কণিষ্ক চৌধুরী
শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক
পূর্ব প্রকাশিতের পর
দ্বিতীয় পর্ব: বস্তুবাদ চর্চা— ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দী
সংস্কৃত কলেজের দুই অধ্যাপক জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চানন ও তারানাথ তর্কবাচস্পতির সাহায্যে বিদ্যাসাগর ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’-র সম্পাদনার কাজ শেষ করেন ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে। গ্রন্থটি প্রকাশের পর ইউরোপে চার্বাক দর্শন সম্পর্কে আগ্রহের আবির্ভাব ঘটে, আর তার প্রকাশ ঘটে ‘সর্বদর্শনসংগ্রহ’-র চার্বাক (প্রথম অধ্যায়) অংশটির নানা ভাষায় অনুবাদের মধ্যে দিয়ে।
- ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান প্রাচ্য সমিতির পত্রিকায় সর্বদর্শনসংগ্রহ-র ‘চার্বাক দর্শন’ অধ্যায়টির জার্মান ভাষায় অনুবাদ প্রকাশিত হয়।
- ১৮৬১-তে জে মিউঅর প্রথম অধ্যায়টির আংশিক তর্জমা করেন।
- ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে ই বি কাওয়েল এই প্রথম অধ্যায়টি এবং ‘নৈষধীয়চরিতম্’ (সর্গ ১৭)-এর প্রাসঙ্গিক অংশের ইংরাজি অনুবাদ করে দেন।
- ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে সিলভাঁ লেভি সর্বদর্শনসংগ্রহ-র চার্বাক ও পঞ্চরাত্র দর্শন বিষয়ক দুটি অধ্যায়ের ফরাসি তর্জমা করেন।
- ১৮৯২-এ কাওয়েল ও এ ই গাফ যৌথভাবে সর্বদর্শনসংগ্রহ-এর সম্পূর্ণ ইংরাজি অনুবাদ প্রকাশ করেন। দু বছরের মধ্যেই দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। আবার বইটির চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই চতুর্থ সংস্করণ (১৯০৪)-এর একটি সস্তা পুনর্মুদ্রণ প্রকাশ করতে হয়।
- মূলত বিদ্যাসাগর সম্পাদিত সর্বদর্শনসংগ্রহের ভিত্তিতেই ফিওদর চেরবাটস্কি ১৯২৭-এ এই বিষয় নিয়ে রুশ ভাষায় প্রথম আলোচনা করেন।
২.
এ তো গেল ইউরোপীয় ভাষায় বস্তুবাদ চার্চার ওপরে রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সমীক্ষা (২০১০)। একই সঙ্গে তিনি অশোক উপাধ্যায়ের সহযোগিতায় বাংলা ভাষায় চার্বাক-চর্চার একটি তালিকাও প্রস্তুত করেছেন:
লেখক | প্রবন্ধ | পত্রিকা | বঙ্গাব্দ |
অজ্ঞাত | চার্বাকের নিরীশ্বরবাদ | সঙ্গিনী | ১২৯৭ |
কেশবচন্দ্র গুপ্ত | চার্ব্বাক দর্শন | অর্চ্চনা | ১৩১৬ |
পান্নালাল বসু | মহাপুরুষ চার্ব্বাক (প্রতিবাদ) | অর্চ্চনা | ১৩১৬ |
ফণীন্দ্রনাথ রায় | চার্ব্বাকে ব্রাহ্মণ | অর্চ্চনা | ১৩১৭ |
ভূপেন্দ্রনাথ দে | চার্ব্বাক বা লোকায়ত দর্শন | বঙ্গদর্শন | ১৩১৮ |
রমেশচন্দ্র সিদ্ধান্ত-শাস্ত্রী | চার্ব্বাকের দেহাত্মবাদ খণ্ডন | বীরভূমি (নবপর্যায়) | ১৩২০ |
হরিপদ কাব্য-স্মৃতি মীমাংসাতীর্থ | চার্ব্বাক দর্শন | নারায়ণ | ১৩২১ |
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যারত্ন | সর্ব্বদর্শন সংগ্রহ: চার্ব্বাক দর্শন | ভারত-ভারতী ভারতবর্ষ | ১৩২১ |
পীতাম্বর তর্কালঙ্কার | বার্হস্পত্য দর্শন বা নাস্তিবাদ | মানসী | ১৩২২ |
চুণীলাল বন্দ্যোপাধ্যায় | লোকায়ত দর্শন | সাহিত্য সংবাদ | ১৩২৩ |
যাদবেশ্বর তর্করত্ন মহামহোপাধ্যায় | চার্ব্বাক দর্শন ও তাহার সমালোচনা | ভারতবর্ষ | ১৩২৩ |
অর্দ্ধেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় | বার্হস্পত্য সূত্রম | ভারতী | ১৩২৫ |
অধ্যাপক নলিনীকান্ত সেনগুপ্ত | চার্ব্বাক দর্শন | উদ্বোধন | ১৩২৬ |
জ্যোতিশ্চন্দ্র চৌধুরী | চার্ব্বাক দর্শন | নব্যভারত | ১৩২৮ |
প্রিয়গোবিন্দ দত্ত | চার্ব্বাক দর্শন | পরিচারিকা | ১৩২৯ |
হারাণচন্দ্র শাস্ত্রী | বার্হস্পত্য দর্শন | অলকা (বারাণসী) | ১৩২৯ |
অজ্ঞাত | আর্য্যদর্শন-সংগ্রহ: চার্ব্বাক দর্শন | কালের হাওয়া | ১৩৩৩ |
সতীন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায় | চার্ব্বাক দর্শনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস | প্রবাসী | ১৩৩৫ |
কালীপদ চৌধুরী বেদান্তরত্ন | চার্ব্বাক দর্শন | মাধবী | ১৩৪০ |
অজ্ঞাত | [চার্ব্বাক দর্শনের ধারাবাহিক অনুবাদ] | শ্রীশ্রী নিতাইসুন্দর (মাসিক) | ১৩৪৩ |
সুধীরমোহন সাংখ্যতীর্থ | চার্বাক দর্শনম্ | — | ১৩৪২-৪৩ |
অপূর্বকৃষ্ণ বসু | চার্বাকবাদ | বঙ্গশ্রী | ১৩৪৩ |
বটকৃষ্ণ ঘোষ | লোকায়ত | শ্রীভারতী | ১৩৪৮ |
সরোজ আচার্য | চার্ব্বাক দর্শন | পূর্ব্বাশা | ১৩৫০ |
ক্ষিতিমোহন সেন | লোকায়তমত | পূর্ব্বাশা | ১৩৫০ |
দক্ষিণারঞ্জন শাস্ত্রী | বার্হস্পত্য দর্শন: চার্ব্বাক পঞ্চাশিকা | ভারতবর্ষ | ১৩৫১ |
দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় | চার্বাক দর্শন | পরিচয় | ১৩৫৪ |
৩.
বিদ্যাসাগর ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক সম্পাদিত সর্বদর্শনসংগ্রহ প্রকাশিত হওয়ার (১৮৫৮) কিছুদিনের মধ্যেই বাংলার পণ্ডিতমহলে বিষয়টি নিয়ে গভীর আগ্রহ তৈরি হয়। বিদ্যাসাগর কেবল সম্পাদনা করেই থামলেন না, তাঁরই শিক্ষক জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননকে দিয়ে বাংলায় অনুবাদের কাজটিও করিয়ে নেন। অধ্যাপক জয়নারায়ণ তর্কপঞ্চাননের এই অনুবাদটি প্রকাশিত হয় ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে। এর ফলে বাংলার পণ্ডিতবর্গের মধ্যে চার্বাক বা ভারতীয় বস্তুবাদ সংক্রান্ত আগ্রহ আরও বেশ কয়েক মাত্রা বৃদ্ধি পায়। চার্বাক দর্শন সম্পর্কে যাঁরা আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তাঁদের অধিকাংশই বা প্রায় সকলেই ছিলেন চার্বাক-বিরোধী বা ভাববাদী। তাঁদের রচনায় চার্বাকের প্রতি সহানুভূতি না থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক। বরং সুযোগ বুঝে তাঁরা নানা কটু মন্তব্যও করতে ছাড়েননি। তাঁরা জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে চার্বাকচর্চা করেছিলেন, বা নিছক কৌতূহল নিবৃত্তি ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। কেউ কেউ ভারতীয় ভাববাদ/আধ্যাত্মিকতা কতটা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণের লক্ষ্যেও এই দর্শনকে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এই চর্চা শুরু হলেও, এটি একটি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। কারণ এই চর্চা পরবর্তীকালে বিস্তৃত চর্চার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল।
১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে বেদজ্ঞ পণ্ডিত সত্যব্রত সামশ্রমী সর্বদর্শনসংগ্রহের চার্বাক দর্শন অধ্যায়ের বাংলা অনুবাদ করেন। সম্পূর্ণ বইটির মূলসমেত বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন মহেশচন্দ্র পাল (১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দ)। প্রকাশিত হয়েছিল নিরপেক্ষ ধর্ম্ম-সঞ্চারিণী সভা থেকে। চার্বাক সম্পর্কে এঁদের মনোভাবটি ছিল ভয়ানক রকমের নেতিবাচক। কারণ এখানে বলা হয়েছে যে, এসব দর্শন জনসমাজে প্রকাশিত না হওয়াই ভালো।
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় চার্বাক দর্শন সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা করেন। সর্বদর্শনসংগ্রহের ভিত্তিতেই এই আলোচনাটি করা হয়। পরবর্তীকালে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে এই প্রবন্ধটি রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়ের ‘নানা প্রবন্ধ’ বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। নিঃসন্দেহে এটি ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বৌদ্ধ শাস্ত্রবিদ বেণীমাধব বড়ুয়া (১৯২১) এই রচনাটির প্রভূত প্রশংসা করেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চার্বাক সম্পর্কে আলাদা করে কিছু না লিখলেও সাংখ্য দর্শন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে চার্বাকের কথা বলেছেন। ইউরোপীয় চিন্তাপ্রবাহের সঙ্গে প্রাচীন চার্বাক দর্শনের সাদৃশ্য লক্ষ করে তিনি মন্তব্য করেছেন যে, দু হাজার বছর পূর্বে চার্বাক দার্শনিকরা যে কথা বলে গেছেন, প্রায় সেই একই কথা শোনা যাচ্ছে ঊনবিংশ শতাব্দীর পাশ্চাত্য চিন্তাবিদ হিউম, মিল ও বেনের রচনায়। তিনি সাদৃশ্য খুঁজে পান মিল ও বেনের প্রত্যক্ষবাদের সঙ্গে চার্বাক প্রত্যক্ষবাদের।
পরবর্তীকালে বঙ্কিম পুরো একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যান।
বিংশ শতাব্দীতে চার্বাকচর্চা সমানতালে চলতে থাকে। যদিও এই শতাব্দীর বহু লেখকই আর কেবল নিরপেক্ষ জ্ঞানচর্চার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। পণ্ডিত বিধুশেখর ভট্টাচার্য্য শাস্ত্রী ১৯০৯ থেকে ধারাবাহিকভাবে “ভারতের নাস্তিক দর্শনের ইতিবৃত্ত” লিখতে শুরু করেন। সর্বদর্শনসংগ্রহ ছাড়াও চার্বাকের আরও বেশ কিছু উৎসের কথা এখানে উল্লেখ করেন। তিনি কেবলমাত্র নাস্তিকতাবাদের ইতিহাস রচনা করেই থামেননি, পাশাপাশি ভারতীয় বৌদ্ধিক চর্চায় যুক্তিবাদের সম্পূর্ণ ধারাটিকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের মতে পুস্তিকা হিসেবে লেখাটি আবার ছাপা দরকার।[1]
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হয় বস্তুবাদ সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ। শিরোনামটি হল— ‘চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন’। লেখক ভূপেন্দ্রনাথ দে। ভূপেন্দ্রনাথের কাছে ‘চার্বাক’ নিছক জ্ঞানচর্চার বিষয় ছিল না। ছিল আরও বেশি কিছু, কারণ তিনি চার্বাকের মধ্যে পেয়েছিলেন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকাশের প্রধানতম ভিত্তি যুক্তিবাদ ও প্রত্যক্ষবাদকে। আর তাই তাঁর সহানুভূতিও ছিল চার্বাক দর্শনের প্রতি। তিনি তাঁর প্রবন্ধের উপসংহারে লেখেন:
চার্ব্বাক এবং ওই মতাবলম্বী দর্শনকারগণের মতসমূহ মানবসমাজের অনেক উপকার সাধন করিয়াছে। তাঁহারা দেখাইয়াছেন যে ইহলোক দুঃখময় নহে, এবং সুখ পরিত্যজ্য (পরিত্যাজ্য) নহে। তাঁহারা শিখাইয়াছেন যে শাস্ত্র অপেক্ষা যুক্তিই প্রধান। তাঁহারা অনুমানের মূল পরীক্ষায় প্রবৃত্ত হইয়া, নৈয়ায়িকদিগকে উক্ত মূলের প্রকৃত বলাবল বুঝিতে ও তাহা দৃঢ় করিতে সমর্থ করিয়াছেন এবং প্রকৃত দর্শন, প্রমাণ ও যুক্তিবল দ্বারা বিজ্ঞানের তত্ত্ব নিরূপণের দিকে মানবমনকে নিয়োজিত করিয়াছেন।[2]
ভূপেন্দ্রনাথ দের মতোই দক্ষিণারঞ্জন ভট্টাচার্য শাস্ত্রী (১৮৬৪-১৯৬১) চার্বাক/লোকায়ত-র প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন ছিলেন। রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় এবং বিধুশেখর শাস্ত্রীর লেখা দুটি ছিল তাঁর কাছে প্রেরণা বিশেষ। চার্বাকচর্চায় আগ্রহী হয়ে তাঁর প্রথম এ-সংক্রান্ত বইটি হল ‘চার্বাকষষ্টি’ (১৯২৮)। সর্বদর্শনসংগ্রহ ছাড়াও এ-সংক্রান্ত আরও যত সূত্র আছে তিনি সেগুলিকে সংগ্রহ করতে সচেষ্ট হন। এইরকম ৬০টি শ্লোক ও ১০০টি সূত্র তিনি এই গ্রন্থে সঙ্কলিত করেন। বাংলা ও ইংরাজি ভাষায় চার্বাক/লোকায়ত সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ও পুস্তিকা লেখেন। বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধগুলি ‘চার্বাক দর্শন’ নামক গ্রন্থে সঙ্কলিত হয়েছে।
১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে হরিমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় সংস্কৃত ভাষায় ‘চার্বাকদর্শনম্’ নামে একটি গ্রন্থ লেখেন। গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেন সুধীরমোহন সাংখ্যতীর্থ। ভারতের বস্তুবাদী দর্শন চার্বাক/লোকায়ত-কে সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে গোপালচন্দ্র শাস্ত্রী ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে ‘চার্বাক দর্শন’ নামে একটি পুস্তিকা লেখেন।
১৯৪০-এর দশকে চার্বাক/লোকায়ত-র বস্তুবাদী দর্শনচর্চা একটি নতুন মাত্রা পায়। কারণ মার্কসবাদী চিন্তাবিদরাও ধীরে ধীরে বিষয়টির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন। সরোজ আচার্য ১৯৪৩-এ চার্বাক দর্শন সম্পর্কে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখেন। পরবর্তীকালে তাঁর গ্রন্থ ‘মার্ক্সীয় দর্শন’-এ এই প্রবন্ধটি অন্তর্ভুক্ত হয়। সরোজ আচার্যের প্রবন্ধটি পাঠ করে ক্ষিতিমোহন বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এবং লোকায়ত দর্শন সম্পর্কে লিখতে উৎসাহ প্রকাশ করেন।
এই দশকেই অপর একজন মার্কসবাদী চিন্তাবিদ দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় আরও বিস্তৃত, আরও গভীরভাবে চার্বাক দর্শন চর্চা শুরু করেন। নানা রচনার মধ্যে তাঁর বস্তুবাদী দর্শন প্রকাশিত হয়। সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি বইয়ের উল্লেখ এখানে করা হবে। সেগুলি ছিল বস্তুবাদ/চার্বাক চর্চার শুরু। পরবর্তী পর্বে দেবীপ্রদাসের এই ‘শুরুর শুরু’-র কথাই মুখ্যত আলোচিত হবে।
[ক্রমশ]
[1] ভট্টাচার্য, রামকৃষ্ণ। ২০১০ : ১৪।
[2] উদ্ধৃত, পূর্বোক্ত।