অনিন্দ্য সেনগুপ্ত
নোটবন্দি খেলা– হ্যাঁ খেলাই বটে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় খেলার ছলে এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ফলাফলের অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে। ইংরেজিতে এর পোষাকি নাম ডিমনিটাইজেশন (demonetisation)। কেউ কেউ বাংলা করেছেন বিমুদ্রাকরণ। গোড়াতেই বুঝে নেওয়া যাক ব্যাপারটা ঠিক কি। বাজারে চলতি কারেন্সি নোট (টাকা) সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে তুলে নেওয়া বা বাতিল ঘোষণা করার ঘটনাকে ডিমনিটাইজেশন বলে। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ঐ সমস্ত নোটের আইনি বৈধতা নষ্ট হয়ে যায় এবং প্রমিশরি নোটের আর কোনো প্রমিশ (প্রতিজ্ঞা) থাকে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ৮ই নভেম্বর ২০১৬ মধ্যরাত্রি থেকে সমস্ত ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনাকে সরকারের তরফে এক মহৎ প্রচেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এর পেছনে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যগুলিও তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন।
১) সরকার কর ফাঁকি রোধে সচেষ্ট, এবং এই প্রকল্পটি এই ব্যাপারে সাহায্য করবে।
২) কালো টাকা সমেত সমস্তরকম আর্থিক ভ্রষ্টাচারকে কমাতে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হবে।
৩) বড় অঙ্কের নোট বাতিল হওয়াতে খুব বড় রকমের নগদ লুকোনো মুশকিল হবে।
হঠাৎ শুনতে শুনতে মনে হবে এ যেন স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পেরই একটা অংশ। দেশের অর্থনীতির কালো অংশকে ঝেঁটিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
মোদীর সেদিনের বক্তব্যের সারাৎসার অনেকটা এইরকম: –
অনেক বছর ধরে এই দেশে ভ্রষ্টাচার কালোটাকা এবং সন্ত্রাসবাদ এক দগদগে ঘা এর মতো হয়ে রয়েছে, যা আমাদের উন্নয়নের দৌড় থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ভ্রষ্টাচারের এই বাঁধন থেকে মুক্ত হতে আমরা ঘোষণা করছি যে আজ মধ্যরাত থেকে পাঁচশ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করা হল।
বৃহত্তর বাণিজ্যিক সংস্থা (corporate) অর্থনৈতিক বিশ্লেষক, বিদেশী বিনিয়োগকারী, আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ও সর্বোপরি ভারতীয় শিল্প সংস্থা (Confederation of Indian Industries, CII) এরা সকলেই এই পদক্ষেপকে দু-হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছিল। ক্রিসিল (CRISIL), আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড ও পুওর কোম্পানি (Global Standard and Poor Company) বলেছিল এই পদক্ষেপ ভারতীয় অর্থনীতির চরিত্র বদলে দেবে। কর আদায়ে উন্নতি ঘটবে এবং এর ফলে সরকারি রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নতি হবে, অর্থনীতিতে নগদের পরিমাণ কমে আসবে এবং এর ফলে কালো টাকার উৎস বন্ধ হবে। সারা বিশ্বে মোদীর জয়জয়কার।
দেশের মানুষ কী দেখল? রাতারাতি রাস্তাঘাটের দৃশ্য বদলে গেল। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্য্যন্ত মানুষ নাওয়া খাওয়া ভুলে এ. টি. এম মেশিনের সামনে লম্বা লাইনে অপেক্ষমান। তাও দুহাজারের বেশী পাবে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বললেন অবস্থা স্বাভাবিক হতে তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ লাগবে। প্রধানমন্ত্রী বললেন পঞ্চাশ দিন মতো লাগবে। মানুষ ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে লাগল। এমনকি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) ও বলে বসল যে ভারতে প্রশাসন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই পরিবর্তন পরিচালনা করছে।
এবার একটু পরিসংখ্যানের দিকে চোখ ফেরানো যাক। মোট ৮৬% মূল্যের নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। ৫০০ টাকার নোট ৪৭.৮% (মূল্যে) এবং হাজার টাকার ৩৮.৬% (মূল্যে) নোট। ফলে অর্থনীতিতে তার ধাক্কা যে প্রবলভাবে অনুভূত হবে তাতে আর সন্দেহ কী?
আসুন বোঝার চেষ্টা করি সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে কী পরিমাণ ধাক্কা খেল ভারতীয় অর্থনীতি।
এই নোটবন্দী খেলায় মোট ১০০ জন বা তার কিছু বেশী মানুষ মারা গেছেন। একবিংশ শতাব্দীতে সারা বিশ্বের যে কোনও সভ্য দেশে এই ঘটনা ঘটলে সরকারকে তার দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করতে হত। মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন কমেছে দুই শতাংশের কাছাকাছি, আর্থিক মূল্যে যা ২ থেকে ২.৫ লক্ষ কোটির সমান। নতুন নোট ছাপাতে খরচ হয়েছে আট হাজার কোটি টাকা। এ. টি. এম মেশিন নতুন নোটের উপযুক্ত করে তুলতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থনৈতিক নানা কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ক্ষতির পরিমাণ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। নগদ লেনদেন কমে আসাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্র ও তার সঙ্গে জড়িত অসংখ্য গরিব মানুষ। মাইক্রো ফিনান্সের সাহায্যে দেশজুড়ে যে অসংখ্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী কাজ করছিল তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে দাঁড়ায়। প্রচুর মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন এর উদ্দেশ্যে কত সফল হয়েছে। প্রথমেই আলোচনা করা যাক এই পদক্ষেপটি কালো টাকা ও অর্থনৈতিক ভ্রষ্টাচার রোধে কতখানি সহায়ক হয়েছে। কর ফাঁকি দিয়ে অর্থনৈতিক ভ্রষ্টাচার থেকে উদ্ভূত আয়কে আমরা সাধারণভাবে কালো টাকা বলে থাকি। বিশ্বব্যাঙ্ক ২০১০-এ একটি হিসেব পেশ করে যাতে দেখা যাচ্ছে যে ১৯৯৯-এ ভারতে সমান্তরাল অর্থনীতি থেকে উদ্ভূত কালোটাকার পরিমাণ মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ২০.৭%। এই পরিমাণ ২০০৭-এ বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২৩.২%। এইখানে একটি কথা মনে রাখা দরকার যে সমান্তরাল অর্থনীতির খুব অল্প অংশই নগদ অর্থে (কালো টাকা) রাখা হয়। বাকিটা থাকে জমি, সোনা ও হাওয়ালা মারফত বিদেশি সম্পদে। ভারতবর্ষের মতো ঢিলেঢালা আইনের দেশে মাত্র ৫% থাকে কালো টাকায়, বাকি ৯৫% অন্যান্য সম্পদে। অতএব বিমুদ্রাকরণের মাধ্যমে সমান্তরাল অর্থনীতির খুব অল্প অংশকেই যে ধাক্কা দেওয়া যাবে তাতে আর সন্দেহ কী?
সম্প্রতি আগস্টের শেষ সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে বাতিল নোট প্রায় পুরোটাই (১% ছাড়া) ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কে। আমরা কি সিদ্ধান্তে উপনীত হব? দেশে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই? কোনও কালো টাকা নেই? একেবারে পাঁচ বছরের শিশুটিও একথা বিশ্বাস করবে না। আসলে কালো টাকাও প্রায় পুরোটাই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কে। বেপরোয়া অসাধু ব্যবসায়ীরা মনে করেছেন ধরা পরলে পরে দেখা যাবে। অধিকাংশই মনে করেছেন এত অগুনতি ব্যাঙ্ক আ্যকাউন্ট আয়কর দফতরের পক্ষে নজরদারি করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারও মনে করেছিলেন যে এই পদক্ষেপের ফলে ৩-৫ লক্ষ কোটি টাকা আর ব্যাঙ্কে ফিরবে না এবং তার ফলে কালো কে কালো সাদা কে সাদা আলাদা হয়ে যাবে। বাস্তবে তা ঘটেনি। এখন দেখার যে আয়কর দপ্তরের নজরদারি এত জোরদার কিনা যা দিয়ে সন্দেহজনক জমার আ্যকাউন্টকে সনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে। এটাও দেখার যে উদ্দেশ্যও এতখানি সৎ কিনা।
যদিও সরকার বলছেন যে ৩ লক্ষ রেজিস্টার্ড সংস্থা ও তাদের লেনদেন কড়া নজরদারিতে আছে। বিমুদ্রাকরণের মতো পদক্ষেপের পরেও মাত্র ৩২ লাখ দেশবাসী তাদের আয় দশ লাখের উপর ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হতাশা ব্যক্ত করেছেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের কিন্তু সরকারের উপর আস্থা আছে।
অসংখ্য কালো টাকা অপেক্ষাকৃত গরিব মানুষের আ্যকাউন্টে ঢুকেছে। গ্রামাঞ্চলে ও শহরতলিতে জনধন প্রকল্পের আ্যকাউন্টগুলো উপচে পরেছে, যেহেতু আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমাতে কোনও অনুসন্ধান চালানো হবে না। অধিকাংশ টাকাটাই এই সব আ্যকাউন্ট থেকে কিছুদিন বাদেই আবার উবে গেছে। তাই সন্দেহটা অমূলক নয় যে এটা আসলে কালো টাকা সাদা করার প্রকল্প নয় তো?
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট জমা পরবার পর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন যে হিসাব বহির্ভূত আয় ও সম্পত্তি দিনের আলোয় আনাটাই সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। আরও বেশি লোককে কর ব্যবস্থার আওতায় আনা, ডিজিটাইজেশন বাড়ানো এবং সীমান্তে ও দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদীদের টাকার যোগান বন্ধ করাও এই পদক্ষেপের অন্যতম উদ্দেশ্য।
আয়কর দপ্তর জানাচ্ছে যে গত আর্থিক বছরে যে পরিমাণ কর আদায় বেড়েছে ( সম্ভবত এগারো হাজার কোটি টাকা ) তা তাদের হিসেবের মধ্যেই ছিল। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও উল্লেখযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়নি। বিমুদ্রাকরণের প্রথম তিনমাসে নগদের ব্যবহারের পরিমাণ কমে ডিজিটাইজেশন বা অন-লাইন পেমেন্ট যতটা বেড়েছিল তা আবার নিন্মমুখী ও আগের অবস্থায় ফিরে আসার দিকে। আমাদের দেশে এই মুহূর্তে বিস্তীর্ণ অসংগঠিত ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের প্রায় পুরোটাই হয় নগদে এবং জেনে রাখাটা জরুরি যে মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রায় অর্ধেকটা আসে এই অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে। শুধুমাত্র বিমুদ্রাকরণের মধ্যে দিয়ে এই অসংগঠিত ক্ষেত্রটিকে করের আওতায় আনা যাবে না। সরকারকে সংগঠিত ক্ষেত্রের মত অসংগঠিত ক্ষেত্রেও আরও দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে হবে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বিমুদ্রাকরণের মধ্যে দিয়ে বন্ধ করা যায় না। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের কারণ অনুসন্ধান করে গোড়া থেকে তার মূলোচ্ছেদ করতে হয়। বিমুদ্রাকরণের ফলে সন্ত্রাসবাদীরা সাময়িক একটু সমস্যায় পরতে পারে হয়ত। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সারা পৃথিবী জুড়ে চলছে, কিন্তু তা প্রতিহত করতে বাজার চলতি কারেন্সি নোট বাতিল করার মতো ঘটনা আর কোথাও ঘটেনি।
ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা এমনই বিপজ্জনক সীমানায় চলে যাচ্ছে। বিমুদ্রাকরণের ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নগদ জমা পড়ছে। বেসরকারি বিনিয়োগ নানা কারণে পড়তির দিকে। বাজারে বিনিয়োগের চাহিদা নেই। ব্যাঙ্কগুলিকে কিন্তু নগদ জমার উপর সুদ গুনতে হচ্ছে। ব্যাঙ্কের উপর চাপ বাড়ছে। এতে সুদের হার আগামী দিনে কমতে বাধ্য। ইতিমধ্যে সেই লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে সুদের উপর নির্ভরশীল বরিষ্ঠ নাগরিকরা আরও বিপদে পরবেন। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের মতে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি ক্রমশই দক্ষতা থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণ নিষ্ক্রিয় সম্পদ ও বড় রকমের অনাদায়ী কর্পোরেট ঋণ এর অন্যতম কারণ। ফলে সন্দেহ দানা বাঁধে যে ব্যাঙ্কগুলিকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্যই কি বিমুদ্রাকরণের এই পদক্ষেপ?
মোদীর ছবি দিয়ে Paytm বিজ্ঞাপন করছে। আবারও মনে হয়– এতে কার লাভ হল বল তো চশমা নাকে বাবু– Paytm এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার?
সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান বলেছেন যে বিমুদ্রাকরণ অর্থনৈতিক ভ্রষ্টাচার ও কালো টাকা রোধে একটি ভোঁতা অস্ত্র। তিনি ভারতকে সুদের হার কমিয়ে ও সরকারি খরচ বাড়িয়ে বৃদ্ধির পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন।
মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হ্রাসমান ঝোঁক যে বিমুদ্রাকরণের কারণেই, তা অবশ্য খুব জোর দিয়ে বলা যায় না। জি. ডি.পি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম ৫.৭% হয়েছে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম চতুর্থাংশে (এপ্রিল-জুন ২০১৭), যখন ভারত বিমুদ্রাকরণের ধাক্কা অনেকটা সামলে উঠেছে। বিমুদ্রাকরণের পদক্ষেপ এমন একটা সময় নেওয়া হয়েছিল যখন ভারত অর্থনৈতিকভাবে নিন্মগামিতার সম্মুখীন হচ্ছিল। এই পদক্ষেপ সেই নিন্মগামিতাকে আরও তরান্বিত করেছে মাত্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফল ও তৎপরবর্তী মার্কিন অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত, ভারতে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক রেষারেষি হয়ত বিদেশি বিনিয়োগের ওপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছে এবং তার ফলেই অর্থনৈতিক নিন্মগামিতা।
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের মতে ভারতে বিমুদ্রাকরণের চাপ ক্রমশ কেটে যাচ্ছে। মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। অর্থনৈতিক সংস্কারের সুফলগুলি ক্রমশ পরিস্ফুট হচ্ছে। তবুও পরিশেষে একথা বলতেই হয় যে বিমুদ্রাকরণের ফলে সামান্য কিছু ভাল ফলের জন্য যে পরিমাণ ক্ষতি ও ত্যাগ স্বীকার করতে হল তা Cost-benefit এর হিসেবে দাঁড় করানো শক্ত।