পাঁচটি কবিতা
সাবান
আহা, যদি ঘোড়া আমাদের জাতীয় পশু হত!
গণহত্যার মাঠ ছেড়ে চুপচাপ ঘরে ফিরতেন
গুপ্তঘাতক
দেশ জুড়ে লঙ্গরখানা।
পুতুল ও পালকি সেভাবে তো আর জনসমক্ষে
আসে না।
পানশালায় কফি খাই।
নিভে যাওয়া সিগারেট থেকে সুগন্ধি সাবানের
গন্ধ
পালতোলা নৌকোয় উড়ে আসছে কবুতর।
স্মৃতি ও স্নানাগার
আবার সেই মোরগডাকের ফাঁদ।
রুলটানা কাগজের স্মৃতি ছুঁয়ে কেমন
নিবিড় ঝোপজঙ্গল!
–ভুরু কুঁচকে তাকাবেন না।
–সরাসরি চোখে চোখ রাখুন।
ভিখিরিদের গ্রামে এখন ব্যান্ড বাজে
সবাই উনুন নিভিয়ে ফেললে
দীর্ঘ পাহাড়ের ছায়ায় স্নানাগার রেখে
আসি
হাডুডু খেলার মাঠ
শহরে ঘোড়ার গাড়ি ঢুকছে।
ভেঙে পড়ছে বিদ্যুতের খুঁটি।
তোমাকে অনাবশ্যক ভাবছি ইদানিং।
জরুরি খবর পৌঁছে দিতে দিতে লম্বা একটা
সময় কেটে গেল
বিকেলের রোদ পেরিয়ে
খুব বিষণ্ণতা নিয়ে
বেঁচে থাকার গল্প বলতে বলতে
তুমি বদলে ফেলছ হাডুডু খেলার
মাঠ
ক্যারাভান
শোক নেই। সমবেদনা নেই। নূতন ফড়িঙের মত মনে হয় জলাভূমির
বাতাস।
আমার একটা রক্তচাপের অসুখ ছিল
অসুখ গোপন করে আমি শুধু হেসেছি
আচ্ছা, ফুলের কি সত্যি কোনও গন্ধ হয়!
রাতের আকাশের নিচে হেরে যাওয়া মানুষেরা
হাসছেন
জঙ্গল পেরিয়ে জঙ্গলপথ।
নীল বাইসন জানে কোথায় লুকিয়ে থাকে
হরিণেরা
একা একা জেগে থাকে রংচটা তাঁবু।
টুপি উড়ে যায়।
চশমা, ঘড়ি আর বল্লম নিয়ে মহামিছিলের
অংশ হতে থাকি
কিছুতেই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় সেই প্রাচীন
সিন্দুক
অথচ মেঘ ঢুকে পড়ে রান্নাঘরে।
জল পড়ে ভিজে যায় লবণের কৌটো।
খুব ঝাল লঙ্কায় কামড় দিলে ময়নামতীর চোখ
জুড়ে কান্না নামে
আমরা মহড়া শুরু করি।
আমরা বাদ্যযন্ত্রের ভিড়ে ঢুকিয়ে দেই ছয় ছিদ্রের
বাঁশি।
সাঁকো আমাদের প্রিয় শব্দ।
সাইকেল থেকে নেমে আসবার পর পরই দেখি
সামনে জলাভূমির মহিষ
নিচু হই কিন্তু নত হই না।
ক্যারামের গুটি ছিটকে এলে আত্মগোপন করি
বাদুড়ের ডানার
ছায়ায়
সেমিনার
আমাকে মারতে পারেনি শীতকাল।
আমাকে মারতে পারেনি লতাবাড়ির
জঙ্গল
কাঠিতে বারুদ নেই।
আমাদের কোনও করাতকল নেই।
কচুপাতার জলের পাশে দাড়িয়ে থাকা
বন্ধুরা
জানো করাতকল থেকে অনেক দূরে মৃতদের
শহর
আর এইসব জুড়ে জুড়ে আমাদের
স্বপ্ন ও সেমিনার