#টঙ্কার
ধুনুরি কাঁপিয়ে দিয়ে
চলে গেল বাজারের দিকে, তবু
শীত ঋতু আমার শহরে যেন
কল্পনা প্রয়াস
আমি কিছু পেতে চাইছি
কল্পনা পেরিয়ে গিয়ে ধর
পেতে চাই কিছু
পেতে চাই কোনো এক বিশল্য-কুহক
সকল প্রতাপ, জ্বর,
যার বশে সমাহিত হবে
ধাতুর আয়ুধ নিয়ে জেগে উঠবে শীতকাল
অন্ধকারে, আগুন-পরবে।
#কেউ এল ঘুমে কেউ
কৃত্তিমতা
রঙীন ফুলের কন্ঠনালি
মাংসে গোঁজা
খুব কিছু নয়-
উপায়হীনের রাস্তা খোঁজা
পায়ের কাছে
রঙীন পাথর
গড়িয়ে দিলে
জলের মতো ঢেউ ওঠে খুব
মফস্বলের বস্তি জুড়ে
নিজের সুরে
ভ্রমর কালা
শ্রুতিবিহীন বরণডালা
সাজিয়ে যখন দরজা খোলো
আগমনের আস্ফালনে
বস্তিঘরের গরীব মনে
এক বা দুটি ফুলের ধরণ
নাম না জানা,,
ফুটে উঠেই মিলিয়ে গেল
আর যে আলো
যথাতথা –
কৃত্তিমতা
#প্রাচীন অন্ধকার
অন্ধকারে প্রবাদ সহায়
বাদবাকি কিছুটা দৈবের বশ
কিছুটা আসতে যেতে
পথে পথে অজান্তে ছড়ায়
ভেড়ার লোমের মতো
ঘনরাত
তার, চাপা স্বভাবের নিচে রেখে দেয়
সেইসব ছড়ানো আক্রোশ
এই রাতে
মুখোমুখি হলে
চোখে, নখে খেলা হয়
কাটাকুটি খেলা
যে জেতে, সে খুব জোরে হেঁটে যায়,
আর যে হেরেছে তার দশা
সায়ং-ছায়ার মতো
ক্রমশ গুটিয়ে গিয়ে
টুকরো হতে হতে
অন্ধকারে ফর্সা হয়ে যায়
তাকে ফের দেখা যাবে
সকালে, খুঁটিতে বাঁধা
আলতা দিয়ে দেগে রাখা
ভেড়ার ছায়ায়