অশোককুমার মুখোপাধ্যায়
পূর্ব প্রকাশিতের পর
সেই সব আওয়াজ
যদি বলো কোন আওয়াজটা এখন আর শুনতে পাও না? লিখতে শুরু করব ফেরিওয়ালাদের হাঁক— মালাই বরফ-ঘুগনি-কুলফি-বেলফুল-শোনপাপড়ি-বড়ুয়ার কেক… তবে তালিকার প্রথমেই লিখতে হবে সন্ধেবেলায় সেনবাড়ির মন্দির থেকে ভেসে আসা ট্যাং-ট্যাং-ট্যাং-ট্যাং অথবা ঢং-ঢং-ঢং-ঢং এবং দীর্ঘস্থায়ী শাঁখের আওয়াজ। যে শব্দ কানে এলেই বাতাসার কথা মনে পড়বে এবং কপাল ভালো থাকলে গুজিয়াও। উইলিয়ামস লেনের শীতলা মন্দিরের ঘন্টার আওয়াজও যে কানে আসত না তা নয়, তবে ওইখানে প্রসাদ পেতে হলে কিছুক্ষণ বসতে হত। আর ওই মন্দিরের পুরোহিতের সন্তান-সন্ততি গালাগালিতে একেবারে মারাদোনা, এড়িয়েই চলতাম আমরা। তবু অল্প যা কিছু প্রাকৃত ভাষা শিখেছি, ওদের তত্ত্বাবধানেই। তাছাড়া দেখেছি শীতলাপুজোর দিন মেয়েরা সব দণ্ডি কাটতে-কাটতে ওই মন্দির অভিমুখে যাচ্ছে, পছন্দ হয়নি ব্যাপারটা। একজন মহিলা রাস্তায় (যা মোটেই রেড রোডের মতো চকচকে নয়) সাষ্টাঙ্গে শুয়ে পড়ছে, সঙ্গী পুরুষ অথবা মহিলাটি শুয়ে পড়া মহিলার মধ্যমার কাছে খড়ির দাগ টেনে তার আগামী শোবার জায়গায় জল ছিটিয়ে দিচ্ছে, এমন দৃশ্য কারই বা ভালো লাগবে। লিখেই মনে হল, হয়তো বা লাগবে, এখন তো দেখি সব কিছুই কেমন বদলে যাচ্ছে। ওইদিন সবকিছু মিটে গেলে ঠিক দুপুরবেলায় গনগনে রোদের মধ্যে স্কট লেন চুপচাপ শুয়ে থাকত সহস্রাধিক খড়ির দাগ মেখে। যেন মহাভারতের কোনও বীর যোদ্ধা, সে ভীষ্মও হতে পারে, ভূমিশয্যায়, তার যুদ্ধক্ষতগুলিকে সেলাই করেছেন কোনও শল্যচিকিৎসক। সম্প্রতি এক মহাজ্ঞানী জানিয়েছেন, গণেশের ঊর্ধাঙ্গে যে হাতির মাথা তা তো ভারতের শল্যচিকিৎসার অগ্রগতির প্রমাণ। অতএব নিরালা নির্জন খড়ির গণ্ডি টানা স্কট লেনকে দেখে এমন কথা বললে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে! বাড়ির কছেই পেশোয়ার মসজিদ ছিল অথবা রাহমানিয়া মসজিদ তাদের গম্বুজে তিনদিক মুখ করে চোঙা তখনও লাগেনি, তবু তো আজানের শব্দ দিব্যি শোনা যেত। কেন এমন হত? কেন মন্দিরের ওই ঘণ্টা বলে দিত এইবার পাকাপাকি সন্ধে হল, পড়তে বস। অথবা ভোরের আজান গান বলে দিত পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল… এইবার জামাকাপড় পরে তৈরি হও বাপুসকল। চারপাশের কোলাহল এত বেড়ে গেছে যে, আমরা আর কলকাতার এইসব নিজস্ব আওয়াজকে আলাদা করে মনে রাখি না। তাছাড়া আমরা কানেও খাটো হয়ে পড়েছি।
বহুরূপী নাট্যদল যখন থিয়েটার করছে নিউ এম্পায়ার কিংবা অকাদেমিতে মাইক্রোফোন তো ব্যবহার করতেন না তাঁরা। রক্তকরবীর বিশুপাগলের গলা না হয় ডি-শার্পে বাঁধা, তা যে শোনা যাবে আশ্চর্যের নয়, কিন্তু শেষ সারিতে বসেও ওদের প্রতিটি অভিনেতার প্রতিটি বাক্য শোনা যেত। এমনকী রাজা অয়দিপাউসে শম্ভু মিত্র-তৃপ্তি মিত্রের ফিসফিসানিও! এখন অমন রেওয়াজি গলা যে আর একেবারেই নেই তা তো নয়, কিন্তু মাইক্রোফোন ছাড়া আমরা আর তা শুনতেই পাব না; কারণ আমাদের কানটাই গেছে। যখন শুনেছি শ্যামবাজারের মোড়ে দানীবাবু অভিনয় করছেন, ওঁর গলা হাতিবাগান থেকে শোনা যাচ্ছে, বিশ্বাস হয়নি। পরে মনে হল, চারদিক নিস্তব্ধ থাকলে শোনা যেতেই পারে। শম্ভু মিত্র বলেছিলেন ওঁরা মহম্মদ আলি পার্কে স্টেজ বেঁধে অভিনয় করেছিলেন। মাইক্রোফোন ছিল না। কিন্তু অভিনয় করতে কোনও অসুবিধা হয়নি; দর্শকদের শুনতেও অসুবিধা হয়নি কোনও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে এখনকার মতো ভয়ঙ্কর শব্দ করে এত গাড়ি যেতই না তখন। আমাদের আমহার্স্ট স্ট্রিট দিয়ে সারাদিনে একটি মাত্র লরি যেত— জঞ্জালের লরি, আর যেত কিছু একতলা থ্রি-বি বাস। চিড়িয়াখানা থেকে আসত বাসটা; মানিকতলা হয়ে বেলগাছিয়া বোধহয়।
যদিও নমাজ পড়বার কোনও আওয়াজ নেই কিন্তু নমাজের কথায় হেয়ার স্কুলের ডে-সেকশনের শুক্রবার মনে পড়বেই। ওইদিন প্রথমে দুটো ক্লাস তারপরেই একঘন্টার টিফিন। কেন? মনসুর ইসলাম, নাসিম আলি, মহম্মদ নাগিবরা নমাজ পড়বে যে! ওই একঘন্টা টিফিন খেয়েও খেলার যথেষ্ট সময় থাকত। খেলা হত আমাদের চারটে হাউসের মধ্যে— গুরুদাস, বিলগ্রামী, দেবপ্রসাদ আর রমেশ দত্ত। এরা সবাই হেয়ার স্কুলের কৃতী ছাত্র। এঁদের নামেই চারটি হাউস। নাসিম ছিল বিলগ্রামী হাউসের ক্যাপ্টেন। আমি ভাইস ক্যাপ্টেন। ক্লাস সিক্সে যখন পড়ি, কিছু করে একটা গোল করেছিলাম, নিশ্চয়ই অফসাইড থেকে, রেফারি বিলগ্রামী হাউসের সাপোর্টার ছিল বলে অত পাত্তা দেয়নি, গোলে বল ঢুকতেই সে যথারীতি বাঁশি বাজিয়ে দেয়। যার ফলে সে বছর আমরা ট্রফিটা পেয়ে যাই। এই নাসিমই যখন সিক্স থেকে সেভেনে উঠতে গিয়ে আটকে যায়, ওর সে কী কান্না। বলছিল, আমার বাবা বলেছিলেন তোর ফার্স্ট সেকেন্ড হওয়ার দরকার নেই, শুধু পাশ কর, তাহলেই আমরা আনন্দ করব, আমি সেটুকুও করতে পারলাম না। এতটুকু বলেই ওর গলা আটকে গিয়েছিল। খুব মনে হচ্ছিল আমার কিছুটা নম্বর যদি ওকে দিয়ে দিতে পারতাম। আমার হাউসের ক্যাপ্টেন কেন ফেল করবে! ও ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন, তুমি কেঁদো না, জীবন অনেক বড়, সেই তুলনায় এইসব ছোটখাট পরীক্ষা কিচ্ছু না। নাসিমদের জুতোর ব্যবসা ছিল। ও এখন নিশ্চয় অনেক বড় কিছু করছে, আর আমরা ইপিএফের সুদ কমার ভয়ে আতঙ্কিত।
সিক্সেই প্রথম টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটবার শব্দ শুনি। ১৯৬৬-র কলকাতার নিজস্ব আওয়াজ। সিক্স সি সেকশনের জানালা ছিল পুবমুখো। ওই কাঁচের জানালা দিয়ে যেমন গোলদিঘির টলটলে জল, তেমনই খাঁকি উর্দির মরিয়া দৌড় দুই-ই দেখা যেত— সিনেমার মতো। সিক্স সি-র বালকবৃন্দ নিশ্চয়ই কিছু খোরাক করেছিল ওই হাফপ্যান্ট বাহিনিকে। ওরা সোজা একটি টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুব জানালার লক্ষ্যে। যা এসে ফাটে আমাদের তাপস ধরের প্রায় মাথার কাছে। জানালা বন্ধ ছিল বলে কিছুটা বাঁচোয়া। তবু তার ঝাঁঝ ঢুকে পড়ে তাপসের মাথায়। অরিন্দমও ছিল ওই ক্লাসে। ওরও চোখ মুখ আচ্ছন্ন করে দেয় সেই কাঁদানে গ্যাস। পরবর্তীতে তাপস যে ভাস্কর হয়েছে এবং দার্শনিক কথাবার্তা বলে তার কারণ ওই কাঁদানে গ্যাস, তা নিশ্চিত বলা যাবে না। কিংবা অরিন্দম যে আজ অরিন্দম চক্রবর্তী হয়ে হাওয়াই দ্বীপে থেকে দেশ-বিদেশে দর্শন নিয়ে বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছে তার কারণ যে ওই কাঁদানে গ্যাস নয় তাও কী নিশ্চিত বলা যাবে? দর্শন ব্যাপারটাই তো আসলে কাঁদানে গ্যাস!
ক্লাস এইটে ওঠবার পর জানা গেল একটি ভাষা শিখতে হবে— সংস্কৃত অথবা উর্দু। এর আগে ফোর-ফাইভ-সিক্স-সেভেন হিন্দির গজাল পোঁতা পথ পেরোতে হয়েছে। আর সব ঠিক থাকলেও লিঙ্গ অনুযায়ী ক্রিয়াপদের হিসেব রাখা শক্ত। এ ভুল সেদিনও হত এখনও হয়। সংস্কৃতের দেবনাগরী অক্ষর দেখে মনে হয়েছিল এ তো হিন্দিরই বড় ভাই অতএব উর্দুই শেখা যাক। এক বন্ধুর সঙ্গে সটান চলে গেলাম মৌলবী স্যারের কাছে। যেখানে মনসুর, মহম্মদ নাগিব, আলম এরা সব গাণ্ডা বেঁধেছে।
মৌলবী স্যারের মাথায় কালো টুপি, তামাটে মুখে বসন্তের দাগ, ঠোঁট পানের রসে লাল। পরনে চোগা-চাপকান।
–কী রে কী চাই?…
–স্যার উর্দু শিখব…
–অ্যাঁ.. তা আগে সংস্কৃত শিখে নে…
বলেই আমার হাত আর বন্ধুর কান ধরে সোজা নিয়ে এলেন সংস্কৃত স্যারের কাছে। হয়ে গেল আমাদের বিপ্লব। দুলে-দুলে মুখস্থ করতে হল— সর্প ক্রূর খল ক্রূর সর্পাৎ ক্রূরতর খল… রূপ যৌবন সম্পন্না, বিশাল কুলসম্ভবা বিদ্যাহীনা না শোভন্তে নির্গন্ধা ইব কিংশুকা…
কলকাতার রাস্তায় পুলিশ কি মিলিটারির কুচকাওয়াজের শব্দ কানে ঢুকলেই আমার স্কুলের নীল উর্দি পরা এনসিসি এয়ারফোর্সের কুচকাওয়াজ মনে পড়বেই। ওই লেফট-রাইট মনে পড়াবেই আমরা ট্রুপ নাম্বার ওয়ান। আর যে স্কুলের সঙ্গে আমাদের আড়াআড়ি সেই হিন্দু স্কুল ট্রুপ নাম্বার ফর্টি থ্রি বি! ক্লাস এইটে যখন পানাগড় ক্যাম্পে যাই তখন এই ব্যাপারটা খুব প্রকট হয়েছিল। যে কোনও রুট মার্চে আমরা প্রথম সারিতে, আর হিন্দু বহু পেছনে। খুব মজা পেতাম আমরা। আমাদের তাঁবুও এক ধারে, সবার নজর কাড়বেই, ওদেরটা কোন ভিড়ের মধ্যে, খুঁজে পাওয়া শক্ত। রুট মার্চ করে শক্ত বুটের সঙ্গে আমার গোড়ালির সুখী চামড়ার সংঘর্ষে একটি গভীর ফোস্কা পড়েছিল। ক্যাম্পে কাউকে বললেই হ্যাটা খেতে হবে, অতএব বলিনি; বাড়ি যখন ফিরলাম অবস্থা বেশ গুরুতর। সব দেখেশুনে জ্যেঠু বেশ খেপে গেল। মায়ের ওপর চোটপাট— কেন পাঠাও এইসব বাজে জায়গায়? জ্যেঠুর খেপে যাওয়াটা ঘাবড়ে যাওয়ার লক্ষণ। মা এটা ভালোই বুঝত, কোনও কথা না বলে গরম জল দিয়ে গোড়ালির ঘা-এর পুঁজরক্ত ভালো করে ধুয়ে দিয়ে মলম লাগিয়ে দিতেই মনে হল ব্যথা অনেক কম। ঘা শুকিয়েছিল, তবে দাগ রেখে গেছে গোড়ালিতে।
এই তো গত লকডাউনের মধ্যে আমরা খুব ক্যারম পেটালাম। ওই ক্যারমের ঘুঁটি আর স্ট্রাইকারের শব্দ যে মেজপিসেমশায়ের কথা মনে পড়িয়ে দেয়। মেজপিসেমশায় শৈলেন গাঙ্গুলি সত্যজিৎ রায়ের কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন, অনেক বাংলা ছবিতে মেয়ের বাবা, বিচারক ইত্যাদি। সত্যজিৎ রায় মশাই একবার আমাকে বলেছিলেন শৈলেনবাবুর চামড়াটা খুব ভালো, অনেকদিন অবধি বয়সের ভাঁজ বোঝা যেত না। পোর্ট কমিশনার্স-এ কাজ করতেন। উত্তমকুমারকে চিনতেন অরুণ নামে। সন্ধেবেলায় বাড়ি ফিরেই চা খাওয়ার পর গা-হাত পা ধুয়ে খেতে বসতেন পিসেমশাই। রাতের খাবার! ভাতের সঙ্গে সর্ষেবাটা দেওয়া মাছের ঝাল যখন খেতেন, সে কী জিভে জল আনা গন্ধ! মেজপিসির রান্না দারুণ, একটু ঝাল বেশি থাকত এখনকার হিসেবে, তবে সন্ধেবেলায় বানানো ওই টাটকা ঝালের স্বাদস্মৃতি এখনও অমলিন।
খাবার পরে পিসেমশায় পরিপাটি করে পরবেন সিল্কের পাঞ্জাবি, সোনার বোতামও লাগানো হবে বোতামের গর্তে। তারপর উনি বেরোবেন ক্যারম খেলতে, যেমন-তেমন নয় একেবারে ম্যাচ বোর্ডে ক্যারম পেটানো। অবশ্য উনি ক্যারমের চেয়ে বেশি খেলতেন তাসের ব্রিজ। মুখে থাকত এক টুকরো সুপুরি। ক্যারমে যেমন আওয়াজ শোনা যায়, ব্রিজে নৈঃশব্দ। বেশিরভাগ দিনই ওঁর কপালে থাকত জয়। ফলে রাতে ফেরবার সময় মুখে লেগে থাকত সেই স্বর্গীয় হাসি যা তাস খেলুড়েরাই চেনে। সকালে পায়রাদের দানা খাইয়ে ওর দিন শুরু হত। পাখিগুলি ওকে মানুষ বলে মনেই করত না, অতএব পক্ষীকুল এসে বসত ওর কাঁধে, চকচকে মসৃণ মাখন-রঙা মাথায়, এমনকি দানা ছড়ানো কব্জিতেও। তখনও ওর মুখে লেগে থাকত সেই অনির্বচনীয় হাসি, যা মেডেল পাওয়া কিশোরের দাদুর ঠোঁটে থাকে। পায়রার বকবকম শুনলেই যে পিসেমশায়ের কথা মনে পড়ে!
কদিন আগে পাড়ার অনুষ্ঠানে যে ছেলেটি আবৃত্তি করেছিল, ধ্বংস করে দাও আমাকে যদি চাও, আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক, তার আওয়াজ-উচ্চারণ যে খুব ভালো তা নয় কিন্তু একটি ছবি তো এনে দিল। বাবা বলতেন এভরিওয়ান হ্যাজ টু বিয়ার হিজ ওন ক্রস অন দ্য ওয়ে টু দ্য ক্যালভেরি। ইংরেজিতে বোধহয় খুবই চালু কথা। বহুরূপীর দশচক্রে শম্ভু মিত্রের মুখে এই সংলাপটি ছিল। সব দেখেশুনে একটা রোমান্টিক ছবি তৈরি হয়ে গেছে— আমি সারাজীবন ধরে নিজের কর্মকাণ্ডের ক্রুশটি কাঁধে বহন করে চলেছি, যিশুখ্রিস্টের মতোই। ক্যালভেরি পাহাড়ে আমাকে বিদ্ধ করা হবে জেনেও এই ভার বহন করছি আমি এবং আমরা সবাই। ওই সময়েও যে কোনও প্রকৃত বাবাই চাইবে আমি ধ্বংস হয়ে যাই ক্ষতি নেই কিন্তু হে ঈশ্বর আমার সন্তান যেন ভালো থাকে। দেশব্যাপী এই দুর্দিনে আমরা এখনও, আজও, প্রতিদিনই তাই চাইছি। আমার পিতাও তাই চেয়েছিলেন। শেষ সময়ে যখন তাঁর ভারী নিঃশ্বাস পতনের শব্দ শুনছি। পেট থেকে বার করা হচ্ছে চকোলেটরঙা রক্ত। জিজ্ঞেস করছি, বাবা… বাবা তোমার কষ্ট হচ্ছে? উত্তর এসেছিল, আমি তো ঠিক আছি, তোরা ভালো তো?
(চলবে)