সোমেন বসু
লেখক রাজনৈতিক ভাষ্যকার
বিহার নির্বাচন নিয়ে বিস্তর কথা, নিউজপ্রিন্ট, ডেটা সব খরচা হয়ে চলেছে অকাতরে— তাতে নীতীশ মোদি থেকে তেজস্বী গান্ধি, বামেরা থেকে নেতাদের ছেলেমেয়েরা, এমনকি ৭ লাখের বেশি মানুষ যে নোটা বোতামটা টিপে এসেছেন— সব কথাই আসছে, সবার কথাই আসছে, আসাই উচিত, কিন্তু কোথাও কৈমুরের কথা নেই কেন? কৈমুরের কথা আসা উচিত নয়?
নয়! কারণ আমাদের রাষ্ট্র, সরকার, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল, এবং সমাজের কাছেও এটাই আদিবাসী মানুষদের নির্ধারিত অবস্থান। আমরা খুব দরকার না পড়লে তাঁদের নিয়ে কথা বলা পছন্দ করি না।
দরকার বিভিন্ন রকমের হয়। সে প্রসঙ্গ ভিন্ন।
আপাতত পাঠকদের সুবিধার্থে আমরা কৈমুর যাব।
কৈমুরের কথা বলতে গিয়ে বিহার নির্বাচনের প্রেক্ষিত টানার কারণ এই কৈমুর অঞ্চলের ১০৮টি আদিবাসী গ্রাম এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিল। যার ফলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইকে উড়ে আসতে হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য।[1] স্বাভাবিক। মহার্ঘ্য গণতন্ত্রের মূল মহোৎসব বলে কথা! কিন্তু তার পরেও তাঁদের দিকে নজর ফিরল কই?
কী হয়েছিল কৈমুরে? ‘কী হয়েছিল’ না বলে ‘কী হচ্ছে’ বলাটাই যথাযথ।
কৈমুর জেলাটি দক্ষিণ বিহারে, বিহারের মূল ভূখণ্ড থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন, উত্তর প্রদেশের শোনভদ্রের লাগোয়া এবং ঝাড়খণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের বনাঞ্চল সন্নিহিত জঙ্গুলে এলাকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এখানে ৫০ শতাংশের বেশি অধিবাসীই আদিবাসী। তা, সেই অরণ্যবাসী আদিবাসী জনগণকে উচ্ছেদ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার[2] পর থেকেই বন দপ্তর এখানকার মানুষদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। মাঝেমাঝেই ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া, ফসল নষ্ট করা, চলতে থাকে এসব, অনেকটা খেলাধূলার ঢঙে আর কি! একটু গিয়ে ঘুরে এলাম, কয়েকটা ঘর ভেঙে দিলাম, কয়েকটা ক্ষেতের ফসল নষ্ট করলাম— এরকম! লকডাউনের পর থেকে এই ইতরামির তীব্রতা বাড়ে। বলে রাখা দরকার, বন দপ্তরের এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে এখানকার জনগণ— যাঁরা কৈমুর মুক্তি মোর্চা নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন এই বাঁচার লড়াইটা লড়ার তাগিদে— সুপ্রিম কোর্টে গেছিলেন, এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের উচ্ছেদ করার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেয়। বোঝাই যাচ্ছে বন দপ্তর সেসবের তোয়াক্কা করেনি।
কিন্তু এই উচ্ছেদের নির্দেশই বা কেন? কারণ, এখানে ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প হবে। এ সম্বন্ধে নিজেরা কোনও কথা না বলে আমরা কৈমুর মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সম্পাদক রাজা লাল সিং খারওয়ারের কথা শুনব:
বছরের পর বছর ধরে দিনের বেশিরভাগ সময়টা আমরা এই ঘন জঙ্গলের মধ্যে কাটাই। আমাদের মধ্যে কেউই জীবনে কোনও দিন একটাও বাঘ দেখেনি, একটাও বাঘকে মোকাবিলা করেনি। এই জঙ্গলকে ব্যাঘ্র প্রকল্প ঘোষণা করার ফলত একটাই উদ্দেশ্য— আমাদের এখান থেকে উৎখাত করে আমাদের জমিগুলো হাতিয়ে নেওয়া।[3]
যাই হোক, চলছিল এরকমই। একদিকে বন দপ্তরের বর্বরতা, অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে আদিবাসী জনগণের বিক্ষোভ। গত ১০ সেপ্টেম্বর এখানকার আধাউরা ব্লকের ১০৮টি গ্রামের হাজারেরও বেশি মানুষ আধাউরা বন দপ্তরের অফিসের সামনে বীরসা মুন্ডা স্মারক স্থলে ধরনায় বসেন। বলা থাকুক, এ কোনও আচমকা কর্মসূচি ছিল না। এই ধরনার বিষয়ে সেই আগস্ট মাস থেকে এলাকায় ব্যাপক প্রচার করা হয়। সরকার এবং বন দপ্তরকেও যথাবিহিত অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেসব সত্ত্বেও পুলিশ এবং বনকর্মীরা এই নিরস্ত্র, শান্তিপূর্ণ ধরনার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রভু নামে একজন আদিবাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন প্রচুর— নারী, শিশু, বৃদ্ধ সহ— যার মধ্যে ৭জন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ কিন্তু এই ৭ জনকেই আবার গ্রেপ্তার করে এবং নানা মিথ্যে মামলা দায়ের করে এঁদের বিরুদ্ধে। গত ১৬ অক্টোবর এঁরা জামিনে ছাড়া পান। হ্যাঁ, এটাও বলা থাকুক— এর পরেও পুলিশি বর্বরতা কিন্তু অব্যাহত রয়েছে কৈমুরে।
কৈমুরের এই গোটা ঘটনাটি তথ্য-অনুসন্ধানের জন্য অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন অফ ফরেস্ট ওয়ার্কিং পিপল-এর আমির শেরওয়ানি খান এবং মাতাদয়াল, দিল্লি সলিডারিটি গ্রুপের রাজা রাব্বি হুসেন এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমন খান— এই চারজনের একটি দল গত ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর কৈমুরে সরেজমিনে তদন্ত করে। তাঁদের রিপোর্টটি সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য এবং আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চ-এর সহ সভাপতি বৃন্দা কারাট একটি অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ করেন।
মাতাদয়ালের কথায়, “বন দপ্তর গ্রামগুলিতে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে রেখেছে।” সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন অফ ফরেস্ট ওয়ার্কিং পিপল-এর রোমা মালিকের কথায়, “একদিকে সরকারের হতচ্ছেদ্দা, অন্যদিকে সমাজের জ্বলন্ত জাতপাতের ভেদাভেদ— আদিবাসী জনগণকে প্রতিনিয়ত এই দুয়ের মোকাবিলা করতে হয়। এই মানুষগুলির জমি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, ফসল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আর তারপর সেইসব বর্বরতার বিরুদ্ধে যখন ১০৮টি গ্রামের মানুষ যখন শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের বক্তব্য, প্রতিবাদ জানাতে গেলেন, তাদের ওপর হামলা চালানো হল নৃশংসভাবে।” এবং বৃন্দা কারাটের কথায়, “আদিবাসী জনগণের সাংবিধানিক অধিকারের বিরুদ্ধে মোদি সরকার অলিখিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”[4]
যথার্থ বলেছেন। আমরা সেটাই একটু দেখি বাস্তব তথ্যের আয়না দিয়ে।
এই বর্বরতা সারা দেশেই চলছে
কাশ্মিরে যাই চলুন। জম্মুর সংলগ্ন অঞ্চলে মুসলিম আদিবাসী বাকরওয়ালদের মহল্লায়। এঁরা স্বভাবে যাযাবর। ঘুরে বেড়ান এদিক সেদিক। কিন্তু এঁদের স্থায়ী আবাস জম্মুর নিকটবর্তী এই নাগ্রোতাতে আজ প্রায় ৬০ বছর ধরে। কাগজপত্র সব আছে। তা সেখানকার মানুষগুলি বন দপ্তর থেকে নোটিস পেয়েছেন জমি খালি করে দেওয়ার জন্য। মহম্মদ ফরিদ জানাচ্ছেন, “আমাদের জানানো হয়েছে যদি আমরা জমি খালি না করে দিই, তবে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে জোর করে উৎখাত করে দেওয়া হবে। আমরা আমাদের কাগজপত্র দেখিয়েছি। তা দেখে কর্তারা (বন দপ্তরের) বলেছে, ‘এসব তো ঠিকই আছে! কিন্তু বাকরওয়ালরা তো ঘুরেই বেড়ায়। ওদের আবার থাকার জায়গার কী দরকার!’” সেখানকার আরেক বাসিন্দা মহম্মদ আশরাফ জানাচ্ছেন, “আমাদের বলা হল, যেহেতু আমরা যাযাবর, আমাদের বাচ্চারাও বড় হয়ে তা-ই হবে। তাই ওদের লেখাপড়া শেখানোর কোনও দরকার নেই।”[5]
শুধু একটু ভেবে দেখুন। পারলে নিজেকে বসান ফরিদ বা আশরাফের জায়গায়। এইখানে কোনও তফাত তো অন্তত কাগজে-কলমে নেই। রাষ্ট্র এবং তার নাগরিক। ফরিদ-আশরাফও যা, আমি-আপনিও তাই।
এবার চলুন ছত্তিশগড়। এখানে আরও মজা। কারণ বিজেপিকে হটিয়ে রায়পুরের গদিতে এখন কংগ্রেসি সরকার। তা সত্ত্বেও, ফরেস্ট রাইটস অ্যাক্ট-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আদিবাসী জনগণের ওপর চলছে একের পর এক হিংস্রতার ঘটনা। সম্প্রতি ৫০টি পরিবারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে সেই পরিবারগুলিকে পথে নামিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্র। কারণটা শুনবেন? সেখানে গোয়াল তৈরি করা হবে! আবার গত ১৩ অক্টোবর পূর্ব ছত্তিশগড়ের ধামতাড়ি জেলার দুগলি গ্রামের খবর দেখছি— এখানে ২০ ঘর ধোবা কাছাড় সম্প্রদায়ের আদিবাসী পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে তাঁদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
মাওবাদী জুজু দেখানো ছত্তিশগড়ে যেকোনও সরকারেরই খুব পছন্দের তরিকা। নিজেদের যাবতীয় বর্বরতাকে শুদ্ধ করে নেওয়া যায় এই জুজু দেখিয়ে। সেই পদ্ধতি মেনেই ছত্তিশগড় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দান্তেওয়াড়া-বিজাপুর অঞ্চলে নতুন অনেকগুলি সিকিওরিটি ক্যাম্প করার। খুবই চেনা কৌশল। স্থানীয় আদিবাসী জনগণ জানেন, এই ক্যাম্পগুলির অর্থই হল তাঁদের ওপর আরও দমনপীড়ন নেমে আসা। সম্প্রতি দান্তেওয়াড়ার জনগণ সেখানকার রাস্তা কেটে দিয়ে এই ক্যাম্প তৈরির বিরুদ্ধে তাঁদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।[6]
এর সঙ্গেই ধরুন ওডিশাতে একের পর এক খনির ছাড়পত্র দিয়ে সেসব অঞ্চলের আদিবাসী জনগণকে উচ্ছেদের আশঙ্কার সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার ঘটনা, এবং হ্যাঁ, তাঁদের প্রতিবাদমুখী করে তোলারও ঘটনা। সেকথাতেই আসছি। তার আগে আদিবাসীদের ওপর সরকারের এই দেশব্যাপী যুদ্ধ ঘোষণা করার নিদর্শন হিসেবে গত সপ্তাহের আর দুটি খবরের কথা উল্লেখ করব।
এক, পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত তিরাশি বছরের ফাদার স্ট্যান স্বামীকে স্ট্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য ২০ দিন ভাবার সময় চেয়েছে এনআইএ আদালত!
দুই, এই লেখাটি চার নম্বর প্ল্যাটফর্মেই প্রকাশিত হয়েছিল, সন্দীপ পাণ্ড্যে এবং সুরভি আগরওয়াল দু বছর ধরে জেলে বন্দি থাকা মহেশ রাউতের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
ফাদার স্ট্যান এবং মহেশ দুজনেই আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনে যুক্ত। রাষ্ট্র পরিষ্কার দেখিয়ে দিতে চায়, শুধু আদিবাসী নয়, তাঁদের হয়ে যাঁরা কথা বলবেন তাঁদেরকেও সে রেয়াত করবে না।
এবং আদিবাসীরাও রুখে দাঁড়াচ্ছেন
আদিবাসীদের দমন করা, উৎখাত করা— এসব সম্ভবত সভ্যতার প্রাথমিক শর্ত। ইতিহাস তাই বলে। ফলে ভারতের চরম মনুবাদী বর্তমান শাসককুল যে সেই সভ্যতা প্রমাণ করতে বিন্দুমাত্র কসুর করবে না সে কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেসবের পরেও বর্তমান এই আগ্রাসনের পেছনে সেই বহুচর্চিত কথাটিরই পুনরাবৃত্তি করতে হয়— ইটস ইকোনমি, স্টুপিড!
হ্যাঁ, আদিবাসীরা যে পাহাড়-জঙ্গলময় প্রকৃতিতে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে এসেছেন, সেই জায়গাগুলি এই মুহূর্তে দরকার ভারত এবং ভারতের বাইরেরও পুঁজিপতিদের। চাই যেকোনও মূল্যে। কারণ, এইসব অঞ্চলগুলিতে নিহিত থাকা অফুরান প্রাকৃতিক সম্পদ। ফলে রাষ্ট্র এবং সরকার কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে প্রভুসম পুঁজিপতিদের এই বায়না পূরণ করতে। অরণ্যের অধিকার আইনের সংশোধনী বা খনি বিল— এসবই এই লক্ষ্যপূরণের তাগিদেই।
কিন্তু এসব নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, আরও হবে নিশ্চিত, আমি আপাতত লেখাটির এই অন্তিম অংশে আদিবাসী জনগণের রুখে দাঁড়ানোর গল্প শোনাব কিছু।
দান্তেওয়াড়ার কথা তো বললাম, কৈমুরও বলেছি, ওডিশাতেও যেখানে যেখানেই খনির জন্য থাবা বাড়াচ্ছে কর্পোরেট হাঙররা, সেখানেই রুখে দাঁড়াচ্ছেন আদিবাসীরা। নিয়মগিরির ডোঙ্গরিয়া কোন্ধদের লড়াই দীর্ঘদিনের।[7] ওডিশা সরকার সম্প্রতি সেখানে একটি ইকো-ট্যুরিজমের প্ল্যান হাজির করেছে। ডোঙ্গরিয়ারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তথাকথিত সভ্য জাতিদের জন্য আদিবাসীরা কোনও এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল নয়, ওসব ইকো-ট্যুরিজমকেও তাঁরা তাঁদের জমি কেড়ে নেওয়ার একটা কুমতলব হিসেবেই দেখছেন এবং সর্বশক্তি দিয়ে এর প্রতিরোধ করবেন।
আদিবাসীরা আসলে হিন্দু বলে তাঁদের গ্রাস করা সঙ্ঘ পরিবারের এক পুরনো কৌশল। সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীরা রুখে দাঁড়িয়েছেন এর বিরুদ্ধে। তাঁরা দাবি তুলেছেন, ২০২১-এর জনগণনায় ধর্মের বিভাগগুলিতে অন্যান্য ধর্মের সঙ্গে সরনা কোডেরও একটি ঘর রাখতে হবে। এবং এই মর্মে ঝাড়খণ্ড বিধানসবা একটি রেজোলিউশনও পাশ করেছে। সরনা কোডের অর্থ আসলে প্রকৃতি উপাসক। এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এখানে সম্ভব নয়। টিকায় একটা লিঙ্ক[8] দেওয়া থাকল, আগ্রহী পাঠকেরা দেখতে পারেন।
ফলে, লড়াইটা একতরফা হবে না। রাষ্ট্র—যা একান্তভাবেই এই ভূখণ্ডে বহিরাগতদের প্রতিনিধি, তাদের সামরিক-রাজনৈতিক সংগঠন— যুদ্ধে নেমেছে সারা দেশের আদি বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। এ লড়াইয়ে পক্ষ বাছার দায় তো আমার-আপনারও। তাই না?
- Kaimur Firing: Fact-finding report released, CJP, ২৩ অক্টোবর ২০২০
- দুটি লেখার কথা বলব। অরণ্যবাসী জনগণকে উচ্ছেদের রায় : চাই সর্বস্তরে প্রতিরোধ, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, এবং এই অভূতপূর্ব বর্বরতার আয়োজন যেন বিনা প্রতিরোধে না যায়, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম, ২০ জুলাই ২০১৯
- ১ নং পাদটীকা দ্রষ্টব্য
- ‘Modi Govt Waging Undeclared War Against Adivasis’: Kaimur Fact-Finding Team, সুমেধা পাল, নিউজক্লিক, ২৩ অক্টোবর ২০২০
- J&K: ‘Why do you Need Land?’ Eviction Threat Looms Large over Bakarwal Families, সাগরিকা কিসসু, নিউজক্লিক, ২৮ অক্টোবর ২০২০
- প্রতিটা ঘটনার আলাদা আলাদা করে তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে টিকা-ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা। আগ্রহী পাঠকেরা নিউজক্লিকের ১৭ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত খবরগুলিতে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
- নিয়মগিরির গান, প্রতিভা সরকার, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম, ২৩ মার্চ ২০১৯
- Explained: Why Jharkhand is seeking a separate religious code for Sarna tribals, অভিষেক অঙ্গদ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, হালনাগাদ ১৫ নভেম্বর ২০২০