Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

লখিমপুর-খেরি: এই সমস্ত হত্যা এবং নিপীড়িতের ওপরে ক্ষমতাশালীর অত্যাচার স্বাভাবিক হয়ে উঠছে

প্রবুদ্ধ ঘোষ

 



সাহিত্য গবেষক, দাবা প্রশিক্ষক

 

 

 

 

ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাবানের হাতে ক্ষমতাহীনের খুন হওয়া। ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে গণহত্যার পরিসর। উচ্চবর্গের দ্বারা নিম্নবর্গের ক্ষতিসাধন ন্যায্যতা পেয়ে যাচ্ছে শাসনব্যবস্থার কাছে। মন্ত্রী, পুলিশ, প্রশাসনিক কর্তার অন্যায়কে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা করে তুলে জবরদস্তি চারিয়ে দেওয়া হচ্ছে সমাজে। এইগুলোই আতঙ্কের। গণতন্ত্রের জন্যে বিপদের।

৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের তিকুনিয়াতে প্রতিবাদী কৃষকরা জড়ো হয়েছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে। কেশব মৌর্যর হেলিকপ্টারে আসার কথা ছিল সমাবেশে, কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে তিনি যাত্রাপথ বদলান। কৃষকেরা এই খবর পেয়ে যখন জমায়েতস্থল থেকে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই বিজেপি সাংসদ ও মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্রের স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকল ধাক্কা মারল পিষে দিল তিনজনকে। লাভপ্রীত সিং (১৯), দলজিৎ সিং (৩৫), নক্ষত্র সিং (৬৫)। আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী কৃষকরা, তার বন্দুকের গুলিতেই মারা যান গুরবিন্দর সিং (২০)। আর, এই ঘটনা ঘটেছে ওখানে উপস্থিত পুলিশের চোখের সামনে। এরপরেই উত্তেজিত জনতা আশিস মিশ্রের গাড়ি ও তার সঙ্গী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হরি ওম মিশ্র নামে এক গাড়িচালক মারা যান। হিংসাত্মক আবহে মারা যান স্থানীয় সাংবাদিক রমন কাশ্যপ। সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ৮। পরের দিন কৃষক সংগঠনগুলির চাপে পুলিশের তরফে একআইআর দায়ের হয় আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন পরে আশিস মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কৃষক সংগঠনগুলি নিহত কৃষকদের শহীদ ঘোষণা করে, উত্তরপ্রদেশ সরকার নিহতদের জন্যে কয়েক লাখ টাকার ‘ক্ষতিপূরণ’ ঘোষণা করে। এই অবধি ঘটনা সংবাদপত্রে প্রকাশিত, সকলেরই জানা।

 

#

চুতিয়া হ্যায় ইয়ে ইম্পর্ট্যান্ট নেহি হ্যায়, হামারা লড়কা হ্যায় ইয়ে ইম্পর্ট্যান্ট হ্যায়

কিন্তু, ভেবে দেখা প্রয়োজন যে, পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার বা গুলি চালানোর দুঃসাহস কোনও ব্যক্তির হয় কী করে? সেই ‘ব্যক্তি’ যদি ‘মন্ত্রীর ছেলে’ হয়, তাহলে কি দুঃসাহসের স্বাভাবিক অনুমতি পেয়ে যায় সে? নাকি, ‘কয়েকটা চাষাভুষো গরিব বিক্ষোভ করছে, ওদের জীবনের কী দাম!’ মনে করে তাদের পিষে দেওয়া ক্ষমতাবান শাসকশ্রেণির অভ্যেস হয়ে উঠছে? কয়েকদিন আগেই ব্রহ্মপুত্র তীরের চরবাসী বাঙালি মুসলমানদের উচ্ছেদ করে ‘নতুন অসম’ বানানোর পরিকল্পনায় সশস্ত্র পুলিশ-প্রশাসন অভিযান চালিয়েছিল। ভিডিওতে দেখা গেছিল জমি-বাড়ি বাঁচাতে মরিয়া এক ব্যক্তি ছুটে আসছে আর তাকে চাঁদমারি বানিয়ে গুলি ছুড়ল অসম পুলিশ। আরও দেখা গেল, মাটিতে পড়ে যাওয়া গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির শরীরের ওপরে উদ্দাম নাচছে এক সাংবাদিক এবং তাকে চড়-ঘুষি মারছে। পুলিশের সামনেই। ভিডিও ভাইরাল হতেই ঘটনার বেশ কয়েকঘণ্টা পরে ওই চিত্রগ্রাহককে গ্রেপ্তার করতে ‘বাধ্য’ হয়েছিল পুলিশ। পরে জানা যায় যে, মইনুল হক নামক নিহত ব্যক্তিত দেহের ওপর নারকীয় উল্লাস করছিল যে চিত্রগ্রাহক, তাকে প্রশাসনিক কাজে সঙ্গে এনেছিল পুলিশই। আর, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কিংবা আহত মইনুলকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একই ঘটনায় বুলেটবিদ্ধ হয়ে মারা যায় ১২ বছরের ফরিদ শেখ। জাতিগত ও ধর্মগত সংখ্যালঘুকে হত্যা কিংবা তার অধিকারকে সঙ্কুচিত করা সম্পন্ন হচ্ছে রাষ্ট্রীয় নির্দেশে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই হত্যার জন্যে উল্টে দায়ি করেছিলেন প্রতিবাদী চরবাসীদেরই; তাঁরাই নাকি উচ্ছেদের নির্দেশ অমান্য করে অশান্তি বাধিয়ে তুলেছিলেন এবং সশস্ত্র পুলিশের দিকে প্রতিরোধে তেড়ে এসেছিলেন বলেই পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়েছিল। লখিমপুর-খেরির ঘটনাতেও যথারীতি শাসক দায়ী করেছে কৃষকদেরই। কৃষকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ওপরে নির্মমভাবে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হল, অথচ হিংসার দায় নাকি ওই প্রতিবাদী কৃষকদেরই। তাঁরাই নাকি সরকার-বিরোধী কর্মকাণ্ডে পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করেছিলেন এবং গাড়ি আটকে হিংসা ছড়াচ্ছিলেন। অথচ, শুধু আশিস মিশ্রের হিংসাত্মক মনোভাবই নয়, অন্যান্য বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরাও নিয়মিত হিংসাত্মক অভিরুচি প্রকাশ করে যাচ্ছেন কৃষকদের বিরুদ্ধে। প্রায় দশ মাস ধরে নিজেদের অধিকারের দাবিতে অনড় থেকে লড়ে যাচ্ছেন যে কৃষকেরা, তাঁদের বিরুদ্ধে শাসক-মতাদর্শের অনুসারীরা একের পর এক বলপ্রয়োগের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। গত মাসেই অজয় মিশ্রের কনভয়ে কালো পতাকা দেখান সমবেত প্রতিবাদী কৃষকেরা; তাতে ‘বিরক্ত’ অজয় মিশ্রের প্রতিক্রিয়া ছিল, “if I had alighted from my vehicle, they (farmers) would not have been able to even fly… People here are familiar with my history”[i] অজয় মিশ্র নিজের যে ‘ইতিহাস’ মনে করাতে চেয়েছেন, সেই ইতিহাস বাহুবলীর এবং সেই ইতিহাস জনবিরোধী কার্যকলাপের। এর আগে খুনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েও প্রমাণাভাবে ছাড়া পেয়ে যান অজয়। অজয় সেদিন যে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, তাকেই বাস্তবায়িত করল আশিস। রাস্তার দু ধারে বিক্ষোভরত কৃষকদের খুন করার সহর্ষ অভিব্যক্তিতে।

প্রায় দশ মাস ধরে কৃষকদের অটল অবস্থান চলছে সিংঘু সীমান্তে। মোদি-সরকার প্রণীত নয়া কৃষিআইনের ফাঁস থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে দেশজুড়ে অ-বিজেপি কৃষক সংগঠনগুলি আন্দোলন করছে। আন্দোলনরত অবস্থায় শহীদ হয়েছেন বহু কৃষক, তাঁদের হুমকি দিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধিরা ও বাহুবলীরা। তাঁদের প্রতিরোধের বিরুদ্ধে অভিয় ও ক্রীড়াজগতের তাবড় ‘আইকন’রা বিবৃতি দিয়েছেন বা ট্যুইটে হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন। তবু লক্ষ্যে অবিচল তাঁরা। আশিস মিশ্রের বাবা অজয় মিশ্র কিছুদিন আগেই এক সমাবেশে কৃষকদের হুমকি দিয়েছিলেন, “অগর ম্যায় আপনে পর উতর্‌ আয়া তো ইনহেঁ গাঁও হি ন্যহি, জিলা ভি ছোড়না পর জায়েগা।”[ii] জুলাইয়ের ২৯ তারিখ উত্তরপ্রদেশ বিজেপি ইউনিটের ট্যুইটার পেজ থেকে একটি কার্টুন প্রকাশ করা হয়— এতে দেখা যাচ্ছে এক পেশিবহুল লোক এক প্রতিবাদী কৃষককে হুমকি দিচ্ছে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ানোর কারণ, যোগী বসে আছে কৃষকদের চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার জন্যে। আর, সেই কৃষকও কল্পনা করে দৃশ্যটি যে, তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এক বাহুবলী।[iii] সেপ্টেম্বরে পাঞ্জাবের নবনিযুক্ত বিজেপি মুখপাত্র হরিন্দর সিং খালোঁ একটি সভায় বলেন, “মোদি কৃষকদের বড্ড ভালবাসে। আমি মোদির জায়গায় থাকলে ওদের পিটিয়ে চুপ করাতাম এবং জেলে ভরতাম। প্রতিবাদীদের পেটানোই একমাত্র রাস্তা।”[iv] বিগত এগারো মাসে বহুবার বিজেপি-কর্মী এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভরত কৃষকদের তাঁবুতে পরিকল্পিত হামলা করার। দলবদ্ধ প্রতিবাদীদের কাউকে একলা পেয়ে মারধরের অভিযোগও বহুবার উঠেছে বিজেপির বাহুবলীদের বিরুদ্ধে।[v] হিন্দুত্ববাদী কৌশলে শিখদের বিশ্বাসকে অমর্যাদা করে উস্কানোর চেষ্টা বা প্রকাশ্যে কোনও শিখ যুবককে ‘সবক্‌’ শিখিয়ে হিন্দুধর্মের জবরদস্তি পাঠ দেওয়ার চেষ্টা প্রকাশ্যে-গোপনে অনেকবার হয়েছে। হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশের বহু জমায়েতস্থলে জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেকবার, ইন্টারনেট পরিষেবা রদ করা হয়েছে এবং প্রচার করা হয়েছে যে প্রতিবাদীরা ‘খলিস্তানী জঙ্গি’ ও দেশদ্রোহী। বলিউডের ‘আইকন’রাও এমত বিজেপিপ্রিয় প্রচারে পিছিয়ে থাকেননি। কিন্তু কিছুতেই দমন করা যায়নি কৃষক আন্দোলনকে। লখিমপুর-খেরিতে কৃষকহত্যার প্রতিবাদে ট্যুইট করেছিলেন পিলভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধি, কিন্তু ট্যুইটের অব্যবহিত পরেই তাঁকে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিক্যুটিভ কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।[vi] সুলতানপুরের সাংসদ তথা বরুণের মা মানেকা গান্ধিকেও সরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির ওই শীর্ষ কমিটি থেকে। কমিটিতে নতুন সদস্যদের মধ্যে আছেন হরিমপুরের সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর, যিনি প্রকাশ্য সভায় মিছিলে বিজেপি-বিরোধীদের ‘গোলি মারো সাঁলো কো’ বলে হিন্দুত্ববাদীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন। অর্থাৎ শাসকবিরোধী যে কোনও বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে খুন করার যে ফ্যাসিস্ট কায়দা, তাকে বাহবা জানানো হচ্ছে শাসকদলের নীতি-কৌশল অনুযায়ী। ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে উপরোক্ত ঘটনাগুলি দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু তা অনুশীলিত বাস্তব। সংখ্যালঘুকে বিযুক্ত করা বা পিষে মারা, প্রতিবাদীর টুঁটি টিপে চুপ করিয়ে দেওয়া এবং শাসকমতের বিরোধী কমিউনিস্টকে ইউএপিএ দিয়ে বিনাবিচারে আটক ক’রে রাখা বর্তমান ভারতের রাজনীতিতে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এটাই দুশ্চিন্তার।

#

তুমহারি এক গ্যলতি সে কিতনা তামাসা হোগা, ইসকা আন্দাজা নাহি হ্যায় তুম্‌হে

আশিস মিশ্র প্রথমে দাবি করেছিল যে, সে কৃষকহত্যার সময়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি কুস্তির আখড়ায় ছিলেন। কিন্তু, পুলিশ তার বক্তব্যে অসঙ্গতি খুঁজে পায়। মোবাইল টাওয়ার লোকেশনও বলছে যে, ঘটনাস্থলেই সে ছিল।[vii] ওই এসইউভিটি যে তারই, সেকথা প্রমাণিত কিন্তু আশিসের দাবি সে ওই গাড়িতে ছিল না বা চালাচ্ছিল না। ২০২২ সালের মাঝামাঝি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। বিগত এগারো মাসের কৃষক আন্দোলন এবং যোগী সরকারের জনবিরোধী শাসনে বিজেপির রাজনৈতিক স্থিতি প্রশ্নের মুখে। এর আগে দলিত হত্যা, ধর্ষণ, জাতিগত বৈষম্য ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতনের ঘটনায় বিজেপি সরকারের মুখে কালি লেগেছে। কিন্তু, ফ্যাসিস্ট কায়দাতেই সেই কালি মুছে নিয়ে ফের হিন্দুত্ববাদের রথ নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্ব। আশিস মিশ্রকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রেও গড়িমসি ছিল, প্রায় পাঁচদিন পরে কৃষকদের এফআইআরের ভিত্তিতে ‘বাধ্যত’ আশিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে, যথারীতি আশিসকে নির্দোষ বলেছেন অজয়। কিন্তু, তাতে সুরাহা হয়নি কারণ, সুপ্রিম কোর্টের চাপ। যেহেতু সামনেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই আশিসের গ্রেপ্তারিতে দেরি হলে মুখ আরও বেশি পোড়ার সম্ভাবনা ছিল। এই গ্রেপ্তারিতে বিজেপির জনবিরোধী ফ্যাসিস্ট নীতি বদলাবে না, কিন্তু কিছুটা ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করার সম্ভাবনা থাকবে। উত্তরপ্রদেশ সরকার যে ‘ন্যায়বিচার’ দিতে পারে, অবশেষে তা প্রচার করার সুযোগ পাবে বিজেপি সমর্থকেরা। অজয়ের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীরা সরব হতেই অজয় ভারতের ‘যোগ্য’ মন্ত্রীর মতোই নিয়মমাফিক বলেছেন, “বিপক্‌ষ তো কুছ ভি মাংতা হ্যায়। This is a BJP government that works in an unbiased manner.”[viii] নিশ্চিতভাবেই মামলা চলবে। আশিস মিশ্র তো আর কমিউনিস্ট নয় যে, তাকে ইউএপিএ দিয়ে জেলে আটকে রাখা হবে! আশিস মিশ্র তো জনগণের পক্ষে থাকা কমিউনিস্ট বিপ্লবী নয় যে তার থেকে বয়ান আদায়ের জন্যে হেফাজতে যা-ইচ্ছা-তাই করবে পুলিশ। আশিস মিশ্র তো নিপীড়িতের হয়ে লড়াই করা কমিউনিস্ট নয় যে, তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে আইন-আদালত শশব্যস্ত হয়ে উঠবে! আগামী ভোটের দিকে তাকিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার কিছুটা তৎপরতা দেখাবে, বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে নতুন চিত্রনাট্য সাজাবে। কিন্তু, আতঙ্কের এটাই যে, এই সমস্ত হত্যা এব্বং নিপীড়িতের ওপরে ক্ষমতাশালীর অত্যাচার স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

 


[i] Deccan Herald, October 4, 2021
[ii] তদেব।
[iii] BJP Uttar Pradesh Twitter Handle @BJP4UP, July 29, 2021, 9.24 AM
[iv] India Today, September 15, 2021
[v] The Hindu, January 30, 2021
[vi] The Tribune, October 8, 2021
[vii] NDTV, October 11, 2021
[viii] Hindustan Times, October 8, 2021.