সরসিজ দাশগুপ্ত
স্বামী অসীমানন্দ মুক্তি পেলেন। মুক্তি পেলেন, মায়া কোডনানিও। বিচার প্রক্রিয়ায় কেউ মুক্তি পাবে, কারও সাজা হবে, এ নিয়ে নতুন আলোচনার কিছু নেই। কিন্তু, তাও এগুলো খবর কেন? কারণ এদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো। মূল আলোচনায় আসার আগে, আসুন একবার জেনে ফেলি, ঠিক কী অভিযোগ ছিল।
১৮ই মে, ২০০৭, দুপুর ১ টা ১৫ নাগাদ, ভীষণ শব্দে কেঁপে উঠেছিল, হায়দরাবাদ শহরের চারশো বছরের পুরনো স্থাপত্য মক্কা মসজিদ-চত্বর। মারা যান ৮ জন, আহত শতাধিক। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পাইপ বোমার মাধ্যমেই ব্লাস্ট করানো হয়েছিল। ব্লাস্টের সময়, মসজিদের ভিতরে ছিলেন প্রায় দশ হাজার মানুষ, তারা নামাজ পড়তে একত্রিত হয়েছিলেন, এবং, স্বাভাবিকভাবেই, পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তাল, এবং কিছুটা বাধ্য হয়েই পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়, যাতে মারা যান, আরও পাঁচ জন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুটি এফ আই আর হয়। প্রথমেই, কিছুটা মিডিয়া এবং কিছুটা লোকাল পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ‘হুজি’ এবং ‘লাস্কার-এ-তাইবা’ জাতীয় ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলির নাম, এবং প্রায় ৪০ জন মুসলিম যুবককে আরেস্ট করা হয়। তারপর, ওই বছরেরই শেষের দিকে, মামলা হস্তান্তরিত হয় সি বি আইয়ের হাতে। ২০১০ সালে চার্জশিট ফাইল করে সি বি আই। উঠে আসে ‘অভিনব ভারত’ বলে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নাম। না, ভারত সরকার এখনও ‘জঙ্গি’ অপরাধে এই সংগঠনকে ব্যান করেনি বলে, ‘জঙ্গি’ শব্দটি যুক্ত করতে পারছি না, কিন্তু, এই সংগঠনের যোগ, শুধু এই একটি ঘটনার সাথে নয়। তবে, সে বিষয়ে পরে লিখছি। এই অভিনব ভারত সংগঠনেরই একজন প্রধান সদস্য হলেন, স্বামী অসীমানন্দ, বা, শ্রী নবকুমার সরকার, বাড়ি হুগলির কামারপুকুরে। ২০১০ সালে, সি বি আই তাকে উক্ত ব্লাস্টের পেছনের মূল চক্রী হিসেবে আরেস্ট করে। মামলা শুরু হয়, ২০১১ সালে কেসটি আবার হস্তান্তরিত হয় এন আই এ-র হাতে, যারা, আরও তিনটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ফাইল করে। এই সমস্ত চার্জশিটে সি বি আই এবং এন আই এ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত অভিযোগ এবং তার প্রমাণ স্পেশাল কোর্টের সামনে আনে, আর, তারই মধ্যে একটি হল স্বামী অসীমানন্দের মাননীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সাহেবের সামনে করা কনফেশন বা জবানবন্দি। আই পি সির বিভিন্ন ধারা, ইউ এ পি এ অ্যাক্ট আর এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সস অ্যাক্ট-এর মামলা রুজু হয়, এবং শুরু হয় ট্রায়াল বা বিচারপ্রক্রিয়া। মূল অভিযুক্তরা হলেন, স্বামী অসীমানন্দ, দেবেন্দ্র গুপ্তা, লোকেশ শর্মা, ভারত মোহনলাল রাতেস্বর, রাজেন্দ্র চৌধুরী, লক্ষণ দাস মহারাজ, রামচন্দ্র কালসংগ্রা এবং সন্দীপ ডাঙ্গে। এদের মধ্যে শেষ দুজন আজও অধরা।
ইন অ্যানাদার নিউজ :
এই ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনকে সি বি আই, এন আই এ এবং এ টি এস বা অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড সহ আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থা হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির এক কট্টরপন্থী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই সংগঠনের বিভিন্ন সদস্যদের বিরুদ্ধে আজও নানান অভিযোগের তদন্ত চলছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাস্তিও হচ্ছে, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল অভিযোগ হল সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকার। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ২০০৬ থেকে ২০০৭-এর মধ্যে, এই মক্কা মসজিদ সহ, হরিয়ানার পানিপথের কাছে, দিল্লি থেকে লাহোরগামী ট্রেন সমঝোতা এক্সপ্রেসে ব্লাস্ট (মৃত প্রায় ৭০ জন), মহারাষ্ট্রের মালেগাওঁ অঞ্চলে একটি মসজিদের কাছে ব্লাস্ট (মৃত প্রায় ৪০ জন) এবং রাজস্থানের আজমের শরীফ দরগায় ব্লাস্টের (মৃত প্রায় ৫ জন) ঘটনা ঘটে, এবং এর প্রতিটির মধ্যে কয়েকটি মিল পাওয়া যায়। ওই তিনটি ধর্মস্থানেই বিস্ফোরণগুলি ঘটানো হয়েছিল এমন দিনে, যেদিন ওখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। সবে বরাত বা রমজানের শেষদিন বাছাই করা হয়েছিল, যাতে জনসমাগমের মাঝে ব্লাস্ট করানো যায়, এবং, এই প্রতিটি ঘটনায়, প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে বিভিন্ন ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের নাম, ও বেশ কিছু মুসলিম যুবক অ্যারেস্টও হয়। প্রতিটি একই জাতীয় এক্সপ্লোসিভ বা বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়, প্রায় একই প্ল্যানমাফিক ঘটানো হয় এই চারটি বিস্ফোরণ, এবং, মৃত্যু হয়, সব মিলিয়ে, প্রায় ১২০ জন মানুষের। তদন্তে আস্তে আস্তে জানা যায় যে, এই প্রতিটি বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে ওই একটি সংগঠন, ‘অভিনব ভারত’। এই সংগঠনটি ২০০৬ সালে, মূলত কিছু প্রাক্তন সেনা-কর্মী যেমন, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত ইত্যাদি এবং সুনীল জোশী, সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের মতন কিছু সক্রিয় হিন্দুত্ববাদী নেতা-কর্মী-প্রচারকদের নিয়েই হয়, এবং, এদের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন, শ্রীমতি হিমানী সাভারকার। হিমানী সাভারকার সম্পর্কে নাথুরাম গডসে এবং বিনায়ক দামোদর সাভারকারের আত্মীয়া। প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ্য, এর প্রায় একশো বছর আগে, ১৯০৪ সালে, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সামরিকভাবে লড়াই করবার জন্য, বিনায়ক দামোদর সাভারকার তৈরি করেছিলেন, ‘অভিনব ভারত সোসাইটি’ নামের একটি গুপ্ত সংস্থা! কিছু বিক্ষিপ্ত সশস্ত্র কর্মকাণ্ডের পর, ১৯১০ সালে, বিনায়ক দামোদর সাভারকার নাসিক ষড়যন্ত্র মামলায় অ্যারেস্ট হয়ে গেলে, এই গুপ্ত সমিতিও বন্ধ হয়ে যায়, এবং, জেল থেকে বেরোনোর পরে, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিনায়ক দামোদর সাভারকার ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সেভাবে আর কোনও আন্দোলনের চেষ্টা করেননি। অধুনা, এই ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনটি, সদস্যদের মতামত অনুযায়ী, ওই পুরনো ‘অভিনব ভারত সোসাইটি’ নামক গুপ্ত সংস্থাটিকে পুনর্নির্মাণের একটি চেষ্টা। মৃত্যুর অল্প আগে, ২০০৮ সালে, সংবাদসংস্থা আউটলুককে দেওয়া একটি ইন্টারভিউ-এ, হিমানী সাভারকার জানান, যে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করবার রাস্তা হল, বিস্ফোরণের পরিবর্তে পাল্টা বিস্ফোরণ। ২০১০ সালে তার মৃত্যু হয়, এবং, তার অব্যবহিত পরেই, একে একে ‘অভিনব ভারত’ সংগঠনের বহু সদস্যকেই, বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকবার অপরাধে গ্রেপ্তার করা শুরু করে সি বি আই, এন আই এ এবং এ টি এস (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড)।
বিচ্ছিন্ন ঘটনা
ফিরে আসি, মূল ঘটনায়। উপরোক্ত চারটি বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে বিভিন্ন স্পেশাল কোর্টে। মক্কা মসজিদের কেসটি ছাড়াও, ওই একই বছরের অক্টোবরে ঘটা আজমের শরীফের বিস্ফোরণের সাথেও যুক্ত থাকবার অভিযোগ ছিল স্বামী অসীমানন্দের বিরুদ্ধে। আজমের শরীফের বিস্ফোরণের মামলায়, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে, জয়পুরের স্পেশাল এন আই এ-র স্পেশাল কোর্টে সাজা হয়েছে, সুনীল জোশী (বর্তমানে মৃত), দেবেন্দ্র গুপ্ত ও ভবেশ প্যাটেল নামের, অভিনব ভারত সংগঠনের দুজন কর্মীর। সাজা হয়েছে, উপরোক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেয়া একটি জবানবন্দির ভিত্তিতেই, কেননা, কোর্টের সামনে, সেটিও ছিল একটি এভিডেন্স বা প্রমাণ হিসেবে। ওই জবানবন্দি ছিল স্বামী অসীমানন্দের। যেখানে, মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণের মামলার বিচার চলাকালীন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে করা স্বীকারোক্তিতে, এবং পরে চিঠি দিয়েও নিজের এবং অভিনব ভারত সংগঠনের অপরাধের কথা স্বীকার করেন। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, উপরোক্ত সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র রচিত হয়েছিল তাদেরই মাধ্যমে, এবং, অভিনব ভারত সংগঠনের সদস্যরা মিলে পরিকল্পনামাফিক মুসলিম অধ্যুষিত ট্রেন বা ধর্মস্থানগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটায়। উক্ত জবানবন্দিতে উল্লেখ ছিল যে, ”তিনি জানেন যে এই জবানবন্দির কারণে তার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে, কিন্তু তাও তিনি জবানবন্দি দিতে প্রস্তুত।” কিন্তু বিচার চলাকালীনই প্রায় ছয় মাস অতিক্রম হওয়ার পর, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উক্ত জবানবন্দি দেওয়ার পরে, হঠাৎ-ই বোধোদয় হয় স্বামী অসীমানন্দের, এবং তিনি এন আই এ-র ওপর অভিযোগ আনেন যে, তার ওপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে চাপ তৈরি করেই ওই জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, এবং সেই কারণে, ওই জবানবন্দিকে যেন, তার কনফেশন, বা স্বীকারোক্তি হিসেবে না গ্রহণ করা হয়। আজমের শরীফ বিস্ফোরণের মামলায় মুক্তি পেয়ে যান স্বামী অসীমানন্দ। কিন্তু শাস্তি হয় তার সংগঠনেরই অন্য তিনজন উপরোক্ত সদস্যের। অর্থাৎ, ঘটনার সাথে অভিনব ভারত সংগঠনের যুক্ত থাকার অভিযোগ সত্যি প্রমাণ হয়, এবং একটি সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত থাকা সংগঠনের সদস্য হয়েও পার পেয়ে যান স্বামী অসীমানন্দ।
এদিকে, মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণের মামলায় মূল অভিযুক্তই ছিলেন স্বামী অসীমানন্দ। জবানবন্দি গৃহীত না হওয়ার পর বাকি থেকে যায় অন্যান্য সাক্ষী এবং তদন্তে উঠে আসা প্রমাণসমূহ। দীর্ঘ প্রায় ৮ বা ৯ বছর ধরে বিচার চলবার পর দেখা যায় যে, বহু সাক্ষীই কোর্টে এসে বিরূপ হয়েছেন। এরম একজন সাক্ষী ছিলেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্ত পুরোহিত। কেন এবং কীভাবে জানা নেই তাকে এই মামলায় সরকার পক্ষের সাক্ষী ধরা হয়েছিল এবং সঠিক চিত্রনাট্য মেনেই উনি ঠিক সময়ে বিরূপ হয়ে যান। উনি ওই অভিনব ভারত সংগঠনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ওই মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণের মামলায় সাক্ষীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পুলিশকর্মী, বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যু এবং আহত হওয়া মানুষদের পরিবারবর্গ এবং কিছু প্রতক্ষ্যদর্শী। তাতে বিস্ফোরণের ঘটনা, ঘটনার ফলে মৃত্যু, এবং বিস্ফোরণের পদ্ধতি ইত্যাদি সহজেই প্রমাণ হয়। অর্থাৎ ১৮ই মে, ২০০৭-এর দুপুরবেলা, হায়দ্রাবাদ শহরের মক্কা মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের অপরাধ যে ঘটেছিল এবং সেই অপরাধের কারণে বহু মানুষের যে ক্ষতি হয়েছিল তা কোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এ এক মর্মান্তিক দৃষ্টান্ত। অপরাধ প্রমাণিত হল, কিন্ত সেই অপরাধ যে করল, সেই অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া গেল না, তার অপরাধের সাথে যুক্ত থাকবার কোনও প্রমাণ পাওয়া গেল না! এরম আমরা আগেও দেখেছি, যেমন ধরুন ২০০২ সালের গুজরাট রায়ট। রায়ট যে হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই, কোর্ট কাছারি পুলিশ ইত্যাদি সবাই জানে রায়ট হয়েছিল, কিন্তু, কে বা কারা রায়ট করল, তা আজ অব্দি জানা গেল না। এইখানেই কোনওভাবে এক হয়ে যায়, মায়া কোডনানির মামলা এবং মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণের মামলা।
কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঁচ ঘণ্টা ধরে দেওয়া জবানবন্দি এত সহজে খারিজ হওয়া সম্ভব? মামলার মোড় ঘোরানোর মতন এরম একটি ঘটনা নিয়ে কোনও চর্চাই কি হয়নি কোর্টে? কেন প্রমাণ করা গেল না সেই জবানবন্দি? বা, কেন প্রমাণ করতে পারল না ওই জবানবন্দি এন আই এ, কোর্টের সামনে? এ ধরনের বিভিন্ন জবাববন্দির মাধ্যমেই তো ভারতে অন্য বহু আসামির সাজা হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কেন অন্যথা হল? উক্ত ওই জবানবন্দির মাধ্যমে তো খুব সহজেই প্রমাণ করা যেত তার যুক্ত থাকবার কথা, বা তার অপরাধ। এতগুলো নিরপরাধ মানুষের মৃত্যুর কোনও বিচার করা গেল না, এত সহজে? কেন হঠাৎ, জাজমেন্ট দেওয়ার বা রায় জানানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই চাকরি থেকেই অব্যাহতি নিলেন রায়দানকারী স্পেশাল কোর্টের মহামান্য বিচারপতি? এ সমস্ত প্রশ্ন তো অপ্রাসঙ্গিক নয়। কিন্তু, সমস্যা হল, এই যে বিচার পদ্ধতি, অর্থাৎ যেভাবে গোটা মামলাটি কোর্টে এগিয়েছে, তা দেখলেই বোঝা যাবে যে অত্যন্ত ঢিমেতালে চলেছে এন আই এ। ২৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৫ জনই কোর্টে এসে বিরূপ হয়ে গেছেন, এটিও একটি বিরল দৃষ্টান্ত। এরম বারবার সাক্ষী বিরূপ তখনই হওয়া সম্ভব, যখন তদন্তকারী সংস্থা সাক্ষীদেরকে কোর্টে আনবার আগে বিন্দুমাত্র সতর্কতা নেয় না। নইলে লেফটেন্যান্ট পুরোহিত, যিনি অভিনব ভারত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তাকে এই মামলায় সরকার পক্ষের সাক্ষী করবার যৌক্তিকতা কি!
প্রশ্নগুলো সহজ, এবং উত্তরও তো জানা।