দুটি কবিতা
প্রথম সাক্ষাৎ
তুমি বলেছ, ‘ভুলিনি’।
ভুলবে না জেনেও মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম-
তা ছিল অপ্রয়োজনীয়।
না-ভোলাই স্বাভাবিক, জানি।
জানি, এই কথা থেকে বেরিয়ে গেলেই
দক্ষিণের হাওয়া এসে গায়ে লাগবে-
যেন একটা যুগ পার হওয়ার মুখে এসে পড়েছি!
সংসার তোমাকে দুঃখ দিয়েছে-
আনন্দ দিয়েছে আরও বেশি।
আনন্দের কথাগুলি মনে রাখবে না?
মনে রাখবে না যে
বিস্মিত হয়ে থেকেছ কতদিন কত তুচ্ছ কারণে?
স্মরণ-বিস্মরণের এই জীবন আমাদের-
আমরা পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছি বারবার।
তবু প্রত্যেক বারই মনে হয়
এই আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ…
সন্ধিক্ষণ
সে কোনোদিন আসবে ভাবিনি।
সে এল মুখে মৃদু হাসি নিয়ে
ডানাদুটি মেলে।
সঙ্গে তার নির্বাক বন্ধু।
তার দিকে সারাক্ষণ তাকিয়ে রইলাম।
সে সারাক্ষণ তাকিয়ে রইল তার বন্ধুর দিকে-
বন্ধুর প্রৌঢ়ত্বের সৌন্দর্য আর আনন্দের দিকে
অতিক্রান্ত পাপের দিকে।
আজ আমাদের পানাহার।
সময় কি নতুন বছর স্পর্শ করবে?
পাপপুণ্যের এই জীবনে মাঝে মাঝে
নীরব পানাহার আর তাকিয়ে থাকা-
মধ্যরাত্রি স্পর্শ করা।
একটা সন্ধিক্ষণের গল্প…