গুচ্ছ কবিতা
ফোয়ারা
বিশাল আকাশ আঘাত করছে তীব্র এক কুঠারের উপর
আর একের পর এক ঠান্ডা বিমান ছড়িয়ে পড়ছে বাগানে
কালো লজেন্স
শহরের উপদ্রুত অক্ষরমালা, ‘গ্রাম পতনের শব্দ’—
পেয়ারাবনের ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া টেলিফোন তার
নীলকণ্ঠ ফুল
অবিবাহিত মহিলা বৃদ্ধাবাসের বারান্দায় পড়ে থাকা রোদ
এইসব গোঙানি…
বিশাল এক কৃষ্ণগহ্বরের দিকে ছুটে যাচ্ছে
প্রায় সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একটা সৌরজগতের
শেষ কয়েকটি গ্রহাণু…
চুম্বন
প্রজাপতির স্বচ্ছ ডানায় রঙিন বাষ্পের মেঘ—
ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাচ্ছে তার রং ও পুষ্প।
মেঘ, বৃষ্টির প্রতি
যেদিন তুমি দুঃখ দাও না কোনও, সেদিনও কেন এত কষ্ট পাই?
সূর্যোদয়
ওইদিকে অসীমের চায়ের দোকান
হারমোনিয়াম
হয়তো বৃষ্টি হয়েছিল কিছু আগে, বেলিফুলও—
ভারী হাওয়ায়—
“মেঘ সরায়ে, ফুল ঝরায়ে, ঝিরিঝিরি এলে বহিয়া…”
প্রেমিকা
পদ্মপুকুর, অশ্বচূর্ণ,
জ্বর ঘনায়
তুমি মরণশীল অবিদ্যা
শৈশব
এক হাঁটু জল
জলে বাবার ছবি— শুধু একটি মাত্র তারা
কেঁপে কেঁপে দূরে সরে যায়
জ্যোৎস্না
এতই সহজলভ্য ওই শরীর—
চাঁদের মনের কথা
মনেই পড়ে না কারও
চশমা অথবা সেইসব দিনরাত্রি
তোমাকে দেখি না
তোমার ভিতর দিয়ে দেখি
দেশ
আঁধার ঘনায়
আর আমি বহুদূর থেকে টের পাই
আঁধার ঘনায়