মলয় তেওয়ারি
১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সুভাষ চন্দ্র বোস ‘আর্জি হুকুমৎ-এ-আজাদ হিন্দ’ ঘোষণা করেছিলেন। তার ৭৫ বছর পূর্তিকে উপলক্ষ করে ‘নেতাজি টুপি’ মাথায় চাপিয়ে, লালকেল্লায় তেরঙা পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেকে একজন মহান দেশপ্রেমীর পোষাকে উপস্থিত করতে বিভিন্ন কসরৎ করলেন। কিন্তু দেশের ব্যাঙ্কগুলি ফাঁক করে দশ লক্ষ কোটি টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ডজন দুয়েক ব্যবসায়ীর দেশত্যাগ আর তাঁর নিজের করা রাফাল দুর্নীতির চলতি আবহে প্রধানমন্ত্রীর ‘নেতাজি’ সাজার এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের সামনে আরও একটি ধোঁকা হিসেবেই প্রতিভাত হয়েছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস এবং তাঁর পূর্বসূরী রাসবিহারী বোস, মৌলানা বরকতুল্লা (যিনি ১৯১৫ সালে কাবুলে প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্বাধীন ভারত সরকার ‘মোক্তার-ই-হুকুমৎ-ই-হিন্দ-এর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন) ও তাঁদের কমরেডরা দেশ ছেড়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন দেশের মাটি থেকে ব্রিটিশ শাসকদের উৎখাত করার মহান উদ্দেশ্যে। আর প্রধানমন্ত্রীর দোসরেরা বিদেশে পালাচ্ছে দেশের টাকা আত্মসাৎ করে বিলাসবহুল জীবন কাটাতে। নেতাজি ও তাঁর কমরেডরা দেশে দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সমস্ত রকম রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা একত্রিত করতে। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা খরচ করে দিনের পর দিন দেশের পর দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁর কর্পোরেট স্যাঙাত-গোষ্ঠীগুলির দালাল হিসেবে, রাফাল ডিলে এসে যা আজ সাধারণ মানুষের সামনে খোলসা হয়ে গেছে। আরএসএস/বিজেপির ধারার সাথে নেতাজি/আজাদ হিন্দ ধারার ঐতিহাসিক সংঘাতও আরেকবার সামনে এসে হাজির হয়েছে।
চল্লিশের দশকের গোড়ায় স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত দিনগুলিতে নেতাজি ও তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজের সশস্ত্র স্বাধীনতা উদ্যোগকে পেছন থেকে ছুরি মেরেছিল আরএসএস। নেতাজি যখন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বাহিনী গড়ছেন, তখন হিন্দু মহাসভা তথা আরএসএস বিনায়ক দামোদর সাভারকারের নেতৃত্বে ব্রিটিশদের পক্ষে তীব্র প্রচার গড়ে তুলছে। তাঁরা প্রচার করেন যে, যুদ্ধ যখন দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছে তখন হিন্দুরা তাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুক, ব্রিটিশ বাহিনীতে সব উইং-এই ব্যাপকভাবে নাম লেখাতে হবে, আর এক মিনিটও দেরি না করে বিশেষত বেঙ্গল ও আসাম প্রদেশ থেকে হিন্দুদের উত্থিত করতে হবে এবং ব্রিটিশদের প্রতি পরম আনুগত্য রেখে যুদ্ধ করতে হবে। শুধু ভাষণ বা প্রচার নয়, সদলবলে কাজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন সাভারকার। পরবর্তী কয়েক বছর ধরে সাভারকর ব্রিটিশদের পৃষ্ঠপোষকতায় রীতিমতো রিক্রুটমেন্ট ক্যাম্প সংগঠিত করে ব্রিটিশ বাহিনীতে ‘হিন্দু’-দের নিয়োগ করতে থাকেন, যারা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ধরে এগিয়ে আসা আজাদ হিন্দ বাহিনীকে আটকাবে। এই রিক্রুটমেন্টের জন্য এমনকি একটি কেন্দ্রীয় বোর্ডও গঠন করে ফেলে হিন্দু মহাসভা ও আরএসএস, যে বোর্ড ব্রিটিশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে কাজ করেছিল। লক্ষাধিক ‘স্বয়ংসেবক’ রিক্রুট হয়। সাভারকারের এই উদ্যোগ আজাদ হিন্দ বাহিনীকে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে বিধ্বস্ত করতে ব্রিটিশদের অত্যন্ত সহায়ক হয়।
এছাড়াও ব্রিটিশ বাহিনীতে হিন্দুদের রিক্রুট করার এই উদ্যোগের পেছনে সাভারকরের আরেকটি গূঢ় উদ্দেশ্য ছিল; তা হল, হিন্দুরা সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তা পরবর্তীকালে একটি মিলিট্যান্ট হিন্দুরাষ্ট্র গঠনে প্রভূত সাহায্য করবে। বস্তুত সাভারকারের স্লোগানই ছিল “সমগ্র রাজনীতির হিন্দুকরণ ও হিন্দুদের সামরিকীকরণ” (Hinduize all politics and militarize Hindudom)। “হিন্দুকরণ” বলতে যে আসলে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে সবর্ণ হিন্দুদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠাই বোঝায় তা বি আর আম্বেদকর সবচেয়ে তীব্র ভাষায় তখনই উন্মোচিত করেছিলেন। এবং, সাভারকারের এইসব রিক্রুটরা যুদ্ধশেষে সেনা থেকে বাদ পড়ে জঙ্গি হিন্দু বাহিনী গঠন করে এবং পার্টিশন পর্বে ইউপি-বিহারের বড় বড় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলি সংগঠিত করতে মূল ভূমিকা রাখে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের প্রতিষ্ঠিত আজাদ হিন্দ বাহিনী যে কেবল ভারতের হিন্দু-মুসলমান-শিখ সহ সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে দেশের মানুষের সামনে হাজির হচ্ছিল তাই নয়, সেই বাহিনীতে লক্ষ্মী শেহগালের নেতৃত্বে চালিত মহিলা যোদ্ধা ও মহিলা অফিসারদের ‘ঝাঁসির রানি ব্যাটেলিয়ন’ ছিল নারী-পুরুষ সম-মর্যাদায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার। বলাই বাহুল্য, জাত-ধর্ম-লিঙ্গ নির্বিশেষে সমমর্যাদায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এই জাতীয় মুখচ্ছবিটি আরএসএসের সবর্ণ-হিন্দুত্ববাদী-পৌরুষের সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ মেরুর। আরএসএস ও হিন্দু মহাসভার উদ্যোগের ফলে ভারতীয় সেপাইদের আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া সহজ হয়েছিল। কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, যুদ্ধবন্দিদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করার ক্ষেত্রেও। ড্যানিয়েল মার্সটন তাঁর ‘দ্য ইন্ডিয়ান আর্মি অ্যান্ড এন্ড অব রাজ’ গ্রন্থে লিখেছেন যে ব্রিটিশ অফিসারেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল আইএনএ-র যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে, আইনি পথে বিচার করার আগেই ধ্বংস করে দিতে চাইছিল তাঁদের অস্তিত্ব, অফিসাররা সেপাইদের বোঝাতে সক্ষম হয় যে আইএনএ আসলে দেশদ্রোহী এবং শেষ পর্যন্ত অসংখ্য বন্দিকে হত্যা করে। বারাকপুর-বারাসাতের নীলগঞ্জ বন্দি শিবিরে ১৯৪৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের গণহত্যা কুখ্যাত। সারারাত হেভি মেশিনগানের শব্দ শোনা গেছিল, পোড়া শবের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল বহুদূর আর পরদিন নোয়াই খালে রক্তবন্যা বয়ে যেতে দেখেছিল স্থানীয় মানুষ। অনেকের মতে অন্তত তিন হাজার যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন। এবছরও ২৫ সেপ্টেম্বর নীলগঞ্জে শহিদ দিবস পালিত হয়েছে বলে জানান ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যোগের অন্যতম নেতা মানিক সমাজদার, ওপার বাংলার ঝিকরগাছা বন্দিশিবিরের বিষয়েও তাঁরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তথ্য সংগ্রহ করছেন বলে জানান তিনি।
নেতাজির সশস্ত্র স্বাধীনতা উদ্যোগকে কংগ্রেস দলের নেতারা প্রত্যক্ষ সমর্থন দেননি। কিন্তু ১৯৪৪ সালে রেঙ্গুন থেকে এক রেডিও বার্তায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র প্রথম মহাত্মা গান্ধীকে “ফাদার অব আওয়ার নেশন” বলে অভিহিত করেন। ফ্যাসিস্ট জার্মানি ও জাপানের সাথে নেতাজির কৌশলগত সম্পর্ককে তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টিও মেনে নিতে পারেনি, কটূক্তি করেছিল। পরবর্তীতে কমিউনিস্টরা সে সম্পর্কে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে ও নেতাজির আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। পরবর্তীকালে ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী শেহগালের মতো অনেকে কমিউনিস্ট পার্টিতেও এসেছেন (প্রসঙ্গত, আজকের নব্য-নেতাজিপ্রেমী মোদি ও তাঁর দল মাত্র কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রপতি পদে লক্ষ্মী সেহগলের মনোনয়নের সক্রিয় বিরোধিতা করেছিল)। নেতাজি ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতায় ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিকে পরাজিত করবেন এমনটা মোটেই ভাবেননি। বরং তিনি এবিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন যে একবার আইএনএ ভারতে প্রবেশ করলে দেশের ভেতর থেকেই বহু মানুষ তাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেবেন এবং ইন্ডিয়ান আর্মিও ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে। আপাত অর্থে এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও তিনি যে একদম ভুল ভাবেননি তা আইএনএ-র বিচার চলাকালীন ব্যাপক দেশপ্রেমী আবেগ ও নৌ-বিদ্রোহ থেকেই স্পষ্ট হয়। বস্তুত ব্রিটিশ শাসকেরা বুঝেছিল যে সেনাবাহিনীকে আর বেশিদিন অনুগত রাখা যাবে না। দু-এক বছরের মধ্যেই যে ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তরিত করে তার অন্যতম কারণ হিসেবে আজাদ হিন্দ ফৌজের কর্মকাণ্ডকেই চিহ্নিত করেন বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর। স্বাধীনতার পর আইএনএ-র কেউ কেউ সরকারি উচ্চপদে নিযুক্ত হন। নেতাজির অন্তর্ধানের বিষয়টি রহস্যই থেকে যায়। নেহরু সরকার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কোনও সরকারই সেই সংক্রান্ত সরকারি নথি প্রকাশ্যে আনেনি। লালকেল্লা থেকে ভাষণে নেতাজির টুপি মাথায় চাপিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করার বিষয়ে টুঁ শব্দটি করেননি। তিনি কেবল আরএসএসের বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাসকে আড়াল করতে চেয়েছেন। আরএসএসের হাতে যে আজাদ হিন্দ ফৌজের রক্ত লেগে আছে তা ভুলিয়ে দিতে চেয়েছেন। আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কথা ভেবে জনতাকে ধোঁকা দেয়ার জন্য সাধু সাজতে চেয়েছেন। অন্যদিকে, বিগত চার বছরের ক্ষমতায়, আজাদ হিন্দ ফৌজের ঐক্য ও ভালোবাসার আদর্শকে ধ্বংস করে বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতিতে বিষিয়ে দিচ্ছেন সারা দেশ।
বিশ্বাসঘাতকতা, ব্রিটিশদের চরবৃত্তি ও দালালি করাই স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস/বিজেপি ধারার মূল কাজ ছিল। তাই মিথ্যা ইতিহাস তৈরি করার বাধ্যবাধকতা আছে হিন্দুত্ববাদীদের। ক্ষমতায় এসে তারা এমনকি ঐতিহাসিক দলিল দস্তাবেজকেও বিকৃত করছে বলে জানিয়েছেন অনেক ইতিহাসবিদ। প্রফেসর রাম পুনিয়ানির ভাষায় “বিজেপি যে কেবল জনসাধারণের আত্মপরিচিতিকেই ম্যানিপুলেট করছে তাই নয়, তারা ঐতিহাসিক আইকনদের পরিচিতিকেও ম্যানিপুলেট করছে।” একদিকে তাঁরা আম্বেদকরের গলায় মালা দিচ্ছে অন্যদিকে দেশজুড়েই আম্বেদকর মূর্তি ভাঙছে। আগ্রা পৌরভবনের আম্বেদকর মূর্তি সরিয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে যোগী সরকারের নির্দেশে। গান্ধীকে হত্যা করেছিল আরএসএস, খুনী নাথুরাম গোডসের মন্দিরও বানিয়েছে তারা। আবার গান্ধীর চশমা আত্মসাৎ করে স্বচ্ছ ভারতের মসিহা সাজতে চেয়েছে তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইভাবে এখন তাঁরা আজাদ হিন্দ ফৌজিদের টুপি পরে নেতাজিকে আত্মসাৎ করতে নেমেছে অথচ তাঁদেরই হাতে লেগে আছে আজাদ হিন্দ ফৌজিদের রক্ত। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের সকলেই বরাবর আরএসএস/বিজেপির (তৎকালীন হিন্দু মহাসভা) এই সাম্প্রদায়িক ধারাকে ধিক্কার জানিয়ে এসেছেন। বাংলায় প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতা দখলের জন্য নেতাজিকে নিয়ে টানাটানি করছে বিজেপি। কিন্তু তারা কি জানে যে বাংলায় তাদের প্রধান আইকন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর কপাল ফাটিয়ে দিয়েছিল সুভাষ বসুর দলের যুবকেরা পাথর ছুঁড়ে? নেতাজির প্রত্যক্ষ নির্দেশেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল সেই তরুণেরা। কলকাতায় হিন্দু মহাসভার সাম্প্রদায়িক প্রচারসভাকে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল সুভাষ চন্দ্রের যুব বাহিনী। শেষে শ্যামাপ্রসাদ নিজেই ময়দানে নামলে তাঁকেও সেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। স্বয়ং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিই তাঁর ডায়রিতে লিখে গেছেন যে তিনি যখন ‘হিন্দু মহাসভা’ গঠন করছেন তখন সুভাষ তাঁর সাথে দেখা করেন এবং থ্রেট দিয়ে বলেন যে ‘হিন্দু মহাসভা’ রাজনীতি করতে এলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে তিনি তা আটকাবেন। সুভাষ যখন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন ‘হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লিগের সদস্য হলে কংগ্রেসের সদস্যপদ নেওয়া যাবে না’ বলে সিদ্ধান্ত পাস করান। হিন্দুত্ববাদীদের হীন রাজনীতি ও বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে ১৯৪০ সালে এক জনসভায় তিনি বলেন “সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের ত্রিশূল হাতে ভোট ভিক্ষায় নামিয়ে দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। ত্রিশূল ও গেরুয়া বসন দেখলেই তো হিন্দুরা ভক্তিতে মাথা নোয়ায়। ধর্মের সুযোগ নিয়ে, ধর্মকে হেয় করে হিন্দু মহাসভা রাজনীতির বৃত্তে প্রবেশ করছে। একে ধিক্কার জানানো সমস্ত হিন্দুদেরই কর্তব্য… জাতীয় জীবন থেকে এই বিশ্বাসঘাতকদের বিতাড়িত করুন। কেউ ওদের কথায় কান দেবেন না।”