সম্পাদক, চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম
নতুন একটা পত্রিকা বই তো নয়!
বাঙালী পরিহাসপ্রবণ জাত। একটা নতুন পত্রিকা করতে গিয়ে সেই ভয়েই প্রায় আধমরা হয়ে আছি।
বাঙালী দেশী মদ বিদেশী আপদ ফাটন্ত নিউক্লিয়ার জ্বলন্ত অ্যাটমস্ফিয়ার পুণ্যাত্মা গাই সুধীরের ভাই সকলকে নিয়ে খিল্লি করলেও, রবিঠাকুর বিদ্যেসাগরকে উঠতে বসতে খাটান দিলেও, কলকাতাকে অগৌরব আর কেকেআরকে পাঠান দিলেও, সাহিত্য নিয়ে খুব টনটনা।
টনটনা মানে সেন্সিটিভ, মানে যার কোনও মানে নেই। এ দ্রব্য খায় না মাতায় দ্যায়? পইতার মতন। ও দিয়ে পিঠ চুলকানো যায় বটে, কিন্তু সে জন্যে তো ধারণ করিনি গো। কেন করেছি তা ঠিক করিনি। তবু আমাদের আছে পইতা, তাই আমরা হতেছি হনু! আরে ফিগারেটিভলি বললাম! রেগো না!
সাহিত্যবিন্ বাংগালি জল্বিন্মছ্লী নৃত্যিয়াবিন্বিজ্লী, কিন্তু সাহিত্যিক বা সাহিত্যকর্মের ওপর রেগে একেবারে একশা হয়ে থাকে। সদাখড়্গহস্ত! তাই যে কোনও পত্রিকার প্রথমে জোটে দুচ্ছাই। আমাদেরও তাই জুটবে।
তবু এগোনো। ক্ষতি কী?
কথায় বলে ৪-এ বেদ। ৪ নম্বর এক সৎসৃষ্টির আউল আখড়া। খ্যাতিপারের উদ্বৃত্ত, সেটুকুই। চতুর্থ দুনিয়া থেকে চতুর্থ দেওয়ালের দিকে সিসিফাসের পাথর ছুঁড়বার মঞ্চ।
যে লেখা ভালো লাগার সেই লেখার পত্রিকা। যে লেখা ভালো লাগানোর সে লেখার নয়।
সন্ত্রস্ত হবেন না। এ পত্রিকা আমাদের আত্মপ্রকাশের মঞ্চ নয়। নিজেদের নিয়ে আমরা খুবই লজ্জিত আর কুণ্ঠিত থাকি। তাই লেখার অক্ষরে মুখ দেখাবার সম্ভাবনা একেবারে মিনিমাম। আপনি লিখবেন? সাইটে অপশন আছে। ঠিক আমাদের হাতে এসে যাবে। লেখা পছন্দ হয়নি? তুলোধোনা করুন। পাঠক আর লেখক এখানে এক প্লেনে বিরাজমান। আমরা প্রাচীন এবং প্রাচীর বিরোধী।
পড়ুন লিখুন দেখুন কেমন লাগে।
নমস্তে! খুদা হাফিজ!