জয়ন্ত ভট্টাচার্য
গণ টিকাকরণ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যরক্ষার যে দুয়েকটি ক্ষেত্র এখনও বেঁচে আছে তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যৎসামান্য মাইনেতে জড়-জল-রোদ উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করা আশা-কর্মীদের। নির্বাচনী প্রচারে এঁদের হয়ে বলার জন্য কোনও রাজনৈতিক দল নেই। যেমন নেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে, এ-কথাও। নেই বন্ধ হয়ে যাওয়া কলকারাখানা বা পাটচাষের দুরবস্থার কথাও। মরতে বসা কুলিক নদী বা একের পর এক বিল বুজিয়ে দেওয়ার কথা থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না
ভারতবর্ষের মতো দেশগুলোতে, যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো মোটামুটি ৩০০ বছর ধরে শিল্পবিপ্লব, শ্রমিকশ্রেণির উদ্ভব, “সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা”র বীজমন্ত্র নিয়ে রাজনৈতিক গভার্নেন্স, ইতিহাসে একেবারে নিচুতলা থেকে ব্যক্তির উদ্ভব এবং এদের কণ্ঠস্বর রাষ্ট্র অবধি পৌঁছনোর যে আপাত-সুগম রাস্তা জন্ম নিয়েছে, তেমনটা এসব দেশে ঘটেনি। সামাজিক কোনও মন্থনের (churning) ফলে এ-দেশে নিচুতলা থেকে “আধুনিকতা”র উত্থান হয়নি। পূর্ণত কৃষিনির্ভর একটি সমাজে কলকাতা, বম্বে বা মাদ্রাজের মতো কয়েকটি দ্বীপতুল্য শহরের ওপরতলার শিক্ষিত, পশ্চিমি সভ্যতা ও শিক্ষা-সংস্কৃতিতে আলোকপ্রাপ্ত মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের মধ্যে ইউরোপের আদলে আধুনিকতার যে উদ্ভাস ও প্রসার দেখা গিয়েছিল— মূলত ১৯ শতকের প্রথমভাগ থেকে— তাকে এক অর্থে “রোপিত আধুনিকতা” (engrafted modernity) বলা সঙ্গত। যাহোক, ১৯৪৭-পরবর্তী সময়ে, যখন আলাপ-আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে, একাধিক চিন্তাশীল ও ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা নেতৃত্বের মোটের ওপরে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংবিধান রচিত হল, তার তিনটি অংশ আমাদের বর্তমান আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয়।
প্রথমটি হল, প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের ভোটব্যবস্থা। দ্বিতীয়, একজন ব্যক্তির একটি ভোট— জাত-ধর্ম-শ্রেণি অবস্থান-লিঙ্গ নির্বিশেষে— সবার একটিই ভোট। দ্রৌপদী মূর্মূ, নরেন্দ্র মোদি, মমতা ব্যানার্জি, হরিপদ কেরানি বা রহিম শেখ সবাই একটিই ভোট দিতে পারে। তৃতীয়, এখনও অবধি সংবিধানে এবং সরকারিভাবে ভারতরাষ্ট্রকে বহু ভাষা-সংস্কৃতি-ধর্মাচরণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে যে বহুত্ববাদিতা আছে তাকে ২০২৪-এর সাধারণ লোকসভা নির্বাচন অবধি স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। পরে কী হবে, সেটা ভবিষ্যতের গর্ভেই তোলা থাক।
“গ্লোবাল সেন্টার ফর প্লুরালিজম” বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সংস্থা আছে। এ-সংস্থার ২০১৭ সালের রিপোর্টে জানাচ্ছে— “Like many postcolonial states, India was confronted with various lines of fracture at independence and faced the challenge of building a sense of shared nationhood … India remained committed to the recognition of cultural diversity and the possibility of pluralism despite a large Hindu majority. In many postcolonial states, the response has been to suppress difference in the name of unity, however an attempt was made in India to conceive of the nation as pluralist. A number of institutional vehicles were adopted to affirm and promote the inclusion of ethnic, religious and linguistic minorities as well as caste groups.”[1]
এসবের পরেও প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্র কতটা সফল হয়েছে, এর সুলুক সন্ধান, বিশেষ করে ২০২৪-এর নির্বাচন চলাকালীন, আমরা একবার করতেই পারি, যাকে ইংরেজিতে বলে stocktaking. গায়ত্রী স্পিভাকের অতিবিখ্যাত প্রবন্ধ “Can the Subaltern Speak?”[2]-এর অনুসারী হয়ে আমাদের মন জিজ্ঞাসু হয়ে উঠতে পারে— যারা একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলের ভোটে একটি অঞ্চলের সাংসদ হয়ে রাজধানীর পার্লামেন্টের “দেবভূমি”তে যাচ্ছে, তারা কি নির্বাচক মানুষদের কথা সংসদে তুলে ধরতে পারে? প্রশ্ন করা যায়— সত্যিই কি অন্ত্যজ অবস্থানের মানুষ নিজের কথা বলতে পারে? সন্দেশখালির রেখা পাত্র নিজের যে কথা বলছে, সে তো তার অঞ্চলের কথা। বিষেশ রাজনৈতিক দলের বরাভয়ে এবং প্রশ্রয়ে সন্দেশখালির মতো আরও কিছু অঞ্চলের কথা হয়তো। কিন্তু সেখানেও সমগ্র সুন্দরবন অঞ্চলের কথা সে কীভাবে বলবে? এর জন্য তো একটি cerebral mechanism তথা বৌদ্ধিক কৃৎকৌশল থাকতে হবে। আবার সুন্দরবনের বহুস্তরীয় সমস্যার কথা— যা আমরা আনন্দবাজার পত্রিকায় স্বাতী ভট্টাচার্যের বিভিন্ন লেখা থেকে জেনেছি— সংসদ অব্দি পৌঁছবে কিভাবে? শারীরিকভাবে একজন মানুষ নির্বাচিত হলেই তো প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের সিদ্ধিলাভ হয়ে যায়না। বরঞ্চ উল্টোটা সত্যি যে, যে-দলের হয়ে নির্বাচিত হয় সে প্রতিনিধি, সে-দলের ভাষ্য বলে। অগণিত সাধারণ মানুষ পেছনে চলে যায়।
নির্বাচনের অন্তর্নিহিত টানাপড়েন
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যেই একটি অন্তর্নিহিত টানাপড়েন আছে— একদিকে, কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে সমগ্র দেশ জুড়ে একটি “মান্য” পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিচালনা করা, এ-মেকানিজমকে চালু রাখা; অন্যদিকে, কেন্দ্র থেকে বহুদূরের প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে সবমিলিয়ে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে নিজেদের ভোটের মেকানিজম ঠিক করা। কেন্দ্রের অভীপ্সা এবং প্রান্তের অভীপ্সার মধ্যে একটি টানাটানি চলে।
ধরে নিই, দেশের মঙ্গলকামী নীতিনির্ধারকেরা এবং উচ্চতম নেতৃত্ব চান উন্নয়ন।[3] তাহলে এই উন্নয়নের বার্তা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসনিক নালীপথে, প্রচারযন্ত্রের কৌশলে এবং অর্থের মাধ্যমে প্রান্তে এসে পৌঁছবে। আংশিকভাবে হলেও এটা কিছুটা ঘটে। কিন্তু প্রান্ত একে কীভাবে চেহারা দেবে? মূল প্রশ্ন, আমার বিচারে, এখানে স্থিত।
এবার এ-প্রশ্নের ভরকেন্দ্রে রাখা যায় আমার জন্মভূমি ও আমার বৃদ্ধি-বিকাশের প্রাণোচ্ছল ক্ষেত্র রায়গঞ্জকে। এখানে একসময়ে (২০০৩ সাল অব্দি) কেবলমাত্র মিটারগেজ লাইন ছিল। এখন ব্রডগেজ হয়েছে— সরাসরি কলকাতার সঙ্গে দুটি ট্রেন হয়েছে। এমনকি সামান্য ঘুরপথে ভারতের সবপ্রান্তেই পৌঁছে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে। রাস্তা চওড়া হয়েছে। পুরনো রায়গঞ্জের গ্রামীণ চেহারা প্রায় মুছে দিয়ে একটি মাত্র বড় রাস্তার দুপাশে একের পরে এক শপিং মল হয়েছে, কর্পোরেটদের ফুড এবং মার্কেট চেনে ছেয়ে গেছে শহর— “মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে”। রাস্তার দুপাশে এবং ভেতরেও পুরনো একতলা-দুতলা বাড়ি ভেঙে গজিয়ে উঠছে বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ি। এসভিএফ মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখানো হচ্ছে, পুরনো সবকটি সিনেমা হলই বন্ধ হয়ে গেছে— আরেকটি মল বা বহুতল ফ্ল্যাট তৈরির অপেক্ষায় দিন গুনছে। সরকারি স্কুলের কয়েকটি এখনও চলছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পেছনে ফেলে তৈরি হচ্ছে একের পর এক ইংরেজি মিডিয়াম কর্পোরেট স্কুল। এমনকি গ্রামেও এর অনুপ্রবেশ ঘটছে। গ্রামের বাচ্চারা, অশিক্ষিত বা প্রায়-অশিক্ষিত বাবা-মায়েদের সন্তানেরা, ইংরেজি শিখছে! এমন একটা ভ্রম তৈরি হচ্ছে। সহজ কথায় বললে, সামাজিক মানসিকতা বা social psyche-র আমূল রূপান্তর ঘটছে।
পড়ুন, ইলেকশন এক্সপ্রেস ২০২৪
কিন্তু যদি কর্মসংস্থানের কাছে ফিরে আসি? চিত্রটি ভিন্ন রূপে দেখা যায়। ইংরেজি স্কুলের রমরমা এবং সরকারি বাংলা মিডিয়াম স্কুলের দায়সারা গোছের পড়াশোনা প্রাইভেট টিউশনের একটি বিস্তৃত বাজার তৈরি করেছে। বহু শিক্ষিত যুবকের কাছেই এটা পেশা হয়ে গেছে। এক দশকের বেশি হল একটি ইউনিভার্সিটিও তৈরি হয়েছে। প্রধানত নোট-ভিত্তিক ক্লাস এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রাইভেট টিউশন এখানেও একটি দামী পেশা হয়ে উঠেছে।
গ্রামের দিকে তাকালে দেখব, এখানকার নিজস্ব যে-সমস্ত ফসল (যেমন পাট) একসময় কৃষকদের আয়ের এবং জীবিকার প্রধান উৎস ছিল সেগুলোর জায়গা নিয়েছে ভুট্টার মতো ফসল, প্রধানত উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে আমদানি। ফলে পাট-নির্ভর যে কারখানাগুলো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করত, সেগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি ১৯৯০-এর দশকে এখানে পাটশিল্পের ওপরে নির্ভর করে পশ্চিম দিনাজপুর স্পিনিং মিলও তৈরি হয়েছিল। এখন শুধু খাঁচাটি দাঁড়িয়ে আছে।
এরকম পরিত্যক্ত জায়গাগুলোতে ক্রমাগত বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ি বা শপিং মল হচ্ছে— সামান্য আয়ে যেখানে যুবকেরা এবং অন্য মানুষেরা কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে নিরুপায় হয়ে। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের ইস্তাহারে বা প্রচারে এ-বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয় না। হয়তো-বা রাজনৈতিক মুনাফা তোলার জন্য এ-বিষয়গুলো লাভজনক নয়ে বলে।
আরও কথা
বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তরফে এবং আন্তর্জাতিক জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকে মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কথা উচ্চারিত হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বা রাজ্যস্তরের কোনও রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী প্রচারে বা ইস্তাহারে স্বাস্থ্যের কথা কখনওই গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করেনি। মৌলিক অধিকার তো অনেক পরের কথা। প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার কথা যত কম বলা যায় তত ভাল। বিশেষ করে কোভিড-উত্তর সময়ে এর চেহারা, অন্তত এ-জেলার ক্ষেত্রে নষ্টনীড় বা খণ্ডহর-এর মতো। ফলে সমস্ত চাপ গিয়ে পড়ছে টারশিয়ারি কেন্দ্র তথা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা সরকারি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ওপরে। সেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ ডাক্তার, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী নেই। এখানকার ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের জোগান নেই। ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্ত সরবরাহ আসে প্রায়-সম্পূর্ণত অসরকারি, নিবেদিতপ্রাণ বিভিন্ন অসরকারি সংস্থার উদ্যোগে রক্ত সংগ্রহের ফলে।
গণ টিকাকরণ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যরক্ষার যে দুয়েকটি ক্ষেত্র এখনও বেঁচে আছে তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব যৎসামান্য মাইনেতে জড়-জল-রোদ উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করা আশা-কর্মীদের। তাঁরা এ-কাজকে হয়তো ভালবাসেন, সম্মান করেন— আর্থিক অনটন সত্ত্বেও। নির্বাচনী প্রচারে এঁদের হয়ে বলার জন্য কোনও রাজনৈতিক দল নেই। যেমন নেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে তুলতে হবে, এ-কথাও। মনে রাখা দরকার, প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা জাতির স্বাস্থ্যের সতেজতার প্রাণভোমরা। এর ফলে দেশে মোট মানবিক সম্পদ উৎপাদনের (হিউম্যান রিসোর্স) পরিমাণ বাড়ে। সমগ্র দেশের উপকার হয়।
পড়ুন, গুজরাত গণহত্যার বিচার হয়নি
আরেকটি বিষয়ও রায়গঞ্জ লোকসভার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়-পূর্ণত কৃষিপ্রধান এ-অঞ্চলে জলাজমির— পুকুর, নয়ানজুলি, বড় বিল ইত্যাদির কোনও ঘাটতি ছিল না। এরা শহরের এবং বিভিন্ন এলাকারা ড্রেনেজ অঞ্চল হিসেবে কাজ করত যখন বেশি বৃষ্টিপাত হত।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পেশিবহুল মানুষেরা, বিশেষ করে শাসক দলের, এ-জলাজমিগুলো বুজিয়ে ফেলে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে। ফলে অতিবৃষ্টির সময়ে গামলার মতো আকৃতির এ অঞ্চলে সমস্ত জল শহরের মধ্যে জমা হয়। এর সঙ্গে কুলিক নদীর দূষণের ফলে, নদীপার থেকে ক্রমাগত বালি তোলার জন্য কুলিক এখন একটি তিরতিরে জলস্রোতে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যা এ-সমস্ত কিছুর সম্মিলিত ফলাফলে হয়েছে।
নিচে কুলিক নদীর বিভিন্ন অংশের চেহারার চিত্র দেওয়া হল।
শেষ কথা
নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধির নির্বাচক ভোটদাতাদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই ভেবে দেখা দরকার—
- অনুদান-নির্ভর জনতোষিণী রাজনীতি না স্থানীয় সম্পদ-নির্ভর নতুন কর্মসংস্থান?
- স্বাস্থ্য কি আদৌ ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্ব পাবে?
- হারিয়ে যাওয়া পাটচাষ এবং এর অনুসারী শিল্পকারখানার কথা কি নির্বাচনে লড়াকু প্রতিনিধিরা ভাববেন?
- নির্বিচারে জলাভূমি ও নদী দখল করে শহর এবং লাগোয়া সুবিস্তীর্ণ এলাকার বন্যার প্রতিরোধের জন্য কোনও পরিকল্পনা ভোটদাতাদের সামনে হাজির করবেন?
- এসবের ফলে যে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে তা প্রকারান্তরে emerging infectious disease-কে ঘরে ডেকে আনছে। কোভিড এর প্রজ্জ্বলন্ত প্রমাণ। এ ব্যাপারে ভোটদাতা এবং রাজনৈতিক দলের যুযুধান প্রতিনিধিদের কি কোনও নির্দিষ্ট বক্তব্য আছে?
যদি না থাকে, কেন নেই? আমরা উত্তরগুলো দাবি করব না কেন?
[1] Why did India choose pluralism? Global Centre for Pluralism. Apr, 2017.
[2] ১৯৮৮ সালে লিখিত, ৪০,০০০-এর বেশিবার রেফারড হয়েছে এবং পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত।
[3] যাকে আমরা খালি চোখে উৎখাত বা উৎসাদন বলে দেখি তেমনটা নয়।
*মতামত ব্যক্তিগত