চারটি কবিতা
‘অন্ধকারের উৎস হতে’
কোথাও বিপুল হই আরো
ভাঙা চালে জেগে ওঠে মথের শরীর
ক্রমশই নিভে যায়
আষাঢ়ের চাঁদ
হাঁটে কেউ আবছায়া
চিনিনা কখনও তাকে
ভালোবাসা ভেবে নিমগ্ন প্রকারে
জাগায় আমাকে
বারংবার
মধুডাঙাতীরে
খানিক বসো! কথা আছে
‘অন্ধকারের মাঝে আমায় ধরেছ দুই হাতে’
শীতবনে একা পড়ে আছি
রাস্তায় জমে ওঠে পত্ঝর দিন
ব্যাকুল বাজায় সেও;
যেন অরুন্ধতী
রাশিচক্রে মিলিয়েছে প্রবাহের ক্ষত
চিতাভস্ম ভেঙে তুমি করতল ধরো
নিজেকে মেলেছি
‘অন্ধ জনে দেহ আলো’
নিকষ হে
শূন্যের প্রয়োগ আমিও জানি
এই বায়বীয় দুপুরের পর
বিনিময় শুরু হয়
শোকশব্দে গেঁথে তোলা লক্ষ্মীর পাঁচালী
থিতু স্বরে চেয়ে থাকে বিধবা ধৈবত
গুনগুন স্বরে দূরে হাঁটে আবছা আলো
বলে, ‘অহমাস্মি’
অহম অস্মি
অহম্…
‘অমল ধবল পালে’
দিগ্বিদিক ছেয়ে আছে কাচের শহর
দাদনের লোভ নেই আর
বালিকার শীতকাল জেনে
এলাচের বনে মিলিয়েছে আলোর টুকরো
রাপুনজেলের ঘন অন্ধকার
অনাবিষ্কৃত দেশের সূত্র
যেপথে শুধুই হেঁটে যাওয়া যায়