চারটি কবিতা
কবিকে ভালোবেসেছিলাম
আমি কৈশোর স্বপ্নে কবিকে ভালোবেসেছিলাম।
কাঠবেড়ালির মত কবি,
অন্য খাদকের হাত এড়াতে অপাংক্তেয় এই মাটিতে
বীজ লুকিয়েছিল।
ভুলোমনা—
আজ ঈর্ষায় লালিত কবিতা জেগে ওঠে তার থেকে।
কবিতাকে পেলাম
প্রিয় সেই কবিকে নকল করি কবিতায়,
সে ফুটে ওঠে না।
কত তেল, কত বারুদ জমিয়ে লিখতে বসি
বিদ্যুতের বাতিটা নিভিয়ে দেব এবার
আমি প্রথমে প্রদীপ হই, তারপর দেশলাই,
তারপর লাইটার….
কবি বারবার আগুন সাজে, তার ছায়া আর পড়ে না
আমি আমার অন্ধকার দিয়ে কবিতাকে পেলাম।
প্রেম — স্বার্থপর
স্বাধীন করে রাখতে প্রেম এখনও শেখেনি।
প্রেম বলতে সরলরেখা,
যেকোনও জাতি গর্ব করে হয়,
রূহ রুস্তম।
প্রেমের জোরে অতি যত্নশীল মালী,
উপড়ে ফেলে উঠোনের ফাটলে জন্মানো যেকোনো গাছ।
কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য
ক. সম-প্রতিসারাঙ্ক
আত্মঘাতীদের মনোভাব আগে থেকে বোঝা যায় না।
এত স্বচ্ছ, এত ভঙ্গুর হয় তারা—
তাদের কাঁচের শরীরে জল বয়ে যায়।
আমরা দেখতে পাই না।
খ. তীব্রতা ও স্পষ্টতা ব্যস্তানুপাতিক
প্রথম প্রেম টেঁকে না।
তবু মনে পড়ে যেকোনও দুঃখে,
কত গান বেঁধে নেওয়া যায় তাতে।
প্রেমিকের মুখও হয়তো মনে পড়ে না, রয়ে যায় শুধু আদিম সেই রিপু, স্পষ্টতম।
গ. অভিযোজন
বাবারা কখনও শোকে কাঁদে না।
এত ঘাম ঝরিয়েছে সেই দেহ,
এতবার মৃত্যু যন্ত্রণায় শিথিল।
বাষ্পমোচন রোধ করতে, কিশলয়, কাঁটা হয়ে যায়।