Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

দেউচা পাচামির আন্দোলন এবং বামপন্থীদের ঐক্য-সম্ভাবনা প্রসঙ্গে

প্রসেনজিৎ বসু

 



 অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ বসু বর্তমানে দেউচা-পাচামির প্রস্তাবিত কয়লা খনি-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। সেই আন্দোলন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন আমরা পাঠিয়েছিলাম, যেগুলির উত্তর উনি আমাদের লিখে পাঠিয়েছেন। লেখাটি সেইভাবেই, অর্থাৎ প্রশ্নোত্তর রূপেই প্রকাশিত হল।

 

 

 

দীর্ঘদিন পরে আমাদের রাজ্যে দেউচা-পাচামির প্রস্তাবিত কয়লাখনির বিরুদ্ধে একটা গণ-আন্দোলন দানা বাঁধছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা কীরকম?

দেউচা-পাচামি এবং দেওয়ানগঞ্জ-হরিণশিঙা অঞ্চলের অধিকাংশ স্থানীয় মানুষই এই প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এই কয়লাখনি হলে ২১ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ হতে হবে, যার মধ্যে ৯ হাজার আদিবাসী। রাজ্য সরকার স্থানীয় মানুষের মতামত না নিয়ে আচমকা নভেম্বর ২০২১-এ একটা ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ‘প্যাকেজ’ ঘোষণা করে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়, যেটা একেবারেই আইনসম্মত নয়। ২০১৩-র ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী গ্রামসভা ডেকে গণশুনানি করার কথা— যা করা হয়নি। প্রকল্পের সামাজিক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করতে প্রশাসন আইনত বাধ্য, অথচ আরটিআই আইনের আওতায় আমার করা প্রশ্নের জবাবে ডব্লুবিপিডিসিএল জানিয়েছে যে এই রিপোর্ট তারা জনসমক্ষে আনবে না।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসন গ্রামবাসীদের একাংশকে ভয় অথবা টাকার লোভ দেখিয়ে জমি বিক্রি করার ‘সম্মতি’ আদায় করে নিচ্ছে— যে সবের কোনও আইনি ভিত্তি নেই। রাজ্য সরকারের কার্যকলাপ সবটাই বে-আইনি। এছাড়াও আদিবাসী এবং সমাজকর্মীদের উপর পুলিশ একের পর এক মিথ্যা মামলা চাপিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে এবং আন্দোলনে আরও বেশি মানুষ সামিল হচ্ছেন। এই আন্দোলনের পুরোভাগে আছে একটি আন্দোলনের মঞ্চ— “বীরভূম জমি, জীবন, জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা”।

কয়লাখনি প্রকল্পের বিরোধিতার কারণ কি শুধুই উচ্ছেদ সংক্রান্ত ক্ষোভ? মুখ্যমন্ত্রী তো বলছেন কয়লাখনি হলে কর্মসংস্থান বাড়বে…

এই প্রস্তাবিত কয়লাখনি প্রকল্পের বাস্তবতা নিয়েই অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বেশ কয়েক বছর আগে, বামফ্রন্ট আমলের শেষদিকে দেউচা-পাচামিতে কয়লাখনি করার জন্য প্রারম্ভিক অনুসন্ধান চালানো হয়। সেই সময়েই ‘কোল ইন্ডিয়া’ পিছিয়ে যায় কারণ এখানে কয়লার স্তরের গভীরতা দেশের অন্যান্য খনির তুলনায় অনেক বেশি, কয়লার মানও মাঝারি থেকে নিম্ন। যার ফলে এখানে কয়লা উত্তোলন বিশাল খরচসাপেক্ষ, বিদেশি প্রযুক্তি ব্যতীত সম্ভবও নয়।

দেউচা-পাচামিতে কয়লা স্তরের উপরে আগ্নেয়গিরিজাত কালো পাথর বা ব্যাসল্টের স্তর রয়েছে যেটাও বেশ মূল্যবান। কয়লাখনি হলে বর্তমানে চালু পাথর-খাদান এবং বেশ কয়েকশো ‘ক্রাশার’ ইউনিটের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে? আদানিদের মতন বড় কর্পোরেট সংস্থা এখানে ঢুকে পড়লে তো প্রকল্পের চরিত্রই বদলে যাবে! সরকারি হিসেবে প্রকল্প অঞ্চলে পাথর খাদান-ক্রাশার শিল্পের উপর ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক নির্ভরশীল, তারা কোথায় যাবে? মুখ্যমন্ত্রী যে এক লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হওয়ার কথা বলছেন সেটা অবাস্তব, আধুনিক খননপদ্ধতি আর শ্রমনির্ভর নেই। খনির জন্য অত নতুন চাকরি যদি হওয়ার থাকে তাহলে ক্ষতিপূরণ প্যাকেজে পুলিশ কনস্টেবলের চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে কেন?

এছাড়াও স্থানীয় পরিবেশের উপর নতুন কয়লাখনির নানাবিধ কুপ্রভাব পড়বে। বিশেষত ওই অঞ্চলের জঙ্গল, দ্বারকা নদী সহ অন্যান্য নালা-খাল-বিল, জনস্বাস্থ্য এবং কৃষিব্যবস্থার উপর এর খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। এই কারণেই যত দিন আচ্ছে কয়লাখনি নিয়ে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে। গোটা বিশ্বজুড়ে ইদানীং বায়ুদূষণ, উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কয়লাচালিত বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে এনে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদির ব্যবহার বাড়ানোর নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ উল্টো পথে হেঁটে একটা নতুন কয়লাখনি খুলতে চাইছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের রাজ্যেও কিন্তু প্রতি বছর আমফান, ইয়াসের মতন মারাত্মক সব সামুদ্রিক ঝড় হানা দিচ্ছে, কিন্তু সরকারের চৈতন্য উদয় হচ্ছে না।

সব থেকে দুশ্চিন্তার বিষয় যে দেউচা-পাচামি কয়লাখনি প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য রাজ্য সরকার এখনও আবেদনই জমা করেনি। অথচ ক্ষতিপূরণের প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রশাসন জমি আদায় করার কাজ শুরু করে দিয়েছে, যেটা নিয়মবিরুদ্ধ। রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারেরই উচিত জেদাজেদি না করে এই গোলমেলে প্রজেক্টকে বাতিল করা। কয়লাখনি প্রকল্প বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

দেউচাতে আমরা অনেকদিন পর আবার দেখতে পাচ্ছি বামপন্থী শক্তিগুলি একজোট হচ্ছে। এটা খুবই সদর্থক বিষয়। আপনার কী মনে হয়, এই আন্দোলন কি পারবে সমস্ত বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ করতে?

এখন পর্যন্ত দেউচা-পাচামির কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে স্থানীয় আদিবাসীরা, বিশেষত সাঁওতাল মহিলারা। ‘বীরভূম জমি, জীবন, জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা’-র মূল চালিকাশক্তি এঁরাই। বামপন্থী শক্তিদের অনেকেই মহাসভার আন্দোলনকে সমর্থন করছেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, যেটা অবশ্যই সদর্থক। আন্দোলনের স্বাধীন ও স্বনির্ভর চরিত্র বজায় রেখে একটি ব্যাপক সংহতি মঞ্চ গড়ে তুলতে পারলে সাফল্য আসবে। এই নিয়ে আলোচনা চলছে।

সামাজিক আন্দোলনে বামপন্থীদের ভূমিকা খালি ভ্যানগার্ডের মতনই হতে হবে এটা ভুল ধারণা। সবজান্তা অহঙ্কার এবং কূপমণ্ডূকতা থেকে বামপন্থীদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশেরই বিভিন্ন রাজ্যে আদিবাসী আন্দোলনে বামপন্থীদের অংশগ্রহণের অনেকরকম অভিজ্ঞতা আছে। লাতিন আমেরিকার বলিভিয়া, পেরু, কলম্বিয়া থেকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে, এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও আদিবাসী মানুষদের আন্দোলনে বামপন্থীদের উজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে— যা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা প্রয়োজন। আন্দোলনের আশু লক্ষ্যকে সামনে রেখে সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া অবশ্যই সম্ভব।

অনৈক্যের কারণগুলি কী? এগুলিকে নির্মূল করার সম্ভাবনাই বা কেমন?

আদিবাসীদের নেতৃত্বে চললেও এই আন্দোলন কেবলমাত্র আদিবাসী জনগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে গেলে তা আটকে যাবে। প্রকল্প অঞ্চলের স্থানীয় মানুষের মধ্যে কয়লাখনির বিরোধী সমস্ত অংশের সঙ্গেই জোট বাঁধতে হবে। বিশেষত গ্রামবাসী সংখ্যালঘু, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি এবং মহিলাদের সঙ্গে। রাজ্যের সমস্ত প্রগতিশীল, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে সংহতির সেতুবন্ধন করতে হবে। এই নিয়ে এখনও সম্পূর্ণ ঐকমত্য গড়ে তোলা যায়নি, চেষ্টা চলছে। পরিবেশ আন্দোলন এবং অন্যান্য গণআন্দোলনের কর্মী, বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী, আইনজীবী-সহ অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সকল গণতান্ত্রিক চেতনাসম্পন্ন মানুষদের এই আন্দোলনের পাশে পাওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি এই নিয়ে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এই অঞ্চলে দেড় দশক আগে একটি এনজিও আদিবাসীদের সংগঠিত করে পাথর খাদান-ক্রাশার শিল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালায়। পরবর্তীকালে সেই সংগঠনের নেতারা একে একে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। বর্তমানে কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আদিবাসীদের একটা নতুন নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ করেছে, সাঁওতাল মহিলাদের ভূমিকা যেখানে উল্লেখযোগ্য।

এই নতুন আদিবাসী নেতৃত্বকে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে, পুলিশের কেস দিয়ে দমিয়ে রাখতে চাইছে। বিজেপিও এঁদের নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে। মহাসভার নেতৃত্ব কিন্তু এখন পর্যন্ত আন্দোলনকে রাজনৈতিক দলবাজির থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বামপন্থী এবং প্রগতিশীল শক্তিরা যদি এই প্রেক্ষিতে সঙ্কীর্ণ নির্বাচনী স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গ্রামবাসীদের যথার্থ বন্ধুর মতো তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে লড়তে পারেন, তাহলে আদিবাসীরাও সহজেই শত্রু-মিত্র চিনতে পারবেন।

দেউচা-পাচামির অভিজ্ঞতা কি এটাই শেখাচ্ছে যে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বৃহত্তর জনস্বার্থের দিকে তাকিয়ে কিছু সমঝোতা করে ঐক্য নির্মাণ সম্ভব? সেক্ষেত্রে এর ভিত্তিতেই কি বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়ে উঠতে পারে?

আন্দোলন এখন পর্যন্ত যেভাবে চলেছে সেটার মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় উপাদান রয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়ানগঞ্জের শান্তিপূর্ণ জনসভার পর চক্রান্ত করে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ভেবেছিল দমনের ভয়ে আন্দোলন গুটিয়ে যাবে। কিন্তু ঘটেছে ঠিক উলটো, মহাসভার নেতৃত্বে আদিবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লাগাতার ধর্না চালু করে ৭৫ দিন পার করে দিয়েছে। নবান্নে ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাস দিয়ে ছলে-বলে-কৌশলে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। শাসকের দালালরা আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশ-প্রশাসনের বাইরে থেকে আদিবাসীদের এনে দেউচা-পাচামিতে ক্ষতিপূরণ ‘প্যাকেজ’-এর জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে যাওয়ার অলীক কুনাট্যও ভণ্ডুল হয়েছে আন্দোলনের চাপে। মহাসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে, আবার সেগুলিকে সংশোধন করে নেওয়ারও চেষ্টা চলেছে।

শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লড়ে, বিজেপি-র নানা প্রলোভন এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের মোকাবিলা করে মহাসভা আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, আমরা সেই ব্যাপারে আশাবাদী। বামপন্থী, প্রগতিশীল শক্তিদের উদ্যোগে দেউচা-পাচামির কয়লাখনি প্রকল্প বাতিলের দাবিতে একটি বৃহত্তর সংহতি মঞ্চ আগামী দিনে গড়ে উঠবে, এটাও আমাদের প্রত্যাশা। বাকিটা ভবিষ্যৎ বলবে।

বৃহত্তর বাম ঐক্য কেবল একটি ইস্যু বা আন্দোলনের ভিত্তিতে গড়ে উঠতে পারে না। দেউচা-পাচামির কয়লাখনি বাতিলের দাবিতে ঐকমত্য এলেও শিল্পায়ন এবং জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নে কি পশ্চিমবঙ্গের সব বামপন্থীদের এখনই একমত হওয়া সম্ভব? বোধহয় না। আবার দেউচা-পাচামির উচ্ছেদ ভুল, কিন্তু সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে সবই ঠিক ছিল, এই অবস্থান নিলে ঐক্য নির্মাণ এগোবে বলেও মনে হয় না। তাই বৃহত্তর বাম ঐক্যের নির্মাণ একটা সংগ্রাম এবং মত বিনিময়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই হওয়া সম্ভব। এর কোনও শর্ট-কাট নেই।

পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতার পর তিন দশক ধরে একের পর এক ইস্যুতে গণ-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল— কৃষক আন্দোলন, খাদ্য আন্দোলন, রিফ্যুজি আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন ইত্যাদি। তারপরে যে যুক্তফ্রন্ট এবং পরবর্তীতে বামফ্রন্টের গঠন হয়, সেই বাম-ঐক্যও কিন্তু আংশিক ছিল।

আজকের প্রেক্ষিত আবার অনেকটাই আলাদা। বিশ্বজুড়ে বামপন্থার মতাদর্শগত সঙ্কটের আবহে একটা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ বামপন্থী দলগুলির মধ্যে দেখা যায় মাঝেমধ্যে, কিন্তু সেটা যেন অনেকটাই অস্তিত্বরক্ষার তাগিদে; এবং সর্বোপরি সেই প্রয়াসে আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। আসল প্রয়োজন জনস্বার্থ এবং প্রগতিশীল কর্মসূচিকে সামনে রেখে সঙ্কীর্ণ দলবাজি বা দলতন্ত্রের ঊর্ধ্বে উঠে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই শাসকের বিরুদ্ধেই ঐক্যবদ্ধ এবং নিরবচ্ছিন্ন লড়াই-আন্দোলন গড়ে তোলা। বাংলার বামপন্থীরা সেই রাস্তায় চলতে পারলে দেশ ও দশের মঙ্গল।