি ওখানে ছিলাম। এবারের মতো লম্বা সফরে আগে কখনও যাইনি। বড় অবহেলা হয়ে গেছে, আমার অপরাধবোধ হচ্ছিল। জান আমার সব কিছুর মতো এই অপরাধবোধও বুঝতে পারল। হেসে বলল, এখানে আমরা উইক-এন্ডে এসে থাকতে পারি, তাই না? কী কিউট ফ্ল্যাটটা!

গত তিন মাসে আমি একবারই ওখানে গিয়ে থেকেছি। তখন জান অফিসের কাজে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিল। এই থাকার পেছনে নীরজারও একটা ভূমিকা ছিল। আমি ওকে দেখাতে চেয়েছিলাম, আমারও নিজস্ব থাকার জায়গা আছে। সোমবার সকালে জান আসার আগেই আমি ফিরে আসায় নীরজা খুব ইমপ্রেস্‌ড হয়নি। সেই থেকে ব্যাপারটাকে আমি দার্শনিকভাবে দেখার চেষ্টা করি।

পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে স্টিলের খাটে শুয়েও আমি জানের সঙ্গে ছিলাম। বারবার ফোন করেছে। রাতে ভিডিও কল। ঘুমিয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত আমি ওর আদরের ওমে জড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু স্বপ্নে আমি পুল্টুশকে দেখলাম। এই প্রথম আমি সবয়ব পুল্টুশকে দেখলাম। একটা পুরনো সাদা জামা আর ধূসর প্যান্ট পরে রাতের হাটে বসে আছে। একা। ক্লোজ আপে আমার দিকে তাকাল। গালভর্তি দাড়ি, একটু রোগা পুল্টুশ। তার চোখ-মুখ স্বপ্নে পরিষ্কার দেখায়নি।

–ভালোই আছ তাহলে?

এটা আড়াই মাস আগের ঘটনা। তখন তো আমি জানের দুনিয়ায় মগ্ন। জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়।

–ভালোই আছি।
–হ্যাঁ, চেহারার চেকনাইও আছে। খাওয়া-দাওয়া খুব হচ্ছে মনে হয়।
–তা তো হবেই। জান একে বড়লোক, তায় আমার খুব যত্ন নেয়।
–সেক্স-টেস্ক হচ্ছে? কিছু করতে পারছ?

এই প্রশ্নে আমি বেশ বিরক্ত হলাম। প্রথমত, ব্যাপারটা খুব মাঝেমধ্যে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

–নান অফ ইওর বিজনেস। তবে সত্যি কথা বলতে গেলে সব দিক থেকেই আমরা খুব সুখে আছি। তোমাকে দেখে আমার একটু-আধটু কষ্ট হচ্ছে ঠিকই। আমার মধ্যে তুমি ভালোই ছিলে।

এই কথাটা বলার সময় আমি নিশ্চয়ই পাশ ফিরে শুলাম, নাহলে এরকম খোঁচানো আমার স্বভাব নয়। পুল্টুশ একটু বিমর্ষ হয়ে বলল,

–এত বছর একসঙ্গে ছিলাম, তোমার খারাপ লাগছে না? তোমার স্মৃতির সুতোগুলো খুঁজে খুঁজে জুড়ে গেলাম বছরের পর বছর।

এর পর পুল্টুশ আমাকে নানা রঙের সুতো দেখাতে শুরু করল। স্বপ্নের শেষদিকে কোত্থেকে সন্তোষ পাল এসে ওকে একটা পুরনো হলুদ প্যান্ট দিয়ে কোথায় চলে গেলেন।

আমি, পুল্টুশমুক্ত ইন্দ্রজিৎ রায়, একটু ফাঁকা-ফাঁকা আছি। অথচ জান আমায় কী ভালোই না বাসে! কিন্তু মনে হচ্ছে কী যেন একটা নেই। অ্যাপেনডিক্সের মতো, যাকে আমি দেখিনি, চিনিনি, সব নি-নি-নি, সেই অ্যাপেনডিক্স কাটা গেলে নিশ্চয়ই এরকম হয়। আমার বন্ধু সুজিতের অ্যাপেনডিক্স অপারেশন হয়েছিল। আমি যখন নার্সিং হোমে ওকে দেখতে যাই, ও বেডে হেলান দিয়ে একটা কলা খাচ্ছিল। দিব্যি টুকটুকে দেখাচ্ছিল। আমি জানতে চাইলাম, ওর কেমন লাগছে। ও কলা খেতে খেতে যে উত্তর দিয়েছিল, আমার মনে হয় সেটাই আসল অনুভূতি, অনুভূতির আসল উচ্চারণ: ক্লগথ। মুখে কলা না-থাকলে ও কী বলত, আমার জানা হবে না আর।

পুল্টুশকে, মানে ওই ক্লগথটাকে, আমি মিস করছি সেই স্বপ্নের পর থেকে। কিন্তু এখন আমি আর নতুন করে শিলিগুড়ি গিয়ে ওর খোঁজ করতে পারব না। আমি অনেক বড় ছুটি কাটিয়ে কলেজে ফিরেছি। পড়াচ্ছি। গল্প করছি। অনেকেই লক্ষ করছে আমার চেহারার পরিবর্তন। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। আমি রোজ দাড়ি কামাই। জান আমায় ভালো জুতো কিনে দিয়েছে। যে জান একদিন সেই প্রাচীন বাজারের লটারির শেষে ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, ফিরে এসে ও বাঁচবে না। বাঁচতে ইচ্ছে করবে না, সে এখন আমার স্মৃতির সুতোগুলো সুন্দর করে ভাঁজ করে রাখছে। গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে ছুটির সকালে সেই সুতো দিয়ে একটা চমৎকার সোয়েটার বানাচ্ছে।

এই স্বপ্নটা আমি পরশু দেখলাম। আমাদের শোবার ঘরে সকালের আলো এসে পড়েছে, আর জান একটা সুন্দর সোয়েটার বুনছে। আমার দিকে চোখ পড়তেই গান গাওয়ার মতো গুনগুন করে উঠল, তুমি একটুও ভেবো না, আমি সব সুতোগুলো সুন্দর করে বুনে দিয়ে একটা সোয়েটার বানিয়ে দেব। ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে। তুমি আর কিচ্ছু ভুলবে না। পুল্টুশ মাস্ট হ্যাভ বিন আ নাইস গায়, কিন্তু বড় অগোছালো। আমারে কার কথা সে যায় শুনিয়ে। আমি সব গুছিয়ে এনেছি।

স্বপ্নে ব্যাপারটা এভাবেই ঘটেছিল। আসলে তখনও জান ঘুমোচ্ছিল একটা পা কোলবালিশে আলতো ঠেকা দিয়ে।

কলেজে আমার বন্ধুরা আমার আশ্চর্য ভ্রমণের গল্প শুনে অবাক হয়ে গেছে। কিন্তু আমি তো আর গল্প করিনি। জান রীতিমত অবস্থান করছে আমার জীবন জুড়ে। আগের জীবনে বিকেলবেলা তিলু আর আমি মস্তবড় বাসে চেপে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরতাম। তিলু সাইকলজি পড়ায়। ও শ্যামবাজারে নামত, আমি একটু এগিয়ে বেলগাছিয়ায়। এখন তাই আমরা আর এক সঙ্গে ফিরিই না। একদিন বিকেলে কলেজের বাইরের দোকানে চা খেয়ে তিলু জানতে চেয়েছিল, তুই কি আর ফিরবিই না? এমনিই জানতে চাইল, কিন্তু আমার মনে হল ওর চোখের সামনে একটা ফাঁকা রাস্তা পড়ে আছে। অনেক কাল আগে তিলুর ডিভোর্স হয়ে গেছে, এখন বাগবাজারে থাকে নিজেদের পুরনো বাড়িতে। ডিভোর্সের পর পুরনো পাড়ায় ফিরে এসে তিলু বুঝতে পারে, বন্ধুদের সঙ্গে নাড়ির টানটা কেটে গেছে। এখন তিলু খুব একা। সেই লম্বা রাস্তাটা দেখতে দেখতে বলেছিল, রিটায়ারমেন্টের পর হিমাচলে গিয়ে থাকব, বুঝলি? তুই আর আমি। আমি সারাহানে একটা কাঠের বাড়ি দেখেছি। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। সামনে বাগান, পাহাড়ে তো অর্ধেক বছরই নানান ফুল ফোটে। আমরা ফুল ছাড়া ক্যাকটাসও লাগাব, বুঝলি? আচ্ছা, রোডোডেনড্রনের বনসাই হয়? বড় গাছ লাগালে মরার আগে তো আর দেখতেই পাব না রে।

আমি ঠিক করেছি তিলুর সঙ্গে মাঝে মধ্যে একই পথে যাব। শ্যামবাজার থেকে ফিরে আসব নাহয়। না জানিয়ে বাড়ি না-ফিরলে জান খুব দুঃখ পাবে। ওর তখন মাইগ্রেনের ব্যথা হবে। আমায় কিন্তু ও কিচ্ছু বলবে না যদি আমি একরাত আমার পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটে থেকে যাই। কিন্তু ওর দুঃখ আমি বুঝতে পারি। তাই তিলুর সঙ্গে একই রাস্তায় যেতে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।

চেলুকেও দেখলাম একদিন। চাঁদনির রাস্তায়। আরও বয়েস বেড়েছে চেলুর। একটা বস্তা ঘাড়ে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল। আমি সামনে গিয়ে বললাম, তুমি কলকাতায় কবে এলে, চেলু?

–আমি চেলু-উলু কোই না। সন্তোষ যাদব আছি।
–ওসব বাজে কথা ছাড়ো। তুমিই চেলু। বলো লায়লি কেমন আছে?
–আমি গরিব আদমি বাবু, টোটোওলা গুণভীররে আমি মারি নাই। মেরেছিল সুখরাম, টেরাক চালায়। ওই তো লায়লিরে উঠায়ে নিয়ে গেল। তবে ওরভি কুনো দোষ নাই বাবু, ওরও তো লায়লিরে দরকার। ওকে সব লোকের কাছে যেতে হবে।
–আমি কি লায়লিকে পেয়ে গেছি চেলু?
–ওরে খুঁজলে পেয়ে যাবেন বাবু। যারা ওকে খোঁজে তাদের সবার কাছে যাবে। কিন্তু আমি চেলু-ওলু কোই না।– গলা নামিয়ে বলে চেলু— পাঁচ হাজার রুপেয়া দিব।

এরপর ও লেনিন সরণির দিকে এগিয়ে যায়। আমি ওকে আর দেখতে পাই না। সেদিন রাতে জান অফিস থেকে ফিরলে আমি ওকে লায়লি বলে ডাকি। ও খুব সুন্দর করে হাসে।

–লায়লি তো আমার ডাকনাম। তুমি কী করে জানলে?

সন্তোষ পালের সঙ্গে যদি আমার কোনও দিন দেখা হয়, আমি পুল্টুশের কথা জানতে চাইব। আমি আর আগের মতো করে শিলিগুড়ি চলে যেতে পারব না। কিন্তু সন্তোষ পালের সঙ্গে যদি আবার দেখা হয়, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের সেই বার-এ, আমি পুল্টুশের খোঁজ করব। আমার কিছু সুতো ফেরত চাই। ওর কাছে এখনও কয়েকটা রং জ্বলে-যাওয়া সুতো আছে। ওগুলো আমার লাগবে।

এর মধ্যে অনেকবার রাই ফোন করেছে। ওর ফোন এলেই ঠিক বুঝতে পারে জান।

–রাইয়ের ফোন এসেছে। আজও ধরবে না?

ওকে আমি সব বলেছি। কিচ্ছু লুকোইনি। শুধু ওই কয়েকটা হারানো সুতোর কথা ছাড়া ও সব জানে। ও চায়, আমি রাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। আমার অনেক কিছুই বলার আছে। আমি বলতে পারি, লায়লিকে আমি পেয়েছি। আমি বলতে পারি চেলু বলেছিল, লায়লির সঙ্গে দেখা হলে বলবে, এক বার ফির ওইসন পেয়ার সিখা দে লায়লি, মেরি জান। আমি তো লায়লিকে পেয়ে গেছি। সারা দুনিয়া যার জন্যে আজীবন হন্যে হয়ে ঘুরছে, তাকে আমি পেয়েছি। সে এই একটু আগে অফিসে চলে গেল।

কিন্তু আমার কথা বলতে ইচ্ছে করে না। আমি পাশ ফিরে শুই। এখনও বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ওই সব জলের ফোঁটা নিশ্চয়ই কোচবিহারের গ্রামের সেই পুকুরটায় পড়ছে। পুকুরে আস্তে বৃষ্টি পড়লে সেই শব্দ কান পেতে শোনা যায়। সিরাজুল আর আমি কান পেতে শুনতাম আর এক সময় পুরোপুরি ভিজে যেতাম। ওই ভেজাটাই ছিল আসল মজা। পুরো ভিজে গেলে আমরা দুজনেই লাফাতাম হাসতে হাসতে।

এখন আমার আর উঠতে ইচ্ছে করছে না। বেলার দিকে একবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ যেতে পারি। আবার না-ও যেতে পারি। পুল্টুশের সঙ্গে দেখা হলে ভালো হত। কিন্তু ওকে আমি আর ভেতরে রাখতে পারব না। তাই তো পুরনো বাজারে ছেড়ে দিয়ে এসেছি। তবে দেখা হওয়াটা দরকার ছিল।

মোবাইল বাজছে, রাই ফোন করছে। একইরকম করে বৃষ্টি পড়ে যাচ্ছে নারকোল গাছের পাতায়।

 

(সমাপ্ত)

 

উত্তরকথন:  এই লেখাটা আসলে একটা ট্রিবিউট আমার এক প্রিয় লেখকের এক উপন্যাসের উদ্দেশে এই বইটা আমি আজ পর্যন্ত কতবার পড়েছি ঠিক নেই শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘আশ্চর্য ভ্রমণ’ এখনও আমার ম্যাজিক-বই, পড়লেই কেমন দোমড়ানো-মোচরানো ভালোবাসার ঘোর! যৌবনে আমরা এই বইয়ের অনেক লাইন মুখস্থ বলতে পারতাম সেসব কথা বলার সঙ্গীরা একে একে চলে গেছে সেটাও একটা কারণ আমি এই উপন্যাসের অনেক নাম, অনেক অনুষঙ্গ খুব সচেতনভাবে ব্যবহার করেছি