পাঁচটি কবিতা
খাঁচা
বড় ঘর থেকে ছোট ঘর
ছোট ঘর থেকে বড় ঘর
পর্দা সরালে অন্য অন্য ফ্ল্যাট
লম্বা করে মেলে দেওয়া শাড়ি
পাশের বারান্দায় স্লিভলেস রাতপোশাক
একটি শিশু জানালার রড ধরে দাঁড়িয়ে
ম্লান চোখ
কখনও হাততালি “কত বড় উড়োজাহাজ!”
গাড়ির হর্ন
শাটার ওঠে
শাটার নামে
নিভে যায় রোদ্দুর
নিভে যায় নীল
ছোট ঘর থেকে বড় ঘর
বড় ঘর থেকে ছোট ঘর
মধুচন্দ্রিমা
নীল রঙের টপ আর শর্টস। খোলা চুল
হাত মেহেন্দির দাগ। শাঁখা-পলা।
বনানী এইভাবেই দাঁড়িয়ে হোটেলের লনে
সেই ছবি জুম করে করে পাশের বাড়ির বৌদি
দেখেই যাচ্ছে
এরপরই গুগল সার্চে প্রথমবারের জন্য “মডার্ন ড্রেস” লিখল
দুই সন্তানের জননী সুতপা
বধূ
আটটা না বাজতেই তুমি ট্রেনে উঠে পড়ো
চার-চারটে বড় বড় ব্যাগে সালোয়ার, শাড়ি
তুমি দেখাও ট্রেনের উজ্জ্বল দিদিদের
অথচ তোমার টান করে বাঁধা চুল
তোমার সালোয়ার রংচটা
তোমার একমুখ হাসি
একা একাই নামাচ্ছ তুলছ ব্যাগ
তুমি কখনও তোমার মেয়েদের পড়াও?
মেজাজ দেখাও?
কাউকে মেজাজ দেখাও?
রূপান্তর
এলানো চুল কালো, গভীর
মুখ দেখা যায় না
বিষাদের অবগুণ্ঠন
এভাবেই ছিল সে দীর্ঘ বছর
হঠাৎ তার শরীর থেকে ঝুলছে
অজস্র স্তনবৃন্ত
পথ
হাহাকার ছাড়া আর কিছুই নেই
আলোর উদ্ভাস ছাড়া আর কিছুই নেই
রমণীটি এগোচ্ছে
একাকী
উদাস
ঈশ্বরের কাছে না শয়তানের কাছে?