পাঁচটি কবিতা
অনির্বাণ
আমি তো তোমার কাছে প্রেমিক বারুদ পাঠিয়েছি
এখন নীরব রাত, গুঁড়ি মেরে আছে লুনাটিক
হয়তো তোমার শব্দে এত চাঁদ কখনও পড়েনি
ঘন ঘন ওই চোখে তাকিও না,
বড় বেশি টানাটানি হয়
মেঘের ভিতর দিকে তোমার সমাধি
আমি জানি এই পথ শুধুই আঁধারে যায়, একা
কৃষ্ণ
সামান্য জ্বলেছি, তাই প্রদীপ বোলো না আর—
এখন শব্দের পরে শব্দ এসে মনবদল করে।
ঘরের ভিতরে নেই সেই সব ধাতু ও প্রত্যয়
তোমাকেই চেয়েছি যখন
জীবন মানেই শুধু অকপট ক্ষয়।
ডুলুং
জল নয়, এই নদী রক্তপ্রবাহিনী
তুমিও কি ভেবেছিলে আমি হব প্রেমের কবিতা?
যে কোনও আগুন মানে তার কোনও সন্তানের মতো
আমিও তো রয়েছি আহত
বলেছি, জীবন আমি চিনি।
রক্ত নয়, এই নদী শান্তি-প্রবাহিনী।
আস্তিক
এসব সুখের কথা কখন গালগল্প হয়ে গেছে
আমি আর সেরকম তর্কবাজ নই
ভেঙে পড়ে গেছে নাটমন্দিরের চূড়া
এখন সমুদ্র দেখি, আসে, যায়, আবার জড়ায়
ঈশ্বর যেমন
মীরা
তোমাকে বিশ্বাস করি—
তোমাকে দিয়েছি আমি সুর
এ পৃথিবী শান্ত হোক, শান্ত হোক জল
না ধন না সূর্য আমি না এই আঁধার হব
তোমার অতল
তোমাকে বিশ্বাস করি
শুনেছ কি আমার নূপুর?