Site icon ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম

রেল-দুর্ঘটনা, মানুষের মৃত্যু, তারপরের কিছু জরুরি প্রশ্ন

সুমন সেনগুপ্ত

 


দিনের পর দিন রেলে শূন্যপদ থেকে যাবে, কোনও নতুন নিয়োগ হবে না, আর বড়লোকদের জন্য বুলেট ট্রেন আর বন্দে ভারত চালানো হবে। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের জন্য রেলযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে, আর ওদিকে উচ্চশিক্ষিত রেলমন্ত্রী প্রতিদিন বন্দে ভারত উদ্বোধন করে চলেছেন। গত ২০২২ সাল থেকে আজকে অবধি, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৭ জুন অবধি বন্দে ভারত চালু হয়েছে ৪৯টি। দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩টি, মারা গেছেন ৩৭১ জন মানুষ। আমরা অমৃতকালে আছি, তাই কিছুতেই কিছু আসছে যাচ্ছে না। সরকারের অগ্রাধিকার বুঝতে এই তথ্যটি যথেষ্ট নয় কি?

 

যদিও আজকের সময়টা ক্ষণিকের, যদিও আজকের সময়টা সামাজিক মাধ্যমের, তবুও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রেল দুর্ঘটনা একটি দুর্বিষহ স্মৃতি। ২০২৩ সালের ৩ জুন, ঘটেছিল বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনা। বহু মানুষ ভুলে গেলেও, যে-সমস্ত মানুষ মারা গিয়েছেন এই দুটি সাম্প্রতিক ঘটনায়, তাঁদের পরিবারের কাছে এই দুর্ঘটনার কথা কোনওদিনও ফিকে হবে কি না, সন্দেহ। বালাসোরের সময়ে সেই পরিবারের পাশে, কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য কিংবা চাকরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। এবারও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তাঁরা কী প্রক্রিয়ায় তা পাবেন, কিংবা আদৌ পেলেন কি না, সেই নিয়ে কিছুদিন পরে আর কোনও সংবাদমাধ্যমই হয়তো খবর করবে না, কিন্তু আজকে যখন এখনও এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন কে বা কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তা নিয়ে কথা বলা জরুরি। রেলমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি বালাসোরের বা কাঞ্চনজঙ্ঘার এই রেল দুর্ঘটনার সঙ্গে কোনও ব্যক্তিবিশেষের গাফিলতি জড়িত আছে? নাকি, পুরোটাই প্রযুক্তিগত ত্রুটি? তবে একটা কথা বলা যায়, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর না পাওয়া গেলে, ভবিষ্যতে রেল দফতর কী ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেবে, তাও কিন্তু ঠিক করা যাবে না। হয়তো মৃত মানুষেরা আর ফিরে আসবেন না, কিন্তু যে বা যাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁকে বা তাঁদেরকে যদি জনগণের সামনে শাস্তি না দেওয়া যায়, তাহলে আগামীতেও কিন্তু কোনও ব্যক্তিবিশেষকেই আর এই ধরনের ঘটনার জন্য দায়বদ্ধ করা যাবে না।

সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন খবর থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে রেলের এই দুর্ঘটনাগুলোর কিছু তাৎক্ষণিক কারণ যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই কিছু কারণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আজকে হয়তো মনে হচ্ছে, সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটি, যোগাযোগ ব্যবস্থার ঘাটতি বা কোনও ব্যক্তিবিশেষের গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু একটু তলিয়ে খোঁজ খবর করলেই দেখা যাবে, আরও বেশ কিছু কারণের জন্যই হয়তো এত মানুষের মৃত্যু দেখতে হল। এই লেখক নিজে যেহেতু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিদিনকার রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত, তাই এটা জোর দিয়ে বলা যায়, যদি আজকে কোনও সমস্যা দেখা যায় এবং তার দিকে যদি দ্রুত নজর না দেওয়া হয়, তাহলে তা আগামীদিনে বড় বিপদ হয়ে সামনে আসতে পারে। সংবাদমাধ্যম এবং সেন্ট্রাল অডিট সংস্থা, অর্থাৎ ক্যাগের, ২০২২ সালে রেল-সংক্রান্ত রিপোর্ট যদি একটু খুঁটিয়ে পড়া যায়, তাহলে মোটামুটিভাবে চার ধরনের সুদূরপ্রসারী সমস্যাকে চিহ্নিত করা সম্ভব, যা নিয়ে আলোচনা করা এবং কথা বলা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এই ঘটনা আর না দেখতে হয়। এই চারটি প্রশ্নের উত্তর কিন্তু দিতে হবে রেলমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেই।

 

রেলের নিরাপত্তার বিষয় থেকে খোদ রেলমন্ত্রীরই মুখ ফিরিয়ে থাকা

এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখে রেলের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক একটি রিপোর্ট জমা দেন রেলমন্ত্রীকে, যাতে তিনি পরিষ্কার করে লিখে দেন রেলের সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং সেই সংক্রান্ত বিষয়ে নজর না দেওয়া হলে ভবিষ্যতে বড় রকমের দুর্ঘটনা এবং বিপর্যয় ঘটতে পারে। অথচ, সেই রিপোর্টের দিকে নজর না দিয়ে রেলমন্ত্রী ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন আরও বেশি বেশি করে কী করে বিভিন্ন রাজ্যে চালানো যায় সেদিকে মনোনিবেশ করার কথা বলেন। এমনকি, বালাসোরের ওই দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও রেলমন্ত্রী একটি অনুষ্ঠানে মুম্বাই- গোয়া ‘বন্দে ভারত’ কী করে চালানো যায় সেই নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন। যা শোনা যাচ্ছে ওই একই অনুষ্ঠানে যখন রেলের কোনও কোনও আধিকারিক রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা বলেন, তখন তাঁদের বাধাও দেওয়া হয়। এই খবর থেকে একটিই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়, যে প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্দে ভারত’ শুধু লক্ষ লক্ষ টাকার অপচয় নয়, এর প্রচারের দৌলতে রেলের নিরাপত্তার দিকটিও অবহেলিত থেকে যাচ্ছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়াটাও তুচ্ছ।

 

রেলের প্রায় ৩ লক্ষ গুরুত্বপূর্ণ শূন্যপদ পূরণ না হওয়া

এতদিনে আমরা সকলেই জেনে গেছি যে এই প্রধানমন্ত্রী মুখে যতই বলুন বছরে এক কোটি বেকারের চাকরি দেবেন, কাজে কিছুই করে দেখাতে পারেননি। শুধুমাত্র তাঁর নিজের প্রচার ছাড়া তিনি কিছুই যে করেননি, তা গত নয় বছরে যে-কোনও সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরে গেছেন, যার ফলেই দেশে আজকে ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব, তা নানান জায়গার তথ্যের মধ্যে দিয়ে আজ আমাদের কাছে জলের মতো পরিষ্কার। যে রেল দফতরে একটা সময়ে নিয়ম করে কর্মসংস্থান হত, সেই দফতরেই এখন জরুরি বিভাগ-সহ নানান বিভাগে প্রায় ১ লক্ষ ৪২ হাজার শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। এখন যা কর্মী রয়েছেন, তাঁদেরকেও নিজেদের ক্ষমতা অতিক্রম করে কাজ করতে হচ্ছে। স্টেশন ম্যানেজার, রেলের গার্ড, ড্রাইভার-সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ পদে যেখানে যোগ্য কর্মক্ষম মানুষের প্রয়োজন, সেখানে এই পদগুলোতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে না দীর্ঘদিন। যদি কোনও কর্মীকে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করে যেতে হয় এবং তাঁকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না দেওয়া হয়, তাহলে এই ধরনের সিগন্যালিং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা যে কতটা বিপদের সম্মুখীন হতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কি এই বালাসোরের রেল দুর্ঘটনা নয়? তাহলে কি সরকার নিজের দায় ঝেড়ে ফেলে মেনেই নিতে চাইছে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে?

 

রেল রক্ষণাবেক্ষণের টাকা অন্য খাতে খরচ কেন?

কিছুদিন আগে অনেক জাঁকজমক করে রেলমন্ত্রী রেল দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য একটি অ্যান্টি-কলিশন প্রযুক্তি, যার পোশাকি নাম ‘কবচ’, উদ্বোধন করেন। বলা হয়, এই কবচের কারণে একই রেললাইনে যদি সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটির জন্য একাধিক ট্রেন চলেও আসে, তাহলেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশের মাত্র ৩ শতাংশ রেললাইনে এই ব্যবস্থা আপাতত কার্যকর করা গেছে। এখন সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে এই কবচ বসানোর যে খরচ, তা এতটাই বেশি যে আপাতত ধীরে ধীরেই এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে। পাশাপাশি, ক্যাগ যে রিপোর্ট জমা করেছে ২০২২ সালে সেখানেও বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন রেললাইনগুলোর সংস্কার হয়নি, ফলে যে-কোনও মুহূর্তে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অথচ, সংবাদমাধ্যম মারফত যা খবর আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে, রেল দফতর গত কয়েক বছরে সৌন্দর্যায়নের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। শুধু তাই নয়, ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের উদ্বোধনের জন্যেও প্রচুর টাকা ব্যয় করা হয়েছে যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত থেকেছেন। অলিখিতভাবে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আপাতত রেলের লাইন বা সুরক্ষা সম্পর্কিত কাজ মুলতুবি রেখে ‘বন্দে ভারতে’র বন্দনা করতে হবে। যখন কোনও রেলমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী ২৪ ঘণ্টা এই ধরনের প্রচারমূলক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সেই দফতরের আধিকারিকেরা কিভাবে প্রয়োজনীয় মেরামত এবং যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে কথা বলবেন, আর কাকেই বা বলবেন?

 

রেলযাত্রা ক্রমশ সাধারণ মানুষের জন্য দুর্বিষহ হয়ে উঠছে

কোভিড এবং তার পরবর্তীতে যাঁরা ট্রেনে চেপেছেন, তাঁরা জানেন, একদিকে যেমন শীতাতপ কামরার ভাড়া বাড়ানো হয়েছে, অন্যদিকে সাধারণ কামরার যাত্রীদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। যেহেতু আগে থেকে সংরক্ষণ করার কোনও ব্যবস্থা নেই, তাই মানুষ যে কীভাবে যাতায়াত করেন তা অবর্ণনীয়। বিভিন্ন সময়ে রেলযাত্রার যে ছবি এসেছে, তা দেখেই বোঝা যায় রেল দফতরের এই বিষয়টির উন্নতির জন্য কোনও ভাবনাচিন্তাই নেই। পাশাপাশি যদি খেয়াল করা যায় তাহলে দেখা যাবে, কেন্দ্রীয় সরকার রেলের চেয়ে বেসরকারি প্লেন পরিষেবা চালাতে বেশি আগ্রহী। এই যে নয় বছরের খতিয়ান দিয়ে নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রচার চালাচ্ছেন, সেখানেও তাঁরা দেখাচ্ছেন এই কয়েক বছরে কতগুলো এয়ারপোর্ট চালু হয়েছে। আসলে নরেন্দ্র মোদির সরকার যতই মুখে বলুক তারা গরিব মানুষের উন্নতির কথা ভাবে, আসলে তারা যে অভিজাতশ্রেণির মানুষদের উন্নয়নের জন্যেই কাজ করছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। সরকারের মাথায় আছে, রেল গরিব মানুষের একটি গণ-পরিবহণ, তার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে বরং যাঁরা নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করে এসেছেন নানান বিষয়ে তাঁদের জন্যেই কিছু করা উচিত। বার্তা পরিষ্কার, যদি চড়তেই হয়, তাহলে দ্রুতগতির ‘বন্দে ভারত’ বা পর্যটনের জন্য ‘ভিস্তা ডোম’ জাতীয় ট্রেনে চড়ুন, সময় বাঁচানোর জন্য প্লেনে চড়ুন, আর গরিব মানুষ এই গাদাগাদি করেই ট্রেনযাত্রা করুক, তাতে যদি এই ধরনের কোনও দুর্ঘটনাও ঘটে, খুব বেশি হইচই হবে না।

 

পরিশেষের কিছু কথা

মৃত মানুষ কথা বলতে পারে না, যদি বলতে পারত তাহলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ধাক্কা মারা ওই মালগাড়ির যিনি চালক, তিনি হয়তো বলতেন কত ঘণ্টা টানা কাজ করা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে গাড়ি চালাতে বলা হয়েছিল। দিনের পর দিন রেলে শূন্যপদ থেকে যাবে, কোনও নতুন নিয়োগ হবে না, আর বড়লোকদের জন্য বুলেট ট্রেন আর বন্দে ভারত চালানো হবে। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের জন্য রেলযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে, আর ওদিকে উচ্চশিক্ষিত রেলমন্ত্রী প্রতিদিন বন্দে ভারত উদ্বোধন করে চলেছেন। গত ২০২২ সাল থেকে আজকে অবধি, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৭ জুন অবধি বন্দে ভারত চালু হয়েছে ৪৯টি। দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩টি, মারা গেছেন ৩৭১ জন মানুষ। আমরা অমৃতকালে আছি, তাই কিছুতেই কিছু আসছে যাচ্ছে না। সরকারের অগ্রাধিকার বুঝতে এই তথ্যটি যথেষ্ট নয় কি?

ভবিষ্যতে যে এই ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে না, তা কি নিশ্চিত করে বলা যাবে আজ? আগাম সতর্কবার্তা পাওয়া সত্ত্বেও কেন রেলসুরক্ষা বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি, সেই দোষে শাস্তি যদি দিতেই হয় তাহলে তা কি রেলমন্ত্রীর প্রাপ্য নয়? যখন তিনি নিজে জানেন, যে কবচ সুরক্ষা রেলের এই ধরনের সংঘর্ষজনিত দুর্ঘটনা এড়াতে পারে, তাহলে তিনি কেন রেলের সমস্ত লাইনে তা লাগানোর ব্যবস্থা করেননি? বালাসোরের পরে রেলমন্ত্রীর  সম্পর্কে প্রচার করা হয়েছে, তিনি অত্যন্ত শিক্ষিত একজন প্রযুক্তিবিদ, তিনি ৫১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আবার ওই লাইনে ট্রেনচলাচল স্বাভাবিক করেছেন। কিন্তু সেটাই তো তাঁর কাজ, তার জন্য এত প্রচারের কি প্রয়োজন? তাহলে কি সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর দোষ ঢাকবার জন্যেই এই প্রচার, যাতে তাঁর দিকে আঙুল না ওঠে? হয়তো হবে না, কিন্তু তাও তো কিছু প্রশ্ন উঠবে, যার উত্তর পাওয়া জরুরি, আজকের জন্য না হলেও, ভবিষ্যতের জন্য তো বটেই। না হলে এইরকম কোনও ঘটনা যদি আবারও ঘটে, তাহলে তাঁর দায় কে নেবে? নাকি আমাদের আবার ভুল বোঝানোর জন্যে, আমরা যাতে সঠিক প্রশ্ন না করি, সেইজন্যেই এই পন্থা?


*মতামত ব্যক্তিগত