ধূসর রেজিমেন্ট
১.
অগুনতি ভারী বুটজোড়া ঝুলে আছে জলরঙা বেড়ার ডালগুলোতে
হামারি দুখের নাহি ওর রবে দুলছে শেষ বিকেলের দৌড়
ভাসল ডুবল ভাসল পেট ফাঁসা ঘুড়ি
মুঠোবন্ধ হাত আর শক্ত বিপ্রতীপ তর্জনীতে চারকোল পেন্টিংয়ের স্তর জমছে
নাস্তি ধূসরে হাতড়াই আমার নাভিকুণ্ড
২.
রাস্তা অবরোধ আর মেঘ ছেঁড়া ছেঁড়া ট্র্যাফিক জ্যাম চলছে
ঈশ্বরদের পরস্পরবিরোধী আকাশবাণী শুনছি
বৃষ্টি এবং শিশির এখন প্লাস্টিকবন্দি ব্যক্তিগত
ঘোলাটে সবুজ পাতার স্বেদবিষাদে ধুলোর আস্তরণ জমছে
৩.
দুই বা এক দশক আগেও আমাদের মা কাঁদত আঁতুড়ঘরের গন্ধ জড়িয়ে থাকত কাঁথার গালিচায়
হরেক রঙের নাগরদোলার মেলা ফুটত খাবার ফুটত
ফুটন্ত গন্ধে মিশে থাকত কবর শ্মশানস্নাত আঁধারগুলোর জড়াজড়ি উপস্থিতি
স্বপ্নে আমাদের সকাল ছিল স্বপ্নে আমাদের সত্যি ছিল
৪.
অন্তহীন বিষাদ এই গ্রহের বিষণ্ণতায় মিশেছে আলো কমতে কমতে
খুঁজি হাঁপাই অস্থির ক্লান্ত হই
পাওনা আর সমাধান পেতে বেড়িয়ে সাত টুকরো হলাম
প্রার্থনার শেষ তরঙ্গে শ্রমিক পতঙ্গ আর আয়না ভাসল
৫.
কবিতাগুলো গতির দোলায় বমি ওগড়াচ্ছে
পেশল রেজিমেন্ট ধ্রুবক হয়ে ঝুলছে
চাঁদের আলোয় নৌকা চেপে মৃত্যুগুলো ভেসে যাচ্ছে দ্রুত