সুশীতল মার্ডি
প্রাবন্ধিক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার
৯ জানুয়ারি থেকে অখিল ভারতীয় কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি-র ডাকে কলকাতার এসপ্ল্যানেড চত্বরে ধরনা ও অবস্থান চলছে। অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান, দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবাদ। গত সেপ্টেম্বর থেকেই দিল্লিতে শুরু হয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভ আন্দোলন। নয়া ‘কৃষি আইন ২০২০’ বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ ক্রমশঃ প্রতিরোধে পরিণত হয়েছে। দেশজোড়া প্রতিবাদ। কেন্দ্রীয় সরকার যতটা অনড়, কৃষকদের জেদও তত বেশি। তেভাগা, নকশালবাড়ির মতো বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল যে বাংলায়, কৃষিকে অক্ষ করে সশস্ত্র বিদ্রোহের উৎসব পালিত হয়েছে যে বাংলায়, সেই বাংলা কি নিশ্চুপ নিরপেক্ষ থাকতে পারে? বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ কর্মসূচি ইত্যাদি চলছিল বিগত কয়েক মাস ধরে। অখিল ভারতীয় কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতির কলকাতা অধ্যায়ের আহ্বানে ও পরিচালনায় জানুয়ারির ৯ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান শুরু হয়েছে এসপ্ল্যানেডে। বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠন, সমমনস্ক গণসংগঠন অংশগ্রহণ করছে এই মঞ্চে; দেশজোড়া কৃষকবিক্ষোভে সংহতিজ্ঞাপনে।
অবস্থানমঞ্চের মূল দাবি— তিনটি কৃষি আইনের নিঃশর্ত প্রত্যাহার। ‘অন্নদাতাদের সঙ্গে বাংলা’। দেশের অন্নদাতারা বিপন্ন। কর্পোরেটের স্বার্থে ও নব্য ফড়ে শ্রেণির নির্মাণে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। দিল্লিতে লাগাতার বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে থাকাও যেমন লক্ষ্য, তেমনই বাংলায় কৃষকদের সম্মিলিত করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে সামিল করাও উদ্দেশ্য মঞ্চের আহ্বায়কদের। বিভিন্ন গণসংগঠন, যারা এই ধর্নামঞ্চে আসছে এবং বক্তব্য রাখছে, তাদের মধ্যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য একটাই— বিজেপির বিরোধিতা। সংসদীয় ও অসংসদীয় বামপন্থী গণসংগঠনগুলির মতাদর্শগত কারণে কিছু অনৈক্য রয়েছে, দ্রোহের পথ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে, কিন্তু আরএসএস ও কর্পোরেটের বিরোধিতা তাদের এক মঞ্চে দাঁড় করিয়েছে। অন্নদাতা কৃষকদের পাশে সরকার না থাকুক, গণসংগঠনগুলি আছে। প্রত্যেকদিন সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, নাটক-গান-কবিতা যার কেন্দ্রবিন্দু কৃষক এবং তাঁদের প্রতিরোধ। অস্থায়ী লঙ্গরখানা থেকে প্রত্যেক প্রতিবাদীর খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিরোধ উৎসব হয়ে উঠেছে।
সুপ্রিম কোর্ট আপাতত কৃষি আইন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ এটাই যে, ‘স্থগিত’ রেখেছে, বাতিল করার নির্দেশ দেয়নি। অথচ, দীর্ঘ প্রায় চার মাসব্যাপী কৃষকদের মূল দাবি আইনটিকে বাতিল করা নিয়ে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চার সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে, যে কমিটির সদস্যেরা বিভিন্ন সময়ে কৃষি আইনের পক্ষেই সওয়াল করেছে। আর, ভারতবর্ষে আজ পর্যন্ত যতগুলি সরকারি তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে হয় সেগুলির দীর্ঘসূত্রিতার জন্যে ফলপ্রকাশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে নয়তো রাষ্ট্রের ক্ষমতাশালীদের চাপে ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ন্যায়বিচার হয়নি। তদন্ত কমিটি, দু’মাসের সময় ইত্যাদি কুমিরছানা দেখিয়ে কেন্দ্র-আদালত যুগলবন্দি কৃষকদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ প্রশমিত করতে চাইছে। কিন্তু, কৃষকরা পিছিয়ে আসেননি। তাঁদের লড়াই ‘স্থগিত’ থাকেনি। ক্রান্তিকারী কৃষক ইউনিয়ন, বিকেইউ-একতা, কিসান-মজদুর সংঘর্ষ কমিটির নেতৃত্বে কৃষকেরা কোনওরকম আপসেই রাজি নন। শাসকশ্রেণি চিরকালীন পদ্ধতিতে আন্দোলন ভেঙে দিতে চেয়েছে; কখনও ধর্ম, কখনও জাতি-বর্ণ, কখনও সরাসরি দমনকৌশল, কখনও সরকারি আশ্বাস। কিন্তু, জোটবদ্ধ কৃষকদের অনমনীয় জেদ তাতে বেড়েছে বই কমেনি। মধ্যবিত্ত সমাজের সঙ্গে তাঁদের দূরত্ব তৈরি করতে শাসকানুগামীদের প্রচার অব্যাহত। কিন্তু, নয়া কৃষি আইনের কুপ্রভাব শুকনো তত্ত্ব দিয়ে চাপা দিতে পারছে না শাসকশ্রেণি। দিল্লিতে তো বটেই, কলকাতার ধর্মতলায় অবস্থানমঞ্চেও তাই ভিড় বাড়ছে প্রতিবাদীদের। বাংলা থেকে প্রতিবাদী চেতনাসম্পন্ন মানুষ দিল্লি যাচ্ছেন, দিল্লি থেকে সংগঠকেরা বাংলায় আসছেন। নিয়মিত সেমিনার, বক্তৃতাসভা, ওয়েবিনার আয়োজন করা হচ্ছে। জেইউ-এক্স সংগঠন জানুয়ারির দুই তারিখ যে ওয়েবিনার আয়োজন করে, তাতে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জগমোহন সিং উপ্পল, পাঞ্জাব কৃষি-বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ্ সুখপাল সিং এবং ভারতীয় কৃষি-অর্থনীতি নিয়ে গবেষণারত কৌস্তুভ ব্যানার্জ্জী। বাংলা থেকে যাঁরা দিল্লির দ্রোহ প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছেন, তাঁরা ফিরে এসে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন এখানকার কৃষক, বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। উদ্দেশ্য একটাই, এই আদান-প্রদানের পরিসরকে আরও বাড়ানো যাতে ফ্যাসিবাদবিরোধী বৃহত্তর জোট তৈরি হতে পারে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের মতাদর্শগত, অঞ্চলগত আদানপ্রদান যত বাড়ছে, নিশ্চিতভাবেই শাসকের কপালের ভাঁজ ঘন হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদে বলেছেন, “Why are women and elders kept in the protest?”— এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যের প্রশ্ন, কোভিডের ভয়। কিন্তু, ‘মহিলারা আন্দোলনে কেন?’ এই বাক্যটির অন্দরে থেকে যায় পিতৃতান্ত্রিক ভারতের মানসিকতা। ‘আন্দোলন শুধু পৌরুষের, দ্রোহে অধিকার শুধু পুরুষের এবং নারীর দায়িত্ব অন্দর সামলানো, পৌরুষকে আগলে রাখা সযত্ন মমতায়’- এই তো পিতৃতন্ত্রের মনের কথা; আর, কী আশ্চর্য, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ পদাধিকারী অনায়াসে তা উচ্চারণও করে দেন। আরএসএসের মতো অতি-রক্ষণশীল ও পশ্চাদমুখী মতাদর্শের যা প্রচারবাক্য, তা বিচারপতির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে; মুখোশ হিসেবে থাকে আল্গা সহানুভূতি। কিন্তু, মহামান্য বোবদের ওই ঠুনকো সহানুভূতি উড়িয়ে দিয়ে জয় কিসান আন্দোলনের সম্পাদক রবিন্দর পাল কৌর বলেন, “How can the court ask women to leave? Women plant seeds harvest the crops and 80 per cent of farm labour is done by us. We are equal to men. Nobody will leave the protest site. We are very much part of the struggle”[1] ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের মোট নারী শ্রমশক্তির দুই-তৃতীয়াংশ কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত উৎপাদক হিসেবে। দিল্লিতে অবস্থানরত যে কৃষকেরা প্রতিরোধকে উৎসবে বদলে ফেলেছেন, তাঁদের মধ্যে নারীর সংখ্যা আরএসএস-বিজেপি মতাদর্শের মাথাব্যথার কারণ। কৃষিক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকা যথেষ্ট বেশি, ৭৩ শতাংশ গ্রামীণ নারী কৃষিজ উৎপাদনে যুক্ত। ফসল উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায়ে তাঁদের শ্রম পুরুষের শ্রমের চেয়ে কোনও অংশেই কম নয়। তাই, আন্দোলন ও আন্দোলনে নিজেদের অবস্থান বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ হক তাঁদেরই রয়েছে; কোনও বিচারপতির নয়, এমনকি, কোনও ‘পুরুষ’ আন্দোলনকারীরও নয়। ফ্যাসিবাদী শাসক যখন সমগ্র কৃষিপদ্ধতির ওপরে অন্ধকার নামিয়ে আনছে, তখন নারী-কৃষকরা জ্বলে উঠেছেন, প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠেছেন। যে বোবদে নারীদের আন্দোলন থেকে মুখ ফিরিয়ে ঘরে চলে যেতে ‘অনুরোধ’ করেছেন, তিনি নিশ্চয়ই জানেন না ইলা মিত্র, লতিকা সেন, অমিয়া দত্ত, বেলা দত্ত, রাশিমণি, পঞ্চাদ্রি নির্মলা, স্নেহলতাদের নাম! ভারতবর্ষের দ্রোহের ইতিহাসে দ্রোহী ও শহীদের তালিকায় অগুনতি নারী-নাম। ইলা মিত্রের মতো সুদক্ষ সংগঠক ও একনিষ্ঠ বিপ্লবী যে কোনও দেশের সম্পদ। নারীর ভূমিকা পুরুষকে আগলানো নয়, পুরুষের ঘর সামলানো নয়, নারীর ভূমিকা বিপ্লবমুহূর্তে প্রত্যক্ষ যোগদানের, তাকে সফল করার। শাসকশ্রেণি তাদের মতাদর্শগত অবস্থান থেকেই নারীকে দুর্বল মনে করে সংঘর্ষ থেকে আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু, তেভাগা-তেলেঙ্গানা-নকশালবাড়ি-শ্রীকাকুলাম-নন্দীগ্রাম-লালগড়-বস্তার সহ কৃষক-আদিবাসী বিদ্রোহের প্রত্যেকটিতে যথার্থই অর্ধেক আকাশ হয়ে উঠেছেন নারীরা। সুপ্রিম কোর্টের শিশুভুলোনো নির্দেশকে প্রত্যাখ্যান করে কৃষকরা যেমন রাজপথেই থাকছেন, তেমনই মহিলা বিক্ষোভকারীরাও সুপ্রিম কোর্টের সহানুভূতির-আড়ালে-পুরুষতন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করে রাজপথকে নিজেদের দখলে রেখেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ছে। কৃষকদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানও। প্রতিদিন জেলায় জেলায় জনসভা আর মিছিল। ছাত্র সংগঠনগুলি কৃষিবিক্ষোভকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি ঘোষণা করছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দ্রোহী কৃষক রমণীদের প্রতি যে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন, তার বিরুদ্ধে মশাল জ্বালিয়ে কলকাতার রাজপথে মিছিল করেছেন প্রতিবাদী নারীরা। সারা ভারতেই নারীরা মিছিল করেছেন ১৮ই জানুয়ারি। আপস না করার দাবি চারিয়ে দিতে। কোনও একটি পার্টির বা গণসংগঠনের নেতৃত্বে নয়, বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃত্বে এই আন্দোলন। অনেকগুলি কমিউনিস্ট পার্টি কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছে, তাদের গণসংগঠনগুলি প্রচার-সমর্থনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। তিন মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। সংসদীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে কৃষক-আন্দোলন বড় ভূমিকা রাখছে; বিজেপি-বিরোধিতায় নিঃসন্দেহে তা বড় হাতিয়ার। কিন্তু, সংসদীয় দলগুলি নিশ্চয়ই বুঝছে যে, দেশজোড়া এই গণবিক্ষোভ শুধু ইভিএমে পরিণতি পেতে পারে না। এর অযুত সম্ভাবনা শাসকের চাপিয়ে দেওয়া আর্থ-সামাজিক মডেলের গোড়ায় আঘাত করছে। ভোট-জোট ব্যতিরেকে এই লড়াই দীর্ঘমেয়াদি। এই যুদ্ধ জনগণের।
কৃষিক্ষেত্রে সরকারের কিছু দায় থেকে যায়। ১৯৪৭-র পরে সাত দশক পেরিয়ে এসে আজও কোনও সরকার, কোনও শাসক সেই দায়টুকু নিল না। তারা হয় দায় এড়িয়ে গেছে, নয়তো কর্পোরেটের কাছে দাসখত লিখে দিয়েছে। শোষিত হয়েছেন কৃষকেরা। অবহেলিত হয়েছে ভারতের মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও ন্যূনতম সমস্যাগুলির সমাধান হয়নি। আধিয়ার ও ক্ষেতমজুরদের দুর্দশা লাঘব হয়নি। সমাজের প্রধান স্তম্ভ কৃষক— তাঁরাই কৃষিজ উৎপাদনে জীবিকা নির্বাহ করতে হিমসিম খাচ্ছেন। আর, কৃষিজ উৎপাদনের সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গী ভারতের রেশনব্যবস্থা, যার ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্তের কিছু সুরাহা হয়। কিন্তু, মুক্তবাজার অর্থনীতির হাতে সব তুলে দিলে সেই সুরাহার বন্দোবস্ত তো থাকবেই না বরং কৃষিক্ষেত্রে সঙ্কট আরও প্রকট হবে। যাঁরা কৃষক, যাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ভারতীয় অর্থনীতির ভিত সারজল পাচ্ছে, তাঁদের আবেদনে কর্ণপাত না করে কর্পোরেটের ভাড়া করা আমলা ও মন্ত্রীরা তত্ত্বের মোড়কে মুড়ে ফেলছেন কৃষিবিলের প্রয়োজনীয়তা। রাজধানীতে বিক্ষোভরত কৃষকরা আঘাত করতে চাইছেন ওই কর্পোরেট ব্যবস্থাকেই। কাছাখোলা সরকার যাদের মুনাফা পাইয়ে দিতে বেশি আগ্রহী, সেই আদানি-আম্বানিদের বয়কটের ডাক উঠেছে কৃষকসমাজের থেকে। প্রতিরোধের তীব্রতা যেখানে বেশি, সেখানে বহুলাংশে সফল হয়েছে এই ডাক। আর, মেট্রো শহরগুলির সঙ্গে সঙ্গে ভারতের প্রাণভূমি অর্থাৎ গ্রামেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় সংগঠকদের প্রচেষ্টায় নিয়মিত কর্মসূচি চলছে কৃষকবিদ্রোহের সঙ্গে ফ্যাসিবিরোধিতার যোগসূত্র স্থাপনে। কারণ, আরএসএস-মতাদর্শ নিয়ন্ত্রিত বিজেপি সরকার ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে একের পর এক আইন পাশ করে চলেছে যাতে কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থ লঙ্ঘিত হচ্ছে। যে প্রতিবাদ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল, ক্রমশ তা প্রতিরোধে পরিণত হয়েছে। ভোট-জোট এবং ক্ষমতার রাজনীতিকে উপেক্ষা করেই কৃষক-শ্রমিক-মধ্যবিত্তের জোট আগামীদিনে আরও তীক্ষ্ণমুখ হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সেই সম্ভাবনা গাঢ় করছে আরও।
[1] আউটলুক ইন্ডিয়া, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২১