অঞ্জলি দাশ
১
দুজনের মাঝখানে দীর্ঘ জাগরণ,
ছোট করি রাতটাকে,
শুধু কথা বিনিময়ে কিছু অন্ধকার থাক, ওটুকুই রঙ ।
সারা গায়ে ফুটে থাকা গোল চাকা দাগ থেকে
রক্তের আভাসটুকু মুছে নিলে যে নীল রঙ পড়ে থাকে,
সেখানেই বিষ, ভাঙনের সূত্র সেখানেই,
তা থেকেই উঠে আসে কোনাকুনি প্রেম…
এরপর অন্ধকার আরো গাঢ়,আরো ভাঁজ,
কথা নেই।
২
বরং পিছন দিকে ফিরে যাওয়া যায়,
যেখানে মুগ্ধ দৃষ্টি ভেঙেচুরে পড়ে আছে,
ধুলোর আড়াল থেকে অল্প শব্দে উঠে আসছে আবাহন,
উচ্চারণহীন কিছু ভাষা।
সামান্য দুঃখের ছায়া জড়ানো যে সুখ,
সাদা পাতা সামনে রেখে তাকে যদি অক্ষর সাজিয়ে দিই,
তবুও সে কাগজের নৌকো গড়ে জলেই ভাসাবে,
কিংবা ফের বালি কাঁকরের সঙ্গে দ্বৈরথে নামাবে ?
জটিলতা খুলতে খুলতে
অপলক চার চোখে আলো পড়লেও
কোনো গল্প তৈরি হয় না আজ আর।
আসলে সমস্ত কথা শুধু সেতুবন্ধনেই তৎপর,
আর কাছে যাওয়ার সময় প্রতিবারই খেয়া বন্ধ।
৩
এই স্পর্শ চেনা,
কতদিন কত কত বছরের দূরত্ব পেরিয়ে
ঠিকঠাক জ্বেলে নেয় সবুজ বাতিটি,
পথগুলো হেঁটে যায়, খুঁজে নেয় চেনা বাড়ি,
হেসে ওঠে ভাঙা দরজার কাঠ….গল্প হয়,
চোখে পড়ে পুরোনো কথার মধ্যে ভাঙা শব্দ কিছু,
তার গায়ে লেগে আছে একটি দুটি দিবাস্বপ্ন।
বাতাসের লুন্ঠন স্বভাব ভুলে তুলোফুল ফুটে ওঠে ফের।