পাখিদের মতো সন্ধেবেলা
১.
তাহলে চায়ের বাসন কিনব না আর
ধুয়ে দেব না জামা-গেলাস, জুতোর কাঁকড়
সেইসব বুনো রাস্তা দেখব না তোমার মুখের দিকে বেঁকে গেছে কিনা
বুকের উঠোনে ঝরে যাবে রেল টিকিটের অনন্ত সিঁদুর
শুধু মনে পড়বে
একদিন
তোমার কাছে গেলে মনে হত ঠান্ডা জলে চান করে এলাম
২.
তুমি যখন ছিলে না
একা ছিলাম পেয়ারাগাছের হাসিতে
এখন সকালের হিমে ভুলে যাওয়া মুখ মনে পড়ে
রাত হয় বসতি জঙ্গলে, ধু ধু লাল পাখিডাকে
একা একা উনুনে পা জ্বেলে পায়েস রাঁধি
৩.
সাতাশ বছর ধরে তারা দেখে জল খাই
জলে থেকে মাথা তুলে প্রণাম করি কালপুরুষ
শুয়ে শুয়ে হাত দুটি ধবধবে ডানা হল
বুকে হেঁটে ওদের বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি যাই
মনে মনে দেখি নীহারিকার মতো জবাফুল
তোমার ছায়া পড়েছিল একদিন
আমার কপালে
এখন সেখানে নিস্তব্ধ গ্রাম,
রাতের দিকে হাওয়া খুব
৪.
তোমাকে সম্পূর্ণ দেখব না আর কোনওদিন
অনেক বেড়াব না দুজনে
কুশল পাহাড়ে দুলবে কিছু আনুষ্ঠানিক ঘাস
কিন্তু এই ফাঁকা বাড়ি দেখে মনে পড়বে
তোমার গ্রামে প্রজা রোপণ করেছিলাম
তারা কি এখন একটু একটু নড়েচড়ে
কান পাতলে শোনা যায় শ্বাস?
৫.
ধানক্ষেতের লাল আকাশে
একদিন আমার সূর্যাস্ত হবে
শেষবেলায় হাতে যেন
হালকা পাখিরা এসে বসে