Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

হনুমান আউর সুগ্রীব কো চিল্লাহত পর ভগমান শ্রীরামচন্দর ফির ধরতি মেঁ

হনুমান আউর সুগ্রীব কো চিল্লাহত পর ভগমান শ্রীরামচন্দর ফির ধরতি মেঁ -- শৈলেন সরকার

শৈলেন সরকার 

 

   

সেই যে মোদি মহারাজ সরযু নদীতীরে রাজা দশরথের রাজপুরী লাগোয়া সূর্যবংশীয়দের পারিবারিক আঁতুরঘরে সাষ্টাঙ্গ হইলেন, মা কৌশল্যার অমনি কয়েক হাজার বছর আগেকার সেই লেবার পেইনের কথা মনে পড়িল। অবতার রামচন্দ্রের জনম দেওয়া বলে কথা। সেই ব্যথা ভোলে কেউ? কৌশল্যাকে তখন সবে বৈকালের রোলকলের জন্য দাঁড় করানো হইয়াছে। হ্যাঁ নরকেই। স্বগর্ভজাত প্রথম সন্তান কন্যা হওয়ায় সেই কন্যা শান্তাকে ত্যাগ করিবার পাপের শাস্তি যাইবে কোথায়? যমরাজের হিসাব বড় নিঁখুত। এমনকী দেবরাজকেও সেই বিচারে প্রভাব খাটাইতে দেন না। আর নিজ কন্যাকে শুধুই কি শুধু ত্যাগ করা? বলা যায় নিজস্বার্থের জন্য বলি দেওয়া। রাজা দশরথ শ্যালিকার দাবি মানিয়া শান্তাকে শ্যালিকার স্বামী রাজা লোমপাদের হস্তে অর্পণ করিলেন। রাজা লোমপাদের নিজ দেশকে খরার হাত হইতে বাঁচাইতে এক সুন্দরী কিশোরী চাই। হরিণের শিং-ওয়ালা মাথার কুৎসিত দর্শন ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির হৃদয়ে প্রেম বা শরীরে কাম যা-ই তুমি বলো জাগাইতে পারিলে দেশে বৃষ্টি নামিবে। সেই মুনির অসীম তেজ। যে তেজে খরখরে জমিতে বৃষ্টি নামে। রুক্ষ গর্ভে পুত্রসন্তান আসে। সেই মুনি তখনও জানেন না স্ত্রীলোকদিগের। স্পর্শ তো দূর— চর্মচক্ষে দেখেনই নাই কোনও স্ত্রীলোককে। কিশোরী শান্তা গেল কাম-অজ্ঞ ঋষ্যশৃঙ্গকে লোভ দেখাইতে, তাঁহার শরীরে কামের ঝড় বহাইতে। সুন্দরী কিশোরী ঋষ্যশৃঙ্গকে বলা যায় বগলে করিয়াই লোমপদের কাছে আনিয়া হাজির করিল। আর এরপর বৃষ্টি। রাজ্য বাঁচিল। কিন্তু নারী? না, নারীর আবার বাঁচামরা কী? সে শুধুই নরকের দ্বার। যৌনতার আধার।  এইবার কিশোরী শান্তাকে নিজ পিতা দশরথের পুত্রাকাঙ্ক্ষা মেটানোর দায়িত্ব লইতে হইল। যজ্ঞ করাইতে হইবে সেই মুনি ঋষ্যশৃঙ্গকে দিয়াই। পিতার সেই আকাঙ্ক্ষা মিটাইবার জন্য রাজীও করাইলেন নিজ স্বামী ঋষ্যশৃঙ্গকে। সে এক এলাহি কাণ্ড, একজন তো নয়, তিন-তিন রানির গর্ভ। এবং দরকার তিন পুত্র সন্তান। অরণ্যের পর অরণ্য ছেদিত হইল। মণ মণ ঘি। মর্ত্যলোক ধোঁয়ায় ধোঁয়া। একেবারে কাছের লোকটাকেও আর দেখা যায় না। মোট কথা কেউ কিছু দেখে নাই। দেখার উপায়ও রাখা হয় নাই। বেচারি শান্তা! হ্যাঁ, এর মধ্যেই মহিষীদের গর্ভে ভ্রূণ আসিল। আর মুনি-ঋষিরা যে রাজমহিষীদের গর্ভে কোন প্রক্রিয়ায় সন্তানের আনয়ন করিতেন তা স্বর্গ বা মর্ত্যলোকে কাহারও অজানা ছিল না। জানিতেন শান্তা, জানিতেন দেবরাজ ইন্দ্রও। ইন্দ্র ভোলেন নাই কিছু। আর তাই মোদিজির রাম আনয়নের যজ্ঞকাল অব্দি কৌশল্যার কাছে স্বর্গ অধরাই থাকিয়া গেল। ভাগ্য আর কাহাকে বলে, কৌশল্যা একবার স্বর্গে পৌঁছাইয়া গেলে তাহাকে কে আর পাইত? হ্যাঁ, মোদিজিও পাইতেন কোথায়? আর রানি কৌশল্যা না থাকিলে রামই বা কোথায়? আর রাম না থাকিলে রামায়ণ বা রাম জনম-ভূমি? কোর্টে গগৈ সাহেবের আনুকূল্য পাইলেও লাভ হইত না কিছু।  

স্বর্গ অবশ্য মেয়েদের জন্য তেমন আরামের কিছু নয়, ওই বয়সের সুবিধাটুকুই। কুড়িতে বুড়ি হইবার আর চান্স থাকে না। কিন্তু ছেলেদের সেখানে অঢেল সুখ। সুর সুরা আর নারী—। সুরা না হয় দেওয়া গেল, কিন্তু নারী? সে তো আর অহরহ যুদ্ধে মরিতেছে না। তবে? যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেওয়া ক্ষত্রিয় বীরদের চাহিদা মিটিবে কীভাবে? যুদ্ধক্ষেত্রে স্বর্গের লোভ দেখাইয়া বড় বড় কথা বলা সহজ। তোমরা নিমিত্তমাত্র, আমিই সব করিয়া রাখিয়াছি। যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু মানেই ক্ষত্রিয়ের স্বর্গলাভ। বীরের মৃত্যুমাত্র স্বর্গের দরোজায় কড়া নাড়া শুরু। কোনও তর সইবে না। আর ক্ষত্রিয় বীরদের কড়া নাড়া মানে তো বাঙালিদের মতো মিনমিনে খটখট নয়, তা একেবারে ঢাকের দামামা। এক এক ধাক্কায় দরজা এই ভাঙে তো সেই ভাঙে। এত এত সৈন্যের বীরের মৃত্যুর পর স্বর্গসুখের ব্যবস্থা করা কি মুখের কথা? সে দায়িত্ব অবশ্য দেবরাজ ইন্দ্রের। বিপুল সংখ্যায় বীরের জন্য এত সুন্দরী নারী আসিবে কোথা হইতে? কে জোটাইবে? কোন দালাল? সুতরাং নারী নরকের দ্বার হইতে পারে, কিন্তু কোনও নারী একবার কায়দা করিয়া স্বর্গে পৌঁছাইতে পারিলেই হাজার পাপকার্যের হিসাব দেখাইয়াও তাকে আর নামাইয়া আনা যায় না। নারীর বিরাট চাহিদা সেখানে। আর তাই স্বর্গলাভের জন্যও নারীর আছে অসংখ্য শর্টকাট। নারীর কোনও বেদপাঠ বা পুজোআচ্চার দরকার নাই। কোনও যুদ্ধে যাওয়া নাই। দেশপ্রম নাই। শুধু স্বামীসঙ্গ। সে তিনি সৎ বা অসৎ, চোর বা ডাকাইত যাহাই হউন। পলিটিশিয়ান বা সন্ন্যাসী। স্ত্রীর একমাত্র কর্তব্য স্বামীর সুখের যাবতীয় ব্যবস্থা করা। যখন যেমন চাহিবে তাহার শারীর সুখ মেটানো। আর তিনি বারবধূতে অভ্যস্ত থাকিলে তাহা মানিয়া লইয়া সন্তানপালন বা সাংসারিক কাজে ব্যাপৃত থাকা। মোট কথা কোনও কারণেই স্বামীকে শারীরিক বা মানসিক কষ্ট দেওয়া চলিবে না। ব্যস এইটুকু করিতে পারিলেই সটান…। পতি পরম গুরু। হ্যাঁ, রামায়ণে রাম অবশ্য নারীদের স্বর্গলাভের নতুন আর এক উপায়ও উদ্ভাবন করিয়া গেলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার আত্মার সুখভোগের জন্য স্ত্রীর অগ্নিতে আত্মাহুতি দেওয়া। বা তুমি সতী কিনা তা প্রমাণের জন্য নিজেকে অগ্নিতে সমর্পণ করিয়া পরীক্ষা দেওয়া।  

হ্যাঁ, নারীর স্বর্গলাভের সুযোগের শেষ নিয়মটি সীতাকে দিয়াই চালু করাইতে চাহিলেন। মানে এতদিন গুপ্তচরদের মাধ্যমে সীতা ও রাবণের সম্পর্ক লইয়া যাহা শুনিয়াছেন তাহার পর এই মহিলাকে লইয়া আর ঘর করেন কীভাবে? ব্যাটা রাক্ষস এতকাল কি সুন্দরী সীতাকে এমনিই অশোকবনে বসাইয়া স্বর্ণমুদ্রা নষ্ট করিয়াছে? এত কষ্ট করিয়া যে কারণে দণ্ডকবন হইতে বিমানে করিয়া নিজ রাজ্যে লুঠিয়া লইয়া গেল তাহাকে কি আর কিছু না করিয়া ছাড়িয়াছে? অতএব অগ্নিপরীক্ষা। মুনি-ঋষিদের নামে রটাইলেও বুদ্ধিটা রামের নিজেরই। আর এই কৌশলে এক ঢিলে দুই পক্ষী মরিল। মৃত বান্দর সৈন্যদিগের বিধবা স্ত্রীদের ভবিষ্যত লইয়া এক সিদ্ধান্তের সুযোগ আসিল। যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত কুলাঙ্গারগুলির হাজার হাজার বিধবা অশুচি বউ রামচন্দ্রের পিছু লইয়াছে, এদের লইয়া কী করিবেন ভাবিয়া অস্থির। সুগ্রীব এত বিধবার দায়িত্ব লইতে পারিবে না। ওর কথায় জঙ্গলে যা কোনও কালে হয় নাই, সেই বেশ্যাপট্টির ছড়াছড়ি হইবে। আর সঙ্গে আসিবে সিফিলিস-গনোরিয়া, পুরো বানরকুল ধ্বংস হইবে। বরং রাজধানীতে—। আর কে না জানে শহরাঞ্চলে যেখানে দেশবিদেশের ব্যবসায়ী বা রাজকর্মচারীদের আগমন থাকে সেখানে বেশ্যাপট্টি রীতিমতো লাভজনক। অর্থাৎ রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের পর দেশে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়াছে তাহারও একটি হিল্লে হইবে। আর সেই প্রসঙ্গেই সীতার অগ্নিপরীক্ষার কথা। আগুনে পোড়ো, পুড়িয়া স্বর্গে যাও, অথবা পিছু ছাড়ো। স্বর্গে তোমাদের বীর স্বামীরা তোমাদের জন্য অপেক্ষা করিতেছে। স্বর্গে গিয়া তাহাদের মনোরঞ্জন করো নাহয় মরলোকেই মনোরঞ্জন করো পুরুষের, হও ‘নগরবধূ’— রাজকোষে স্বর্ণমুদ্রা আনো। সীতা অবশ্য চার্বাকিদের চালাকিতেই পার পাইল। ব্যাটারা বেদ-এ অবিশ্বাসী। ব্রাহ্মণদের লইয়া মজা করে। জাদু জানে নানান। সীতার ওই কাঠের আগুনে কিছু না হওয়ার গপ্পো আসলে চার্বাকিদের কায়দাই। ব্যাটারা নাকি ছায়াসীতা তৈয়ার করিয়া তাহাই—। কিন্তু হাজার হাজার বানর-যোদ্ধার বিধবারা চার্বাকিদের জাদুতে ভরসা না পাইয়া ‘নগরবধূ হইব’ বলিয়া রামের পিছু ধরিল।

কিন্তু মুশকিল হনুমানকে লইয়া। সীতাকে লইয়া কেমন মাদার কমপ্লেক্স জন্মাইয়াছে দেখো! না, এই লইয়া রামচন্দ্র কাহাকেই বা বলিবে? হতভাগাকে যে তাড়াইয়া দিবেন বা গলা নামাইয়া নিকেশ করিবেন— তার আবার উপায় নাই কোনও। অযোধ্যায় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ভরতেরই নিয়ন্ত্রণে। চুক্তিমতো খড়মজোড়া ফেরত না দিয়া আগেকার ন্যাকামি বজায় রাখিলে কে সামলাইবে? সুতরাং হনুমানকে চটানো চলিবে না। ব্যাটা নিজের বুক চিরিয়া সীতাকে দেখাইতেছে। না, রামকেও রাখিয়াছে, তবে রামচন্দ্র বোঝেন তা নেহাত অনিচ্ছায়। স্রেফ লজ্জার খাতিরে। সীতার এক অঙ্গুলিহেলনে হারামজাদা ইচ্ছে করিলে রামচন্দ্রকে সেই শ্রীলঙ্কার মহাসমুদ্রে ফেলিয়া আসিতে পারে।*nbsp; আর এইখানেই আসিবে মর্তলোকের নরেন্দ্রভাইয়ের কথা। তিনিই নাকি বর্তমানে বীর হনুমান, একমাত্র তিনিই অমর, অনন্তকাল পূণ্য ভারতভূমে—। ব্রহ্মার বরে একমাত্র তিনিই তো সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর-কলিযুগ ছাড়াইয়া বিরাজমান। একমাত্র তিনিই তো সূর্য গিলিয়া ফেলিবার ক্ষমতা রাখেন। অতএব তিনিই সত্য। কিন্তু সত্যের ঝামেলা অনেক। কলিযুগের গোড়ায় রামচন্দ্রের বনবাস শেষে অযোধ্যায় ফেরার কালে ভিড় হইতে এক চার্বাকি রামের বিরুদ্ধে চিৎকার তুলিয়াছিল। ‘তুমি শঠ, প্রতারক, নাটকবাজ। ভরতের প্রতি অন্যায় করিয়া—’, না ভিড়ে খোচর হিসাবে থাকা অসংখ্য বানরকুলের একজন সেই চার্বাকিকে আর কথা শেষ করিতে দেয় নাই, নিমেষে গলা নামাইয়া দিয়াছিল। এই কলিযুগের ইন্তেকালের মুখে সেই এক চার্বাকি এখন অসংখ্যতে পরিণত। আমেরিকার জুকেরবার্গকে ম্যানেজ করিয়া ফেসবুক বা টুইটারে দখলদারি লইয়াও আর আটকানো যাইতেছে না। ইদানীং সারাক্ষণ কানে বাজে ‘তুমি ঠগ, প্রতারক! নাটকবাজি করিয়া তুমি লোক ঠকাইতেছ।’  রামচন্দ্র স্বর্গের দরজায় প্রায় পৌঁছাইয়া গিয়াছিলেন। এতকাল তিনি জানিয়া আসিয়াছিলেন কলিযুগের শেষে নতুন এক অবতার আসিবেন। আসিবেন চাপদাড়িওয়ালা একজন কেউ, আসিবেন ঘোড়ায় চড়িয়া। আর মর্তের কোনও ছবিতেই রামের যখন চাপদাড়ি নাই, একেবারে ওয়েল-শেভড, রামচন্দ্র তাই অচিরেই স্বর্গলাভের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন। নিশ্চিত ছিলেন তাহাকে আর মর্তভূমিতে ‘ধর্ম সংস্থাপনায়’ নামিতে হইবে না। কিন্তু বিষ্ণু জানাইলেন, হনুমান আর সুগ্রীব— দুজনেরই দাবি অন্য কেউ নয়, মহামহিম রামচন্দ্রকেই নামিতে হইবে। আর যতদিন না নামিবেন ততদিন যজ্ঞও থামিবে না। সুতরাং রামকেই—। বিষ্ণু জানাইলেন, তোমার সঙ্গে উহাদের বোঝাপড়াও ভালো। বালিবধের জন্য নতুন কোনও ইশারা বা ছলের দরকার হইবে না। তাহা ছাড়া যমের সহিত কথাবার্তায় যা বুঝি তাতে তোমার সেই সন্তানসম্ভবা পত্নীত্যাগের নরকভোগ খুব শিগগির শেষ হইবার নয়, বরং মর্ত্যে গিয়া হনুমান আর সুগ্রীবের ইচ্ছাপূরণ করিতে পাইলে যে পূণ্য অর্জিত হইবে—।  সত্যি কথা বলিতে কি, বিষ্ণু নিজেও এই অসময়ে অবতার নামাইতে চাহেন নাই। কিন্তু লক্ষ্মীদেবীর সঙ্গে যে একান্তে বসিয়া রসালাপ করিবেন নব হনুমান-সুগ্রীব জোট কি আর তার সুযোগ রাখিয়াছে? কী যজ্ঞ রে কী যজ্ঞ! বছরের পর বছর ধরিয়া চলা মামলার বিচারপতি ম্যানেজ করিয়া, টাকার তুফান তুলিয়া— সে এক ধুন্ধুমার কাণ্ড!  হনুমান বুঝিলেন রামায়ণ আবার নূতন করিয়া রচিত হইতেছে। সুতরাং আবার রাজা রামচন্দ্রের জন্ম, আবার গন্ধমাদন পর্বত বহন, আবার সুগ্রীব। আবার রাজা জনকের লাঙলের ফলায় শিশুকন্যা আটকাইবে। আবার সব পরের পর। হনুমানের পাশে বড়-বড় চোখওয়ালা টাকমাথার সুগ্রীবও খুশি খুব। নতুন করিয়া নাগরিকদের হিসাব লওয়া হইবে, কোনও শালা বেদবিরোধী চার্বাকি— দরকারে এক নহে, হাজার হাজার বালিবধের আয়োজন হইবে। রাজা রামচন্দ্রের সেই পূর্বজন্মের আগে হইতে পবিত্র ভারতভূমিতে স্থায়ী বাসের প্রমাণ ছাড়া— এক্কেবারে পাক্কা কথা। 

সব জানিবার পর অখুশি শুধু একজনই। তিনি রানি কৌশল্যা। আবার সেই কুৎসিত ও নোংরা হরিণের শিং-মাথাওয়ালা মুনি ঋষ্যশৃঙ্গ। সে তো আসলে নিজের মেয়েজামাইও। ওই বিশালাকায় দুই হরিণশৃঙ্গকে রাত্রিকালের শয্যায় কন্যা শান্তা কীভাবে সামলায় কে জানে? কিন্তু কী আর করা, নরেন্দ্রভাই বা তাঁর চেলাচামুণ্ডারা কিছুতেই মানিবে না, এই সবকিছু যে আসলে বানানো গপ্পোই, কায়দা করিয়া একটা মসজিদ ভাঙিয়াও তাকে যে কৌশল্যার আঁতুরঘর বলিয়া প্রমান করা যায় না— কথাটি এইক্ষণে কে কাহাকে বুঝাইবে। দেশবিরোধিতা বা পাকিস্তানের দালালির দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার ঝামেলায় কে জড়াইবে? ভগবান রামচন্দ্র  নিজেও মোদিভাই-শাহভাইদের রাজত্বে এই ঝুঁকি লইবেন না।